এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা উপলক্ষে ডিএমপির বিশেষ নির্দেশনা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত, এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা উপলক্ষে ডিএমপি থেকে নির্দেশনা জারি করা হয়েছে

ছবি: সংগৃহীত, এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা উপলক্ষে ডিএমপি থেকে নির্দেশনা জারি করা হয়েছে

  • Font increase
  • Font Decrease

২০২৪ সালের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা রোববার (৩০ জুন) থেকে শুরু হচ্ছে। এ জন্য ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের পক্ষ থেকে বিশেষ নির্দেশনা জারি করা হয়েছে।  পরীক্ষার্থীদের যাতে পরীক্ষায় বিঘ্ন না ঘটে এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ঢাকা মহানগরীর এইচএসসি পরীক্ষা কেন্দ্রের ২০০ গজে সাধারণের প্রবেশ নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার হাবিবুর রহমান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, পরীক্ষা কেন্দ্রগুলোতে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়া নিশ্চিত করার প্রয়োজনে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ অর্ডিন্যান্স (অর্ডিন্যান্স নং-III/১৯৭৬)-এর ২৮ ও ২৯ ধারায় পরীক্ষা কেন্দ্রগুলোর ২০০ গজের মধ্যে পরীক্ষার্থী ছাড়া জনসাধারণের প্রবেশ সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ। এই আদেশ পরীক্ষা শুরুর দিন থেকে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার দিনগুলোতে পরীক্ষা চলাকালীন পর্যন্ত বলবৎ থাকবে।

এছাড়া যে নির্দেশনাগুলো মেনে চলার জন্য বলা হয়েছে, সেগুলি হচ্ছে-

• পরীক্ষা শুরুর আগের দিন কেন্দ্রের অবস্থানটি ভালো করে জেনে এবং বাসা থেকে কোন রুটে যেতে হবে সে বিষয়ে পরিষ্কার ধারণা নিতে হবে।

• পরীক্ষা শুরুর আগে কেন্দ্রে উপস্থিত হওয়ার জন্য পরীক্ষার্থী ও অভিভাবকদের সড়ক-মহাসড়কের যানজটের বিষয়টি মাথায় রেখে পর্যাপ্ত সময় নিয়ে বাসা থেকে বের হতে হবে।

• বাসা থেকে এমনভাবে বের হতে হবে যেন ন্যূনতম ৩০ মিনিট আগে পরীক্ষা কেন্দ্রে পৌঁছানো যায়।

• যেসব সড়ক পারাপারে রেলক্রসিং আছে, তা বিবেচনা করে বাসা থেকে সময় নিয়ে রওয়ানা দেওয়া জরুরি।

• বাসার বা পরীক্ষা কেন্দ্রের আশপাশের সড়কে যদি খোঁড়াখুঁড়ি বা মেরামত কাজ চলে, তবে তা বিবেচনায় নিয়ে সময়মতো রওয়ানা দিতে হবে।

• পরীক্ষার্থী ও অভিভাবকদের সাবধানতা অবলম্বন করে যানবাহনে চলাচলের অনুরোধ করা হয়েছে।

• কোনো অবস্থায়ই গণপরিবহনে ঝুলে ঝুঁকিপূর্ণভাবে পরীক্ষা কেন্দ্রে আসা-যাওয়া করা যাবে না।

• যেসব পরীক্ষার্থী মোটরসাইকেলে পরীক্ষা কেন্দ্রে যাবে, তাদের অবশ্যই নিরাপত্তার কারণে হেলমেট পরতে হবে।

• পরীক্ষা কেন্দ্রে আগত পরীক্ষার্থীরা যানজট বা কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত সমস্যার সম্মুখীন হলে দায়িত্বরত ট্রাফিক পুলিশের সহযোগিতা নেবেন।

• ঝুঁকি নিয়ে রাস্তা পারাপার থেকে বিরত থাকতে হবে, প্রয়োজনে ফুটওভারব্রিজ ব্যবহার এবং পুলিশের সহায়তা নিতে হবে।

