‘বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৭ বন্ধ পাটকল থেকে উৎপাদন এসেছে’



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
সংসদে  বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক, ছবি: সংগৃহীত

সংসদে বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক, ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৭টি বন্ধ পাটকলগুলো থেকে উৎপাদন এসেছে বলে জানিয়েছেন বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক।

বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) জাতীয় সংসদে ২০২৪-২৫ অর্থবছরে বাজেট অধিবেশনে স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য পংকজ নাথের প্রশ্নের জবাবে তিনি এই তথ্য জানান।

বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী জানান, সরকারি সিদ্ধান্তের প্রেক্ষিতে ২০২০ সালের পহেলা জুলাই হতে বিজেএমসির ২৫টি মিলের উৎপাদন কার্যক্রম বন্ধ হয়। উৎপাদনকৃত ২০টি মিল ইজারার ভিত্তিতে বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় পুনরায় চালুর সরকারি সিদ্ধান্তে ১৪টি মিলের লিজ চুক্তি স্বাক্ষরিক হয়েছে। এরমধ্যে সাতটি মিল ইতোমধ্যে পাটজাত পণ্য উৎপাদন কার্যক্রম পরিচালনা করছে। এগুলোর মধ্যে কিছু কিছু মিল তাদের পাটজাত পণ্য বিদেশে রফতানি করছে।

আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য আলী আজমের প্রশ্নের উত্তরে জাহাঙ্গীর কবির নানক জানান, বর্তমানে বাংলাদেশ হতে পাটজাত পণ্য হেসিয়ান, সেকিং, সিবিসি এবং ইয়ার্ণ টুয়াইন রফতানি করা হচ্ছে। এছাড়া ২৮২ ধরনের বহুমুখী পাটজাত পণ্য রফতানি করা হচ্ছে। পাটের ব্যাগ ব্যবহারের লক্ষ্যে ‘পণ্যে পাটজাত মোড়কের বাধ্যতামূলক ব্যবহার আইন’ প্রণীত হয়েছে। এই আইনের অধীনে ধান, চাল, গম, ভুট্টা, সার, চিনি, মরিচ, হলুদ, পেঁয়াজ, আদা, রসুন, ডাল, ধনিয়া, আলু, আটা, ময়দা, তুষ-খুদ-কুড়া, পোল্ট্রি ও ফিস ফিড মোড়কীকরণে পাটজাত মোড়কের ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।

সরকার দলীয় সংসদ সদস্য মোরশেদ আলমের প্রশ্নের জবাবে পাটমন্ত্রী জানান, পাট রফতানি করে ২০১৩-১৪ থেকে ২০২২-২৩ অর্থবছর পর্যন্ত ১০ বছরে ১০ হাজার ৪৫৪ কোটি ১৬ লাখ টাকা আয় হয়েছে। এই ১০ বছরে বাংলাদেশ থেকে ১৩৫টি দেশে কাঁচাপাট ১৯ দশমিক শূন্য ৭ লাখ মেট্রিক টন রফতানি হয়েছে।

একই দলের সংসদ সদস্য আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিমের প্রশ্নের জবাবে বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী বলেন, উন্নত প্রযুক্তিনির্ভর পাট ও পাটবীজ উৎপাদন এবং সম্প্রসারণ প্রকল্পের আওতায় ২০১৮ সাল হতে ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত ১২ লাখ ৯ হাজার ২৬ মেট্রিক টন কাঁচাপাট ও দুই হাজার ১৬৪ দশমিক ১২১ মেট্রিক টন পাটবীজ উৎপাদন করা হয়েছে।

