বংশীয় গরুসহ সাদিক অ্যাগ্রোর ব্রাহমা জাতের ৬টি পশু জব্দ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
সাদিক অ্যাগ্রোর ব্রাহমা জাতের গরু/ছবি: সংগৃহীত

সাদিক অ্যাগ্রোর ব্রাহমা জাতের গরু/ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

কোরবানির ঈদে আলোচনায় আসা কোটি টাকার বংশীয় গরুসহ সাদিক অ্যাগ্রোর আমদানি করা ব্রাহমা জাতের ৬টি গরু জব্দ করেছে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) এনফোর্সমেন্ট টিম।

বুধবার (৩ জুলাই) দুপুরে রাজধানীর চন্দ্রিমা উদ্যান সংলগ্ন কাঠের পুলের ১৬ নম্বর রোডে সাদিক অ্যাগ্রোতে অভিযান চালিয়ে গরুগুলো উদ্ধার করা হয়। ভুয়া তথ্যে এসব গরু ২০২১ সালে আমদানি করে সাদিক অ্যাগ্রো বলে জানা গেছে।

২০২১ সালে ফ্রিজিয়ান গরু বলে ব্রাহমা জাতের গরুগুলো আমদানি করেছিল সাদিক অ্যাগ্রো বলে জানিয়েছে দুদক সূত্র। পরে বিমানবন্দর কাস্টমস তা জব্দ করে প্রাণি সম্পদ অধিদফতরকে তত্ত্বাবধানের জন্য হস্তান্তর করে। আলোচনা আছে, কেন্দ্রীয় গো প্রজনন ও দুগ্ধ খামারে জব্দ থাকা আমদানি নিষিদ্ধ ব্রাহমা জাতের গরুগুলো দায়িত্বরত কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করে নামমাত্র মূল্যে নিলামে কিনে নেন বাংলাদেশি কাউবয় নামে খ্যাত ইমরান হোসেন।

এমন অভিযোগে গত সোমবার দুদকের সহকারী পরিচালক আবুল কালামের নেতৃত্বে তিনটি টিম সাভার কেন্দ্রীয় গো প্রজনন ও দুগ্ধ খামার এবং সাদিক অ্যাগ্রোর সাভার, মোহাম্মদপুর ও নরসিংদী ফার্মে দিনভর অভিযান চালায়।

অভিযানে সাভারে সাদিক অ্যাগ্রোর একটি শেডে ৫টি ব্রাহমা প্রজাতির গরু ও ৭টি বাছুরের সন্ধান পাওয়া যায়। পরে মঙ্গলবার বিমানবন্দর কাস্টমসেও অভিযান চালায় দুদক।

সাদিক এগ্রোর কর্ণধার ইমরান হোসেন। সদ্য শেষ হওয়া কোরবানির ঈদে তিনি আলোচনায় আসেন কোটি টাকার বংশীয় গরু ও ১৫ লাখ টাকার খাসি নিয়ে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের মারফতে খবর বের হয় খাসিটি ১২ লাখ টাকায় মুশফিকুর রহমান ইফাত নামে এক যুবক কিনেছেন। যা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ক্রেতাকে নিয়ে চলে বিস্তর আলোচনা-সমালোচনা। শেষ মুহূর্তে জানা যায় বুকিং মানি দিলেও খাসিটি নেননি ক্রেতা।

সাদিক অ্যাগ্রো ফার্মের মালিক ইমরান হোসেন গবাদিপশুর খামারিদের সংগঠন বাংলাদেশ ডেইরি ফার্মারস অ্যাসোসিয়েশনের (বিডিএফএ) সভাপতি। আলোচনা আছে, মাঝারি খামারিদের প্রলোভন দেখিয়ে কোরবানির সময় গরুর দাম বাড়ানোর ক্ষেত্রে নানা কৌশল অবলম্বন করে থাকে। ফলে ক্রেতারা গরু কিনতে অনুৎসাহিত হয়ে পড়েন। এতে প্রান্তিক খামারিদের অনেক গরু অবিক্রিত থেকে যায়। পড়ে এই মাঝারি খামারিরা ওই গরু কিনে এনে এক বছর পর বেশি দামে বিক্রি করে।