• রাস্তা পারাপারে জেব্রা ক্রসিং থাকলে তা ব্যবহার করতে হবে।

• পরীক্ষা কেন্দ্রের আশপাশে অযাচিত পার্কিং না করে অভিভাবক বা পরীক্ষার্থীদের ব্যবহৃত যানবাহন কেন্দ্র থেকে দূরে নিরাপদ স্থানে পার্কিং করতে হবে।

• পরীক্ষার্থী ও অভিভাবকরা কেন্দ্রের সামনের সড়কে দাঁড়িয়ে গেলে যানবাহন চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয়। এতে অন্য পরীক্ষার্থীদের কেন্দ্রে পৌঁছাতে দেরি হয়। এ জন্য পরীক্ষার্থী ও অভিভাবকদের কেন্দ্রের সম্মুখে প্রধান গেটে ও রাস্তায় না দাঁড়িয়ে ফুটপাতে দাঁড়াতে হবে।

• পরীক্ষা কেন্দ্রের সামনে আড্ডা দেওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।

• গত এক বছরে মেট্রোরেল, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে ঢাকা মহানগরীর ট্রাফিক ব্যবস্থাপনায় উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছে, যা পরীক্ষা কেন্দ্রে প্রার্থীদের পৌঁছানোর ক্ষেত্রে সহায়ক ভূমিকা রাখতে পারে।

• ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের প্রতিটি জোন থেকে আলাদা আলাদা কুইক রেসপন্স টিম গঠন করা হবে এবং আলাদা ট্রাফিক পরিকল্পনা গ্রহণ করা হবে।

• বর্তমানে বর্ষাকাল চলছে। অবশ্যই ছাতা, রেইনকোট কিংবা বৃষ্টি থেকে রক্ষার প্রয়োজনীয় সরঞ্জামাদি সঙ্গে নিয়ে বাসা থেকে বের হতে হবে।

• যে কোনো জরুরি প্রয়োজনে ৯৯৯-এ ফোন করতে হবে।

• শিক্ষা বোর্ডের নির্দেশনা অনুযায়ী, এবার পরীক্ষা শুরুর কমপক্ষে ৩০ মিনিট আগে পরীক্ষার্থীদের অবশ্যই পরীক্ষার হলে প্রবেশ করতে হবে।

অনিবার্য কারণে কোনো পরীক্ষার্থীকে এর পরে প্রবেশ করতে দিলে তার নাম, রোল নম্বর, প্রবেশের সময়, বিলম্ব হওয়ার কারণ একটি রেজিস্ট্রারে লিখে ওই দিনই সংশ্লিষ্ট শিক্ষা বোর্ডে প্রতিবেদন দিতে হবে। পরীক্ষা শুরুর ২৫ মিনিট আগে এসএমএসের মাধ্যমে সংশ্লিষ্টদের কাছে প্রশ্নপত্রের সেট কোড জানিয়ে দেওয়া হবে।

এ বছর ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ১১ লাখ ২৮ হাজার ২৮১। এর মধ্যে ছাত্র ৫ লাখ ৩৩ হাজার ৬৮০ ও ছাত্রী ৫ লাখ ৯৪ হাজার ৬০১ জন।

অন্যদিকে, আলিম পরীক্ষায় অংশ নেবেন মোট ৮৮ হাজার ৭৬ জন। এর মধ্যে ছাত্র ৪৭ হাজার ৫৯২ ও ছাত্রী ৪০ হাজার ৪৮৪ জন। ২ হাজার ৬শ ৮৫টি প্রতিষ্ঠানের এসব শিক্ষার্থী ৪শ ৫২টি পরীক্ষাকেন্দ্রে পরীক্ষা দেবেন।

