বেনাপোল বন্দরে ৯৯ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার



সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বেনাপোল (যশোর)
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

বন্দরের নিরাপত্তায় থাকা বিএসএফ ও বিজিবি এবং বন্দর কাস্টমসের নিরাপত্তার চোখে ধুলো দিয়ে বেনাপোল বন্দরে প্রবেশ করা একটি ভারতীয় পণ্যবাহী ট্রাক থেকে ৯৯ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার হয়েছে। এসময় ভারতীয় ট্রাকচালক রফিকুল মন্ডল (২৪) কে আটক করা হয়।

সোমবার (১ জুলাই) রাত ১১টার দিকে গোঁপন সংবাদের ভিত্তিতে বিজিবি ও কাস্টমস সদস্যরা বন্দরের ৩১ নম্বর কাঁচামালের মাঠে ট্রাকে রাখা এ ফেনসিডিল উদ্ধার করে। এ চালানের আরও ৫টি সন্দেহভাজন ভারতীয় ট্রাক বন্দরে কাস্টমস ও বিজিবির নজরদারিতে রয়েছে বলে জানা গেছে।

আটক ট্রাকচালক ভারতের পেট্টপোল সীমান্তের নাছির আলী মন্ডলের ছেলে। 

জানা যায়, অভিনব কায়দায় সিটের নিচে ফেনসিডিল লুকিয়ে এনে হাত বদলের জন্য বন্দরে অপেক্ষা করছিল ট্রাক চালক।

বেনাপোল কাস্টমসের জয়েন্ট কমিশনার অথলো চৌধুরী বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বন্দরের মাঠে (WB 25 E 2372) ভারতীয় একটি কাচবাহী ট্রাক তল্লাশী করা হয়। এসময় ট্রাকচালকের সিটের নিচে অভিনব কায়দায় লুকিয়ে ৯৯ বোতল ভারতীয় ফেনসিডিল উদ্ধার করা হয়। মাদক পাচারের অভিযোগে ভারতীয় ট্রাকটি জব্দ করা হয়েছে। এছাড়া উদ্ধার মাদক ও ট্রাকচালকের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

যে ট্রাকে ফেনসিডিল পাচার করা হচ্ছিল সে ট্রাকে থাকা পণ্যের আমদানিকারক বাংলাদেশের বেঙ্গল গ্লাস লিমিটেড। পণ্য চালানটির বন্দর থেকে খালাসের সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট ছিল বেনাপোলের পদ্মা ট্রেডিং করপোরেশন। 

এদিকে সাধারণ ব্যবসায়ীরা জানান, প্রায় ৮ মাস ধরে বেনাপোল বন্দরে চোরাচালান প্রতিরোধে থাকা স্ক্যানিং মেশিনটি নষ্ট হয়ে পড়ে থাকায় অবাধে ভারত থেকে মাদকদ্রব্য ও মিথ্যা ঘোষণার পণ্য বন্দরে প্রবেশের সুযোগ তৈরি হয়েছে । এতে বৈধ ব্যবসায়ীরা যেমন হয়রানির শিকার হচ্ছেন তেমনি নিরাপদ বাণিজ্য হুমকির মুখে পড়ছে। তবে পাচার প্রতিরোধে শূন্য রেখায় বিজিবি ট্রাক তল্লাশী করলেও এসব মাদক ধরতে ব্যর্থ হচ্ছেন। আর ভারতীয় বিএসএফ স্বর্ণ আটকে বেশ তৎপরতা দেখালেও মাদক তাদের হাতে ধরা পড়ছেনা। 

বৃষ্টির পর ‘নির্মল বায়ু’ পাচ্ছে রাজধানীবাসী



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
বৃষ্টির পর ‘নির্মল বায়ু’ পাচ্ছে রাজধানীবাসী। ছবি: বার্তা২৪.কম

বৃষ্টির পর ‘নির্মল বায়ু’ পাচ্ছে রাজধানীবাসী। ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানীসহ সারাদেশে বেশ কয়েকদিন ধরেই টনা বৃষ্টিপাত হচ্ছে। এতে সুখবর মিলেছে ঢাকার বাতাসে। সুইজারল্যান্ডভিত্তিক আন্তর্জাতিক বায়ুমান প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান (আইকিউএয়ার) জানায়,  বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) সকালে ঢাকার বাতাসের মান ‘মাঝারি’ পর্যায়ে। সকাল ৯টা ৫৪ মিনিটে ৭৭ এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) স্কোর নিয়ে বিশ্বের দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় শহরটির স্থান ১৯তম।