স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য সাদ্দাম হোসেন পাভেলের প্রশ্নের জবাবে পাটমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে দেশের স্থানীয় বাজারে বস্ত্রের চাহিদার পরিমাণ প্রায় সাত বিলিয়ন মিটার। দেশের স্থানীয় বাজারে বস্ত্রের চাহিদার ঘাটতি নেই। চাহিদা অনুযায়ী পুরোটাই দেশে উৎপাদিত হয়। তৈরি পোশাক রফতানির ক্ষেত্রে ওভেন এবং ডেনিম বস্ত্রের চাহিদা প্রায় ৮ বিলিয়ন মিটার। এর মধ্যে প্রায় ৪ বিলিয়ন মিটার দেশে উৎপাদিত হয় এবং প্রায় ৪ বিলিয়ন মিটার আমদানি করা হয়। তবে তৈরি পোশাক রফতানির ক্ষেত্রে নিট সুতার চাহিদা প্রায় ১৬ লাখ মেট্রিক টন। এর মধ্যে প্রায় ১২ লাখ মেট্রিক টন সুতা দেশে উৎপাদিত হয় এবং প্রায় চার লাখ মেট্রিক টন ঘাটতি রয়েছে, যা আমদানি করা হয়। ঘাটতি (ওভেন ও ডেনিম বস্ত্রের) পূরণের জন্য প্রধানত চীন ও ভারত থেকে আমদানি করা হয়। তিনি জানান, শিল্প উদ্যোক্তারা দেশে নতুন নতুন বস্ত্র ও সুতা উৎপাদনকারী শিল্প প্রতিষ্ঠান স্থাপন করছেন। ফলে তৈরি পোশাক রফতানির জন্য ওভেন ও ডেনিম বস্ত্রের ঘাটতি ক্রমান্বয়ে কমে আসবে।

এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা উপলক্ষে ডিএমপির বিশেষ নির্দেশনা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত, এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা উপলক্ষে ডিএমপি থেকে নির্দেশনা জারি করা হয়েছে

ছবি: সংগৃহীত, এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা উপলক্ষে ডিএমপি থেকে নির্দেশনা জারি করা হয়েছে

  • Font increase
  • Font Decrease

২০২৪ সালের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা রোববার (৩০ জুন) থেকে শুরু হচ্ছে। এ জন্য ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের পক্ষ থেকে বিশেষ নির্দেশনা জারি করা হয়েছে।  পরীক্ষার্থীদের যাতে পরীক্ষায় বিঘ্ন না ঘটে এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ঢাকা মহানগরীর এইচএসসি পরীক্ষা কেন্দ্রের ২০০ গজে সাধারণের প্রবেশ নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার হাবিবুর রহমান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, পরীক্ষা কেন্দ্রগুলোতে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়া নিশ্চিত করার প্রয়োজনে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ অর্ডিন্যান্স (অর্ডিন্যান্স নং-III/১৯৭৬)-এর ২৮ ও ২৯ ধারায় পরীক্ষা কেন্দ্রগুলোর ২০০ গজের মধ্যে পরীক্ষার্থী ছাড়া জনসাধারণের প্রবেশ সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ। এই আদেশ পরীক্ষা শুরুর দিন থেকে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার দিনগুলোতে পরীক্ষা চলাকালীন পর্যন্ত বলবৎ থাকবে।

এছাড়া যে নির্দেশনাগুলো মেনে চলার জন্য বলা হয়েছে, সেগুলি হচ্ছে-

• পরীক্ষা শুরুর আগের দিন কেন্দ্রের অবস্থানটি ভালো করে জেনে এবং বাসা থেকে কোন রুটে যেতে হবে সে বিষয়ে পরিষ্কার ধারণা নিতে হবে।

• পরীক্ষা শুরুর আগে কেন্দ্রে উপস্থিত হওয়ার জন্য পরীক্ষার্থী ও অভিভাবকদের সড়ক-মহাসড়কের যানজটের বিষয়টি মাথায় রেখে পর্যাপ্ত সময় নিয়ে বাসা থেকে বের হতে হবে।

• বাসা থেকে এমনভাবে বের হতে হবে যেন ন্যূনতম ৩০ মিনিট আগে পরীক্ষা কেন্দ্রে পৌঁছানো যায়।

• যেসব সড়ক পারাপারে রেলক্রসিং আছে, তা বিবেচনা করে বাসা থেকে সময় নিয়ে রওয়ানা দেওয়া জরুরি।