সেই সঙ্গে এইচএসসি (বিএম/বিএমটি) এইচএসসি (ভোকেশনাল) ও ডিপ্লোমা ইন কমার্স পরীক্ষা (কারিগরি) বোর্ডে চলতি বছরে মোট পরীক্ষার্থী ২ লাখ ৩৪ হাজার ৪শ ৩৩ জন। এর মধ্যে ছাত্র ১ লাখ ৬৯ হাজার ৯ জন ও ছাত্রী ৬৫ হাজার ৪শ ২৪ জন। ১ হাজার ৯শ ৮টি প্রতিষ্ঠানের এই শিক্ষার্থীরা ৭শ ৭টি কেন্দ্রে পরীক্ষা দেবেন।

সারাদেশে শুরু হওয়া এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা শুধু বন্যার কারণে সিলেট শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা ৮ জুলাই পর্যন্ত স্থগিত থাকছে।

এছাড়া কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের শুধু সিলেট বিভাগের চারটি জেলার এইচএসসি (বিএম/বিএমটি), এইচএসসি (ভোকেশনাল), ডিপ্লোমা ইন কমার্স একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষা এবং মাদ্রাসা বোর্ডের অধীনে সিলেট বিভাগের ২৬টি কেন্দ্রে ৮ জুলাই পর্যন্ত আলিম পরীক্ষা স্থগিত থাকবে।

৯ জুলাই থেকে পরীক্ষাসমূহ যথারীতি অনুষ্ঠিত হবে। স্থগিত পরীক্ষার তারিখ পরে জানিয়ে দেওয়া হবে বলে বোর্ডগুলোর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।

খাগড়াছড়ি পাহাড়ধস: ৩ ঘণ্টা পর স্বাভাবিক যান চলাচল



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, খাগড়াছড়ি
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

খাগড়াছড়িতে প্রবল বর্ষণে চেঙ্গী ও মাইনী নদীর পানি বেড়ে সদর, পানছড়ি ও দীঘিনালার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হচ্ছে। দুই দিন ধরে বর্ষণ অব্যাহত থাকায় পাহাড় ধসের ঘটনা ঘটছে। 

মঙ্গলবার (২ জুলাই) ভোরে খাগড়াছড়ির মাটিরাঙার আলুটিলা সাপমারায় পাহাড় ধসে চট্টগ্রাম ও ঢাকার সাথে সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে।

ফায়ার সার্ভিসের দুইটি টিম ৩ ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে মাটি সরিয়ে সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক করে। এ ছাড়া জেলা সদরের সবুজবাগ, মোহাম্মদপুর ও কদমতলীতে পাহাড় ধসের ঘটনা ঘটেছে তবে কেউ হতাহত হয়নি।

এদিকে প্রবল বর্ষণে নদী-ছড়ার পানি বেড়ে দীঘিনালা-লংগদু ও দীঘিনালা সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে পড়েছে। মহালছড়ির ২৪ মাইলে সড়কে পানি জমা থাকায় রাঙ্গামাটি খাগড়াছড়ি সড়কে যান চলাচল বিঘ্নিত হচ্ছে।

খাগড়াছড়ি ফায়ার সার্ভিসের উপ সহকারী পরিচালক মো. জাকের হোসেন জানান, ফায়ার সার্ভিসের সব ইউনিট দুর্যোগ মোকাবিলায় প্রস্তুত রয়েছে। বিভিন্ন স্থান থেকে পাহাড় ধসের খবর পাওয়া মাত্র উদ্ধার কার্যক্রম চালানো হচ্ছে। এখনও কোন হতাহতের খবর নেই।

;

বেনাপোল বন্দরে ৯৯ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার



সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বেনাপোল (যশোর)
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

বন্দরের নিরাপত্তায় থাকা বিএসএফ ও বিজিবি এবং বন্দর কাস্টমসের নিরাপত্তার চোখে ধুলো দিয়ে বেনাপোল বন্দরে প্রবেশ করা একটি ভারতীয় পণ্যবাহী ট্রাক থেকে ৯৯ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার হয়েছে। এসময় ভারতীয় ট্রাকচালক রফিকুল মন্ডল (২৪) কে আটক করা হয়।