সাপের খামারে রিমালের তাণ্ডব, ২৫০ সাপের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, পটুয়াখালী
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ঘূর্ণিঝড় রিমালের তাণ্ডবে লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে পুরো পটুয়াখালী। বাদ যায়নি বাংলাদেশ স্নেক`স ভেনাম (Bangladesh snakes venom) নামের দেশের প্রথম বিষধর সাপের খামারটিও। রিমালের তাণ্ডবে খামারের প্রায় ২৫০টি বিষধর সাপের মৃত্যু হয়েছে।

তবে খামারটির সরকারি অনুমোদন না থাকায় বনবিভাগ তথা সরকারের পক্ষ থেকে কোনো প্রকার সহযোগিতার সুযোগ নেই। আব্দুল রাজ্জাক বিশ্বাস নামের এক তরুণ দেশসেরা উদ্যোক্তা হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে ২০০০ সালে পটুয়াখালী জেলার সদর উপজেলার মাদারবুনিয়া ইউনিয়নের নন্দিপাড়া গ্রামে তার নিজ বাড়ির পাশে একটি কিং কোবরা সাপ এবং ২৪টি ডিম নিয়ে গড়ে তোলেন দেশের প্রথম বিষধর সাপের খামার। পরিকল্পনা ছিল সরকারি অনুমোদন পেলে সাপের বিষ সংগ্রহ করে তা বিক্রি করে হবেন দেশ সেরা উদ্যোক্তা। কিন্তু সেই রাজ্জাক বিশ্বাসের স্বপ্ন এখন অধরাই রয়ে গেল।

বর্তমানে দেশীয় নামে পরিচিত কিংকোবরা, পাইথন, পঙ্খীরাজ, কালকুলিন, সাদা গোমা, কেউটে, দাঁড়াশ, বাসুয়া, পদ্ম গোমা, বিষঝুড়ি ও গোঁড়াসহ বিভিন্ন প্রজাতির প্রায় দের শতাধিক বিষধর সাপ রয়েছে রাজ্জাক বিশ্বাসের খামারে।

নন্দিপাড়া গ্রামের মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, রাজ্জাক বিশ্বাস ভাই ২৩ থেকে ২৪ বছর পর্যন্ত এর সাপের খামার লইয়া কষ্ট করতে আছে। এই বইন্নায় আমাগো এলাকায় কোমর পর্যন্ত পানি উঠছিল, আর এই পানিতে ভাইর কয়েক'শ সাপ মারা গেছে। ভাই তার বাপ মায় মরণেও এতো কষ্ট পায় নাই, এই সাপগুলা মরণের কারণে যে কষ্ট পাইছে।

একই এলাকার হায়দার বিশ্বাস বলেন, রাজ্জাক ভাই এই সাপের খামার কইরা কইরা নিজের আর বাপের টাহা পয়সা সব শেষ করছে। এহন বাপের থুইয়া যাওয়া জমি বন্ধক আর বেইচা চলতেছে। সরকার যদি এই মুহূর্তে তারে একটু সাহায্য করতো তাহলে হয়তো রাজ্জাক বিশ্বাস আবারও ঘুইরা দাড়াইতে পারতো।

এ বিষয়ে রাজ্জাক বিশ্বাস বলেন, অনেক স্বপ্ন নিয়ে এই সাপের খামারটি এই পর্যন্ত নিয়ে এসেছি৷ সাপের খামারটি টিকিয়ে রাখতে গিয়ে আজ আমি নিঃস্ব। কিছুদিন আগে আমার একমাত্র ছেলেটা মারা যায়, ছেলের মৃত্যু কথা শুনে আমার আব্বাও মৃত্যুবরণ করলেন। ছেলে আর বাবার মৃত্যুর এক মাস পর আমার মা মারা গেলেন! স্বজনদের হারানো শোক কাটিয়ে ওঠার আগেই রিমালের কারণে পানি উঠে আমার খামারের প্রায় আড়াইশ সাপ মরে যায়। আমি শুধু তাকিয়ে তাকিয়ে দেখছি, কিছুই করতে পারি নাই! 

