ট্রেনের ছাদে ভ্রমণ, রেল সেতুতে মাথায় আঘাত লেগে প্রাণ গেল তরুণের



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ময়মনসিংহ
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ময়মনসিংহে ট্রেনের ছাদে উঠে ভ্রমণ করার সময় কেওয়াটখালি রেল সেতুতে মাথায় আঘাত লেগে অজ্ঞাত (১৮) এক তরুণের মৃত্যু হয়েছে।

শুক্রবার (২১ জুন) সন্ধ্যার পর দেওয়ানগঞ্জ থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী দেওয়ানগঞ্জ কমিউটার ট্রেন কেওয়াটখালি রেল সেতুতে আসতেই ট্রেনের ছাদে বসে থাকা তরুণের মাথায় আঘাত লেগে গুরুতর আহত হয়।

গফরগাঁও রেলওয়ে ফাঁড়ি ইনচার্জ উপ-পরিদর্শক (এসআই) কার্তিক চন্দ্র রায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

পুলিশ জানায়, ঈদের ছুটি শেষে মানুষ কর্মস্থলে ফিরছেন। নিহত অজ্ঞাত যুবক দেওয়ানগঞ্জ থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী দেওয়ানগঞ্জ কমিউটার ট্রেনে ভিতরে ও ছাদে প্রচণ্ড ভিড় থাকা ইঞ্জিনের ছাদে ভ্রমণ করছিলেন। ট্রেন কেওয়াটখালি রেল সেতু পাড় হওয়ার সময় সে মাথা আঘাত পেয়ে গুরুতর আহত হয়। পরে গফরগাঁও রেলওয়ে স্টেশনে যাত্রা বিরতির সময় ছাদে ভ্রমণ করা অন্য যাত্রীদের কাছ থেকে খবর পেয়ে রেলওয়ে পুলিশ তরুণকে উদ্ধার করে গফরগাঁও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

গফরগাঁও রেলওয়ে ফাঁড়ি ইনচার্জ উপপরিদর্শক (এসআই) কার্তিক চন্দ্র রায় বলেন, রেল ব্রিজে মাথায় আঘাত পায় এতে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে তার মৃত্যু হয়েছে এবং যুবকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। নিহতের পরিচয় উদঘাটনের চেষ্টা চলছে। এ ঘটনা আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

এনবিআরের অতিরিক্ত শুল্কায়নে অর্ধশতাধিক পণ্যবাহী ট্রাক আটকা



সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বেনাপোল (যশোর)
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

জাতীয় রাজস্ব বোর্ড এনবিআরের জারীকৃত নতুন আদেশে অতিরিক্ত শুল্কায়নের কারণে বেনাপোল বন্দরে মাছ, ফল ও সবজিসহ প্রায় অর্ধশতাধিক ট্রাক পচনশীল পণ্য নিয়ে আটকা পড়েছে। এতে প্রতিবাদ জানিয়ে কাস্টমস হাউসের সামনে বিক্ষোভ করেছে আমদানিকারকেরা।

বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) রাত ৯টায় বেনাপোল কাস্টমস হাউসের সামনে এ বিক্ষোভ করে আমদানি-রফতানি বন্ধের হুমকি দেয় বেনাপোল ল্যান্ডপোর্ট ইমপোর্টাস এর্ন্ড এক্সপোর্টাস এ্যাসোসিয়েশন।

বেনাপোল ল্যান্ডপোর্ট ইমপোর্টাস এর্ন্ড এক্সপোর্টাস এ্যাসোসিয়েশনের সিনিয়র সহসভাপতি আবুল হোসেন জানান, গত ২৩ জুন জাতীয় রাজস্ব বোর্ড এনবিআর পচনশীল পন্য শুল্কায়নের ক্ষেত্রে নতুন নির্দেশনা জারি করে। ঢাকায় অনুষ্ঠিত অভ্যন্তরীণ নিরীক্ষা কমিশনারেটের এক সভায় আমদানিকৃত শুল্কায়ন সমতা বজায় রাখা এবং আমদানিকারকগণের জন্য সুষম সুবিধা নিশ্চিত করণের কারণ দেখিয়ে আমদানি পর্যায়ে শুটকি মাছ, টমেটো, পান ও ফলের সঠিক পরিমাপ নির্ধারণে পণ্যবাহী ট্রাকের চাকার সংখ্যার ভিত্তিতে নুন্যতম ওজন প্রস্তাব ও সুপারিশ করা হয়। যা বৃহস্পতিবার থেকে কার্যকর করে কাস্টমস। এতে লোকসানের কবলে পড়ে পণ্য চালান খালাস না নেওয়ায় বন্দরে আটকা পড়ে অর্ধশতাধিক খাদ্যদ্রব জাতীয় পচনশীল পণ্যবাহী ট্রাক।

