ফুটপাতে ভবঘুরের মরদেহ, এ্যাম্বুলেন্স ভাড়া করে লাশ পাঠালো পুলিশ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ফুটপাতে ভবঘুরের মরদেহ, এ্যাম্বুলেন্স ভাড়া করে লাশ পাঠালো পুলিশ

ফুটপাতে ভবঘুরের মরদেহ, এ্যাম্বুলেন্স ভাড়া করে লাশ পাঠালো পুলিশ

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে এক ভবঘুরের মরদেহ উদ্ধার করে শেষ গোসলসহ আনুষ্ঠানিকতা শেষ করে কাফনের কাপড় পড়িয়ে এম্বুলেন্সে করে গ্রামের বাড়িতে পাঠিয়েছে ডিএমপির মোহাম্মদপুর থানা পুলিশ।

রোববার (৩০ জুন) সকালে মোহাম্মদপুর থানার গজনবী রোড এলাকা থেকে মরদেহ উদ্ধারের পর পরিচয় শনাক্তের পর নিহতের গ্রামের বাড়িতে মরদেহ পাঠানো হয়।

নিহতের নাম- গোলাম মোস্তফা (৪৯)। তিনি নওগাঁ জেলার রাণীনগর উপজেলার সুখান দিঘী গ্রামের মৃত আকুল মোল্লার সন্তান।

নিহতের ভাতিজা সাইদুল মোল্লা জানান, তার চাচা দীর্ঘদিন যাবৎ মানসিকভাবে অসুস্থ ছিলেন অবস্থায় ছিলো। বাড়ি থেকে বের হয়ে যাওয়ার পর দীর্ঘদিন তিনি নিখোঁজ ছিলেন। আজকে সকালে মোহাম্মদপুর থানা পুলিশের মাধ্যমে আমরা জানতে পারি মোহাম্মদপুর গজনবী রোডে পাঁকা রাস্তার মাথায় ফুটপাতে ওপর অজ্ঞাত অবস্থায় আমার চাচার মরদেহ পড়ে আছে। পরে আমরা খবর পেয়ে থানা পুলিশের মাধ্যমে সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের মর্গ থেকে লাশ বুঝে নেই। আমরা গ্রামে দিন মজুরির কাজ করে কোনরকম জীবিকা নির্বাহ করি। এখান থেকে আমার চাচার মরদেহ নেওয়া এবং মরদেহের জন্য কাফনের কাপড় কেনার মতো সামর্থ্য আমাদের নেই। বিষয়টি থানা পুলিশকে বুঝিয়ে বললে তারা ওসি স্যারের দৃষ্টি আকর্ষন করেন। পরে তিনি এসে আমাদের এ্যাম্বুলেন্স ভাড়া ও কাফনের কাপড়ের টাকাসহ খরচের জন্য টাকার ব্যবস্থা করে দেন। পুলিশের সহায়তায় আমার চাচার মরদেহ আমরা গ্রামে নিয়ে দাফন করতে পারবো।

এ বিষয়ে মোহাম্মদপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাহফুজুল হক ভূঞা বলেন, আজ সকালে আমরা খবর পেয়ে গজনবী রোডের ফুটপাত থেকে অজ্ঞাত ভবঘুরে একজনের মরদেহ উদ্ধার করি। পরে সিআইডি ফরেনসিক টিমকে খবর দিলে তারা এসে নিহতের পরিচয় শনাক্ত করলে আমরা তার গ্রামের বাড়িতে খবর দেই। ওনার ভাতিজা আসার পরে আমাদের জানায় তাদের পরিবার আর্থিকভাবে খুবই অস্বচ্ছল। তাদের কাছে কাফনের কাপড় কেনার টাকাও নেই।

পরে মানবিক দিক থেকে আমি স্ব-উদ্যোগে আমাদের অন্যান্য অফিসাররাসহ মিলে এ্যাম্বুলেন্স ভাড়া, কাফনের কাপড় এবং খরচের জন্য কিছু টাকা জোগার করে গ্রামের বাড়িতে তার মরদেহ পাঠাই। আমরা চাই মানবিক দিক বিবেচনা করে সবাই সবার পাশে দাঁড়াক।

