ফেনীতে এইচএসসিতে পরীক্ষার্থী বাড়লেও কমেছে আলিমে



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ফেনী
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রোববার (৩০ জুন) থেকে শুরু হচ্ছে ২০২৪ সালের এইচএসসি, আলিম ও সমমান পরীক্ষা। এবারের পরীক্ষায় ফেনীতে ২২টি কেন্দ্রে সর্বমোট ১৩ হাজার ১৭৯ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিচ্ছে । যার মধ্যে এইচএসসি ও ভোকেশনালে ১১ হাজার ২৬৯ জন এবং আলিমে ১ হাজার ৯১০জন পরীক্ষার্থী অংশ নিচ্ছে। জেলাপ্রশাসক কার্যালয়ের শিক্ষা শাখা এসব তথ্য নিশ্চিত করেছে।

২০২৩ সালের পরিসংখ্যান বিবেচনায় ফেনীতে এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষায় পরীক্ষার্থী বাড়লেও কমেছে আলিমে। ২০২৩ সালে এইচএসসি ও ভোকেশনাল এবং আলিমে সর্বমোট ১২ হাজার ৭৮৮ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিয়েছিল। এরমধ্যে এইচএসসিতে ছিল ১০ হাজার ৭২৫ জন পরীক্ষার্থী। বিপরীতে এবার অংশ নিচ্ছে ১১ হাজার ২৬৯ জন। অন্যদিকে গত বছর আলিমে ২ হাজার ৬৩ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিলেও এবার অংশ নিচ্ছে ১ হাজার ৯১০ জন।

জেলা প্রশাসনের শিক্ষা শাখা সূত্র জানায়, ২০২৪ সালের মোট পরীক্ষার্থীর মধ্যে ফেনীর সদর উপজেলায় এইচএসসি ও ভোকেশনালের পরীক্ষার্থী ৫ হাজার ৭৪৬ জন ও আলিমে ৬৬৪ জন। পরশুরাম উপজেলায় এইচএসসিতে ৬৮৯ জন, আলিমে ১৩০ জন। ফুলগাজী উপজেলায় এইচএসসি ও ভোকেশনালে ৮৯৩ জন, আলিমে ১০৮ জন। ছাগলনাইয়া উপজেলায় এইচএসসিতে ১ হাজার ১৫২ জন, আলিমে ৪২৫ জন। সোনাগাজী উপজেলায় এইচএসসিতে ১ হাজার ১৬৮ জন, আলিমে ২৯৫ জন। দাগনভুঞা উপজেলায় এইচএসসিতে ও ভোকেশনালে ১ হাজার ৬৩৯ এবং আলিমে ১২৭ জন পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে।

২২টি কেন্দ্রের মধ্যে ১৫টি এইচএসসি ও ভোকেশনালের এবং ৭টি আলিমের। যার মধ্যে ফেনী সদর উপজেলায় এইচএসসি কেন্দ্র ৬টি, আলিমের ১টি সোনাগাজীতে এইচএসসি ২টি, আলিম ১টি, ফুলগাজীতে এইচএসসি ৩টি, আলিম ১টি, পরশুরামে এইচএসসিতে ১টি, আলিমে ১টি, ছাগলনাইয়াতে এইচএসসিতে ১টি, আলিমে ১টি এবং দাগনভুঞাতে এইচএসসিতে ২টি, আলিমে ২টি কেন্দ্রে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।

২০২৪ সালের এইচএসসি পরীক্ষা জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) ২০২৩ সালের পুনর্বিন্যাস করা পাঠ্যসূচি অনুযায়ী সব বিষয়ে অনুষ্ঠিত হবে। রোববার (৩০ জুন) বাংলা ১ম পত্র (আবশ্যিক) এর মাধ্যমে শুরু হওয়া পরীক্ষা আগামী ১১ আগস্ট শেষ হবে।

পরীক্ষার প্রস্তুতি নিয়ে পরীক্ষার্থীদের মধ্যে দেখা গেছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। কিছু শিক্ষার্থী সময় কম পাওয়ায় প্রস্তুতিতে ঘাটতি থাকার কথা বললেও অধিকাংশ বলছেন প্রস্তুতি ভালো রয়েছে। ফেনী কলেজের শিক্ষার্থী ফারজানা আহমেদ অহনা বলেন, আরেকটু বেশী সময় পেলে প্রস্তুতি আরও ভালো হতো তবে পুনর্বিন্যাসকৃত সিলেবাস হওয়ায় শেষ করতে পেরেছি।

মেহেদী হাসান নামে আরেকজন শিক্ষার্থী বলেন, যে প্রস্তুতি নিয়েছি আলহামদুলিল্লাহ। সব ঠিক থাকলে আশা করি ভালো পরীক্ষা হবে।

পরীক্ষার বিষয়ে ফেনী সরকারি কলেজ অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) প্রফেসর মোহাম্মদ দেলওয়ার হোসেন বলেন, পরীক্ষা গ্রহণের জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন। ফেনী কলেজে সদর উপজেলার ২টি কলেজ ব্যতীত সকল কলেজের পরীক্ষার্থীরা অংশ নেবে। পরীক্ষা চলাকালীন কলেজ এরিয়াতে ১৪৪ ধারা জারি থাকবে। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী সদস্যরা কেন্দ্রে নিয়োজিত থাকবে।

জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা শফি উল্ল্যাহ বলেন, পরীক্ষা সুন্দরভাবে নেয়ার জন্য ইতিমধ্যে জেলাপ্রশাসনের প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রতি উপজেলায় একটি করে ভিজিলেন্স টিম গঠন করা হয়েছে এবং প্রতি কেন্দ্রে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ দিয়েছেন জেলাপ্রশাসক। এছাড়াও প্রতি কেন্দ্রে পুলিশ ও মেডিকেল টিম সর্বদা প্রস্তুত থাকবে বলে জানান তিনি।

সকাল থেকে নিখোঁজ ছিলো জুবায়ের



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম
নিহত শিক্ষার্থী জুবায়ের হাসান রাফিত (১৮)/ ছবি: সংগৃহীত

নিহত শিক্ষার্থী জুবায়ের হাসান রাফিত (১৮)/ ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানীর মিরপুরের ঢাকা কমার্স কলেজের শিক্ষার্থীর হাতে নিহত অপর শিক্ষার্থী জুবায়ের হাসান রাফিত (১৮) সকাল থেকে নিখোঁজ ছিলো। সকালে কোচিং করতে বের হয়ে আর না ফেরায় তাকে বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করেন স্বজনরা। সন্ধ্যায় তারা এক শিক্ষলের মাধ্যমে জুবায়েরের হত্যার খবর পান।

এ দিকে জুবায়েরকে হত্যার অভিযোগে উঠেছে তারই সহপাঠী রাজিন ওরফে সামি বিরুদ্ধে। সামি কলেজের স্টাফ কোয়ার্টারের বাসিন্দা ও কমার্স কলেজের একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী। তার বাবার নাম ইকবাল হোসেন।

জুবায়েরের নিখোঁজের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নিহত শিক্ষার্থীর মামা মো. নুরুজ্জামান।

তিনি বলেন, সকালে কোচিং করার জন্য জুবায়ের বাসা থেকে বের হয়। পরে সে আর বাসায় না ফেরায় তাকে বিভিন্ন জায়গা খোঁজাখুঁজি করা হয়। সন্ধ্যায় কলেজের এক শিক্ষক জানায় তাকে হত্যা করা হয়েছে। এসে দেখি কমার্স কলেজের স্টাফ কোয়ার্টারের তৃতীয় তলায় আমার ভাগিনার রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছে।

তিনি আরও বলেন, কিছুদিন আগে কলেজের কিছু বন্ধুর সঙ্গে জুবায়েরের ঝগড়া হয়েছিল। ওই ঘটনায় কলেজের শিক্ষকরা মিটমাট করে দেয়। তখন শিক্ষকরা তাকে বলেছিল তার বন্ধুরা ভালো না। তাদের কাছ থেকে দূরে থাকতে। তারাই জুবায়েরকে হত্যা করেছে বলে ধারণা নুরুজ্জামানের।

জানা যায়, নিহত শিক্ষার্থীর গ্রামের বাড়ির নারায়গঞ্জের রূপগঞ্জে। তার বাবার নাম আবুল বাশার। দুই ভাই ও এক বোনের মধ্যে সে ছিল সবার বড়। ঢাকায় মামার বাসায় থেকে পড়াশোনা করতো। মিরপুর কমার্স কলেজের বিজ্ঞান বিভাগে একাদশ শ্রেণির ছাত্র ছিল সে।

