রাজধানীতে মাদকবিরোধী অভিযানে গ্রেফতার ১৮



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় মাদকবিরোধী অভিযান চালিয়ে ১৮ জনকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) অপরাধ ও গোয়েন্দা বিভাগ। মাদক বিক্রি ও সেবনের অভিযোগে তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানানো হয়েছে।

সোমবার (২৪ জুন) সকাল ছয়টা থেকে মঙ্গলবার (২৫ জুন) সকাল ছয়টা পর্যন্ত রাজধানীর বিভিন্ন থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে মাদকদ্রব্য উদ্ধারসহ তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।

এ সময় তাদের কাছ থেকে ১০১ পিস ইয়াবা, ১৬৮ গ্রাম হেরোইন ও ৩৪ কেজি ৩৩০ গ্রাম গাঁজা উদ্ধার করা হয়েছে বলে জা‌নিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) অপরাধ ও গোয়েন্দা বিভাগ।

ডিএমপির নিয়মিত মাদকবিরোধী অভিযানের অংশ হিসেবে এ অ‌ভিযান প‌রিচালনা করা হয়েছে বলে জানানো হয়। সেই সঙ্গে গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে ১৩টি মামলা রুজু হয়েছে বলেও জানানো হয়।

সীমান্তে শিশুসহ ৫ বাংলাদেশি নাগরিককে আটক করেছে বিজিবি



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, লালমনিরহাট
ছবি: অবৈধ অনুপ্রবেশের অভিযোগে আটক

ছবি: অবৈধ অনুপ্রবেশের অভিযোগে আটক

  • Font increase
  • Font Decrease

লালমনিরহাট জেলা পাটগ্রামে সীমান্তের তিন বিঘা করিডোর ও দহগ্রাম বিজিবি চেকপোষ্টে শিশুসহ ৫ বাংলাদেশি নাগরিককে ভারতে অবৈধ অনুপ্রবেশের অভিযোগে আটক করেছেন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সদস্যরা।

শুক্রবার (২৮ জুন) বিকালে উপজেলা তিন বিঘা করিডর এলাকায় তাদেক আটক করে বিজিবির পানবাড়ি বিজিবির সদর কোম্পানির সদস্যরা ।

আটককৃত ব্যক্তিরা হলেন, রংপুর জেলার বদরগঞ্জ উপজেলার কালুপাড়া (মধ্যপাড়া) গ্রামের বাসিন্দা আব্দুল ওহাবের ছেলে মোঃ আক্তারু ইসলাম (৪১) তার স্ত্রী মোছাঃ সোহাগী (৩৫), ও মেয়ে মোছাঃ লাবনী আক্তার (১৮) । একাই গ্রামের মোঃ আউয়াল মোকাদ্দেসের মেয়ে মোছাঃ মুক্তা আক্তার (৩০) ও মোঃ মহিউদ্দিনের মেয়ে মোছাঃ আফিয়া হোমায়রা (৩) ।

বিজিবির সুত্রে জানা গেছে, শুক্রবার বিকালের দিকে উপজেলার তিন বিঘা করিডোর ও দহগ্রাম বিজিবি চেকপোষ্টে দিয়ে দহগ্রাম ইউনিয়ন সীমান্তে দিয়ে ভারতে প্রবেশের চেষ্ঠা করেন। এ সময় দহগ্রাম বিজিবি চেকপোষ্টে বিজিবি সদস্যরা তাদের তল্লাশি ও জিজ্ঞাসাবাদ করা সময় ওই শিশুসহ ৫ বাংলাদেশি নাগরিকদের সন্দেহজনক কথা বলায় তাদের আটক করেন।

পরে বিজিবি সদস্য পরে জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানান, উপজেলার দহগ্রাম ইউনিয়নের গুচ্ছগ্রামের বাসিন্দা মোঃ আব্দুল হানিফের (১৮) মাধ্যমে অবৈধভাবে ভারতে অনুপ্রবেশের জন্য এসেছেন। পরে তাদেক ভারতে অবৈধভাবে অনুপ্রবেশের অভিযোগে আটক করা হয়।

পাটগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু সাঈদ চৌধুরী বলেন, আটককৃতদের থানায় নিয়ে আসা হয়েছে এ বিষয়ে বিজিবির পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

;