যমুনার পানিতে ভাসছে কৃষকের স্বপ্ন



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, যশোর
ছবি: যমুনাপানিতে ফসল ভাসছে ও তলিয়ে নষ্ট হয়ে গেছে/বার্তা২৪.কম

ছবি: যমুনাপানিতে ফসল ভাসছে ও তলিয়ে নষ্ট হয়ে গেছে/বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও টানা ভারি বর্ষণে টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে যমুনা নদীতে কয়েক সপ্তাহ ধরে অস্বাভাবিকারে পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। ফলে উপজেলার ৬টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভার নিম্নাঞ্চলের প্রায় শতাধিক এলাকায় পানি প্রবেশ করেছে। এতে করে পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন চরাঞ্চলসহ হাজার হাজার মানুষ।

পানি বৃদ্ধির ফলে উপজেলার যমুনার চরাঞ্চলসহ কৃষকের প্রায় ১ হাজার হেক্টর জমির ফসল পানিতে ভাসছে ও তলিয়ে নষ্ট হয়ে গেছে। দিশেহারা হয়ে পড়েছেন কৃষকরা। এরমধ্যে উপজেলার গাবসারা, অর্জুনা, নিকরাইল ও গোবিন্দাসী ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায় , চলমান বন্যায় অর্জিত ৮৯০ হেক্টর জমির আউশ ধানের মধ্যে তলিয়ে ও পচে গেছে ৫৮০ হেক্টর জমি, অর্জিত পাট ২ হাজার ৮৩৫ হেক্টর জমির মধ্যে তলিয়ে গেছে ২৮০ হেক্টর জমি, অর্জিত ১ হাজার ৬১০ হেক্টর তিলের মধ্যে তলিয়ে গেছে ১০ হেক্টর, অর্জিত ৩২০ হেক্টর জমির মধ্যে তলিয়ে গেছে ২০ হেক্টর ও অর্জিত ৫১০ হেক্টর বোনা আমনের মধ্যে তলিয়ে গেছে ২০ হেক্টর জমির ফসল।

কৃষক সফিকুল ইসলাম বলেন, গত কয়েক বছরের তুলনায় এ বছর সবচেয়ে বেশি বন্যা হয়েছে। আমাদের চরাঞ্চলের তিল, পাট, আউশ ধানসহ বিভিন্ন সবজি পানিতে তলিয়ে পচে নষ্ট হয়ে গেছে। এসব ফসল তলিয়ে যাওয়ায় কৃষকরা ক্ষতির মুখে পড়েছি’।

কৃষক মজিবুর রহমান বলেন, এবছর ১ বিঘা জমিতে ঢেঁড়শ, মরিচ, পুঁইশাক ও পাটশাকসহ আরও সবজি চাষ করছিলাম। পানিতে আমার সব তলিয়ে গেছে। এসব ফসল তলিয়ে যাওয়ার কারণে অবশিষ্ট আর কিছু রইল না। এই ক্ষতি থেকে ঘুরে দাঁড়াতে কৃষি প্রণোদনা দেওয়ার দাবি জানাচ্ছি’।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. মোখলেছুর রহমান জানান,উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও টানা ভারি বর্ষণে চলতি মৌসুমে প্রায় ১ হাজার হেক্টর জমির আউশ ধান, তিল, পাট ও বোনা আমনসহ বিভিন্ন ফসল নিমজ্জিত হয়েছে এবং বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। তিনি ক্ষতিগ্রস্তদের কৃষি প্রণোদনা দেওয়ার আশ্বাস দেন।

;

পাঁচশ বছরের ঐতিহ্যবাহী রথযাত্রায় মানুষের ঢল



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম, কিশোরগঞ্জ
ঐতিহ্যবাহী রথযাত্রায় হাজারো মানুষের ঢল, ছবি: বার্তা২৪.কম

ঐতিহ্যবাহী রথযাত্রায় হাজারো মানুষের ঢল, ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

কিশোরগঞ্জের কটিয়াদীতে পাঁচশ বছরের পুরনো ঐতিহ্যবাহী রথযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ উপলক্ষে সকাল থেকে জড়ো হয়েছেন হাজারো ভক্ত। 

