সড়ক দুর্ঘটনা কমিয়ে আনতে সফল আরপিএমপি



ফরহাদুজ্জামান ফারুক, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, রংপুর, বার্তা২৪.কম
রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ (আরপিএমপি)। ছবি: বার্তা২৪.কম

রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ (আরপিএমপি)। ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের (আরপিএমপি) ট্রাফিক বিভাগ গত চার মাসে সাড়ে ১৩ হাজার মামলায় ৩৫ লাখ টাকার মতো জরিমানা আদায় করেছে। এর মধ্যে শুধুমাত্র ই-ট্রাফিক কার্যক্রমের মাধ্যমে প্রায় ২৮ লাখ টাকা জরিমানা আদায় হয়েছে। বর্তমানে সড়কে দুর্ঘটনা রোধ ও শৃঙ্খলা ফেরাতে নিরলসভাবে কাজ করছে এ বিভাগটি।

গত বছরের ১৬ সেপ্টেম্বর ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের (আরপিএমপি) অনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর প্রায় এক মাস পর নতুন উদ্যোমে নতুন পোশাকে নতুন মনোবলে মাঠে নামে মহানগর ট্রাফিক পুলিশ। শুরু থেকেই সড়কে শৃঙ্খলা ফেরানো ও দুর্ঘটনা রোধে কাজ করে এ বিভাগটি।

নগরীতে যানজট নিরসন ও ফুটপাত দখল মুক্ত এবং রাস্তার কোল ঘেঁষে গড়ে তোলা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষসহ বিভিন্ন শ্রমিক ও পেশাজীবী সংগঠনের সঙ্গে মতবিনিময় সভা করেন। সেপ্টেম্বরে যাত্রা করে এক মাস পার হতেই আরপিএমপি কমিশনার মোহাম্মদ আবদুল আলীম মাহমুদের প্রচেষ্টায় চালু করা হয় ই-ট্রাফিক প্রসিকিউশন ব্যবস্থা। যার মাধ্যমে সহজ হয়েছে জরিমানা পরিশোধ করা। কমেছে ভোগান্তিও।

বর্তমানে রংপুর মহানগরীতে ট্রাফিক পুলিশের অত্যাধুনিক ট্রাফিক গোল চত্বর, ট্রাফিক বক্স, রোড ডিভাইডার, রাস্তা পারাপারে জেব্রা ক্রসিং, রোড মার্কিং, অভিযোগ বক্স স্থাপনসহ বেশ কিছু নতুন সংযোজন নগরবাসীর নজর কাড়ছে। যা আগে নগরীতে দেখা যায়নি।

মাত্র ৮৩ জনকে নিয়ে নতুন উদ্যমে সজ্জিত মহানগর পুলিশের এ বিভাগটি গেল চার মাসে সেখানে সড়ক দুর্ঘটনা কমিয়ে আনতে সফল হয়েছে। চার মাসে সড়ক দুর্ঘটনায় মাত্র একজনের মৃত্যু হয়েছে। সেই দুর্ঘটনাটিও ঘটেছে মোটরসাইকেল আরোহীর নিজের ভুলে। এছাড়াও নগরীতে হেলমেট ব্যবহারকারী মোটরসাইকেল চালকের সংখ্যা বেড়েছে।

বর্তমানে নগরবাসীর মধ্যে ট্রাফিক আইন সচেতনতা সৃষ্টি করতে বেশ কিছু উদ্যোগ নিয়ে কাজ করছে এই বিভাগ। আজ রোববার (২৭ জানুয়ারি) থেকে শুরু হওয়া পুলিশ সেবা সপ্তাহে ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে জনসচেতনতা বাড়াতে রাখা হয়েছে বেশ কিছু কার্যক্রম।

যার মধ্যে রয়েছে জাহাজ কোম্পানি মোড় হতে বেতপট্টি রোডের একমুখী রাস্তা উদ্বোধন, পথচারীদের সঙ্গে ট্রাফিক সচেতনতামূলক মতবিনিময়, ধাপ মেডিকেল মোড়ে ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজ সম্মুখে ফুটওভার ব্রিজ ব্যবহারে ছাত্র-ছাত্রীদেরকে সহায়তা, চেকপোস্ট চলাকালীন ট্রাফিক আইন মান্যকারীদের ফুলেল অভ্যর্থনা জানানো, নগরীর গুরুত্বপূর্ণ স্থানে পোস্টার, প্লাকার্ড, লিফলেট ও ফেস্টুন ঝুলানো, ওপেন হাউস ডে, মোটরসাইকেল শোভাযাত্রা এবং বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, শ্রমিক সংগঠন ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে সচেতনতামূলক সভা।