• বাসার বা পরীক্ষা কেন্দ্রের আশপাশের সড়কে যদি খোঁড়াখুঁড়ি বা মেরামত কাজ চলে, তবে তা বিবেচনায় নিয়ে সময়মতো রওয়ানা দিতে হবে।

• পরীক্ষার্থী ও অভিভাবকদের সাবধানতা অবলম্বন করে যানবাহনে চলাচলের অনুরোধ করা হয়েছে।

• কোনো অবস্থায়ই গণপরিবহনে ঝুলে ঝুঁকিপূর্ণভাবে পরীক্ষা কেন্দ্রে আসা-যাওয়া করা যাবে না।

• যেসব পরীক্ষার্থী মোটরসাইকেলে পরীক্ষা কেন্দ্রে যাবে, তাদের অবশ্যই নিরাপত্তার কারণে হেলমেট পরতে হবে।

• পরীক্ষা কেন্দ্রে আগত পরীক্ষার্থীরা যানজট বা কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত সমস্যার সম্মুখীন হলে দায়িত্বরত ট্রাফিক পুলিশের সহযোগিতা নেবেন।

• ঝুঁকি নিয়ে রাস্তা পারাপার থেকে বিরত থাকতে হবে, প্রয়োজনে ফুটওভারব্রিজ ব্যবহার এবং পুলিশের সহায়তা নিতে হবে।

• রাস্তা পারাপারে জেব্রা ক্রসিং থাকলে তা ব্যবহার করতে হবে।

• পরীক্ষা কেন্দ্রের আশপাশে অযাচিত পার্কিং না করে অভিভাবক বা পরীক্ষার্থীদের ব্যবহৃত যানবাহন কেন্দ্র থেকে দূরে নিরাপদ স্থানে পার্কিং করতে হবে।

• পরীক্ষার্থী ও অভিভাবকরা কেন্দ্রের সামনের সড়কে দাঁড়িয়ে গেলে যানবাহন চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয়। এতে অন্য পরীক্ষার্থীদের কেন্দ্রে পৌঁছাতে দেরি হয়। এ জন্য পরীক্ষার্থী ও অভিভাবকদের কেন্দ্রের সম্মুখে প্রধান গেটে ও রাস্তায় না দাঁড়িয়ে ফুটপাতে দাঁড়াতে হবে।

• পরীক্ষা কেন্দ্রের সামনে আড্ডা দেওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।

• গত এক বছরে মেট্রোরেল, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে ঢাকা মহানগরীর ট্রাফিক ব্যবস্থাপনায় উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছে, যা পরীক্ষা কেন্দ্রে প্রার্থীদের পৌঁছানোর ক্ষেত্রে সহায়ক ভূমিকা রাখতে পারে।

• ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের প্রতিটি জোন থেকে আলাদা আলাদা কুইক রেসপন্স টিম গঠন করা হবে এবং আলাদা ট্রাফিক পরিকল্পনা গ্রহণ করা হবে।

• বর্তমানে বর্ষাকাল চলছে। অবশ্যই ছাতা, রেইনকোট কিংবা বৃষ্টি থেকে রক্ষার প্রয়োজনীয় সরঞ্জামাদি সঙ্গে নিয়ে বাসা থেকে বের হতে হবে।

• যে কোনো জরুরি প্রয়োজনে ৯৯৯-এ ফোন করতে হবে।

• শিক্ষা বোর্ডের নির্দেশনা অনুযায়ী, এবার পরীক্ষা শুরুর কমপক্ষে ৩০ মিনিট আগে পরীক্ষার্থীদের অবশ্যই পরীক্ষার হলে প্রবেশ করতে হবে।

অনিবার্য কারণে কোনো পরীক্ষার্থীকে এর পরে প্রবেশ করতে দিলে তার নাম, রোল নম্বর, প্রবেশের সময়, বিলম্ব হওয়ার কারণ একটি রেজিস্ট্রারে লিখে ওই দিনই সংশ্লিষ্ট শিক্ষা বোর্ডে প্রতিবেদন দিতে হবে। পরীক্ষা শুরুর ২৫ মিনিট আগে এসএমএসের মাধ্যমে সংশ্লিষ্টদের কাছে প্রশ্নপত্রের সেট কোড জানিয়ে দেওয়া হবে।