এ দিকে শিক্ষার্থী হত্যার বিষয়টি জানলেও রহস্যজনকভাবে মুখে কুলুপ এঁটেছেন কমার্স কলেজের অধ্যক্ষসহ সংশ্লিষ্ট শিক্ষকরা। এমন কি হত্যার বিষয়টি জানলে এ বিষয় মুখ খুলছেন না শিক্ষার্থী উপদেষ্টার দায়িত্ব পালন করা শিক্ষকরা।

;

জামালপুরে কমতে শুরু করেছে যমুনা নদীর পানি



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, জামালপুর
পানি কমলেও সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে/ছবি: বার্তা২৪.কম

পানি কমলেও সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে/ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

জামালপুরে কমতে শুরু করেছে যমুনা, ব্রহ্মপুত্রসহ বিভিন্ন নদ-নদীর পানি। কিছুটা পানি কমলেও সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে।

গত ২৪ ঘণ্টায় বাহাদুরাবাদ ঘাট পয়েন্টে যমুনা নদীর পানি ৪ সেন্টিমিটার কমে বিপৎসীমার ৯০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

বিস্তীর্ণ জনপদে বন্যার পানি ছড়িয়ে পড়ায় ইতিমধ্যে জেলার ইসলামপুর, দেওয়ানগঞ্জ, মাদারগঞ্জ, মেলান্দহ ও সরিষাবাড়ী উপজেলার ৪৫ ইউনিয়নের প্রায় আড়াই লাখ মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। তবে প্রশাসন বলছেন ২৩ হাজার পরিবারের প্রায় দেড় লাখ মানুষ পানিবন্দি হয়েছেন।

জামালপুর জেলা প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, বন্যার পানিতে জেলার প্রাথমিক ও মাধ্যমিকের ২১৪টি বিদ্যালয় প্লাবিত হয়েছে। মাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে ইসলামপুর উপজেলায় ৩০টি, দেওয়ানগঞ্জে ২৫টি, মাদারগঞ্জে ৭টি ও বকশীগঞ্জে ১টি।

সদর উপজেলা ছাড়া জেলার চারটি উপজেলায় ১৫১টি প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।

শনিবার (৬ জুলাই) সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত দেওয়ানগঞ্জ ও ইসলামপুর উপজেলার বিভিন্ন বন্যার্ত এলাকায় সরেজমিনে বানভাসি মানুষের সাথে কথা বলে জানা গেছে, সবচেয়ে দুর্ভোগে পড়েছেন যমুনা নদীর দুর্গম চরাঞ্চলের মানুষ। এসব অঞ্চলের অধিকাংশ মানুষ হতদরিদ্র। যমুনার ঢলে অনেকের ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পাঁচ দিন ধরে পানিবন্দি হয়ে থাকায় অনেক দিনমজুরের আয়রোজগার বন্ধ হয়ে গেছে।

দুর্গম প্রজাপতিরচর এলাকার হতদরিদ্র আবু সাইদ বলেন, গত মঙ্গলবার সকাল থেকে আমাদের বাড়িতে পানি উঠতে শুরু করে। সন্ধ্যার দিকে ঘরের মেঝেতে উঠে। পরের দিন চারদিকে অথৈ পানি আর পানি। আমি পরের জমিতে কাজ করে সংসার চালাই। এখন জমিসহ ঘরবাড়ি পানির নিচে থাকায় সকল আয়রোজগার বন্ধ হয়ে গেছে।

তার মতো অনেক হতদরিদ্র দিনমজর রয়েছেন, সবারই একই অবস্থা।

শরিফ নামে একজন বলেন, দিন কাজ করে সংসার চালাই। বানের পানি উঠায় সকল ইনকাম বন্ধ। পরিবার নিয়ে খেয়ে না খেয়ে দিন পাড় করছি কেউ খোঁজ খবরও নিতে আসে না।

এদিকে দেওয়ানগঞ্জ রেলওয়ে স্টেশন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে প্রবেশ করেছে বন্যার পানি।

দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার দেওয়ানগঞ্জ-খোলাবাড়ি সড়কের একটি সেতুর সংযোগ সড়ক ও কাঠারবিল এলাকায় দেওয়ানগঞ্জ-সানন্দবাড়ী আঞ্চলিক সড়কের ৩০ মিটার অংশ বন্যার পানিতে ভেঙে যাওয়ায় এখনো বন্ধ রয়েছে ওই এলাকার সাথে সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা।