সোমবার (১ জুলাই) রাত ১১টার দিকে গোঁপন সংবাদের ভিত্তিতে বিজিবি ও কাস্টমস সদস্যরা বন্দরের ৩১ নম্বর কাঁচামালের মাঠে ট্রাকে রাখা এ ফেনসিডিল উদ্ধার করে। এ চালানের আরও ৫টি সন্দেহভাজন ভারতীয় ট্রাক বন্দরে কাস্টমস ও বিজিবির নজরদারিতে রয়েছে বলে জানা গেছে।

আটক ট্রাকচালক ভারতের পেট্টপোল সীমান্তের নাছির আলী মন্ডলের ছেলে। 

জানা যায়, অভিনব কায়দায় সিটের নিচে ফেনসিডিল লুকিয়ে এনে হাত বদলের জন্য বন্দরে অপেক্ষা করছিল ট্রাক চালক।

বেনাপোল কাস্টমসের জয়েন্ট কমিশনার অথলো চৌধুরী বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বন্দরের মাঠে (WB 25 E 2372) ভারতীয় একটি কাচবাহী ট্রাক তল্লাশী করা হয়। এসময় ট্রাকচালকের সিটের নিচে অভিনব কায়দায় লুকিয়ে ৯৯ বোতল ভারতীয় ফেনসিডিল উদ্ধার করা হয়। মাদক পাচারের অভিযোগে ভারতীয় ট্রাকটি জব্দ করা হয়েছে। এছাড়া উদ্ধার মাদক ও ট্রাকচালকের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

যে ট্রাকে ফেনসিডিল পাচার করা হচ্ছিল সে ট্রাকে থাকা পণ্যের আমদানিকারক বাংলাদেশের বেঙ্গল গ্লাস লিমিটেড। পণ্য চালানটির বন্দর থেকে খালাসের সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট ছিল বেনাপোলের পদ্মা ট্রেডিং করপোরেশন। 

এদিকে সাধারণ ব্যবসায়ীরা জানান, প্রায় ৮ মাস ধরে বেনাপোল বন্দরে চোরাচালান প্রতিরোধে থাকা স্ক্যানিং মেশিনটি নষ্ট হয়ে পড়ে থাকায় অবাধে ভারত থেকে মাদকদ্রব্য ও মিথ্যা ঘোষণার পণ্য বন্দরে প্রবেশের সুযোগ তৈরি হয়েছে । এতে বৈধ ব্যবসায়ীরা যেমন হয়রানির শিকার হচ্ছেন তেমনি নিরাপদ বাণিজ্য হুমকির মুখে পড়ছে। তবে পাচার প্রতিরোধে শূন্য রেখায় বিজিবি ট্রাক তল্লাশী করলেও এসব মাদক ধরতে ব্যর্থ হচ্ছেন। আর ভারতীয় বিএসএফ স্বর্ণ আটকে বেশ তৎপরতা দেখালেও মাদক তাদের হাতে ধরা পড়ছেনা। 

;

জুলাইয়ে ভারী বৃষ্টি ও বন্যার আশঙ্কা, বাড়বে তাপপ্রবাহ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চলতি জুলাই মাসে সামগ্রিকভাবে দেশে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি বৃষ্টিপাত হতে পারে। ভারী বৃষ্টির কারণে দেশের বিভিন্ন স্থানে বন্যা হতে পারে। এছাড়া এ মাসে একটি নিম্নচাপ এবং বিচ্ছিন্নভাবে একটি থেকে দুটি মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে বলে দীর্ঘমেয়াদি পূর্বাভাসে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।

সোমবার (১ জুলাই) দীর্ঘমেয়াদি আবহাওয়ার এ পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, চলতি মাসে সামগ্রিকভাবে দেশে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা আছে। আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক আজিজুর রহমান স্বাক্ষরিত দীর্ঘমেয়াদি পূর্বাভাসে বলা হয়, জুলাইয়ে বঙ্গোপসাগরে এক থেকে দুটি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে। এর মধ্যে একটি মৌসুমি নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে। এছাড়া, দেশের উত্তর, উত্তর-পশ্চিম ও মধ্যাঞ্চলে তিন-চার দিন বিজলিসহ মাঝারি ধরনের বজ্রঝড় হতে পারে। সারাদেশে পাঁচ-ছয় দিন বিজলিসহ হালকা বজ্রঝড় হতে পারে।