এ বছর ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ১১ লাখ ২৮ হাজার ২৮১। এর মধ্যে ছাত্র ৫ লাখ ৩৩ হাজার ৬৮০ ও ছাত্রী ৫ লাখ ৯৪ হাজার ৬০১ জন।

অন্যদিকে, আলিম পরীক্ষায় অংশ নেবেন মোট ৮৮ হাজার ৭৬ জন। এর মধ্যে ছাত্র ৪৭ হাজার ৫৯২ ও ছাত্রী ৪০ হাজার ৪৮৪ জন। ২ হাজার ৬শ ৮৫টি প্রতিষ্ঠানের এসব শিক্ষার্থী ৪শ ৫২টি পরীক্ষাকেন্দ্রে পরীক্ষা দেবেন।

সেই সঙ্গে এইচএসসি (বিএম/বিএমটি) এইচএসসি (ভোকেশনাল) ও ডিপ্লোমা ইন কমার্স পরীক্ষা (কারিগরি) বোর্ডে চলতি বছরে মোট পরীক্ষার্থী ২ লাখ ৩৪ হাজার ৪শ ৩৩ জন। এর মধ্যে ছাত্র ১ লাখ ৬৯ হাজার ৯ জন ও ছাত্রী ৬৫ হাজার ৪শ ২৪ জন। ১ হাজার ৯শ ৮টি প্রতিষ্ঠানের এই শিক্ষার্থীরা ৭শ ৭টি কেন্দ্রে পরীক্ষা দেবেন।

সারাদেশে শুরু হওয়া এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা শুধু বন্যার কারণে সিলেট শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা ৮ জুলাই পর্যন্ত স্থগিত থাকছে।

এছাড়া কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের শুধু সিলেট বিভাগের চারটি জেলার এইচএসসি (বিএম/বিএমটি), এইচএসসি (ভোকেশনাল), ডিপ্লোমা ইন কমার্স একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষা এবং মাদ্রাসা বোর্ডের অধীনে সিলেট বিভাগের ২৬টি কেন্দ্রে ৮ জুলাই পর্যন্ত আলিম পরীক্ষা স্থগিত থাকবে।

৯ জুলাই থেকে পরীক্ষাসমূহ যথারীতি অনুষ্ঠিত হবে। স্থগিত পরীক্ষার তারিখ পরে জানিয়ে দেওয়া হবে বলে বোর্ডগুলোর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।

;

মেহেরপুরে সবজির দাম আকাশচুম্বি



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট,বার্তা২৪.কম,মেহেরপুর
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

দুই দিন আগেও এক কেজি বেগুন বিক্রি হয়েছে ৪০ টাকায়। আকস্মিক সেই বেগুনের কেজি এখন ৯০ টাকা। সব সময় উচ্চমূল্যের তালিকা নাম লেখানো এই বেগুন এবার সাথে করে নিয়ে গেছে ঝিঙ্গে, কলা, ফুলকপি, কচুসহ প্রায় সব শাক সবজিকে। শনিবার (২৯ জুলাই) থেকে হঠাৎই মেহেরপুর জেলায় সবজির দর আকাশচুম্বি। এতে নাভিশ্বাস উঠেছে সাধারণ ক্রেতাদের। 

অনাবৃষ্টিতে সবজি উৎপাদন ব্যয় বৃদ্ধি এবং সবজি উৎপাদন কমে যাওয়ায় দর বৃদ্ধি পেয়েছে বলে জানান ব্যবসায়ীরা। শনিবার খুচরা বাজার ঘুরে দেখা গেছে, কেজি প্রতি বেগুন ৯০ টাকা, কচুমুখী ৮৫ টাকা, করলা (উস্তে) ৯০-১০০ টাকা, টমেটো ১৪০ টাকা, পালংশাক ৫০ টাকা, চিচিঙ্গা ৪০ টাকা, পটল ৩০ টাকা, শশা ৭০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৩০ টাকা, ঝিঙ্গে ৪০ টাকা, কাঁচা কলা ৬০ টাকা, ঢেড়স ৬০ টাকা ও পুঁইশাক বিক্রি হচ্ছে ২০-৩০ টাকায়।