সাপের খামারের ২৫০ সাপের মৃত্যুর বিষয়ে পটুয়াখালী উপকূলীয় বনবিভাগের সহকারী বন সংরক্ষক মো. তারিকুল ইসলাম বলেন, 'যেহেতু রাজ্জাক বিশ্বাস অবৈধ ভাবে সাপের খামারটি পরিচালনা করছে, তাই তাকে সরকারি সহযোগিতার কোনো সুযোগ নেই। গত বছরের ১১ এপ্রিল বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিট ও উপকূলীয় বন বিভাগের কর্মকর্তারা সেখানে উপস্থিত হয়ে খামারটি বন্ধ করে সাপ বনে ছেড়ে দেওয়ার জন্য একটি নোটিশ দেওয়া হয়েছিল। যেহেতু খামারটি এখনও চলমান আছে তাই এটিকে বন্ধের জন্য আমরা আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবো৷

;

রাজশাহীতে আ.লীগ নেতা হত্যা: ঢাকায় গ্রেফতার পৌর মেয়র



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
গ্রেফতার প্রধান আসামি বাঘা পৌর সভার মেয়র আক্কাছ আলী।

গ্রেফতার প্রধান আসামি বাঘা পৌর সভার মেয়র আক্কাছ আলী।

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজশাহীর বাঘা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম বাবুল হত্যা মামলার প্রধান আসামি বাঘা পৌর সভার মেয়র আক্কাছ আলীকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। 

শুক্রবার (০৫ জুলাই) রাতে তাদের গ্রেফতারের পর রাজশাহী জেলা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

এছাড়াও এই মামলার আরও চার আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। 

তিনি জানান, রাজশাহী জেলার বাঘা উপজেলার আওয়ামী লীগের সেক্রেটারি মো. আশরাফুল ইসলাম বাবুল মার্ডারের ঘটনায় বাঘা থানায় মামলা হয়। এই মামলার এক নম্বর আসামি বাঘা পৌর মেয়র মো. আক্কাস আলীসহ মজনু, টুটুল, আব্দুর রহমান, স্বপন নামে আরও চারজন আসামিকে গ্রেফতার করে গোয়েন্দা মতিঝিল বিভাগ। এই আসামিদের রাজশাহী জেলা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

তিনি বলেন, গত ২২ জুন বাঘা উপজেলা পরিষদ চত্বরের সামনে পৌর মেয়র আক্কাছের অনিয়ম, দুর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতার বিরুদ্ধে মানববন্ধন করে বাঘা উপজেলা আওয়ামী লীগ। এ সময় পৌর মেয়র আক্কাছের নেতৃত্বে ওই মানববন্ধনে হামলা চালানো হয়। এতে বাঘা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম বাবুল গুরুতর আহত হন। পরে গত ২৬ জুন রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আইসিউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। এরপর থেকে আক্কাছ আলী আত্মগোপনে ছিলেন।

তিনি আরও বলেন, বাবুল হত্যায় পৌর মেয়রকে প্রধান আসামি করে একটি মামলা করা হয়। এই মামলায় ইতোমধ্যে মেয়রের ভাগিনা ইউপি চেয়ারম্যান ও জেলা যুবলীগ নেতা মেরাজুর ইসলাম মেরাজসহ ৮ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

;

'আমি চিকিৎসক হয়ে যদি মন্ত্রী হতে পারি, আপনারাও একদিন প্রধানমন্ত্রী হতে পারবেন'



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম ব্যুরো
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

তরুণ চিকিৎসকদের দায়িত্ব পালনে উদ্বুদ্ধ করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন বলেছেন, 'আপনারা আপনাদের স্ব স্ব জায়গায় ভালোভাবে কাজ করুন। আমি আপনাদের মতো একজন চিকিৎসক যদি মন্ত্রী হতে পারি, তেমনি আপনারাও কোনো একদিন প্রধানমন্ত্রী হতে পারবেন।'

শুক্রবার (৫ জুলাই) রাতে চট্টগ্রাম রেডিসন ব্লুতে কার্ডিও চট্টগ্রাম ২০২৪' নামে দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক কনফারেন্সস অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্বাস্থ্যমন্ত্রী এসব কথা ডা. সামন্ত লাল সেন এসব কথা বলেন।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, 'আমরা চিকিৎসকেরা উপরওয়ালার আশীর্বাদ নিয়ে জন্ম গ্রহণ করেছি। আমাদের টাকা পয়সাও যেমন রোজগার হয় তেমনি মানুষের সম্মানও পাই। সুতরাং যার যার দায়িত্ব ভালোভাবে পালন করুন। আপনাদের পাশে আমি আছি।'

