এখন মানুষের টাকা আছে তাই লাখ টাকায় কুরবানী দেয়: বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী

  • স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু বলেছেন, এখন দেশের মানুষের ক্রয়ক্ষমতা বেড়েছে। মানুষের পকেটে টাকা আছে। পাকিস্তান পিরিয়ডে যে গ্রামে ১০টি গরু কুরবানী দেওয়ার সামর্থ ছিল না। এখন সে অবস্থা নেই। সেখানে লাখ টাকার শত গরু কুরবানী হয়। পকেটে টাকা না থাকলে মানুষ লাখ টাকা দিয়ে কুরবানী দিতে পারতো না।

বৃহস্পতিবার (২০ জুন) রাজধানীর ফার্মগেটের বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল মিলনায়তনে বাংলাদেশ কৃষি অর্থনীতিবিদ সমিতি আয়োজিত 'বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের অর্থনীতি: প্রবৃদ্ধি, মুদ্রাস্ফীতি, খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তায় জাতীয় বাজেট ২০২৪-২৫' শীর্ষক সেমিনারে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু এ কথা বলেন।

বিজ্ঞাপন

অর্থনীতিতে কৃষিবিদদের কথা স্মরণ করে তিনি বলেন, আমার এলাকায় আগে যে জমিতে এক ফসল হতো এখন দুই ফসল হয়, যে জমিতে দুই ফসল হতো এখন সেখানে তিন ফসল হয়। ধানসহ সব ধরণের কৃষির উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়েছে। গত চার মাসে এক কোটি পরিবারকে প্রয়োজনীয় খাদ্যদ্রব্য বিতরণ করেছি। আমরা বুঝি অনেকের অবস্থা খারাপ হলেও মান সম্মানের ভয়ে ট্রাকের সামনে লাইন দিয়ে টিসিবির পণ্য কিনতে পারেন না। তাই আমরা সারাদেশে ১০ হাজার ডিলার নিয়োগ করে স্থায়ী দোকানের মাধ্যমে কার্ডধারীদের জুন মাস থেকে ভর্তুকি মূল্যে পণ্য দেবো। যাতে তারা সুবিধামতো সময়ে পণ্য কিনে আনতে পারেন। লাইনে দাঁড়াতে না হয়।

রিজার্ভ কমে যাওয়া প্রসঙ্গে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ৪৮ বিলিয়ন ডলার রিজার্ভ থেকে ২০ বিলিয়ন ডলার রিজার্ভতো আর এমনি এমনি হয়নি। ১৪ বিলিয়ন গেছে সার-তেল আমদানিতে। পচনশীল পণ্য কোন মাসে কত প্রয়োজন এটা নির্ণয় করতে হবে। বাজারে যেন কোনো পণ্যের ঘাটতি না থাকে। আমরা ইতোমধ্যে আমাদের প্রতিবেশী মিয়ানমার থেকে আদা মরিচ আমদানির চুক্তি করেছি।

সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। সম্মানীয় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার বাংলাদেশ প্রতিনিধি ড. জিয়াওকুন শি।

সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি সাজ্জাদুল হাসান। এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি গবেষণা ও বিপণন বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম।