কুসিকের ১০৪৪ কোটি টাকার বাজেট ঘোষণা



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
বাজেট ঘোষণা করেন কুসিক মেয়র ডা. তাহসীন বাহার সূচনা।

বাজেট ঘোষণা করেন কুসিক মেয়র ডা. তাহসীন বাহার সূচনা।

  • Font increase
  • Font Decrease

কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের (কুসিক) ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরের এক হাজার ৪৪ কোটি ৫০ লাখ ৮৩ হাজার ৪৬৪ টাকার বাজেট ঘোষণা করা হয়েছে।

রোববার (৩০ জুন) দুপুরে নগর ভবনের অতীন্দ্র মোহন রায় সম্মেলন কক্ষে এ বাজেট ঘোষণা করেন কুসিক মেয়র ডা. তাহসীন বাহার সূচনা। নির্বাচিত হওয়ার পর প্রথম নারী মেয়র হিসেবে সূচনার এটাই প্রথম বাজেট।

বাজেট বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, প্রস্তাবিত বাজেটে মোট নিজেস্ব রাজস্ব আয় ধরা হয়েছে ৭৯ কোটি ৩৫ লাখ ৩২ হাজার টাকা। উন্নয়ন অনুদান ধরা হয়েছে ৮৩৫ কোটি ৫৫ লাখ টাকা। মোট আয় ও প্রাপ্তি ধরা হয়েছে ৯১৪ কোটি ৯৭ লাখ ৩৭ হাজার টাকা। এছাড়াও প্রারম্ভিক তহবিল ধরা হয়েছে ১২৯ কোটি ৫৩ লাখ ৪৬ হাজার ৪৬৪ টাকা।

অপরদিকে নিজস্ব রাজস্ব ব্যয় ধরা হয়েছে ৫৪ কোটি ৫০ লাখ ৪৫ হাজার টাকা এবং উন্নয়ন ব্যয় ধরা হয়েছে ৯৫৮ কোটি ৮৬ লাখ ৫৯ হাজার ৭৮৩ টাকা। সমাপনী তহবিল ধরা হয়েছে ৩১ কোটি ১৩ লাখ ৭৮ হাজার ৬৮১ টাকা।

বাজেট ঘোষণা বক্তব্যে মেয়র সূচনা বলেন, নগরবাসীর সুবিধার্থে হোল্ডিং ট্যাক্সসহ কোনো ধরনের অযৌক্তিক কর আরোপ করা হবে না। তবে বকেয়া কর আদায়ের ক্ষেত্রে আমরা কিছু পরিকল্পনা হাতে নিয়েছি।

তিনি আরও বলেন, আমরা নগরীকে অপরিকল্পিত নগরায়ন থেকে মুক্ত করা, যানজট, জলাবদ্ধতা নিরসন, অবৈধ পার্কিং উচ্ছেদ, অনুমোদনবিহীন ভবন চিহিৃত করা, ছাদ বাগানসহ নগরীর সৌন্দর্য বর্ধনে বেশ কিছু পরিকল্পনা গ্রহণ করেছি।

এবিষয়ে তিনি নগরীরবাসীকেও সহায়তার আহ্বান জানান। এছাড়াও সরকারি অর্থায়নে নতুন নগর ভবন নির্মাণসহ বেশ কিছু মেগা প্রকল্পের কথা তুলে ধরেন মেয়র।

বাজেট ঘোষণা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- কুসিকের ভারপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আশরাফুন নাহার, প্রধান প্রকৌশলী জিপি চৌধুরী, নির্বাহী প্রকৌশলী আবু সায়েম ভূঁইয়া, মাইনউদ্দীন চিশতী, প্যানেল মেয়র হাবিবুল আল আমিন সাদি, মনজুর কাদের মনি, প্রধান হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা মো. মাসুদুর রহমান, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মুস্তাফিজুর রহমানসহ কুসিকের সাধারণ ও সংরক্ষিত ওয়ার্ডের কাউন্সিলরবৃন্দ।

আমদানি নয় ভবিষ্যতে আমরা চাল রপ্তানি করব: খাদ্যমন্ত্রী



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নওগাঁ
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

চাল আমদানি নয় ভবিষ্যতে আমরা চাল রপ্তানি করবো বলে মন্তব্য করেছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার। তিনি বলেন, বিগত দুই বছর সরকার চাল আমদানি করেনি। এবারও চাল আমদানির প্রয়োজন হবেনা।

রোববার (৭ জুলাই) দুপুরে সাপাহার উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে রাজশাহী বিভাগের কৃষি উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় ;কৃষি প্রযুক্তি মেলা-২০২৪; এর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় একথা বলেন।

কৃষি প্রণোদনা সরকারের পরিকল্পিত ও সময়োপযোগী পদক্ষেপ অবিহিত করে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, 'কৃষি প্রণোদনা দিয়ে-ভর্তুকি দিয়ে কৃষকের পাশে আছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি কৃষিকে প্রযুক্তিবান্ধব করতে নিরলস করে যাচ্ছেন। যে প্রণোদনা আজ বিতরণ করা হচ্ছে সেটা সঠিক ব্যবহার হলে বেশি জমিতে চাষাবাদ হবে আর উৎপাদন ও বৃদ্ধি পাবে।'

খাদ্যমন্ত্রী বলেন, 'প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুচিন্তিত চিন্তাধারায় অল্প জমিতে বেশি ফসল ফলাতে কৃষিতে যন্ত্রের ব্যবহার বৃদ্ধি হয়েছে। অধিক জনসংখ্যার জন্য খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রযুক্তির ব্যবহার কৃষকের জন্য আশির্বাদ। এছাড়াও প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা মোতাবেক পতিত জমিতেও এখন চাষাবাদ হচ্ছে। পণ্যের দাম বেড়ে যাচ্ছে বলে বলা হচ্ছে। কিন্তু কৃষকের উৎপাদন খরচের খবর কেউ নিচ্ছে না। দাম বাড়লে ভোক্তার সমস্যা আর পণ্যের দাম কমলে কৃষকের সমস্যা।'
উৎপাদন খরচ না উঠলে কৃষক উৎপাদনে নিরুৎসাহিত হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, 'সমাজের নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য সরকারের খাদ্য বান্ধব কর্মসূচি , ওএমএস ও টিসিবির ভর্তুকি মূল্যে চাল আটা বিক্রি করা হচ্ছে।'

এর আগে তিনি সাপাহার উপজেলা পরিষদ চত্ত্বরে তিন দিনব্যাপী কৃষি প্রযুক্তি মেলা উদ্বোধন করেন এবং স্টল পরিদর্শন করেন।
সাপাহার উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মাসুদ হোসেন এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. শাহজাহান হোসেন, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান নঈমুদ্দিন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ফাহিমা খাতুন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. মাসুদ রেজা সারোয়ার, উপজেলা কৃষি অফিসার শাপলা খাতুন এবং শিরন্টি ইউনিয়নপরিষদের চেয়ারম্যান বোরহান উদ্দিন।

পরে খাদ্যমন্ত্রী কৃষকদের মাঝে সরকারি আমন প্রণোদনা বিতরণ করেন এবং ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর শিক্ষার্থীদের মাঝে শিক্ষা উপবৃত্তির চেক ও বাইসাইকেল বিতরণ করেন।

উল্লেখ্য, ২০২৩-২৪ অর্থ বছরে খরিপ/২০২৪-২৫ মৌসুমে আমন প্রণোদনা হিসাবে ১২১০ জন কৃষকের প্রত্যেকে ৫ কেজি বীজ, ১০ কেজি ডিএপি ও ১০ কেজি এমওপি সার সহায়তা বিতরণ করা হয়।

;

সাইন্সল্যাব মোড় শিক্ষার্থীদের অবরোধে যানজট



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
সাইন্সল্যাব মোড় শিক্ষার্থীদের অবরোধ

সাইন্সল্যাব মোড় শিক্ষার্থীদের অবরোধ

  • Font increase
  • Font Decrease

সরকারি চাকরিতে কোটাব্যবস্থা বাতিল করে ২০১৮ সালে সরকারের জারি করা পরিপত্র পুনর্বহালের দাবিতে সাইন্সল্যাব মোড় অবরোধ করেছেন শিক্ষার্থীরা।অবরোধের ফলে মিরপুর রোডে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। এতে চরম দুর্ভোগে পড়েন সাধারণ মানুষ।

রোববার (৭ জুলাই) দুপুর ১টার দিকে মিছিল নিয়ে রাজধানীর নিউমার্কেট, ইডেন কলেজ ঘুরে সাইন্সল্যাব এসে অবরোধ করেন ঢাকা কলেজ শিক্ষার্থীরা।