এছাড়া শুধুমাত্র মিষ্টি কুমড়া, পুঁইশাক ও পটলের দাম রয়েছে ৩০ টাকার মধ্যে। বাকি সব সবজির দর ৬০ টাকার উপরে।
আকস্মিক এ দর বৃদ্ধিতে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন সাধারণ ক্রেতারা।

গাংনী হাটে সবজি কিনতে এসে জোড়পুকুরিয়া গ্রামের কৃষক হারান বলেন, 'আলু, পেঁয়াজ, রসুন আর কাঁচা মরিচের দাম বেশ চড়া। সবজির দাম এত বেশি বেড়ে যাওয়ায় আমাদের মত পরিবারের পক্ষে সবজি কিনে খাওয়া সম্ভব নয়। হাটের এ মাথা থেকে ওমাথা পর্যন্ত ঘুরেও কাঙ্খিত পরিমাণ সবজি কেনা যায়নি।'

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন অবসরপ্রাপ্ত এক সরকারি কর্মচারী জানান, পেনশনের সামান্য কিছু টাকা দিয়ে সংসারই চলে না। তার উপরে সবজির দর
যেভাবে বেড়েছে তাতে সবজি কিনতে পারছি না। শুধুমাত্র এক কেজি পটল কিনে বাড়ি ফিরে গেলেন তিনি।

গাংনী কাঁচা বাজারের (পাইকারী আড়ত) আড়তদার সাহাদুল ইসলাম বলেন, 'চলতি মৌসুমে একটানা তাপ প্রবাহ বিরাজমান। এতে সবজির ফলন বিপর্যয়
দেখা দিয়েছে। তাই যে পরিমাণ সবজির চাহিদা তা বাজারে উঠছে না। ফলে দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে।'

সবজিচাষের গ্রাম সাহারবাটির আমিনুর রহমান বলেন, 'বর্ষার সময়ে সব সময় সবজির সংকট হয়। তবে এবারের সংকট খুবই বেশি। অনাবৃষ্টির কারণে
পোকামাড়কের আক্রমণ অনেক বেশি। যা সামলাতে গিয়ে সবজি চাষের খরচ বেড়ে যাচ্ছে কিন্তু মিলছে না কাঙ্খিত ফলন।'

মেহেরপুর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক বিজয় কৃষ্ণ হালদার বলেন, 'আষাঢ় মাস প্রায় শেষ। আগামি মাস থেকে বর্ষা হতে পারে বলে
আবহাওয়া অফিস জানাচ্ছে। আবহাওয়া স্বাভাবিক হলে সবজি উৎপাদনও বেড়ে যাবে।'

;

কুমিল্লায় দাফনের ৯ দিন পর বাড়ি ফিরলেন তরুণী!



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

কুমিল্লায় দাফনের ৯ দিন পর বাড়ি ফিরলেন নিখোঁজ এক তরুণী। ঘটনাটি ঘটেছে জেলার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার গুণবতী ইউনিয়নের রাজবল্লভপুর গ্রামে। এ নিয়ে পুরো এলাকাজুড়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

ফিরে আসা নারীর নাম রোকসানা আক্তার (৩০)। তিনি রাজবল্লভপুর গ্রামের মৃত তাজুল ইসলামের মেয়ে।

এলাকাবাসীর প্রশ্ন, দাফন করা নারী তাহলে কে? অপরদিকে ফিরে আসা তরুণীকে এক নজর দেখতে উৎসুক মানুষ তার বাড়িতে ভিড় করছেন।