এ তালিকার শীর্ষে রয়েছে উগান্ডার রাজধানী কাম্পালা। শহরটির স্কোর ১৮৮। দ্বিতীয় ও তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক অব কঙ্গোর কিনশাসা ও মিশরের কায়রো। শহর দুটির স্কোর যথাক্রমে ১৬৭ ও ১৩৪।

একিউআই স্কোর ৫১ থেকে ১০০ এর মধ্যে থাকলে তাকে ‘মাঝারি’ বা ‘গ্রহণযোগ্য’ পর্যায় হিসেবে বিবেচনা করা হয়।

১০১ থেকে ১৫০ এর মধ্যে হলে বাতাসের মান 'সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর', ১৫১ থেকে ২০০ এর মধ্যে একিউআই স্কোরকে ‘অস্বাস্থ্যকর’ বলে মনে করা হয়।

২০১ থেকে ৩০০ এর মধ্যে 'খুব অস্বাস্থ্যকর' বলা হয়, ৩০১+ একিউআই স্কোরকে ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ হিসেবে বিবেচনা করা হয়, যা বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।

বাংলাদেশে একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের ৫টি বৈশিষ্ট্যের ওপর ভিত্তি করে। সেগুলো হলো- বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ ও ওজোন (ও৩)।

ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশন (ডব্লিউএইচও) অনুসারে, বায়ু দূষণের ফলে স্ট্রোক, হৃদরোগ, ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ, ফুসফুসের ক্যান্সার এবং তীব্র শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণের কারণে মৃত্যুহার বৃদ্ধি পেয়েছে। এর ফলে বিশ্বব্যাপী প্রতি বছর আনুমানিক ৭০ লাখ মানুষ মারা যায়।

;

শিবচরে এক্সপ্রেসওয়েতে তিন ট্রাকের সংঘর্ষ, আহত ৪



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
শিবচরে এক্সপ্রেসওয়েতে তিন ট্রাকের সংঘর্ষ, আহত ৪

শিবচরে এক্সপ্রেসওয়েতে তিন ট্রাকের সংঘর্ষ, আহত ৪

  • Font increase
  • Font Decrease

মাদারীপুরের শিবচরে বঙ্গবন্ধু এক্সপ্রেসওয়েতে ৩টি ট্রাকের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে ৪ জন আহত হয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) সকালে শিবচরে এ ঘটনা ঘটে। এতে ঢাকামুখী যান চলাচল বন্ধ রয়েছে।

শিবচর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুব্রত গোলদার গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

বিস্তারিত আসছে... 

;

রাজধানীতে মাদকবিরোধী অভিযান, গ্রেফতার ১৩



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
রাজধানীতে মাদকবিরোধী অভিযান, গ্রেফতার ১৩

রাজধানীতে মাদকবিরোধী অভিযান, গ্রেফতার ১৩

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় মাদকবিরোধী অভিযান চালিয়ে ১৩ জনকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) অপরাধ ও গোয়েন্দা বিভাগ। মাদক বিক্রি ও সেবনের অভিযোগে তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানানো হয়েছে।

বুধবার (৩ জুলাই) সকাল ৬টা থেকে বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) সকাল ৬টা পর্যন্ত রাজধানীর বিভিন্ন থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে মাদকদ্রব্য উদ্ধারসহ তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।

এ সময় তাদের কাছ থেকে থেকে ২০ পিস ইয়াবা, ২৮৬ গ্রাম হেরোইন, ৫০ বোতল ফেন্সিডিল ও ৩২ কেজি ৫০০ গ্রাম গাঁজা উদ্ধার করা হয়েছে বলে জা‌নিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) অপরাধ ও গোয়েন্দা বিভাগ।

ডিএমপির নিয়মিত মাদকবিরোধী অভিযানের অংশ হিসেবে এ অ‌ভিযান প‌রিচালনা করা হয়েছে বলে জানানো হয়। সেই সঙ্গে আটককৃতদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে, ৯টি মামলা রুজু হয়েছে বলেও জানানো হয়।

;

ভূমি কর: বিলুপ্ত হলো চারশো বছর আগে তৈরি মুঘলদের নিয়ম



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ভূমি কর: বিলুপ্ত হলো চারশো বছর আগে তৈরি মুঘলদের নিয়ম

