কুমিল্লার একটি আবাসিক ভবন থেকে এক নারী চীনা নাগরিকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহত নারীর নাম শান হুয়ানমেই (৫২)। তিনি ইপিজেডে পি.ওয়াই গার্মেন্টসে চাকরি করতেন।
শনিবার (২৯ জুন) সকাল ৯ টার দিকে নগরীর আশ্রাফপুর নোয়াগাঁও চৌমুহনী এলাকা থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
স্থানীয়রা জানায়, ওই নারী নগরীর নোয়াগাঁও চৌমুহনী বিসমিল্লাহ হাউজ নামের একটি ভবনে ৩য় তলায় থাকতেন। সকাল সাড়ে ৮ টায় সহকর্মীরা অফিসে যাওয়ার জন্য ডাক দিলে দরজা বন্ধ দেখে তারা পুলিশকে খবর দেন। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে।
কুমিল্লা ইপিজেড পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ কবির হোসেন বলেন, প্রথমিকভাবে ধারণা করছি স্ট্রোক করে ওই চীনা নাগরিক মৃত্যুবরণ করেছেন। ময়না তদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজে মরদেহ পাঠানো হয়েছে।
দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে বাংলাদেশে আরও সৌদি বিনিয়োগের প্রাধান্য
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ ও সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রিন্স ফয়সাল বিন ফারহান
জাতীয়
বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এবং সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রিন্স ফয়সাল বিন ফারহানের নেতৃত্বে দু'দেশের মধ্যে পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে বাংলাদেশে আরও সৌদি বিনিয়োগের বিষয় প্রাধান্য পেয়েছে।
সোমবার (১ জুলাই) সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে অনুষ্ঠিত এ বৈঠকে সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশের উন্নয়ন-অগ্রগতির ভূয়সী প্রশংসা করেন। এ সময় বাংলাদেশে বিশেষত: বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে এবং দেশের অফশোর ব্যাংকিং ব্যবস্থায় সৌদি বিনিয়োগের বিষয়ে আলোচনা হয়।
প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, সৌদি আরবে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ড. মো. জাবেদ পাটোয়ারী, অতিরিক্ত পররাষ্ট্র সচিব ড. মু. নজরুল ইসলাম, মহাপরিচালক (পশ্চিম এশিয়া) মো. শফিকুর রহমান ও মহাপরিচালক (পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দফতর) মো. আরিফ নাজমুল হাসান এবং সৌদি কর্মকর্তাগণ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকে বাংলাদেশ-সৌদি আরব যৌথ ব্যবসায়িক পরিষদকে (জয়েন্ট বিজনেস কাউন্সিল-জেবিসি) দু'দেশের বাণিজ্যিক সম্পর্ক উন্নয়নে তাদের কার্যক্রম আরও গতিশীল করার বিষয়ে জোর দেওয়া হয়। সৌদি আরব থেকে তেল আমদানির ক্ষেত্রে বাংলাদেশের বিশেষ সুবিধাপ্রাপ্তির বিষয়েও আলোচনা করেন তারা।
সৌদি আরবে ৩০ লাখ বাংলাদেশির কর্মসংস্থানের সুযোগ দেওয়ায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী সৌদি আরবের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান। সৌদি আরবে বাংলাদেশি জনশক্তি রফতানিতে আরও স্বচ্ছতা আনা এবং স্বার্থান্বেষী মহলের শ্রমিক হয়রানি বন্ধে একটি যৌথ টাস্কফোর্স গঠনের বিষয়ে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়। পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ সৌদি আরবে ব্যবসারত বাংলাদেশি প্রবাসীদের রেজিস্ট্রেশনের বিশেষ সুযোগ প্রদানের অনুরোধ জানান।