নোয়াখালীতে শিক্ষক দম্পতির বাড়িতে দুর্ধর্ষ ডাকাতি



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নোয়াখালী
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে এক শিক্ষক দম্পতির বাড়িতে দুর্ধর্ষ ডাকাতি হয়েছে। ডাকাতরা গৃহকর্তাসহ বাড়ির সদস্যদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে বাড়িতে থাকা নগদ ১ লাখ ৩০ হাজার টাকা, ১২ ভরি স্বর্ণ, ৫টি মোবাইল, ১টি মোটরসাইকেল লুট করে।

শুক্রবার (২৮ জুন) রাত পৌনে ৮টার দিকে ডাকাতির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বেগমগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.আনোয়ারুল ইসলাম।

এর আগে, বৃহস্পতিবার দিবাগত গভীর রাতে উপজেলার ছয়ানী ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের তালিবপুর গ্রামের শিক্ষক হাবিবুর রহমানের বাড়িতে এই ঘটনা ঘটে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার গভীর রাতে ১০-১২ জনের একটি ডাকাত দল শিক্ষক হাবিবুর রহমানের বাড়িতে ডাকাতি করার জন্য হানা দেয়। এরপর ডাকাতরা সু-পরিকল্পিতভাবে হাবিবুর রহমানের পরিবারের সদস্যদের একটি রুমে আটকে রেখে তাদের ঘরে থাকা নগদ টাকা এবং মোবাইল এবং স্বর্ণালংকার লুট করে নিয়ে যায়। পরবর্তীতে একই কায়দায় ডাকাত দল হাবিবুর রহমানের ভাই ফারুক এবং ভাতিজা জিয়াউল হাসান রুপমের ঘরে ডাকাতি করেন। এ সময় ডাকাতরা ৫ টি মোবাইল, ১২ ভরি স্বর্ণ, নগদ ১ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা, ১ টি মোটরসাইকেল লুট করে নিয়ে যায়।

ছয়ানী ইউনিয়ন পরিষদের ৬নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য (মেম্বার) আবদুল আজিজ বলেন, হাবিবুর রহমান ও তার স্ত্রী স্থানীয় ছয়ানী উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষকতা করে। গতকাল রাতে এই শিক্ষক দম্পতির ঘরে ডাকাত দল হানা দিয়ে টাকা, স্বর্ণালংকারসহ মূল্যবান জিনিসপত্র লুট করে নিয়ে যায়। ডাকাতদের দেখে হাবিবুর রহমানের স্ত্রী স্ট্রোক করে গুরুত্বর অসুস্থ হয়ে পড়ে। ওই সময় ডাকাতরা একই বাড়ির আরও দুটি ঘরে ডাকাতি করে।

বেগমগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, শিক্ষকের বাড়িতে এই ডাকাতির ঘটনা ঘটে। তবে ডাকাতির ঘটনায় এখনো কেউ থানায় কোনো এজাহার দাখিল করেনি।

;

রাতারগুলে ঘুরতে গিয়ে পর্যটক নিখোঁজ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সিলেট
ছবি: ঘুরতে গিয়ে পর্যটক নিখোঁজ

ছবি: ঘুরতে গিয়ে পর্যটক নিখোঁজ

  • Font increase
  • Font Decrease

সিলেটের রাতারগুল সোয়াম ফরেস্টে ঘুরতে গিয়ে এক পর্যটক নিখোঁজ হয়েছেন। নিখোঁজ পর্যটক সিলেট নগরীর বাগবাড়ী এলাকার শাহজাহান আলীর ছেলে শামীম আহমদ (১৬)।

শুক্রবার (২৮ জুন) সন্ধ্যা ৬ টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

জানা যায়, রাতারগুল সোয়াম ফরেস্টের ভিতরে প্রবেশের ইজারাকৃত মটরঘাট খেয়াঘাটে ৪ জন পর্যটক ঘুরতে আসেন। মটরঘাট খেয়াঘাটের সিঁড়ি দিয়ে ৪ জন পর্যটক চেঙ্গেরখাল নদীর সাঁতার কাটতে পানিতে নামেন এ সময় একজন পর্যটক সাঁতার না জানার কারণে মুহূর্তের মধ্যে পানির নিচে তলিয়ে যায়।

বাকী ৩ জন পর্যটক সাঁতার কেটে ফিরে এলেও শামীম আসতে পারেনি। বর্তমানে নদীতে তীব্র স্রোত রয়েছে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছায়নি।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিলেট বিমানবন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.নুনু মিয়া।