এ ব্যাপারে রংপুর মহানগর পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের পুলিশ পরিদর্শক (শহর ও যানবাহন) মো. দেলোয়ার হোসেন বলেন, ‘মহানগর পুলিশ প্রতিষ্ঠার পর থেকে আমরা যানজন নিরসন ও ফুটপাত দখল মুক্তকরণে কাজ করে যাচ্ছি। ইতোমধ্যে নগরীতে যানজট নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়েছে। এখন আর আগের মতো যানজট নেই। ফুটপাতে চলাচল নিয়ে মানুষের মধ্যে ভোগান্তিও নেই।’

তিনি জানান, ট্রাফিক বিভাগ গত চার মাসে ১৩ হাজার ২৫০টি মামলা করেছে। এর মধ্যে ই-ট্রাফিক পুলিশিং এ মামলা দায়ের হয়েছে ছয় হাজার ৯৪৬টি। বাকি ৬ হাজার ৩০৪টি মামলা হয়েছে থানাগুলোতে। এসব মামলায় জরিমানা আদায় হয়েছে প্রায় ৩৫ লাখ টাকা। এর মধ্যে ই-ট্রাফিক থেকে ২৭ লাখ ৯৩ হাজার ৫০ টাকা এবং থানাগুলো থেকে ৫ লাখ ৫৫ হাজার ৫শ টাকা জরিমানা আদায় হয়েছে। থানাগুলো অক্টোবর মাসে ৭৫ হাজার ৫শ টাকা, নভেম্বরে ৮৭ হাজার এবং ডিসেম্বর মাসে ৩ লাখ ৯৩ হাজার টাকা আদায় করেছে।

অন্যদিকে রংপুর মহানগর পুলিশের সহকারী পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক উত্তর/দক্ষিণ) ফরহাদ ইমরুল কায়েস বলেন, ‘ট্রাফিক পুলিশের কার্যক্রম সহজ করার লক্ষ্যে সম্প্রতি উত্তর ও দক্ষিণ বিভাগে কাজ করা হচ্ছে। আগের চেয়ে এখন ট্রাফিক সেবা সহজ হয়েছে। আমরা সড়কে যেমন শৃঙ্খলা ফেরাতে চাই, তেমনি মানুষের মধ্যে আইনের প্রতি শ্রদ্ধাও জাগ্রত করতে কাজ করছি।’

   

এমপি আনার হত্যা তদন্তে কলকাতায় ডিবির প্রতিনিধি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনার হত্যাকাণ্ড তদন্ত করতে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশিদের নেতৃত্বে কলকাতা গেছেন তিন সদস্যের একটি টিম। রোববার (২৬ মে) সকালে কলকাতার উদ্দেশে রওনা হয় প্রতিনিধি দলটি।

তদন্ত কমিটির অন্য দুই সদস্য হলেন- ওয়ারি বিভাগের ডিসি মুহাম্মদ আব্দুল আহাদ ও এডিসি শাহীদুর রহমান। মহানগর গোয়েন্দা প্রধান জানান, শাহীনকে দেশে ফিরিয়ে আনতে পুলিশের মহাপরিদর্শকের মাধ্যমে আবেদন করা হবে।

তিনি জানান, শাহীন এই হত্যার মাস্টারমাইন্ড বলে নিশ্চিত হয়েছে কলকাতা ও ঢাকার গোয়েন্দারা। বাংলাদেশের তদন্ত দল কলকাতায় প্রথমে ঘটনাস্থলে যাবে। এরপর ভারতে গ্রেফতার জিহাদ হাওলাদারকেও জিজ্ঞাসাবাদ করবে।

এদিকে তদন্ত শেষে আজ কলকাতা পুলিশের প্রতিনিধি দলটির ঢাকা ছাড়ার কথা রয়েছে।

;