পাশাপাশি রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে সহায়তা চাইলে সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী সহযোগিতার আশ্বাস দেন। বৈঠকে গাজাতে ইসরায়েলের বর্বরতা নিরসনকল্পে মুসলিম বিশ্বের ঐক্যবদ্ধ প্রয়াসের ওপর গুরুত্বারোপ করেন তারা।
দেড় ঘণ্টাব্যাপী হৃদ্যতাপূর্ণ বৈঠকে সৌদি যুবরাজ ও প্রধানমন্ত্রী মুহাম্মদ বিন সালমানের আসন্ন বাংলাদেশ সফরের বিষয়েও আলোচনা হয়। পাশাপাশি আগামী বছর সৌদি-বাংলাদেশ কূটনৈতিক সম্পর্কের সুবর্ণজয়ন্তীর যথাযথ উদযাপনে যৌথ কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ এবং বাংলাদেশ-সৌদি আরব যৌথ কমিশনের বৈঠককে মন্ত্রী পর্যায়ে উন্নীত করার সিদ্ধান্ত নেন তারা।
বৈঠক শেষে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সম্মানে সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী আয়োজিত মধ্যাহ্নভোজে অংশ নেন তারা।
আষাঢ় মাসের তৃতীয় সপ্তাহের প্রথম প্রান্তে ছিল ভ্যাপসা গরম ও রোদের দাপট। আষাঢ়ের মাস হলেও অনাবৃষ্টি ও খরার কারণে রাজশাহী অঞ্চলের আউশ ধান চাষ ব্যাহত হচ্ছিল। ক্ষেত ফেটে চৌচির হয়ে যাওয়ায় অনেক বীজতলা নষ্ট হয়ে গিয়েছিল। চারা রোপণ করে কৃষকেরা পড়েছিলেন দুশ্চিন্তায়।
তবে আষাঢ়ের তৃতীয় সপ্তাহের শেষে বরেন্দ্র অঞ্চলের মেঠোপথে ঝরেছে মুসলধারে বৃষ্টি। আউশ আবাদে ফিরেছে প্রাণ। অনাবৃষ্টিতে তেঁতে ওঠা প্রকৃতিতেও এসেছে স্বস্তি।
অনেকদিনের খরার পর এই বৃষ্টি যেন কৃষকের দুঃখ ঘুচিয়ে দিয়েছে। জমিতে জমে থাকা ধুলোর আস্তর যেন ধুয়ে মুছে একেবারে পরিষ্কার। নতুন উদ্যমে আবারও শুরু হবে আউশের আবাদ। প্রকৃতির এই বৈপরীত্যই যেন জীবনের চলমানতার চিরন্তন দিক।
এমন বর্ষণই কৃষকেরা অপেক্ষায় ছিলেন দিনের পর দিন। শস্যের চারাগুলো যেন তৃষ্ণার্ত চোখে তাকিয়ে ছিল আকাশের দিকে। সেই অপেক্ষার প্রহর শেষ হলো। মাঠে মাঠে সোনা ফলানোর স্বপ্ন আবারো জেগে উঠলো।
মেঘের ডাক, বৃষ্টির গান, এই বর্ষা যেন ধান ক্ষেতে নবজীবন এনে দিয়েছে। কৃষকের হৃদয়ে শান্তির পরশ। এক সময়ের শুষ্ক প্রান্তর এখন জলের আদরে সিক্ত। কৃষকের কষ্ট আর দুশ্চিন্তা সব ভেসে গেছে এই বৃষ্টির স্রোতে।
ধান রোপণ করছেন
রাজশাহীর আকাশে মেঘের আনাগোনা, বর্ষার এই স্বস্তি যেন টেনে নিয়ে আসলো প্রকৃতির হারানো সজীবতা। কৃষকের মুখে এখন শুধুই হাসি, তাদের চোখে নতুন স্বপ্নের আলো। অনাবৃষ্টির সেই দিনগুলো যেন এখন শুধুই অতীতের গল্প।
এভাবেই আষাঢ়ের বর্ষণমুখর প্রান্তর জানান দিল, প্রকৃতির চিরন্তন নিয়মে সব কিছুই আবার ঠিক হয়ে যাবে। কৃষকের হৃদয়ে তাই এখন শুধুই আনন্দের সুর। এই বৃষ্টি তাদের নিয়ে এসেছে নতুন জীবনের বার্তা।