আমদানিকারক শামিম গাজী জানান, এনবিআরের নতুন এ মনগড়া আইনে তাদের ট্রাক প্রতি ৩ থেকে ৪ লাখ টাকা অতিরিক্ত গুনতে হবে। এতে আমদানি কমবে এবং দেশে ভোগ্য পণ্যের বাজার অস্থির হবে। বিষয়টি এনবিআরকে পূর্ব বিবেচনা করার অনুরোধ জানান তিনি।

বেনাপোল ল্যান্ডপোর্ট ইমপোর্টাস এর্ন্ড এক্সপোর্টাস এ্যাসোসিয়েশন সাধারণ সম্পাদক জয়িাউর রহমান জানান, এনবিআরের জারিকৃত নতুন আদেশের অনুচ্ছেদ ৪ কাস্টমস মূল্যায়ন না করায় তারা পণ্য চালান খালাস নিতে পারছেনা। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে যদি সমস্যা নিরসনে কাস্টমস পদক্ষেপ না গ্রহণ করে তবে শনিবার থেকে এপথে আমদানি-রফতানি কার্যক্রম বন্ধ রাখবেন।

আমদানিকারক উজ্জ্বল বিশ্বাস জানান, আটকে থাকা পণ্য চালানের বিষয়ে কাস্টমস রোববার সিদ্ধান্ত দিবে জানিয়েছে। এতে তিন দিন ট্রাক আটকে থাকলে তাদের পণ্য গরমে পঁচে যাওয়ার ভয় রয়েছে।

বেনাপোল কাস্টমস হাউসের রাজস্ব কর্মকর্তা জাহিদ হাসান জানান, এনবিআরের নতুন আদেশ তারা কার্যকর করছেন। তবে কয়েকজন আমদানিকারক তারা অভিযোগ জানিয়ে পণ্য খালাস নিচ্ছেনা। আবার কেউ খালাস নিয়েছেন। তবে যারা পণ্য খালাস নেয়নি তাদের বিষয়ে রোববার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নেবে জানান।

;

কারাগার থেকে পালানো চার কয়েদীই দুর্ধর্ষ অপরাধী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বগুড়া
বগুড়া জেলা কারাগার। ছবি: সংগৃহীত

বগুড়া জেলা কারাগার। ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বগুড়া জেলা কারাগারের ছাদ কেটে পালানো মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত চার কয়েদীই ভয়ঙ্কর খুনি। তাদের মধ্যে একজন স্কুলছাত্র অপহরণের পর মুক্তিপণ আদায় করেও সেই ছাত্রকে ভাটার আগুনে পুড়িয়ে হত্যায় দণ্ডপ্রাপ্ত, অপরজন এক তরুণকে সুলপি (সুচালো অস্ত্র) দিয়ে খুুঁচিয়ে হত্যায় সাজাপ্রাপ্ত এবং অন্য দু’জন ডাকাতি করতে গিয়ে একই পরিবারের চারজনকে কুপিয়ে হত্যায় দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি। বগুড়া জেলা কারাগার ও সংশ্লিষ্ট আদালত সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।

পলাতক ওই চার কয়েদীর মধ্যে অন্যতম মো. জাকারিয়া (৩৪)। তিনি বগুড়ার কাহালু উপজেলার উলট্ট গ্রামের বাসিন্দা। তার পিতা আব্দুল মান্নান বর্তমানে কাহালু পৌরসভার মেয়র এবং কাহালু উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি। জাকারিয়া নামের এই কয়েদী ২০১২ সালের এক স্কুলছাত্রকে অপহরণ করে। নাইমুল ইসলাম নাইম (১৩) নামের ওই স্কুলছাত্র কাহালু উপজেলার রুস্তমচাপড় গ্রামের রফিকুল ইসলাম তালুকদারের ছেলে। নাঈম কাহালু পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির ছাত্র ছিলো। ২০১২ সালের ৫ এপ্রিল সকালে স্কুলে যাওয়ার পথে অপহৃত হয় নাইম।