চিকিৎসকদের সুরক্ষার জন্য সবকিছু করা হবে জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ভুল চিকিৎসায় রোগীর মৃত্যু বা অপবাদ আমি শুনতে চাই না। এটি বলার অধিকার কারও নাই। একমাত্র বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিল (বিএমডিসি) বলতে পারবে।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ভুল চিকিৎসায় কেউ মারা গেলে ভুক্তভোগীরা বিএমডিসিতে অভিযোগ দেবেন। তারপর বিএমডিসি-ই এটি তদন্ত করে বলবে রোগী কী কারণে মারা গেছেন। চিকিৎসকের সুরক্ষা দেওয়া যেমন আমার দায়িত্ব, তেমনি রোগীর সুরক্ষাও দিতে হবে। রোগীর চিকিৎসা নিশ্চিত করতে হবে।

ডা. সামন্ত লাল সেন বলেন, আজকে চট্টগ্রামের একটি হাসপাতালে অভিযানে গেলাম। দুঃখজনক হলো-একটি অক্সিজেন সিলিন্ডারও নেই। আমরা এ ধরনের কোনো কিছু চাই না।

যেখানে বদলী দেওয়া হয়েছে সেখানে দায়িত্ব পালনের জন্য চিকিৎসকদের অনুরোধ জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, এখন গ্রামে গঞ্জে পোস্টিং দিলেই তদবির শুরু হয়ে যায়। আমি এমনটা চাই না। দুই বছর পর তো এমনিতেই পোস্টিং হবে।

;

চট্টগ্রামে গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার, স্বামী পলাতক



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
চট্টগ্রামে গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার, স্বামী পলাতক

চট্টগ্রামে গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার, স্বামী পলাতক

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রামের কর্ণফুলী উপজেলা থেকে এক গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এদিকে ঘটনার পর থেকে ওই নারীর স্বামী পলাতক রয়েছে।

শুক্রবার (৫ জুলাই) দুপুরে উপজেলার চরলক্ষ্যা ইউনিয়নের তিন নম্বর ওয়ার্ডের খালেক মেম্বারের বাড়ি থেকে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। পুলিশের ধারণা ওই গৃহবধুকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে।

খুনের শিকার ওই গৃহবধূর নাম নাছিমা বেগম (৩৮)। তিনি ইয়ংওয়ানের কেএসআই গার্মেন্টসে কাজ করতেন। এ ঘটনায় পলাতক নাছিমার স্বামীর নাম মো. সোলায়মান।

পুলিশ জানায়, নাছিমা তার দ্বিতীয় স্বামীর সঙ্গে চরলক্ষ্যা ইউনিয়নের একটি ভাড়া বাসায় থাকতেন। তার প্রথম স্বামী মারা গেছেন। তাদের সঙ্গে নাছিমার প্রথম ঘরের দুই সন্তানও থাকতেন। প্রায়ই রাতে নাছিমাকে সোলায়মান মারধর করতেন।

গতকাল (বৃহস্পতিবার) রাতে সোলায়মানের সঙ্গে নাছিমার ঝগড়া হয়। আজ (শুক্রবার) সকালে নাছিমার বড় ছেলে তাকে ঘুম থেকে ডাকার সময় দেখতে পায় তিনি মারা গেছেন। পরিবারের লোকজন তিনি স্ট্রোক করে মারা গেছেন ভেবে সৎকারের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। এসময় তারা দেখতে পান নাছিমার গলায় কালো দাগ এবং তার জিহবা বের হয়েছে। পরে জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯ এ কল দিয়ে বিষয়টি জানালে পুলিশ গিয়ে লাশ উদ্ধার করে। ওই গৃহবধুর লাশ ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

কর্ণফুলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জহির হোসেন বলেন, গৃহবধূ নাছিমার লাশের শরীরে আঘাতের চিহ্ন আছে। তাকে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছে বলে আমরা ধারণা করছি। তার স্বামী সোলায়মানকে আমরা গ্রেফতার করার চেষ্টা করছি। আমি এখন অভিযান আছি।

;