ছাগলকাণ্ড: সাভারে কেন্দ্রীয় গো-প্রজনন ও দুগ্ধ খামারে দুদকের দল

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম,সাভার (ঢাকা)
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি:  সাভারে কেন্দ্রীয় গো প্রজনন ও দুগ্ধ খামার দুদকের দল

ছবি: সাভারে কেন্দ্রীয় গো প্রজনন ও দুগ্ধ খামার দুদকের দল

ছাগলকাণ্ডে আলোচিত সাদিক এগ্রোর দুর্নীতির অভিযোগে তথ্য সংগ্রহ করতে সাভারে কেন্দ্রীয় গো-প্রজনন ও দুগ্ধ খামার পরিদর্শন করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এই খামার থেকেই আলোচিত ছাগলকাণ্ডের সাদিক এগ্রোতে নিষিদ্ধ ব্রাহমা গরু সরবরাহ করা হয়েছে।

সোমবার (১ জুলাই) দুপুর পৌনে ১টার দিকে দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে ৯ সদস্যের একটি এনফোর্সমেন্ট টিম সাভারে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের পাশে কেন্দ্রীয় গো-প্রজনন ও দুগ্ধ খামারে প্রবেশ করে। নেতৃত্ব দেন দুদকের সহকারী পরিচালক আবুল কালাম আজাদ।

বিজ্ঞাপন

অভিযোগ উঠেছিল, কেন্দ্রীয় গো-প্রজনন ও দুগ্ধ খামারে জব্দ থাকা গরুগুলো নিলামে কিনে নেন সাদিক এগ্রোর ইমরান। গরুগুলো জবাই করে সুলভ মূল্যে মাংস বিক্রি করার শর্তে ইমরানকে দেওয়া হয়েছিল। তবে ইমরান সুলভ মূল্যে বিক্রি না করেই গরুগুলো তার খামারে রেখে দেন। এছাড়াও নিষিদ্ধ ব্রাহমা গরু কেন্দ্রীয় গো-প্রজনন ও দুগ্ধ খামার থেকে সংগ্রহ করে কোটি টাকা দাম হাকিয়ে বাজারে তোলেন।

দুদকের সহকারী পরিচালক আবুল কালাম আজাদ বলেন, ২০২১ সালে জুনের দিকে আমেরিকা থেকে ১৮ টি ব্রাহমা গরু অবৈধভাবে আমদানি করা হয়। পরে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ গরুগুলো আটক করে মামলা করে। গরুগুলো বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে কেন্দ্রীয় গো-প্রজনন ও দুগ্ধ খামারে হস্তান্তর করে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। পরে গরুগুলো জবাই করে সুলভ মূল্যে মাংস বিক্রি করার শর্তে ইমরানকে দেওয়া হয়েছিল। আমরা কেন্দ্রীয় গো-প্রজনন ও দুগ্ধ খামারে এসেছি তাদের কাছ থেকে কাগজপত্র সংগ্রহ করার জন্য। এরপরে সাদিক এগ্রোতে গিয়ে কাগজগুলো আমরা মিলিয়ে দেখব।

বিজ্ঞাপন

কেন্দ্রীয় গো-প্রজনন ও দুগ্ধ খামার থেকে বেরিয়ে সাভারের ভাকুর্তা এলাকায় অবস্থিত সাদিক এগ্রো'র উদ্দেশ্যে রওনা দেয় দুদকের দলটি।