এ সময় শিক্ষার্থীরা ‘রক্তের বন্যায় ভেসে যাবে অন্যায়, দিয়েছি তো রক্ত আরও দেব রক্ত’, ‘জেগেছে রে জেগেছে ছাত্র সমাজ জেগেছে’, লেগেছে রে লেগেছে রক্তে আগুন লেগেছে’, ‘কোটা না মেধা মেধা মেধা’, ‘সারা বাংলায় খবর দে কোটা প্রথার কবর দে. সহ নানা স্লোগানে মুখরিত হয়ে উঠে সাইন্সল্যাব মোড়।

মোড়ের মাঝখানে গোল করে বসে শিক্ষার্থীরা কোটাবিরোধী নানা স্লোগান দিচ্ছেন

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সড়কে যানবাহন আটকে আছে। মোড়ের মাঝখানে গোল করে বসে শিক্ষার্থীরা কোটাবিরোধী নানা স্লোগান দিচ্ছেন। গাইছেন প্রতিবাদী গান। তাদের হাতে কোটাবিরোধী নানা প্ল্যাকার্ড ছিল। অবরোধ চলাকালে পাশেই পুলিশের বিপুলসংখ্যক সদস্য অবস্থান করছিলেন।

আন্দোলনরত শিক্ষার্থী মোহাম্মদ রাসেল আহমেদ বলেন, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত অনির্দিষ্টকালের জন্য ক্লাস বর্জন কর্মসূচি চলবে। দাবি মূলত আমাদের চারটি। এগুলো হলো ২০১৮ সালে ঘোষিত সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতি বাতিল ও মেধাভিত্তিক নিয়োগের পরিপত্র বহাল রাখা। পরিপত্র অনুযায়ী দ্রুত সময়ের মধ্যে সরকারি চাকরিতে (সব গ্রেডে) বৈষম্যমূলক কোটা বাদ দিতে হবে (পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী ছাড়া)। সরকারি চাকরির নিয়োগ পরীক্ষায় কোটা–সুবিধা একাধিকবার ব্যবহার করা যাবে না এবং কোটায় যোগ্য প্রার্থী না পাওয়া গেলে শূন্য পদগুলোতে মেধা অনুযায়ী নিয়োগ দিতে হবে এবং দুর্নীতিমুক্ত, নিরপেক্ষ ও মেধাভিত্তিক আমলাতন্ত্র নিশ্চিত করতে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে।

আজ ক্যাম্পাসে ক্যাম্পাসে সর্বাত্মক ব্লকেড (অবরোধ) পালন করা হবে বলে শনিবার ঘোষণা দেন শিক্ষার্থীরা। এ কর্মসূচির ফলে সব ক্যাম্পাসের সামনের সড়ক অবরোধ করবেন শিক্ষার্থীরা। এ কর্মসূচি বেলা তিনটা থেকে পালিত হবে। সব বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজের শিক্ষার্থীরা নিজ নিজ এলাকায় এবং মহানগর ও জেলা শহরের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা নিজ নিজ শহরে এ কর্মসূচি পালন করবেন। এর পাশাপাশি সব বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন ও ছাত্র ধর্মঘট পালন করা হবে।

‘বাংলা ব্লকেড’ কর্মসূচি অনুযায়ী রাজধানী ঢাকায় শাহবাগ মোড়, সায়েন্স ল্যাব, চানখাঁরপুল, নীলক্ষেত, মতিঝিলসহ প্রতিটি পয়েন্টে বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজগুলোর শিক্ষার্থীরা সড়কে অবস্থান নেবেন। ঢাকার বাইরের জেলা ও বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে শিক্ষার্থীরা মহাসড়ক অবরোধ করবেন।

অবরোধে আটকে গাড়ির দীর্ঘ সারি তৈরি হয়েছে

জানা যায়, পবিত্র ঈদুল আজহার আগে ৫ জুন সরকারি দফতর, স্বায়ত্তশাসিত ও আধা স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান এবং বিভিন্ন করপোরেশনের চাকরিতে সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে (৯ম থেকে ১৩তম গ্রেড) মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিলের পরিপত্র অবৈধ ঘোষণা করে রায় দেন উচ্চ আদালত। ওই দিন থেকেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বিপুলসংখ্যক শিক্ষার্থী আন্দোলনে নামেন। এ অবস্থায় আদালতের ওই রায় স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষ আপিল বিভাগে আবেদন করে। আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে আবেদনটির ওপর শুনানির জন্য ৪ জুলাই দিন নির্ধারণ করা হয়।