ভূমি কর: বিলুপ্ত হলো চারশো বছর আগে তৈরি মুঘলদের নিয়ম

  • Font increase
  • Font Decrease

ভূমি উন্নয়ন করের নতুন যুগে প্রবেশ করেছে বাংলাদেশে। ভূমি উন্নয়ন কর আইন ২০২৩ অনুযায়ী, ভূমি উন্নয়ন কর আদায়ের সময়কাল হবে প্রতি বছরের ১ জুলাই থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত। ফলে বাংলা সাল অনুযায়ী ভূমি উন্নয়ন কর আদায়ের ৪৪০ বছরের পুরোনো মুঘল প্রথার বিলুপ্তি ঘটেছে।

এই পরিবর্তনের মাধ্যমে ভূমি উন্নয়ন কর আদায় ব্যবস্থাপনাকে জাতীয় অর্থ বছরের সাথে সমন্বিত করা হয়েছে। পূর্বে ভূমি উন্নয়ন কর আদায়ের সময়কাল ছিল বাংলা সনের ১ বৈশাখ থেকে ৩০ চৈত্র পর্যন্ত। জাতীয় অর্থ বছরের সাথে সমন্বয়ের ফলে ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান পর্যায়ে ভূমি মালিকের ভূমি উন্নয়ন কর প্রদান সম্পর্কিত হিসাব ব্যবস্থাপনা অধিকতর সহজ ও গতিশীল হবে। এছাড়া জাতীয় অর্থনীতিতে ভূমি উন্নয়ন করের প্রভাব নির্ণয় অধিকতর সুবিধাজনক হবে।

বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, কৃষি ফসল ওঠার উপর নির্ভর করে মুঘল আমলে খাজনা আদায় করা হতো। সেই কৃষির ফলনের ঋতু পরিবর্তন হয়েছে।

একইসাথে আর্থিক কাঠামোর সাথে সঙ্গতি রেখে হিসাব ব্যবস্থাপনা সহজ করার লক্ষ্যে অর্থবছর অনুযায়ী ভূমি কর আদায়ের উদ্দেশ্যেই শতশত বছরের পুরোনো এ রীতি পরিবর্তন করা হয়েছে।

মুঘল আমলে যেভাবে ভূমির খাজনা আদায় প্রবর্তন হয়

মুঘল বাংলায় ১৫৮৪ খ্রিস্টাব্দ থেকে প্রথম বাংলা সন গণনা করা হয়। তবে আনুষ্ঠানিকভাবে খাজনা আদায়ে এই গণনা কার্যকর শুরু হয়েছিল ১৫৫৬ সাল থেকে (পূর্বের তারিখে দেখিয়ে)। কালক্রমে ব্রিটিশ ও পাকিস্তান আমল হয়ে স্বাধীন বাংলাদেশেও বাংলা সনের হিসাবেই জমির খাজনা তথা ভূমি কর নেয়া হত। ১৫৮৪ প্রায়োগিক সাল ধরলে সময়ের প্রয়োজনে প্রায় ৪৪০ বছর পর ভূমি কর আদায়ের সময় পরিবর্তন হচ্ছে।

যেভাবে ভূমি কর পরিশোধ করতে হয়

ভূমি উন্নয়ন কর হালসনের হিসাব অনুযায়ী পরিশোধ করতে হয়। অর্থাৎ, প্রতি বছরের ভূমি উন্নয়ন কর উক্ত বছরের ৩০ জুনের মধ্যে জরিমানা ব্যতীত আদায় করা যাবে। কৃষিকাজের ওপর নির্ভরশীল ব্যক্তি বা পরিবারভিত্তিক কৃষি জমির মোট পরিমাণ ৮ দশমিক ২৫ একর বা ২৫ বিঘা পর্যন্ত হলে ভূমি উন্নয়ন কর দিতে হবে না। তবে এই জমির পরিমাণ ২৫ বিঘার বেশি হলে সম্পূর্ণ কৃষি ভূমির ওপর ভূমি উন্নয়ন কর দিতে হবে।

অন্যদিকে, অকৃষি ভূমিকে ব্যবহার ভিত্তিক বাণিজ্যিক, শিল্প এবং আবাসিক ও অন্যান্য শ্রেণিতে বিভাজন করে সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, অকৃষি ভূমির ভূমি উন্নয়ন কর হার নির্ধারণ ও পুনঃনির্ধারণ করে ভূমি উন্নয়ন কর আদায় করে থাকে। এছাড়া, সরকার সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, যেকোনো ব্যক্তি বা যেকোনো শ্রেণির ব্যক্তিবর্গ অথবা কোনো সংস্থাকে উক্ত প্রজ্ঞাপনে উল্লিখিত শ্রেণি ও পরিমাপের কৃষি বা অকৃষি ভূমির ভূমি উন্নয়ন কর মওকুফ করতে পারবে।

;