এ ঘটনায় নাইমের বাবার দায়ের করা মামলা সূত্রে জানা যায়, অপহরণকারীরা তাকে আটকে রেখে মুক্তিপণ হিসেবে ৫ লাখ টাকা দাবি করে। চার দিনের মাথায় ৯ এপ্রিল মুক্তিপণের পাঁচ লাখ টাকা দেওয়া হয় অপহরণকারিদের। কিন্তু তাকে মুক্তি না দিয়ে গলায় রশি পেঁচিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়। পরে তার মরদেহ জাকারিয়ার বাবার ইটভাটার আগুনে ফেলে ভস্মীভূত করা হয়। নাইমের বাবা রফিকুল ইসলাম ১০ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা করেন। ওই বছরের ১১ ডিসেম্বর থানা পুলিশ ৬ জনের নামে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে। ২০১৭ সালের ২৫ জানুয়ারি আদালত মামলাটির রায় ঘোষণা করেন। রায়ে মো. জাকারিয়াসহ দু’জনকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড এবং অন্য আসামিদের যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড ও প্রত্যেকের এক লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়।

পুলিশ জানায়, ২০১৭ সালে রায় ঘোষণা হলেও সেসময় পলাতক ছিল জাকারিয়া। এরপর গত বছরের ৬ জুলাই কাহালু উপজেলার উলট্ট বাজার থেকে জাকারিয়াকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তখন তাকে বগুড়া কারাগারে রাখা হলেও পরবর্তীতে তাকে রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়। সেখান থেকে গত বছরের ২৬ সেপ্টেম্বর পুণরায় বগুড়া কারাগারে স্থানান্তর করা হয় তাকে। তার বিরুদ্ধে বগুড়ার আদালতে একটি প্রতারণা মামলা এখনো চলমান।

কারাগার থেকে পালাতে গিয়ে গ্রেফতার ৪ আসামি

জেলখানা থেকে পালানো কয়েদী ফরিদ শেখ (৩০) বগুড়া সদর উপজেলার কুটুরবাড়ি এলাকার ইসরাইল শেখ চাঁন মিয়ার ছেলে। ২০২৩ সালের ৮ নভেম্বর থেকে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি হিসেবে বগুড়া কারাগারে ছিলেন ফরিদ। তার মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে জানা গেছে, কুটুরবাড়ি এলাকায় জমিজমা নিয়ে চাঁন মিয়ার সাথে বাদশা শেখের বিরোধ চলছিল। ওই বিরোধের জের ধরে ২০১৯ সালের ৬ জুন দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষকালে সেখানে আল আমিন নামে এক তরুণকে সুলপি (সুচালো অস্ত্র) দিয়ে খুঁচিয়ে হত্যা করে ফরিদ শেখ। ওই ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় গত বছরের ৮ নভেম্বর তার মৃত্যুদণ্ডাদেশ ও ২০ হাজার টাকা জরিমানা করেন আদালত। তখন থেকেই বগুড়া কারাগারে ছিলেন ফরিদ। তার বিরুদ্ধে বগুড়ার আদালতে মারপিট ও হত্যার হুমকির দু’টি মামলা এখনো চলমান।

পালিয়ে যাওয়া অপর দুই কয়েদী কুড়িগ্রামের ভুরুঙ্গামারী উপজেলার দিয়াডাঙ্গা এলাকার মৃত আজিজুল হকের ছেলে নজরুল ইসলাম মজনু ওরফে মঞ্জু (৬০) ও নরসিংদীর মাধবদী উপজেলার ফজরকান্দি এলাকার মৃত ইসরাফিল খাঁর ছেলে আমির হোসেন ওরফে আমির হামজা (৪১) একই মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত। ২০১৪ সালে ভূরুঙ্গামারীর সীমান্তবর্তী দিয়াডাঙ্গা গ্রামে ডাকাতি ও চার খুনের মামলায় তাদের দু’জনের মৃত্যুদণ্ড প্রদান করেন আদালত।

ওই মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে জানা গেছে, ২০১৪ সালের ১৪ জানুয়ারি রাতে দিয়াডাঙ্গা গ্রামের সুলতান আহমেদ মণ্ডলের বাড়িতে হানা দেয় একদল ডাকাত। ওই বাড়ি থেকে মালামাল লুণ্ঠন করতে গিয়ে ডাকাত দল ধারালো অস্ত্র দিয়ে গৃহকর্তা সুলতান মণ্ডল, তার স্ত্রী হাজেরা বেগম এবং তাদের দুই নাতনি রোমানা ও আনিকাকে কুপিয়ে হত্যা করে। ওই ঘটনায় নিহত সুলতান মণ্ডলের ছেলে হাফিজুর রহমানের দায়ের করা মামলায় মঞ্জু ও আমিরসহ ৬ জনকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেন কুড়িগ্রাম জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক। ২০২১ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি রায় ঘোষণার পর থেকে তারা কারাগারে বন্দি। তবে গত বছরের ১৮ এপ্রিল কুড়িগ্রাম জেলা কারাগার থেকে মঞ্জুকে এবং চলতি বছরের ২৪ মে গাজীপুরের কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে আমির হামজাকে বগুড়া জেলা কারাগারে স্থানান্তর করা হয়। তাদের দু’জনের নামে হত্যা, ডাকাতি, সরকারি কাজে বাধা দিয়ে মারপিট ও হত্যার হুমকি এবং অপহরণ করে চাঁদা আদায়ের অভিযোগে ৪টি মামলা বিচারাধীন।