গ্রীষ্মের গনগনে তাপে যখন প্রান্তরের মাটি ফেটে চৌচির, তখন বর্ষার প্রথম কদম ফুলের মতোই প্রত্যাশিত এই বৃষ্টি। শস্যক্ষেতের ক্লান্ত মাটিতে স্বস্তির বারিধারা। কৃষকের মুখে ফুটে ওঠা হাসি যেন প্রকৃতিরই প্রতিফলন। মহামারির পর এক ধরনের মনোবলেই যখন দাঁড় করিয়েছে কৃষক, তখন প্রকৃতির এমন অনুকূলতায় তাদের প্রাণে ফিরে এসেছে নতুন আশা।
কৃষকেরা বলছেন, দুই মাস ধরে ধানচাষ শুরু হলেও পানির অভাবে মাঠ-ঘাট খাঁখাঁ করছিলো। ফলে লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী এখন পর্যন্ত অর্ধেক জমিতে আউশের চারা রোপণ করা সম্ভব হয়নি। রোপণ করা আউশ আবাদও রোদে পুড়ে নষ্ট হওয়ার উপক্রম হয়েছিল। তবে এই আশীর্বাদের বৃষ্টি ফসলের ক্ষতি থেকে বাঁচিয়েছে।
পবা উপজেলার কৃষক মুখলেশ আলি বলেন, বর্ষা মৌসুম হলেও বৃষ্টি যেন অভিমান করে রয়েছে। আউশ ও আমন ধান চাষের জন্য বৃষ্টিই ভরসা। সেচ ছাড়াই সাধারণত জমি সবুজে ভরে ওঠে। কিন্তু এবার জমিতে চারা রোপণ করতেই সেচ দিতে হচ্ছে, রোপণ করার পরও সেচ দিতে হচ্ছে। এতে ব্যয়ের বোঝা আরও বেড়ে যাচ্ছে। আশেপাশের কিছু জমিতে ধান রোপণ করে অনেকে বিপাকে পড়েছেন। তাই বৃষ্টির জন্য প্রতীক্ষায় ছিলাম। বৃষ্টি হওয়ায় স্বস্তি ফিরে এসেছে। কাল থেকেই ধান রোপণের কাজ শুরু করবো।
তানোর উপজেলার কৃষক আব্দুল বারি বলেন, বৃষ্টির অপেক্ষায় ছিলাম দীর্ঘদিন। জমিতে পানি না থাকায় আউশ ও আমন ধান চাষে ভীষণ কষ্ট হচ্ছিল। বৃষ্টির অভাবে চারা রোপণ করতেও বাধ্য হচ্ছিলাম সেচের পানি ব্যবহার করতে, যা বাড়তি খরচের বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছিল। চারপাশের জমিতে ধান রোপণ করেও অনেকে বিপাকে পড়েছিলেন। রোববারের বৃষ্টিতে স্বস্তি ফিরে এসেছে, আবার নতুন করে আশার আলো দেখা দিয়েছে।
গোদাগাড়ী উপজেলার কৃষক মোতাল্লেব হোসেন বলেন, এই মৌসুমে বৃষ্টি না হওয়ায় আমাদের দুশ্চিন্তার শেষ ছিল না। আউশ ও আমন ধান চাষে বৃষ্টির পানি ভরসা, কিন্তু বৃষ্টি না হওয়ায় জমিতে সেচের পানি দিয়ে চারা রোপণ করতে হচ্ছিল। এতে খরচও বেড়ে যাচ্ছিল। আশেপাশের অনেক কৃষকও এই একই সমস্যায় ভুগছিলেন।
গত শনিবার থেকে সোমবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ৫০ দশমিক ৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে। শনিবার (২৯ জুন) ১০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছিল। রোববার ৩০ দশমিক ৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়। সোমবার রাজশাহীতে ৩৩মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করে রাজশাহী আবহাওয়া অফিস।
রাজশাহী আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রহিদুল ইসলাম বলেন, এবছর বেশ কয়েকদিন থেকে দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টিপাত হলেও রাজশাহীতে মৃদু থেকে মাঝারি তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছিল। আষাঢ় মাসে দেখা মিললেও ছিলো না কাঙ্ক্ষিত বৃষ্টির। তবে শেষ পর্যন্ত মৌসুমি বায়ু প্রবেশের কারণে বৃষ্টিপাত শুরু হয়েছে। দেশের অন্যান্য স্থানের মতো আজ রাজশাহীতেও বৃষ্টি হয়েছে। এখনও বৃষ্টির আভাস আছে, রাতেও বৃষ্টি হতে পারে। আরও কয়েকদিন থাকতে পারে।