রোববার (৭ জুলাই) উপজেলার আচমিতা ইউনিয়নের ভোগবেতালে সনাতন ধর্মের প্রথম পর্বের রথযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

কড়া নিরাপত্তায় ৯ দিন ব্যাপী এই উৎসব উল্টো রথের মাধ্যমে শেষ হবে সোমবার (১৫ জুলাই)। রোববার বিকেল পাঁচটায় ভক্তরা রশি টেনে প্রায় ৩ কিলোমিটার দূরে রথ নিয়ে যায়৷ এ উপলক্ষে বসেছে মেলা৷ বিভিন্ন রকমের পাখি নিয়ে এসেছেন অনেকেই।

হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের দেবতা গোপীনাথ জিউর বিশেষ বাহন রথে চড়ে তার বোন সুভদ্রা দেবী স্বামীর বাড়ি থেকে পিত্রালয়ে নায়রে নিয়ে যাওয়ার জন্য সুভদ্রার ভাই বলরাম, গোপীনাথ জিউর বাড়িতে আসেন। ৯ দিন পর উল্টোরথে চড়ে সুভদ্রাকে নিয়ে আসেন তার স্বামীর বাড়িতে। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের এই বিশ্বাস থেকেই কিশোরগঞ্জের কটিয়াদীতে ৫ শ বছর যাবৎ পালিত হয়ে আসছে ঐতিহ্যবাহী রথযাত্রা উৎসব।


কটিয়াদী উপজেলার আচমিতা ইউনিয়নের ভোগবেতালে ঈঁসাখাঁ ও রাজা নবরঙ্গ রায়ের স্মৃতি বিজড়িত ৫ শত বছরের পুরনো ঐতিহ্যবাহী শ্রী শ্রী গোপিনাথ জিউর মন্দির।

কথিত আছে গোপীনাথ জিউর রথের গোড়াপত্তন হয় রাজা নব রঙ্গ রায়ের আমলে। পরবর্তীতে এই মন্দিরে ২ শত একর জমি দান করেন ঈঁসাখাঁ। তবে মন্দিরের গোড়াপত্তন কে করেছিলে এ ব্যাপারে কোন নির্ভরযোগ্য তথ্য পাওয়া যায়নি। রথযাত্রা উপলক্ষে কটিয়াদী গোপীনাথ জিউর মন্দির প্রাঙ্গনে হাজার হাজার ভক্ত ও ধর্মপ্রাণ লোকের মিলন মেলায় পরিণত হয়। বিভিন্ন ধর্মালম্বী মানুষের পদচারনায় মুখরিত হয়ে ওঠে মন্দিরের আশপাশ এলাকা। মন্দির এলাকায় লোকজ মেলা, ফলমূল ও বিভিন্ন জাতের পাখির পসরা বসে। উৎসবমুখর পরিবেশে নানা ধর্মীয় আচার- আচরনাদি শেষে হিন্দু রমণীদের অবিরাম উলুধ্বনির মাধ্যমে বিশাল আকৃতির রথের চূড়ায় স্থাপন করা হয় শ্রী শ্রী গোপীনাথ, বলরামও সুভদ্রার মূর্তি। রথের চাকার সাথে বাঁধা হয় পাটের মোটা রশি। হাজার হাজার ভক্তবৃন্দ সামনে থেকে বিকেল পাঁচটায় এই মোটা রশি টানের মধ্য দিয়ে রথ টানা শুরু করেন।

বিশাল আকৃতির কৃত্রিম ঘোড়া টানা বাহন, যাত্রা শুরু করে সুভদ্রার পিত্রালয়ের দিকে। সে সময় এলাকায় হাজারো মহিলার কণ্ঠে উলুধ্বনি খূল-কর্তাল ঢাক-ঢোল ও ব্যান্ডের তালে মুখরিত হয়ে ওঠে মন্দির প্রাঙ্গণ। মন্দিরের নিজস্ব সড়ক দিয়ে প্রায় এক কিলোমিটার পথ অতিক্রম করে বিরাট আকৃতির এই রথটি এক সময় পৌঁছে যায় সুভদ্রার পিত্রালেয়ে। একসময় হাতি দিয়ে টানা হলেও এখন ভক্তরা টেনে নিয়ে যায়৷

;