সাম্প্রতিক কোটা সংস্কার আন্দোলনের অন্যতম সংগঠক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী নাহিদ ইসলাম বলেন, তাদের দাবি মূলত তিনটি ২০১৮ সালের পরিপত্র বহাল সাপেক্ষে কমিশন গঠন করে সব গ্রেডে সর্বোচ্চ ১০ শতাংশ কোটা রেখে কোটা পুনর্বণ্টন বা সংস্কার; চাকরির পরীক্ষায় কোটাসুবিধা একাধিকবার ব্যবহারের সুযোগ বন্ধ করা ও কোটায় যোগ্য প্রার্থী না পাওয়া গেলে শূন্য পদগুলোতে মেধা অনুযায়ী নিয়োগ দেওয়া এবং দুর্নীতিমুক্ত, নিরপেক্ষ ও মেধাভিত্তিক আমলাতন্ত্র নিশ্চিত করতে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া।

স্লোগানে মুখরিত হয়ে উঠে সাইন্সল্যাব মোড়


২০১৮ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশে সরকারি চাকরিতে মোট ৫৬ শতাংশ কোটা প্রচলিত ছিল। ওই বছর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কোটা সংস্কারের দাবিতে বিক্ষোভ শুরু হয়। সে সময় বিক্ষোভরত শিক্ষার্থীরা তাদের আন্দোলনে ছাত্রলীগসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হামলার অভিযোগ করেন।

ওই বছরের ৪ অক্টোবর কোটা বাতিলবিষয়ক পরিপত্র জারি করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। পরে ২০২১ সালে সেই পরিপত্রের মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিলের অংশটিকে চ্যালেঞ্জ করে কয়েকজন বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান রিট করেন।

;

যানজট-গরমে নাকাল রাজধানীবাসী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
যানজটে নাকাল রাজধানীবাসী

যানজটে নাকাল রাজধানীবাসী

  • Font increase
  • Font Decrease

সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস রোববার (৭ জুলাই) সকাল থেকেই রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে যানজট লক্ষ্য করা গেছে। একদিকে যানজট, অন্যদিকে তীব্র গরমে নাজেহাল হতে হচ্ছে যাত্রী সাধারণের।

ট্রাফিক বিভাগ বলছে, সকাল থেকেই যানবাহনের চাপ বেশি, যে কারণে অলিগলিসহ রাজধানীর প্রধান সড়কগুলোতে যানজট দেখা দিয়েছে।

এদিকে, শিক্ষার্থীদের কোটাবিরোধী আন্দোলন ও সনাতন ধর্মাবলম্বীদের রথযাত্রা উপলক্ষে রাজধানীতে যানজট হতে পারে বলে আগেই সতর্ক করেছিল পুলিশ। বিশেষ করে মধ্য ও দক্ষিণ ঢাকায় চলাচলকারীদের হাতে সময় নিয়ে বের হওয়ার অনুরোধ ছিল পুলিশের।

ডিএমপির জনসংযোগ বিভাগ থেকে বলা হয়েছে, বেলা ৩টায় ঢাকার স্বামীবাগ ইসকন মন্দির থেকে শুরু হয়ে বিভিন্ন সড়ক ঘুরে ঢাকেশ্বরী মন্দিরে গিয়ে শেষ হবে রথযাত্রা।

সকাল থেকে রাজধানীর বনানী রোডে শুরু হয় যানজট। গণপরিবহনসহ বিভিন্ন পরিবহন যানজটে আটকে থেকে কিছু সময় পর পর সামনের দিকে এগোতে থাকে। বনানী থেকে জ্যাম পেরিয়ে মহাখালী আসতেই প্রায় ১ ঘণ্টা পার হয়ে যাচ্ছে। এছাড়া বিজয় সরণি ফার্মগেট পার হতে লাগছে আর এক ঘণ্টা। একদিকে দীর্ঘ যানজট অন্যদিকে গরমে হাঁসফাঁস করছে নগরবাসী।