বগুড়ার জেল সুপার আনোয়ার হোসেন জানিয়েছেন, ওই চার কয়েদীর বিরুদ্ধে বিভিন্ন মামলা চলমান থাকায় আদালতে হাজিরার সুবিধার্থে তারা বগুড়া কারাগারে অবস্থান করছিলেন।

এই চার কয়েদী মঙ্গলবার (২৫ জুন) দিবাগত রাত তিনটার দিকে কারাগারের কনডেম সেল থেকে পালিয়ে যায় এবং এক ঘন্টার মধ্যে পুলিশের হাতে ধরাও পড়েন।

বগুড়ার পুলিশ সুপার সুদীপ কুমার চক্রবর্তী এক সংবাদ সম্মেলনে এতথ্য নিশ্চিত করেছেন।

যেভাবে এই চার কয়েদী ধরা পড়েন:

রাত সাড়ে ৩টার পর নদীতে নির্মাণাধীন ব্রিজের কাছে অনেকগুলো কুকুর ঘেউ ঘেউ শুরু করে। এলাকার কয়েকজন যুবক সেখানে এগিয়ে গেলে দেখতে পান চারজন মানুষ নদীর হাঁটু পানিতে হামাগুড়ি দিয়ে তীরে ওঠার চেষ্টা করছেন। তাদের প্রত্যেকে সঙ্গে একটি করে ব্যাগ রয়েছে। চোর সন্দেহে চারজনকেই নদী থেকে তুলে এনে পাশের চাষী বাজারে নিয়ে যান। চারজন নিজেদের রাজমিস্ত্রি পরিচয় দিয়ে বলেন, ঠিকাদার তাদের মারপিট করে নদীতে ফেলে দিয়েছেন। তারা প্রাণ ভয়ে পালিয়ে এসেছেন।

তাদের অসংলগ্ন কথাবার্তা এবং একজনের পরনে কয়েদীর পায়জামা থাকায় সন্দেহ হয়। তাদের ব্যাগ তল্লাশি করে নগদ ৯ হাজার টাকা, ৭০ প্যাকেট সিগারেট, একটি স্টিলের পাত, একটি স্ক্রু ড্রাইভার এবং কয়েদির কাগজ পাওয়া যায়। একপর্যায়ে তারা নিজেদের মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি এবং জেলখানা থেকে পালানোর কথা স্বীকার করেন।

বগুড়া জেলা কারাগারের কনডেম সেলের ছাদ ফুটো করে মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত এই চার কয়েদী পালানোর ঘটনায় তিন কারা রক্ষিকে সাময়িক বরখাস্ত ( সাসপেন্ড) করা হয়েছে। এছাড়াও অপর দুইজন কারারক্ষিকে কৈফিয়ত তলব করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) বগুড়া জেলা কারাগারের জেল সুপার আনোয়ার হোসেন এতথ্য নিশ্চিত করেছেন। সাময়িক বরখাস্ত হওয়া তিন কারারক্ষী হলেন বগুড়া জেলা কারাগারের প্রধান কারারক্ষী দুলাল হোসেন, কারারক্ষী আব্দুল মতিন ও কারারক্ষী আরিফুল ইসলাম। এছাড়াও কারারক্ষী ফরিদুল ইসলাম হোসেনুজ্জামানকে কৈফিয়ত তলব করা হয়েছে।

এদিকে কারা অধিদফতর থেকে ঘটনা তদন্তে তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।

;

রংপুরে জনসংখ্যার ঘনত্ব প্রতি বর্গকিলোমিটারে ১৩২০ জন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রংপুর
ছবি: জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জনশুমারি ও গৃহগণনা ২০২২-এর জেলা রিপোর্ট প্রকাশ

