প্রেমের জেরে দু’পক্ষের সংঘর্ষ: ভাতিজার কারণে প্রাণ গেল চাচার

  • ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, গাইবান্ধা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

গাইবান্ধার পলাশবাড়িতে ভাতিজার দুঃসাহসিকতার কারণে মারা গেল চাচা রুবেল।

বৃহস্পতিবার (২০ জুন) সকালে ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

বিজ্ঞাপন

এর আগে ঈদের পরদিন মঙ্গলবার (১৮ জুন) দুপুরে ভাতিজার প্রতিপক্ষের হামলায় গুরুতর আহত হয়েছিলেন রুবেল। ৫০ বছর বয়সী নিহত রুবেল উপজেলার মহদীপুর ইউনিয়নের বুজরুক বিষ্ণুপুর গ্রামের মৃত নজির হোসেনের ছেলে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, স্থানীয় জিসান ও আঁখি নামের দুই ছেলে-মেয়ের প্রেমে বাধা দেওয়ার জেরে রুবেলের ভাতিজা লিটন ও আতিয়ার নামের অপর এক যুবকের মধ্যে রেষারেষি শুরু হয়। এর জেরে লিটন ঈদের পরদিন আতিয়ারের এলাকায় গিয়ে দুঃসাহসিকতা দেখিয়ে আতিয়ার গ্রুপের এলাকায় সংঘর্ষ বাধায়। এসময় কয়েকজনকে ছুরিকাঘাত করে আহত করে চলেও আসে। পরে আহতদের উদ্ধার করে পলাশবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।

পরে আতিয়ার গ্রুপ সংঘবদ্ধ হয়ে লিটনের বাড়িতে লিটনের ওপর হামলা চালানোর উদ্দেশ্যে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে রওনা করে। পথে বিষয়টি বুঝতে আতিয়ার গ্রুপকে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করে লিটনের চাচা রুবেল। এসময় ওই দলবলের লাঠির আঘাতে মাথায় গুরুতর আঘাত পেয়ে রক্তাক্ত আহত হন তিনি। পরে তাকেও প্রথমে পলাশবাড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।

কিন্তু মাথায় গুরুতর আঘাত পাওয়া রুবেলের অবস্থার অবনতি হলে সেদিন বিকেলে দায়িত্বরত চিকিৎসকরা তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ (রমেক) হাসপাতালে রেফার করেন। সেখানে তার আরও অবস্থার অবনতি হলে একইদিন রাতেই উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকার একটি হাসপাতালে নেয় তার পরিবার। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার সকালে রুবেলের মৃত্যু হয়।

বিষয়টি মুঠোফোনে বার্তা২৪.কম-কে নিশ্চিত করেছেন পলাশবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজমিরুজ্জামান।

তিনি জানান, ঈদের পরদিন এলাকায় কিশোর প্রেমের ঘটনার সূত্র ধরে নিহত রুবেলের ভাতিজা লিটনের সাথে অপর একটি গ্রুপের মারামারি হয়। সেই সূত্র ধরে তারা লিটনের ওপর হামলা করতে আসার পথে লিটনের চাচা রুবেল তাদের বাধা দেওয়ার চেষ্টা করে। এসময় তারা রুবেলের ওপর হামলা করলে তিনি গুরুতর আহত হন। পরে তাকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য প্রথমে পলাশবাড়ি, পরে রংপুর এবং শেষে অবস্থার চরম অবনতি হলে একইদিন রাতে ঢাকার একটি হাসপাতালে নেওয়া হয়।

তিনি আরও বলেন, সেদিনের ঘটনায় ওই দিনই আতিয়ার গ্রুপের ১৭ জন নামীয়সহ বেশ কয়েকজনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে পলাশবাড়ি থানায় একটি মামলা দায়ের করেন রুবেলের মেয়ে রেবা বেগম। ঘটনার পর থেকেই আসামিরা পরিবারসহ পলাতক রয়েছে। তাদের গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলেও জানান ওসি।