জানা গেছে, মে মাসের শেষে রোকসানা আক্তার চৌদ্দগ্রামে নিজ বাড়ি থেকে ছোট ভাই সালাহ উদ্দিনের চট্টগ্রামের ষোলশহরের বাসায় বেড়াতে যান। ১ জুন ভোরে কাউকে না জানিয়ে রোকসানা বাসা থেকে বের হয়ে যায়। এরপর দীর্ঘদিন আত্মীয়স্বজনসহ সব স্থানে খোঁজাখুঁজি করেও তার সন্ধান পাওয়া যায়নি।

গত ১৭ জুন ঈদুল আজহার দিন বিকেলে ফেনী শহরে ভাড়া বাসায় অবস্থানরত রোকসানার খালাতো বোন হাজেরা আক্তার ও খালাতো ভাই শাহজাহান খবর পান, ফেনী শহরের জিয়া মহিলা কলেজের সামনে ড্রেনে একজন নারীর মরদেহ পড়ে আছে। তারা সেখানে গিয়ে মরদেহের চেহারা রোকসানা আক্তারের চেহারার সঙ্গে মিল দেখে ভাই এবায়দুল হককে জানান। এর মধ্যে ফেনী শহর পুলিশ ফাঁড়ি লাশটির সুরতহাল শেষে উদ্ধার করে মর্গে পাঠায়। রাতেই এবায়দুল হক জিয়া মহিলা কলেজের ড্রেন এলাকায় পৌঁছে স্থানীয়দের রোকসানার ছবি দেখিয়ে মরদেহটি একই রকম কি না জিজ্ঞেস করলে সবাই ছবির সঙ্গে মিল রয়েছে বলে জানান।

পরে এবায়দুল হক ও স্বজনরা ফেনী শহর পুলিশ ফাঁড়িতে গিয়ে রোকসানার মরদেহ শনাক্ত করে। পরদিন ময়নাতদন্ত শেষে পুলিশ এবায়দুল হকের হাতে বোন রোকসানা আক্তারের মরদেহ হস্তান্তর করে। ওইদিন বাদ আছর গুণবতী ইউনিয়নের রাজবল্লবপুর মধ্যমপাড়ায় সামিশকরা দিঘির দক্ষিণ পাড়ে তার মরদেহ দাফন করা হয়।

দাফনের ৯ দিন পর গত বুধবার (২৬ জুন) বিকেলে বাড়িতে হাজির হন রোকসানা। তাৎক্ষণিক ঘটনাটি জানাজানি হলে বাড়িতে উৎসুক মানুষ তাকে দেখতে ভিড় জমায়। এ সময় এলাকাবাসী তাকে জিজ্ঞেস করলে রোকসানা বলতে থাকে, কে বলছে আমি মারা গেছি? আমি চাকরির খোঁজে ঢাকায় গিয়েছি। শরীর খারাপ থাকায় কারও সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারিনি।

বিষয়টি নিয়ে রোকসানা আক্তার বলেন, আমি চট্টগ্রাম ভাইয়ের বাসা থেকে কাউকে কিছু না বলে ঢাকায় চলে যাই। সেখানে গিয়ে আমি একটি চাকরি পেয়েছি। যেহেতু আমি বাড়ি থেকে কোনো কাপড় নিয়ে যাইনি, তাই কাপড় নিয়ে যাওয়ার জন্য বাড়িতে ফিরে আসি। বাড়িতে এসে দরজা নক করলে আত্মীয়স্বজনরা আমাকে দেখে হতবাক হয়েছেন। তখন আমি জানতে পারি, আমি নাকি মারা গেছি এবং আমার লাশও দাফন করা হয়ে গেছে। আমি তো জীবিত ফিরে আসলাম।

রোকসানার ভাই এবায়দুল হক বলেন, ছবিতে কিছুটা মিল থাকার কারণে বোনের মরদেহ মনে করে হাসপাতাল থেকে মরদেহটি এনে দাফন করা হয়েছে। বুধবার বিকেলে রোকসানা জীবিত বাড়ি ফিরলে ফেনী মডেল থানায় গিয়ে পুলিশকে বিষয়টি অবহিত করা হয়েছে।