ছবি: জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জনশুমারি ও গৃহগণনা ২০২২-এর জেলা রিপোর্ট প্রকাশ

  • Font increase
  • Font Decrease

রংপুরে জনশুমারি ও গৃহগণনা ২০২২-এর জেলা রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, রংপুর জেলার মোট জনসংখ্যা ৩১ লক্ষ ৬৯ হাজার ৬১৪ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৪৯.৫০ শতাংশ এবং নারী ৫০.৫০ শতাংশ। জনসংখ্যার ঘনত্ব প্রতি বর্গকিলোমিটারে ১ হাজার ৩২০ জন। আর সাক্ষরতার হার ৭০.৭৩ শতাংশ।

বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) দুপুরে রংপুর জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জনশুমারি ও গৃহগণনা ২০২২-এর জেলা রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়। এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন রংপুরের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার মো. আবু জাফর।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার বলেন, ২০২২ সালে প্রথমবারের মতো বাংলাদেশে ডিজিটাল পদ্ধতিতে জনশুমারি ও গৃহগণনা অনুষ্ঠিত হয়। তথ্য সংগ্রহে ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহৃত হওয়ায় এই জনশুমারি ও গৃহগণনার রিপোর্ট অনেকাংশে নির্ভুল।

তথ্যকে শক্তি হিসাবে উল্লেখ করে মো. আবু জাফর বলেন, টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট অর্জন ও উন্নত বাংলাদেশ বিনির্মাণে সঠিক পরিকল্পনা গ্রহণে জনশুমারির তথ্যকে কাজে লাগাতে হবে। জনশুমারির তথ্যের উপর ভিত্তি করে সরকারি দপ্তরসমূহকে সুনির্দিষ্ট কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ ও তা বাস্তবায়নের জন্য তিনি সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানান।

অনুষ্ঠানের শুরুতে রংপুর বিভাগীয় পরিসংখ্যান কার্যালয়ের যুগ্মপরিচালক মো. শফিকুল ইসলাম জনশুমারি ও গৃহগণনা ২০২২-এর জেলা রিপোর্ট বিষয়ে একটি তথ্যচিত্র উপস্থাপন করেন। তথ্যচিত্রে তিনি জনশুমারি ও গৃহগণনার তথ্য সংগ্রহ পদ্ধতি, ডিজিটাল শুমারিতে ব্যবহৃত টেকনোলজি ও রংপুর জেলার জনমিতিক বৈশিষ্ট্য উপস্থাপন করেন।

রংপুরের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোবাশ্বের হাসানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর পরিচালক এইচ এম ফিরোজ, সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, সাংবাদিক ও এনজিও প্রতিনিধিগণ উপস্থিত ছিলেন।

;

ফতুল্লায় আ.লীগ নেতাকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যা



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
কাশীপুর ইউনিয়ন আ. লীগ নেতা সুরুজ মিয়া

কাশীপুর ইউনিয়ন আ. লীগ নেতা সুরুজ মিয়া

  • Font increase
  • Font Decrease

আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় প্রকাশ্যে দিন-দুপুরে আওয়ামী লীগ নেতা সুরুজ মিয়াকে হত্যা করেছে সন্ত্রাসীরা। তাকে বাঁচাতে গিয়ে তার ছেলেসহ তিনজন গুরুতর আহত হয়েছেন। ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়ন করা হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) বিকেলে সদর উপজেলার কাশীপুর ইউনিয়নের ভোলাইল শান্তিনগর এলাকায় এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। নিহত সুরুজ মিয়া কাশীপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের অর্থবিষয়ক সম্পাদক ছিলেন।

নিহতের ছেলের স্ত্রী চম্পা বলেন, সালাউদ্দিন সাল্লু ও তার বাহিনীর ৩০-৪০ জন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালিয়ে আমার শ্বশুরকে কুপিয়ে হত্যা করে। তাকে বাঁচাতে গেলে আমার স্বামী জনিসহ ৩ জন আহত হয়। তাদেরকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

ফতুল্লা মডেল থানার ওসি নূরে আজম জানান, বালু ও সিমেন্ট ব্যবসা নিয়ে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সাল্লু ও তার বাহিনী হামলা ও ভাঙচুর চালায়। এ সময় আওয়ামী লীগ নেতা সুরুজ মিয়া ও তার ছেলেসহ চার জনকে কুপিয়ে জখম করে। সুরুজ মিয়া ঢাকা মেডিক্যাল হাসাপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। অন্য আহতরা হাসাপাতালে ভর্তি রয়েছে। অভিযুক্তদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।

;