মালয়েশিয়ায় প্রবাসীদের জন্য এনআইডি কার্যক্রম বিষয়ক মতবিনিময় সভা 



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, (ব্যাংকক, থাইল্যান্ড)
জাতীয় পরিচয়পত্র কার্যক্রম বিষয়ক সভা

জাতীয় পরিচয়পত্র কার্যক্রম বিষয়ক সভা

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য মালয়েশিয়ায় জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) কার্যক্রম বিষয়ক মত-বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (০৩ জুলাই ২০২৪ ) কুয়ালালামপুরের সাউথগেট কমার্শিয়াল সেন্টারে অবস্থিত আউটসোর্সিং প্রতিষ্ঠান এক্সপ্যাট সার্ভিসেস লি. এর অফিসে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। 

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ। মত-বিনিময় সভার সভাপতিত্ব করেন মালয়েশিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার শামীম আহসান। 

অশোক কুমার বলেন, দীর্ঘদিন প্রবাসে থাকায় অনেকে এনআইডি করতে পারেননি। এনআইডি না থাকায় তারা নানা সমস্যার সম্মুখীন হন। মালয়েশিয়ায় বসবাসরত বিপুল সংখ্যক প্রবাসী বাংলাদেশিদের কথা বিবেচনা করে মালয়েশিয়ায় এনআইডি কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে।

তিনি বলেন, বিশ্বের ৪০টি দেশে জাতীয় পরিচয়পত্র কার্যক্রম পরিচালনা করার পরিকল্পনা আছে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের। এর ধারাবাহিকতায় মালয়েশিয়ায় এনআইডি কার্যক্রম শুরু হলো। 

এ সময় অশোক কুমার দেবনাথ প্রবাসী বাংলাদেশিদের এনআইডি সংক্রান্ত বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন। 

সভাপতির বক্তব্যে হাইকমিশনার শামীম আহসান বলেন, ইতোমধ্যে মালয়েশিয়ায় এনআইডি কার্যক্রম সফলভাবে নিষ্পন্ন করার লক্ষ্যে ‘কারিগরি যন্ত্রপাতি স্থাপন ও প্রশিক্ষণ’ কার্যক্রম সম্পন্ন হয়েছে। প্রশিক্ষণের মাধ্যমে হাইকমিশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ এনআইডি কার্যক্রম বিষয়ে দক্ষতা অর্জন করেছে। হাইকমিশন এনআইডি সেবা দিতে এখন সম্পূর্ণভাবে প্রস্তুত।এ কার্যক্রমকে সফল করতে প্রবাসীদের সহযোগিতা কামনা করেন হাইকমিশনার। 

মালয়েশিয়ায় সুচারুরূপে এনআইডি কার্যক্রম সম্পন্ন করার দৃঢ় অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন তিনি। মতবিনিময় সভায় ডেপুটি হাইকমিশনার মোহাম্মদ খোরশেদ আলম খাস্তগীর, এক্সপ্যাট সার্ভিসেস লি. এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক গিয়াসউদ্দিন আহমেদ, বাংলাদেশ কমিউনিটির নেতৃবৃন্দ, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র প্রতিনিধি, সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, প্রবাসী সাংবাদিক, নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের প্রতিনিধিদল এবং হাইকমিশন ও এক্সপ্যাট সার্ভিসেস লি. এর কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন ।

সন্তান ফেলে যাওয়া সেই মার মুখে হাসি



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কিশোরগঞ্জ
সন্তান ফেলে যাওয়া সেই মার মুখে হাসি ফিরেছে

সন্তান ফেলে যাওয়া সেই মার মুখে হাসি ফিরেছে

  • Font increase
  • Font Decrease

কদিন আগেও ছিল বৃদ্ধা গুলেছা বানুর (৭৫) চোখে জল। ক্ষুধার যন্ত্রণায় ছটফট করতে হয়েছিল। সন্তান ফেলে চলে গেছে; এরপর চোখ-মুখে ছিল অন্ধকার। টানা ছয়দিন ছিলেন খোলা আকাশের নিচে। জীবনের পড়ন্ত সময়ে এসে নির্বাক আর অসহায়ত্ব থমকে দিয়েছিল জীবনের চাকা। মানবিক কিছু মানুষের ভালোবাসা সেই বৃদ্ধ মার মনে বেঁচে থাকার স্বপ্ন দেখাল। চোখের পানি দূর হয়ে ফিরল হাসি।

কিশোরগঞ্জের কটিয়াদীতে এক বৃদ্ধা মাকে তার সন্তান রেখে চলে যায়। পাঁচ বছর আগে তার স্বামী বাতেন ফকির মারা যাবার পর সন্তানই তার একমাত্র ভরণপোষণের ছিল। তারা ছিলেন ভূমিহীন। বিগত ৩০ বছর ধরে ইউনিয়ন কৃষি উপ-সহকারীর পরিত্যক্ত ভবনে থাকতেন তিনি। বৃদ্ধার ভাই মৃত ফালু ফকির ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা। কিন্তু ছেলে মাকে সবসময়ই বোঝা মনে করতেন। মাকে সাথে রাখতে প্রায় সময় অপারগতা প্রকাশ করতেন। মা কেন মারা যায় না, সেই প্রশ্ন রাখতেন। একই ইউনিয়নের বৈরাগিচর গ্রামে ছিলো তাদের পৈতৃক বাড়ি।