মেট্রোরেল স্টেশন থেকে পকেটমার আটক



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
আটক পকেটমার মনির  হোসেন।

আটক পকেটমার মনির হোসেন।

  • Font increase
  • Font Decrease

দ্রুতগামী যান হিসেবে পরিচিত মেট্রোরেল স্টেশনের এক যাত্রীর পকেট থেকে টাকা নেওয়ার সময় এক পকেটমারকে আটক করেছে ম্যাস র‌্যাপিড ট্রানজিট (এমআরটি) পুলিশ। রাজধানীর কারওয়ান বাজার স্টেশন থেকে মনির হোসেন নামের এই পকেটমারকে আটক করা হয়।

রোববার (০৭ জুলাই) দুপুরে এ তথ্য জানিয়েছেন এমআরটি পুলিশের জোনাল ইনচার্জ (কারওয়ান বাজার, শাহবাগ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়) পুলিশ পরিদর্শক (নিঃ) সুজিত কুমার গোমস্তা। দুপুর ২টা ৩০ মিনিটের দিকে তাকে আটক করা হয়।

আটককৃত মনিরের বাড়ি গাজীপুরের টঙ্গী পূর্ব থানা এলাকায় বলে জানিয়েছেন তিনি।

সুজিত কুমার গোমস্তা বলেন, ‘মেট্রোরেলে বিদ্যুৎ সরবারহ বন্ধ থাকায় আড়াইটার দিকে মেট্রোরেলের স্টেশনগুলোতে যাত্রীদের চাপ ছিল। এই সুযোগে কারওয়ান বাজার স্টেশনে যাত্রীবেশে এক ব্যক্তির পকেট থেকে টাকা চুরির সময় মনির হোসেনকে আটক করা হয়।’

আটককৃত মনিরের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিতে তেজগাঁও থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলেও জানিয়েছেন এই পুলিশ সদস্য।

;

বগুড়ায় রথযাত্রায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ৫ জনের মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
বগুড়ায় রথযাত্রায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ৫ জনের মৃত্যু

বগুড়ায় রথযাত্রায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ৫ জনের মৃত্যু

  • Font increase
  • Font Decrease

বগুড়ায় রথযাত্রায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ৫জনের মৃত্যু। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন অন্তত ৩৯ জন। এদের মধ্যে বেশ কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

রোববার (৭ জুলাই) বিকেল সোয়া পাঁচটায় বগুড়া শহ‌রের সেউজগাড়ী মো‌ড়ে এ ঘটনা ঘ‌টে। বগুড়া সদর থানা‌র ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সাইহান ওলিউল্লাহ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

নিহতরা হ‌লেন, অলক সরকার (৪০), আতশী রানী (৪০) র‌ঞ্জিতা মোহন্ত (৬০), নরেশ মোহন্ত (৬৫) অজ্ঞাত নারী একজন।


জানা গে‌ছে, সেউজগাড়ী ইসকন ম‌ন্দির থেকে রথযাত্রা‌র শোভযাত্রা বিকাল ৫টায় বের হয়। ১০ মিনিট পথ অতিক্রম করার পর সেউজগাড়ী আমতলা এলাকায় স্টেশন সড়কে র‌থের চূড়াটি সড়কের ওপর থাকা হাইভোল্টে‌জের বৈদ্যুতিক তা‌রের সংস্প‌র্শে আসে এতে আগুন ধরে যায়। এ সময় র‌থের উপরে বসে থাকা নিচে থাকা অন্তত ২৫ থে‌কে ৩০ জন আহত হন। প‌রে তাদেরকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান‌ মে‌ডি‌কেল ক‌লেজ হাসপাতা‌ল ও বগুড়া মোহাম্মদ আলী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।

বগুড়া সদর থানা‌র ওসি সাইহান ওলিউল্লাহ ব‌লেন, রথযাত্রার সময় র‌থের চূড়া‌টি বিদ্যুৎ তা‌রে সংস্প‌র্শে আস‌লে এ ঘটনা ঘ‌টে। আহত‌দের মধ্যে মে‌ডি‌কে‌লে কলেজে ৪ জন এবং মোহাম্মদ আলী হাসপাতা‌লে ১ জন মারা গে‌ছে।

;