তিনি জানান, ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দলকে খবর দেয়া হয়েছে তারা জানিয়েছে রাতে কাজ করতে পারবে না। তাই স্থানীয় লোকজন নদীতে জাল ফেলে খোঁজার চেষ্টা করছেন।

;

লিবিয়ায় মানব পাচার চক্রের মূলহোতাসহ গ্রেফতার ২



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম
ছবি: লিবিয়ায় মানব পাচার চক্রের ২ হোতা

ছবি: লিবিয়ায় মানব পাচার চক্রের ২ হোতা

  • Font increase
  • Font Decrease

লিবিয়ায় ভালো চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে বাংলাদেশ থেকে লোক নিয়ে যায় একটি চক্র। সেখানে তাদের জিম্মি করে চালানো হয় অকথ্য শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন। এই নির্যাতনের দৃশ্য ধারণ করে পাঠানো হয় জিম্মি থাকা ব্যাক্তিদের পরিবারের কাছে। কখনো নির্যাতন করা অবস্থায় সরাসরি ভিডিও কলেও দেখানো হয়। এই চক্রের মূল কুশীলব বাদশা মিয়া (৪২) ও তার সহযোগী আরজু বেগমকে (৩১) কক্সবাজার থেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।

শুক্রবার (২৮ জুন) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিআইডির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মিডিয়া) আজাদ রহমান।

তিনি বলেন, মানব পাচারকারী চক্রটি বিদেশগামী অসহায় লোকদের উন্নত জীবনের স্বপ্ন দেখিয়ে প্রথমে ভিজিট ভিসায় দুবাই নিয়ে যায়। তারপর লিবিয়ায় থাকা আরজু বেগমের স্বামী রেজাউল করিমের তত্ত্বাবধানে তাদের জিম্মি করা হয়। জিম্মি করে মুক্তিপণ আদায়ের জন্য অপর একটি চক্রের কাছে হস্তান্তর করে। এই চক্রটি ভুক্তভোগীদের পরিবারের কাছে নির্যাতনের ভিডিও দেখিয়ে মুক্তিপণ দাবি করতো।

মুক্তিপণ আদায়ের পর,ভুক্তভোগীদের ঝুঁকিপূর্ণভাবে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইউরোপে পাঠিয়ে দিতো। ভূমধ্যসাগর পাড়ি দেওয়ার সময় অনেকেই মারা যায়। মারা যাওয়া কিছু লোক উদ্ধার হয় এবং তাদের মধ্য থেকে অল্পসংখ্যক লোক ইউরোপে পৌঁছাতে পেরেছে।

গত বছর মাগুড়ার মো. নাছির হোসেন নামে এক ভুক্তভোগীর দায়ের করা মামলার তদন্তে নেমে এই দুজনকে গ্রেপ্তার করে সিআইডি’র সিরিয়াস ক্রাইম টিএইচবি শাখার একটি দল। মামলায় ওই ভুক্তভোগী অভিযোগ করেন, তার চাচা ওমর আলীর মাধ্যমে তিনি ভারত ও দুবাই হয়ে লিবিয়া যান। সেখানে লিবিয়া প্রবাসী মাহবুবুর রহমান ছদরুলের তত্ত্বাবধানে তিনি টাইলসের কাজ করতেন। ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে নাছিরকে লিবিয়ার অজ্ঞাত স্থানে মানব পাচারকারী চক্র আটক করে। তারপর ১৫ লক্ষ চেয়ে তার পরিবারের কাছে ১৫ লাখ টাকা দাবি করে। এরপর আমার পরিবারকে বিকাশ ও ব্যাংক একাউন্টে টাকা পাঠাতে বাধ্য করে।

তদন্তে উঠে আসে, বাদশা মিয়া তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের নাম ব্যবহার করে একটি চলতি হিসেব খুলে আরজু বেগমকে তা ব্যবহার করতে দেন। ওই হিসেবে মোট ১২,৫০,৯১০ টাকা জমা হয় এবং ১০,৯৭,২৮৫ টাকা তোলা হয়। বাদশা মিয়া ও আরজু সম্পর্ক চাচাতো ভাই-বোন। তারা কক্সবাজারের পেকুয়ার বাসিন্দা। দুজনই আদালতে আন্তর্জাতিক মানব পাচারকারী চক্রের সঙ্গে সংযোগ থাকার কথা স্বীকার করেছেন।

;