কোটা বাতিলের দাবিতে ববি শিক্ষার্থীদের মহাসড়ক অবরোধ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বরিশাল
কোটা বাতিলের দাবিতে ববি শিক্ষার্থীদের মহাসড়ক অবরোধ

কোটা বাতিলের দাবিতে ববি শিক্ষার্থীদের মহাসড়ক অবরোধ

  • Font increase
  • Font Decrease

সরকারি চাকরিতে কোটা পুনর্বহাল রেখে হাইকোর্টের আদেশের প্রতিবাদে তৃতীয় দিনের মত ঢাকা-কুয়াকাটা মহাসড়ক অবরোধ করে রেখেছেন বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) শিক্ষার্থীরা। এ সময় কাফনের কাপড় পরে তাদের রাস্তায় অবরোধ করতে দেখা গেছে।

বুধবার (০৩ জুলাই) বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে বেলা ১২টা থেকে মানববন্ধন ও পরে সড়ক অবরোধ করা হয়। প্রায় দুই ঘণ্টা সড়ক অবরোধ করে রাখেন তারা। এ সময় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা চার দফা দাবিসহ কোটা বাতিলের দাবি উথাপন করেন। দাবি আদায় না হলে লাগাতার আন্দোলনে যাওয়ার ঘোষণা দেয় শিক্ষার্থীরা।

আন্দোলনকারী অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী ভূমিকা সরকার বলেন, কোনো বৈষম্যহীন রাষ্ট্রে ৫৬ শতাংশ কোটা থাকতে পারে না। তীব্র আন্দোলনের মুখে সরকার যেখানে কোটা পদ্ধতি বাতিল করেছিল, হাইকোর্ট কেন সেই কোটাকে আবার পুনর্বহাল করলো আমরা জানি না। আমি নিজে মেয়ে হয়েও বলছি,আমাদের মেয়েদের জন্য আলাদা কোটার প্রয়োজন নেই। নারী পুরুষ আমরা সবাই সমান। কোটা বাতিল হোক, এটাই আমাদের চাওয়া।

ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী সেঁজুতি বলেন, আমরা কোটা চাই না। অবিলম্বে এর বাতিল চাই। আশা করি কোটা বাতিল করে আদালত রায় প্রদান করবেন। যদি তা বাতিল না হয়, তাহলে আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাব।

ইংরেজি বিভাগের আরেক শিক্ষার্থী তামিম ইকবাল রাজু বলেন, ২০১৮ সালের রক্তের দাগ আজও শুকায়নি। আমাদের সেই সংগ্রাম ব্যর্থ হওয়ার পথে। কাফনের কাপড় পরে রাস্তায় নেমেছি। কোটা বাতিল না হওয়া পর্যন্ত ঘরে ফিরবো না।

এদিকে রাস্তা অবরোধ করায় ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ জনগণ। ঢাকা থেকে আসা মো. মনিরুজ্জামান জানান, আমি অনেক দূর থেকে এসেছি। প্রায় দুই ঘণ্টা ধরে আটকে পড়ে আছি। এতে খুবই কষ্ট হচ্ছে।

নলছিটি থেকে আসা নুরে আলম শরীফ নামে এক যাত্রী জানান, আমরা চাই শান্তি। তাদের আন্দোলনও চলুক, আমাদের চলাচলের পথও করে দেওয়া হোক। অনেক ব্যস্ততা নিয়ে বরিশালে যাওয়ার পথে রওনা দিয়েছি। অনেক্ষণ ধরে যানবাহনগুলো আটকে আছে।

আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষার্থী মাইনুল ইসলাম, সিরাজুল ইসলাম, লোকপ্রশাসন বিভাগের মো. মিরাজ হোসেন, নাইমুর রহমান,কাইউম, ইংরেজি বিভাগের তামিম ও সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অপর্না আক্তার।

সাপের খামারে রিমালের তাণ্ডব, ২৫০ সাপের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, পটুয়াখালী
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ঘূর্ণিঝড় রিমালের তাণ্ডবে লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে পুরো পটুয়াখালী। বাদ যায়নি বাংলাদেশ স্নেক`স ভেনাম (Bangladesh snakes venom) নামের দেশের প্রথম বিষধর সাপের খামারটিও। রিমালের তাণ্ডবে খামারের প্রায় ২৫০টি বিষধর সাপের মৃত্যু হয়েছে।