রাজশাহী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের তথ্যমতে, চলতি বছর জেলায় ৫০ হাজার ৭০ হেক্টর জমিতে আউশ ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। কিন্তু গত দুই মাসে মাত্র ৩২ হাজার হেক্টর জমিতে আউশের চারা রোপণ করা সম্ভব হয়েছে। এদিকে, আগামী এক মাসের মধ্যে শুরু হবে আমন ধান চাষ। কিন্তু রাজশাহীতে কাঙ্ক্ষিত বৃষ্টিপাত না হওয়ায় আমন ধানের বীজতলাও প্রস্তুতেও শঙ্কা তৈরি হয়েছিল।
রাজশাহী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) উম্মে সালমা বলেন, রাজশাহীতে এবার বৃষ্টিপাতের পরিমাণ অনেক কম। ফলে বৃষ্টির অভাবে মাঠ-ঘাট শুকিয়ে চৌচির হয়ে যাওয়ায় ধানচাষ ব্যাহত হচ্ছিলো। তবে রোববারের মুসলধারের বৃষ্টি অন্য ফসল তো বটেই, বিশেষ করে আউশ-আমনের জন্য আশীর্বাদের।
সোমবার (১ জুলাই) হাইকোর্টে মেয়র মুহিবুর রহমান তাঁর বহিস্কারাদেশের বিরুদ্ধে আপিল করেন। এসময় শুনানি শেষে তাঁর বহিস্কারাদেশ প্রত্যাহার করে তাঁকে স্ব-পদে বহাল রাখেন আদালত।
মুহিবুর রহমানের আইনজীবী ও সংবিধান বিশেষজ্ঞ ড.শাহদীন মালিক বলেন, মেয়র মুহিবুর রহমানের যে সাময়িক বরখাস্তের আদেশ ছিল সেটা সম্পূর্ণ অন্যায় ও বেআইনি ছিল। আমি আদালতে দাঁড়িয়ে শুনানি করলে আদালত বুঝেছেন সেই আদেশ বেআইনি ছিলো। তাই মেয়র মুহিবুর রহমানকে স্ব-পদে বহালের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
এরআগে গত বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের উপসচিব মো.আব্দুর রহমান রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে তার স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে মেয়র মুহিবুর রহমানকে সাময়িক বরখাস্তের আদেশ জারি করেন। আর এই আদেশের বিরুদ্ধে তিনি হাইকোর্টে আপিল করে তার বহিস্কারাদেশ প্রত্যাহার ও স্ব-পদে বহালের আদেশ পান।
নীলফামারীতে পুলিশের অভিযানে ৪ অনলাইন জুয়ারি গ্রেফতার
ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট,বার্তা২৪.কম,নীলফামারী
ছবি: বার্তা ২৪
জাতীয়
নীলফামারীর কিশোরগঞ্জে অনলাইনে থাই জুয়া ও ভিসা প্রতারণার অভিযোগে ৪ জনকে গ্রেফতার করেছে থানা পুলিশ।
সোমবার (১ জুলাই) সন্ধ্যায় বিষয়টি নিশ্চিত করেন থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) পলাশ চন্দ্র মন্ডল। এর আগে গতকাল রাতে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন- পানিয়ালপুকুর কাচারি বাজার এলাকার দুলাল মিয়ার ছেলে মাহমুদুল ইসলাম ( ১৯), কালিকাপুর চৌধুরী পাড়ার জালালুল ইসলামের ছেলে আলী হোসেন (২০), মুশরুত পানিয়াল পুকুর বেলতলী এলাকার সানি ইসলাম (১৯) ও ওই এলাকার চেয়ারম্যান পাড়ার রাজু আহমেদ (২১)।
থানা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে তারা অনলাইনে থাই জুয়া ও ভিসা প্রতারণার সাথে জড়িত ছিলেন। প্রবাসীদের সাথে বিভিন্নভাবে প্রতারণা করে কোটি টাকা হাতিয়েছেন। এ জুয়ারিরা অনলাইন ভিত্তিক ডিজিটাল জুয়ার কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে পুলিশ তাদের গ্রেফতার করেন।
এবিষয়ে ওসি আরও বলেন, অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দায়ের করে আদালতে পাঠানো হয়েছে।