ঘূর্ণিঝড় 'রেমালে'র প্রভাবে উপকূলের বাঁধে ভাঙন আতঙ্ক



ডিস্ট্রিক করেসপনডেন্ট, বার্তা২৪.কম, খুলনা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে উপকূলে বইছে জড়ো হাওয়া। বাড়তে শুরু করেছে জোয়ারের পানি। এ ঝড়-জলোচ্ছ্বাসে খুলনার দাকোপ, কয়রাসহ উপকূলীয় এলাকায় বেড়িবাঁধে ভাঙন আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। নদ-নদীতে পানির চাপ বাড়লে নড়বড়ে বাঁধ ভেঙে বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হওয়ার শঙ্কা তৈরি হয়েছে।

এদিকে ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় উপকূলীয় সাতক্ষীরা, খুলনা এবং বাগেরহাট এই তিন জেলার প্রায় ৭ লাখ মানুষকে আশ্রয়কেন্দ্রে (সাইক্লোন শেল্টারে) নেয়ার প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। খুলনা জেলার ৬০৪টি আশ্রয়কেন্দ্র ও তিনটি মুজিবকেল্লা প্রস্তুত রাখা হয়েছে। কয়রা, দাকোপ ও পাইকগাছা উপজেলায় ৫ হাজার ২৮০ জন স্বেচ্ছাসেবককে প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে। এছাড়া বাগেরহাট জেলায় ৩৫৯টি ও সাতক্ষীরা জেলায় ১৮৭টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

জানা যায়, খুলনার কয়রা, দাকোপ, পাইকগাছা ও বটিয়াঘাটায় প্রায় ২২ কিলোমিটার বাঁধ ঝুঁকিপূর্ণ রয়েছে। এর মধ্যে কয়রা মহারাজপুর, কাশিয়াবাদ মঠেরকোনা মঠবাড়ি দশহালিয়ায় দুই কিলোমিটার বাঁধ ঝুঁকিতে রয়েছে। উত্তর বেদকাশি ইউনিয়নে গাববুনিয়া বেড়িবাঁধের মতো মদিনাবাদ লঞ্চঘাট থেকে গোবরা, হরিণখোলা-ঘাটাখালী, মহারাজপুর, কাশিয়াবাদ, দশহালিয়া এলাকায় বেড়িবাঁধ নাজুক অবস্থায় রয়েছে।

কয়রার মহেশ্বরীপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মোঃ শাহনেওয়াজ শিকারী জানান, আগে বাঁধের নিচে ৬০ ফুট পর্যন্ত চওড়া ছিল। ঢালের মতো বাঁধের ওপরের অংশে ছিল ১০-১২ ফুট। এখন ঠিকাদার-ওয়াপদা (পানি উন্নয়ন বোর্ড) কর্মকর্তাদের যোগসাজশে বাঁধের নিচের মাটি স্কেভেটর দিয়ে কেটে ওপরে সংস্কার করা হয়। এতে বাঁধের ওপরে ১০-১২ ফুট ঠিক থাকলেও নিচের দিকে মাটি কমে যাওয়ায় বাঁধ দুর্বল হয়ে গেছে। ফলে বাঁধ সংস্কারের কিছুদিনের মধ্যেই পানির তোড়ে সহজে বাঁধ ভেঙে যায়।

এদিকে বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে ঝোড়ো বাতাসে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে উপকূলে। আবহাওয়া অফিস বলছে, ঘূর্ণিঝড়টি আজ সন্ধ্যার পর সুন্দরবন, খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট ও তৎসংলগ্ন কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ অঞ্চল দিয়ে অতিক্রম করতে পারে।

খুলনা পানি উন্নয়ন বোর্ড- বিভাগ-২’র নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ আশরাফুল আলম জানান, উপকূলীয় এলাকায় বন্যা ব্যবস্থাপনায় বাঁধ মেরামত ও টেকসই করতে নিয়মিত সংস্কার কাজ চলছে। ঝুঁকিপূর্ণ স্থানগুলো চিহ্নিত করে মাঠ পর্যায়ে কর্মকর্তাদের প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। কোথাও বাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হলে জরুরি ভিত্তিতে মেরামতের জন্য জিও ব্যাগ, সিনথেটিক ব্যাগ মজুদ রাখা হয়েছে।