মরদেহ উদ্ধার করা ফেনী শহর পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক প্রতুল দাস বার্তা২৪.কম-কে বলেন, আমি মরদেহটি বিকৃত অবস্থায় উদ্ধার করি। পরে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠাই। পরে স্বজনরা মরদেহটি রোকসানার বলে শনাক্ত করে নিয়ে যায়।

;

স্বামীর সঙ্গে ঘুরতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার নারী, গ্রেফতার ৭



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানীর খিলক্ষেত থানার বনরূপা আবাসিক এলাকায় স্বামীর সঙ্গে ঘুরতে গিয়ে গণধর্ষণের শিকার হয়েছেন এক নারী। এই ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে সাত জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

গত শুক্রবার সন্ধ্যায় এ ঘটনা ঘটে। স্বামীকে মুক্তিপণের টাকা আনতে পাঠিয়ে ধর্ষণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ ভুক্তভোগীর।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন- মূলহোতা সুমন, তার সহযোগী পার্থ, হিমেল, রবিন, টুটুল, হৃদয় ও নুরু।

শনিবার (২৯ জুন) রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে আসামিদের গ্রেফতার করা হয়। এ ঘটনায় খিলক্ষেত থানায় মামলা করেছেন ভুক্তভোগী ওই নারী।

ডিএমপির গুলশান বিভাগের ক্যান্টনমেন্ট জোনের অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) সাজ্জাদ ইবনে রায়হান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, ঘটনার পর টানা অভিযান চালিয়ে সাত আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের বিষয়ে বিস্তারিত জানার চেষ্টা চলছে।

খিলক্ষেত থানায় ভুক্তভোগীর করা মামলা সূত্রে জানা গেছে, সাভারের বলিয়াপুর বাজার এলাকার বাসিন্দা ওই গৃহবধূ বেসরকারি চাকরিজীবী। শুক্রবার সন্ধ্যায় তার স্বামীকে নিয়ে বিমানবন্দর থানাধীন কাওলা বাজারে এক পরিচিত বোনের বাসায় যান।

বোনের বাসা থেকে রাত সাড়ে ৮টায় বের হয়ে স্বামীর সঙ্গে হাঁটতে হাঁটতে খিলক্ষেত থানাধীন বনরূপা যাত্রী ছাউনির সামনে যান। রাত সাড়ে ৯টায় তাদের পূর্ব পরিচিত সুমনসহ অজ্ঞাতনামা ৩ জন রাস্তা পার হয় এবং অজ্ঞাতনামা আরও ৩ জন অটোযোগে এসে ভুক্তভোগীকে বলে ‘আপনার সঙ্গে কথা আছে। এখানে কথা বললে অন্য ছেলেরা আপনাদের মারপিট করতে পারে, আপনারা আমাদের সঙ্গে আসেন’। তখন ভুক্তভোগী স্বামীকে নিয়ে তাদের সঙ্গে খিলক্ষেত থানাধীন বনরূপা আবাসিক এলাকার বাগান বাড়িতে যান।

মামলার এজাহারে আরও বলা হয়েছে, ভুক্তভোগীর স্বামীর কাছ থেকে একটি সিমফনি বাটন মোবাইল ফোন ও নগদ প্রায় ৫ হাজার টাকা নিয়ে নেয় অভিযুক্তরা।

বিবাদীরা তার স্বামীকে ভয়ভীতি দেখিয়ে মুক্তিপণ বাবদ ৭০ হাজার টাকা দাবি করে। টাকা না দিলে ভুক্তভোগীকে ছাড়বে না বলে আটকে রাখা হয়।

এ সময় তার স্বামীকে ছেড়ে দেয়। পরে ভুক্তভোগীর স্বামী মুক্তিপণের টাকা আনার জন্য রাত ১২টায় চলে যান। রাত ৩টার দিকে বাগানবাড়িতে আসামিরা ভুক্তভোগীকে মারপিট করে ও ভয়ভীতি দেখিয়ে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। এরপর ভোর ৫টার দিকে ওই নারীকে ফেলে রেখে চলে যায় তারা।

;