তবে খামারটির সরকারি অনুমোদন না থাকায় বনবিভাগ তথা সরকারের পক্ষ থেকে কোনো প্রকার সহযোগিতার সুযোগ নেই। আব্দুল রাজ্জাক বিশ্বাস নামের এক তরুণ দেশসেরা উদ্যোক্তা হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে ২০০০ সালে পটুয়াখালী জেলার সদর উপজেলার মাদারবুনিয়া ইউনিয়নের নন্দিপাড়া গ্রামে তার নিজ বাড়ির পাশে একটি কিং কোবরা সাপ এবং ২৪টি ডিম নিয়ে গড়ে তোলেন দেশের প্রথম বিষধর সাপের খামার। পরিকল্পনা ছিল সরকারি অনুমোদন পেলে সাপের বিষ সংগ্রহ করে তা বিক্রি করে হবেন দেশ সেরা উদ্যোক্তা। কিন্তু সেই রাজ্জাক বিশ্বাসের স্বপ্ন এখন অধরাই রয়ে গেল।

বর্তমানে দেশীয় নামে পরিচিত কিংকোবরা, পাইথন, পঙ্খীরাজ, কালকুলিন, সাদা গোমা, কেউটে, দাঁড়াশ, বাসুয়া, পদ্ম গোমা, বিষঝুড়ি ও গোঁড়াসহ বিভিন্ন প্রজাতির প্রায় দের শতাধিক বিষধর সাপ রয়েছে রাজ্জাক বিশ্বাসের খামারে।

নন্দিপাড়া গ্রামের মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, রাজ্জাক বিশ্বাস ভাই ২৩ থেকে ২৪ বছর পর্যন্ত এর সাপের খামার লইয়া কষ্ট করতে আছে। এই বইন্নায় আমাগো এলাকায় কোমর পর্যন্ত পানি উঠছিল, আর এই পানিতে ভাইর কয়েক'শ সাপ মারা গেছে। ভাই তার বাপ মায় মরণেও এতো কষ্ট পায় নাই, এই সাপগুলা মরণের কারণে যে কষ্ট পাইছে।

একই এলাকার হায়দার বিশ্বাস বলেন, রাজ্জাক ভাই এই সাপের খামার কইরা কইরা নিজের আর বাপের টাহা পয়সা সব শেষ করছে। এহন বাপের থুইয়া যাওয়া জমি বন্ধক আর বেইচা চলতেছে। সরকার যদি এই মুহূর্তে তারে একটু সাহায্য করতো তাহলে হয়তো রাজ্জাক বিশ্বাস আবারও ঘুইরা দাড়াইতে পারতো।

এ বিষয়ে রাজ্জাক বিশ্বাস বলেন, অনেক স্বপ্ন নিয়ে এই সাপের খামারটি এই পর্যন্ত নিয়ে এসেছি৷ সাপের খামারটি টিকিয়ে রাখতে গিয়ে আজ আমি নিঃস্ব। কিছুদিন আগে আমার একমাত্র ছেলেটা মারা যায়, ছেলের মৃত্যু কথা শুনে আমার আব্বাও মৃত্যুবরণ করলেন। ছেলে আর বাবার মৃত্যুর এক মাস পর আমার মা মারা গেলেন! স্বজনদের হারানো শোক কাটিয়ে ওঠার আগেই রিমালের কারণে পানি উঠে আমার খামারের প্রায় আড়াইশ সাপ মরে যায়। আমি শুধু তাকিয়ে তাকিয়ে দেখছি, কিছুই করতে পারি নাই! 