জানা যায়, ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষয়ক্ষতি মোকাবিলায় কয়রা, দাকোপ ও পাইকগাছা উপজেলায় ৬০৪টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এসব আশ্রয়কেন্দ্রে ৩ লাখ ১৫ হাজার মানুষ থাকতে পারবেন। ৫ হাজার ২৮০ জন স্বেচ্ছাসেবককে প্রস্তুত থাকতে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। গতকাল রাত পর্যন্ত আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়ার ক্ষেত্রে আগ্রহ দেখা যায়নি কোথাও। তবে আজ সকাল থেকে কিছু মানুষকে আশ্রয় কেন্দ্রে যেতে দেখা গেছে।

এদিকে ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষয়ক্ষতি মোকাবিলায় কয়রা উপজেলার এক স্বেচ্ছাসেবক মোঃ আবিয়ার রহমান জানান, এ অঞ্চলে সাধারণত জলোচ্ছ্বাস বেশি হয়। পানি বাড়লে ওই সময় বাড়িতে কেউ থাকলে তারা মালামাল সরিয়ে উঁচু স্থানে রাখতে পারেন। এছাড়া এ এলাকার অনেক মানুষ মনে করেন যে, অনেক সময় ঝড়-জলোচ্ছ্বাস আসবে বললেও শেষ পর্যন্ত কিছুই হয় না। ফলে এবারও ঝড়-জলোচ্ছ্বাসে ক্ষয়ক্ষতি হবে না।

খুলনা জেলা প্রশাসক খন্দকার ইয়াসির আরেফীন জানান, ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলার জন্য ৬০৪টি সাইক্লোন শেল্টার প্রস্তুত রাখা হয়েছে। যাতে পরিস্থিতি অনুযায়ী ঝুঁকিপূর্ণ লোকজন সেখানে আশ্রয় নিতে পারেন সেই ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। প্রয়োজনীয় শুকনো খাবার, ওষুধ, ঢেউটিন ও নগদ টাকা প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

;

ডিএমপির মাদকবিরোধী অভিযানে আটক ২২



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় মাদকবিরোধী অভিযান চালিয়ে মাদক বিক্রি ও সেবনের অভিযোগে ২২ জনকে আটক করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) বিভিন্ন অপরাধ ও গোয়েন্দা বিভাগ।

আটকের সময় তাদের হেফাজত থেকে ২৪৯৬ পিস ইয়াবা, ২৬ গ্রাম হেরোইন, ২৫ কেজি ৯৫০ গ্রাম গাঁজা উদ্ধার করা হয়।

ডিএমপির নিয়মিত মাদকবিরোধী অভিযানের অংশ হিসেবে শনিবার (২৫ মে) সকাল ৬টা থেকে আজ রববার (২৬ মে) সকাল ৬টা পর্যন্ত রাজধানীর বিভিন্ন থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে মাদকদ্রব্য উদ্ধারসহ তাদেরকে আটক করা হয়।

আটককৃতদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে ১৫টি মামলা রুজু হয়েছে।

;

১২ ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাস ও ভূমিধসের শঙ্কা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে ইতোমধ্যে মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরসহ উপকূলীয় ৯ জেলায় ১০ নম্বর এবং চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরে ৯ নম্বরে মহাবিপৎসংকেত জারি করা হয়েছে। এর প্রভাবে দেশের উপকূলীয় অঞ্চলের ১৬ জেলায় ৮ থেকে ১২ ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাস হতে পারে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর। সেই সঙ্গে অতী ভারী বৃষ্টির ফলে ৫ জেলায় ভূমিধসের শঙ্কার কথাও জানিয়েছে সংস্থাটি।

রোববার (২৬ মে) বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ খো. হাফিজুর রহমানের দেওয়া বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

আবহাওয়া অফিস জানায়, প্রবল ঘূর্ণিঝড়টির অগ্রবর্তী অংশ ও বায়ুচাপ পার্থক্যের আধিক্যের প্রভাবে উপকূলীয় জেলা খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বরগুনা, বরিশাল, ভোলা, পটুয়াখালী, ফেনী, কুমিল্লা, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহের নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৮ থেকে ১২ ফুট অধিক উচ্চতার বায়ুতাড়িত জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।

এদিকে এটি আজ (২৬ মে) সকাল ৬টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৪০০ কি.মি. দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৩৬০ কি.মি. দক্ষিণপশ্চিমে, মোংলা সমুদ্র বন্দর থেকে ৩৩০ কি.মি. দক্ষিণে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ২৯৫ কি.মি. দক্ষিণে অবস্থান করছিল। 

;