মহাখালী-বিমানবন্দর সড়কে তীব্র যানজট


সরেজমিনে বনানী, মহাখালী, কাওরান বাজারসহ বিভিন্ন এলাকায় তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়েছে। কাজে বের হওয়া মানুষ যানজটের কারণে বাসে উঠছে না, আবার যারা বাসে করে যাচ্ছিলেন যানজট তীব্র হওয়ায় তারাও বাস থেকে নেমে হাঁটা শুরু করছেন।

আজওয়াদ রহমান নিহান। খিলক্ষেত থেকে বাংলামোটর প্রতিদিন অফিসে আসতে তার এক ঘণ্টা লাগলেও আজকে তিনি ২ ঘণ্টাতেও গন্তব্যে পৌঁছাতে পারেননি। শুধু আজওয়াদ রহমান নয়; এ চিত্র কাজে বের হওয়া প্রতিটি মানুষের।

গন্তব্যে পৌঁছানোর প্রায় দেড় থেকে ২ ঘণ্টা হাতে সময় নিয়ে বেরিয়েছিলেন রাসেল আহমেদ। বিমানবন্দর থেকে মহাখালী আসতেই তার ২ ঘণ্টা শেষ। ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, দিনের বেশিরভাগ সময় এখন রাস্তাতেই কেটে যাচ্ছে। বাসা থেকে অফিস যেতে আর অফিস থেকে বাসায় ফিরতে প্রতিদিন পথেই সময় যায় ৫ ঘণ্টা।

যানজটে নাকাল বাস ও সিএনজি চালকরা বলছেন, প্রতিদিনই যানজটের এই মাত্রা ছাড়িয়ে যাচ্ছে সহনীয় পর্যায়।

;

কোটাবিরোধী আন্দোলনের কোনো যৌক্তিকতা দেখেন না প্রধানমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

  • Font increase
  • Font Decrease

শিক্ষার্থীরা পড়ালেখায় মনোযোগী না হয়ে আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে কোটাবিরোধী আন্দোলনের কোনো যৌক্তিকতা দেখেন না প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বাংলাদেশ যুব মহিলা লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে রোববার (৭ জুলাই) গণভবনে এক আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, শিক্ষার্থীরা মুক্তিযোদ্ধা কোটাসহ কোটা বাতিল করার আন্দোলন করছে। যারা এর আগে আন্দোলন করেছিল তারা আগে পাবলিক সার্ভিস কমিশনের পরীক্ষায় কত পাস করত, এখন কত করছে। এটা সাবজুডিস ম্যাটার, আদালতে বিচারাধীন। আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে আন্দোলন করে শিক্ষার্থীরা সময় নষ্ট করছে। এ আন্দোলনের কোনো যৌক্তিকতা নেই।

তিনি বলেন, আমরা সবসময় হাইকোর্টের রায় মেনে নেই। কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে যে, কোটাবিরোধী আরেকটি আন্দোলন গড়ে তোলার চেষ্টা করছে। লেখাপড়া বাদ দিয়ে কোটাবিরোধী আন্দোলন করছে, সেখানে মেয়েরাও আন্দোলন করে।

শেখ হাসিনা বলেন, রাজনীতিবিদসহ সবার সার্বজনীন পেনশন স্কিমে যুক্ত হওয়া দরকার। বিএনপি সমাজের বোঝা, তাদের সন্ত্রাসী চেহারা মানুষের সামনে তুলে ধরতে হবে। বিএনপি-জামায়াত যেন আর ক্ষমতায় ফিরতে না পারে, সেজন্য মানুষকে সচেতন থাকতে হবে।

তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর দেশকে একটি উচ্চ আসনে নিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছে। তার সরকার জনগণের ভোটের মাধ্যমে ক্ষমতায় এসেছে। বিএনপি ভোটচুরি করে ক্ষমতায় এসেছিল। দেশের মানুষ ভোট চোরদের ক্ষমতায় থাকতে দেয় না। ভোট চুরির অপরাধে খালেদা জিয়াকে দুইবার পদত্যাগ করতে হয়েছে বলেও মন্তব্য করেন শেখ হাসিনা।

অনুষ্ঠানে যুব মহিলা লীগের ওয়েবসাইট উদ্বোধন করেন শেখ হাসিনা। নারীর ক্ষমতায় ও অগ্রগতিতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছিলেন জানিয়ে তিনি বলেন, আন্দোলন-সংগ্রামে যুব মহিলা লীগ সব সময় ভূমিকা পালন করেছে। দেশের মানুষের অধিকার আদায়ে কাজ করেছে সংগঠনটি।

;