এছাড়া জুলাই মাসে মৌসুমি ভারী বৃষ্টিপাতজনিত কারণে দেশের উত্তরাঞ্চল, উত্তর-পূর্বাঞ্চল, উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল, উত্তর-মধ্যাঞ্চল এবং মধ্যাঞ্চলের কতিপয় স্থানে অল্প থেকে মধ্যমেয়াদি বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে। অন্যদিকে দক্ষিণ-পূর্ব পার্বত্য অববাহিকার কতিপয় স্থানে স্বল্পমেয়াদি আকস্মিক বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে।

এদিকে, ভারী বৃষ্টি থাকলেও এ মাসে এক থেকে দুটি বিচ্ছিন্নভাবে মৃদু (৩৬-৩৮ ডিগ্রি) তাপপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে। দিন ও রাতের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে কিছুটা বেশি থাকতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।

;

খাগড়াছড়িতে পাহাড় ধসে সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট,বার্তা২৪.কম,খাগড়াছড়ি
খাগড়াছড়িতে পাহাড় ধসে সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন

খাগড়াছড়িতে পাহাড় ধসে সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন

  • Font increase
  • Font Decrease

খাগড়াছড়িতে ভারী বর্ষণে আলুটিলা সাপমারায় এলাকায় পাহাড় ধসে পড়ে চট্টগ্রাম ও ঢাকা সড়কে যান চলাচল বন্ধ। মঙ্গলবার (২ জুলাই) ভোর রাতে পাহাড় ধসের ঘটনা ঘটে। সড়কের ওপর মাটি জমে থাকায় যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। তবে এখন পর্যন্ত কোন হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।

এতে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা নৈশ কোচের যাত্রীরা আটকা পড়েছেন। ভোগান্তিতে পড়েছেন ঢাকা ও চট্টগ্রাম যাতাযাতকারী যাত্রীরা। সড়ক থেকে মাটি সরানোর কাজ করছে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। এছাড়া জেলার মহালছড়ির ২৪ মাইল এলাকায় পানিতে তলিয়ে গেছে সড়ক। রাঙ্গামাটি-খাগড়াছড়ি সড়কেও যানচলাচল বন্ধ রয়েছে।

এদিকে দীঘিনালা উপজেলার মেরুং স্টিল ব্রিজ এলাকায় পাহাড়ি ঢলে খাগড়াছড়ি লংগদু সড়ক তলিয়ে বন্ধ হয়ে গেছে যানবাহন চলাচল। খাগড়াছড়ি সাজেক সড়কের বাঘাইহাট এলাকায় পানিতে ডুবে যাওয়ায় সড়কটি বন্ধ রয়েছে।

খাগড়াছড়ি ফায়ার সার্ভিস সিভিল ডিফেন্সের লিডার মো. জসিমউদ্দীন বলেন, সাপমারা এলাকায় সড়কের মাটি সরানোর কাজ চলছে। কিছুক্ষণের মধ্যেই গাড়ি চলাচলের উপযোগী হবে। তবে আলুটিলা সড়কের আরও কিছু স্থানে পাহাড় ধসের আশঙ্কা রয়েছে। খাগড়াছড়িতে বৃষ্টি চলমান। বৃষ্টি বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত তলিয়ে যাওয়া সড়কগুলো দিয়ে যানবাহন চলাচল সম্ভব হবে না। এছাড়া অতিবৃষ্টি এবং পাহাড়ি ঢলে জেলার নিচু এলাকাগুলো প্লাবিত হচ্ছে। বসতবাড়িতেও প্রবেশ করছে পানি।

;