সাপের খামারের ২৫০ সাপের মৃত্যুর বিষয়ে পটুয়াখালী উপকূলীয় বনবিভাগের সহকারী বন সংরক্ষক মো. তারিকুল ইসলাম বলেন, 'যেহেতু রাজ্জাক বিশ্বাস অবৈধ ভাবে সাপের খামারটি পরিচালনা করছে, তাই তাকে সরকারি সহযোগিতার কোনো সুযোগ নেই। গত বছরের ১১ এপ্রিল বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিট ও উপকূলীয় বন বিভাগের কর্মকর্তারা সেখানে উপস্থিত হয়ে খামারটি বন্ধ করে সাপ বনে ছেড়ে দেওয়ার জন্য একটি নোটিশ দেওয়া হয়েছিল। যেহেতু খামারটি এখনও চলমান আছে তাই এটিকে বন্ধের জন্য আমরা আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবো৷

;

রাজশাহীতে আ.লীগ নেতা হত্যা: ঢাকায় গ্রেফতার পৌর মেয়র



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
গ্রেফতার প্রধান আসামি বাঘা পৌর সভার মেয়র আক্কাছ আলী।

গ্রেফতার প্রধান আসামি বাঘা পৌর সভার মেয়র আক্কাছ আলী।

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজশাহীর বাঘা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম বাবুল হত্যা মামলার প্রধান আসামি বাঘা পৌর সভার মেয়র আক্কাছ আলীকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। 

শুক্রবার (০৫ জুলাই) রাতে তাদের গ্রেফতারের পর রাজশাহী জেলা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

এছাড়াও এই মামলার আরও চার আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। 

তিনি জানান, রাজশাহী জেলার বাঘা উপজেলার আওয়ামী লীগের সেক্রেটারি মো. আশরাফুল ইসলাম বাবুল মার্ডারের ঘটনায় বাঘা থানায় মামলা হয়। এই মামলার এক নম্বর আসামি বাঘা পৌর মেয়র মো. আক্কাস আলীসহ মজনু, টুটুল, আব্দুর রহমান, স্বপন নামে আরও চারজন আসামিকে গ্রেফতার করে গোয়েন্দা মতিঝিল বিভাগ। এই আসামিদের রাজশাহী জেলা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

তিনি বলেন, গত ২২ জুন বাঘা উপজেলা পরিষদ চত্বরের সামনে পৌর মেয়র আক্কাছের অনিয়ম, দুর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতার বিরুদ্ধে মানববন্ধন করে বাঘা উপজেলা আওয়ামী লীগ। এ সময় পৌর মেয়র আক্কাছের নেতৃত্বে ওই মানববন্ধনে হামলা চালানো হয়। এতে বাঘা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম বাবুল গুরুতর আহত হন। পরে গত ২৬ জুন রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আইসিউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। এরপর থেকে আক্কাছ আলী আত্মগোপনে ছিলেন।

তিনি আরও বলেন, বাবুল হত্যায় পৌর মেয়রকে প্রধান আসামি করে একটি মামলা করা হয়। এই মামলায় ইতোমধ্যে মেয়রের ভাগিনা ইউপি চেয়ারম্যান ও জেলা যুবলীগ নেতা মেরাজুর ইসলাম মেরাজসহ ৮ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

;

'আমি চিকিৎসক হয়ে যদি মন্ত্রী হতে পারি, আপনারাও একদিন প্রধানমন্ত্রী হতে পারবেন'



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম ব্যুরো
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

তরুণ চিকিৎসকদের দায়িত্ব পালনে উদ্বুদ্ধ করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন বলেছেন, 'আপনারা আপনাদের স্ব স্ব জায়গায় ভালোভাবে কাজ করুন। আমি আপনাদের মতো একজন চিকিৎসক যদি মন্ত্রী হতে পারি, তেমনি আপনারাও কোনো একদিন প্রধানমন্ত্রী হতে পারবেন।'

শুক্রবার (৫ জুলাই) রাতে চট্টগ্রাম রেডিসন ব্লুতে কার্ডিও চট্টগ্রাম ২০২৪' নামে দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক কনফারেন্সস অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্বাস্থ্যমন্ত্রী এসব কথা ডা. সামন্ত লাল সেন এসব কথা বলেন।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, 'আমরা চিকিৎসকেরা উপরওয়ালার আশীর্বাদ নিয়ে জন্ম গ্রহণ করেছি। আমাদের টাকা পয়সাও যেমন রোজগার হয় তেমনি মানুষের সম্মানও পাই। সুতরাং যার যার দায়িত্ব ভালোভাবে পালন করুন। আপনাদের পাশে আমি আছি।'