জামালপুরের পানি উন্নয়ন বোর্ডের পানি পরিমাপক (গেজ রিডার) আব্দুল মান্নান বলেন, গত ২৪ ঘণ্টয় যমুনা নদীর পানি ৪ সেন্টিমিটার কমে বিপৎসীমার ৯০সেন্টিমিটার উপর প্রবাহিত হচ্ছে।

জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা আলমগীর হোসেন বলেন, এখন জেলার বানভাসিদের জন্য ৬ উপজেলায় ১৯০ মেট্রিক টন চাল ও ৩ হাজার ৪০০ প্যাকেট শুকনো খাবার বিতরণের জন্য বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।

;

মিরপুরে সহপাঠীর হাতে ঢাকা কমার্স কলেজের শিক্ষার্থী খুন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
কমার্স কলেজ

কমার্স কলেজ

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানীর মিরপুরে ঢাকা কমার্স কলেজের এক শিক্ষার্থীর হাতে অপর এক শিক্ষার্থী খুন হয়েছে।

শনিবার (৬ জুলাই) সন্ধ্যায় কমার্স কলেজের পাশেই লাল বিল্ডিং এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।

নিহত মো. জুবায়ের কমার্স কলেজের একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শাহ আলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. তারিকুজ্জামান।

তিনি বলেন, ঢাকা কমার্স কলেজের একাদশ শ্রেণির দুই শিক্ষার্থীর দ্বন্দ্বের জেরে হত্যা ঘটনা ঘটেছে। আমরা ঘটনাস্থলে আছি, এই বিষয় কাজ করছি। কি কারণে হত্যা জানতে চাইলে ওসি বলেন, আমরা এখনো কারণ সম্পর্কে জানি না। অভিযুক্ত শিক্ষার্থী রাজিন চৌধুরী পলাতক। নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে।

জানা গেছে, নিহত রাজিন চৌধুরীর বাবার নাম ইকবাল চৌধুরী। তিনি পেশায় একজন আইনজীবী। রাজিনের মা ঢাকার বাইরের একটি কলেজের শিক্ষিকা।

সহপাঠীর হাতে জুবায়েরের হত্যার বিষয় জানতে চাইলে হত্যার ঘটনা জানলেও কারণ জানেন না বলে জানিয়েছেন ঢাকা কমার্স কলেজের অধ্যক্ষ আবু মাসুদ।

তিনি বলেন, ঘটনা জানার পরে আমাদের প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে শিক্ষকদের পাঠানো হয়েছে। তবে তারাও হত্যার কারণ সম্পর্কে জানতে পারেন নি।

;

প্রাইভেট পড়াতে গিয়ে ছাত্রীর মাকে নিয়ে উধাও শিক্ষক



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, লালমনিরহাট
অভিযুক্ত শিক্ষক আলামিন

অভিযুক্ত শিক্ষক আলামিন

  • Font increase
  • Font Decrease

লালমনিরহাটের আদিতমারীতে বাসায় প্রাইভেট পড়াতে আসা মেয়ের শিক্ষকের সঙ্গে কাকলি রানীর পালিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে। গত চারদিন ধরে তাদের খোঁজ পাচ্ছেন না পরিবারের লোকজন।

এ ঘটনায় পলাতক নারী কাকলি রানীর স্বামী অমল ভুইমালি থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

শনিবার (৬ জুলাই) সন্ধ্যায় আদিতমারী থানার ওসি (তদন্ত) রফিকুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

অভিযুক্ত প্রাইভেট শিক্ষক আলামিন উপজেলার পলাশী ইউনিয়নের মদনপুর সবজি বাজার এলাকার ওসমান আলীর ছেলে।

জানা গেছে, শিক্ষক আলামিন অমল ভুইমালির দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়ুয়া শিশুকন্যা অর্পনা রায় অনুরাধাকে প্রাইভেট পড়াত। একপর্যায়ে ভুক্তভোগী অমল ভুইমালির স্ত্রীর সঙ্গে পরকীয়া সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে ওই শিক্ষক। বিষয়টি টের পেয়ে ভুক্তভোগী অমল ভুইমালি সপ্তাহ দুই আগে ওই শিক্ষককে তার মেয়েকে পড়াতে নিষেধ করে দেন। পরে গত মঙ্গলবার সন্ধ্যার পর শিক্ষক আলামিন কাকলি রানীকে নিয়ে পালিয়ে যায়।

এ বিষয়ে আদিতমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদ উন নবী বলেন, থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। ওই গৃহশিক্ষককে আটক করার চেষ্টা করা হচ্ছে।

;