চিকিৎসকদের সুরক্ষার জন্য সবকিছু করা হবে জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ভুল চিকিৎসায় রোগীর মৃত্যু বা অপবাদ আমি শুনতে চাই না। এটি বলার অধিকার কারও নাই। একমাত্র বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিল (বিএমডিসি) বলতে পারবে।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ভুল চিকিৎসায় কেউ মারা গেলে ভুক্তভোগীরা বিএমডিসিতে অভিযোগ দেবেন। তারপর বিএমডিসি-ই এটি তদন্ত করে বলবে রোগী কী কারণে মারা গেছেন। চিকিৎসকের সুরক্ষা দেওয়া যেমন আমার দায়িত্ব, তেমনি রোগীর সুরক্ষাও দিতে হবে। রোগীর চিকিৎসা নিশ্চিত করতে হবে।

ডা. সামন্ত লাল সেন বলেন, আজকে চট্টগ্রামের একটি হাসপাতালে অভিযানে গেলাম। দুঃখজনক হলো-একটি অক্সিজেন সিলিন্ডারও নেই। আমরা এ ধরনের কোনো কিছু চাই না।

যেখানে বদলী দেওয়া হয়েছে সেখানে দায়িত্ব পালনের জন্য চিকিৎসকদের অনুরোধ জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, এখন গ্রামে গঞ্জে পোস্টিং দিলেই তদবির শুরু হয়ে যায়। আমি এমনটা চাই না। দুই বছর পর তো এমনিতেই পোস্টিং হবে।

;

চট্টগ্রামে গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার, স্বামী পলাতক



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
চট্টগ্রামে গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার, স্বামী পলাতক

চট্টগ্রামে গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার, স্বামী পলাতক

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রামের কর্ণফুলী উপজেলা থেকে এক গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এদিকে ঘটনার পর থেকে ওই নারীর স্বামী পলাতক রয়েছে।

শুক্রবার (৫ জুলাই) দুপুরে উপজেলার চরলক্ষ্যা ইউনিয়নের তিন নম্বর ওয়ার্ডের খালেক মেম্বারের বাড়ি থেকে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। পুলিশের ধারণা ওই গৃহবধুকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে।

খুনের শিকার ওই গৃহবধূর নাম নাছিমা বেগম (৩৮)। তিনি ইয়ংওয়ানের কেএসআই গার্মেন্টসে কাজ করতেন। এ ঘটনায় পলাতক নাছিমার স্বামীর নাম মো. সোলায়মান।

পুলিশ জানায়, নাছিমা তার দ্বিতীয় স্বামীর সঙ্গে চরলক্ষ্যা ইউনিয়নের একটি ভাড়া বাসায় থাকতেন। তার প্রথম স্বামী মারা গেছেন। তাদের সঙ্গে নাছিমার প্রথম ঘরের দুই সন্তানও থাকতেন। প্রায়ই রাতে নাছিমাকে সোলায়মান মারধর করতেন।

গতকাল (বৃহস্পতিবার) রাতে সোলায়মানের সঙ্গে নাছিমার ঝগড়া হয়। আজ (শুক্রবার) সকালে নাছিমার বড় ছেলে তাকে ঘুম থেকে ডাকার সময় দেখতে পায় তিনি মারা গেছেন। পরিবারের লোকজন তিনি স্ট্রোক করে মারা গেছেন ভেবে সৎকারের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। এসময় তারা দেখতে পান নাছিমার গলায় কালো দাগ এবং তার জিহবা বের হয়েছে। পরে জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯ এ কল দিয়ে বিষয়টি জানালে পুলিশ গিয়ে লাশ উদ্ধার করে। ওই গৃহবধুর লাশ ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

কর্ণফুলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জহির হোসেন বলেন, গৃহবধূ নাছিমার লাশের শরীরে আঘাতের চিহ্ন আছে। তাকে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছে বলে আমরা ধারণা করছি। তার স্বামী সোলায়মানকে আমরা গ্রেফতার করার চেষ্টা করছি। আমি এখন অভিযান আছি।

;