জানা যায়, ঈদের পর গত ২৭ জুলাই বৃহস্পতিবার মাকে আর সাথে রাখবে না বলে ছেলে হোসেন মা গুলেছা বানুকে ওই ভবনের রুম থেকে বাহিরে ফেলে এলাকা ছাড়া হয়ে যায়। ওদিন ভারী বৃষ্টি হলে রুমে পানি ওঠে থাকার অনুপযোগী হয়ে যায়। এরপর থেকে খাবার সংকট ও খোলা আকাশের নিচে দিন কাটছিল।

গত ১ জুলাই ‘খোলা আকাশের নিচে ভূমিহীন মুক্তিযোদ্ধার বোন’ শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয় বার্তা২৪.কমে। এরপর এলাকাবাসীর সহায়তায় তিনি পেলেন ঘর, অনিশ্চিত ভবিষ্যৎ ঘোচাতে মিলল তার আশ্রয়। স্থানীয় এক বাসিন্দা তার ভরণপোষণের দায়িত্ব নিয়েছেন।

মসূয়া ইউনিয়নের বৈরাগিচর গ্রামেরই বাদশা মিয়া বৃদ্ধা গুলেছা বানুর দায়িত্ব নিয়েছেন। এরপর মানুষের দেওয়া সহযোগিতায় চৌকিখাট, খাবার, কাপড়, ফ্যানের ব্যবস্থা করা হয়েছে। চিকিৎসাও করা হচ্ছে। ধীরে ধীরে এখন তিনি কষ্ট ভুলে স্বাভাবিক হচ্ছেন।

বৃদ্ধা গুলেছা বানু বলেন, যারা আমাকে আশ্রয় দিলো, তারাই আমার বাপ-মা এখন থেকে। এখন আমার কষ্ট নাই আর। ঈদের সময়ও ছেলে ভালো খাবার দেয়নি। এখন আমি সবকিছু পাচ্ছি।

আশ্রয় দেওয়া বাদশা মিয়া বলেন, বিষয়টি জানাননি হওয়ার পর তার এই অবস্থা দেখে সইতে পারিনি। বাড়িতে নিয়ে এসেছি। এখন থেকে আমি দেখাশোনা করব। মানুষ সহযোগিতা করছে। আরও কেউ সহযোগিতায় এগিয়ে আসলে কাজটি আমার জন্য সহজ হবে।

মসূয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আবু বকর ছিদ্দিক বলেন, ছয়দিন ধরে বাহিরে পড়েছিলেন ওই নারী। ভরণপোষণের কেউ ছিল না। তার দূর সম্পর্কের এক আত্মীয় নিতে রাজি হওয়ার পর আমরা কিছু সহায়তা করে তুলে দিলাম। খোঁজখবর ও প্রয়োজনীয় সহায়তা করবো।

;

কোটা সংস্কারের দাবিতে ঢাকা-পাবনা মহাসড়ক অবরোধ



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, পাবনা
ঢাকা-পাবনা মহাসড়ক অবরোধ

ঢাকা-পাবনা মহাসড়ক অবরোধ

  • Font increase
  • Font Decrease

সরকারি চাকরিতে কোটাব্যবস্থা বাতিল করে ২০১৮ সালে সরকারের জারি করা পরিপত্র পুনর্বহালের দাবিতে ঢাকা-পাবনা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।

শনিবার (৬ জুলাই) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে ঢাকা-পাবনা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন তারা। প্রায় এক ঘণ্টা এই অবরোধ চলে। এতে দুই পাশে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পরে প্রশাসনের অনুরোধে ক্যাম্পাসে ফিরে যান শিক্ষার্থীরা।

এর আগে, বেলা ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাধীনতা চত্বরে জড়ো হয় সাধারণ শিক্ষার্থীরা। কোটা ব্যবস্থা সংস্কারের দাবি সম্বলিত বিভিন্ন প্ল্যাকার্ড হাতে নিয়ে কিছুক্ষণ ক্যাম্পাসেই সমাবেশ করেন তারা। পরে শিক্ষার্থীরা ঢাকা-পাবনা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন।

শিক্ষার্থীরা বলেন, স্বাধীনতার এত বছর পরও কোটা ব্যবস্থা মেনে নেওয়া যায় না। এর মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের মেধার অবমূল্যায়ন করা হচ্ছে। ২০১৮ সালে সাধারণ শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে এই কোটা ব্যবস্থা বাতিল করা হয়েছিল। আবার কোন উদ্দেশ্য এটা বহাল হলো তা অজানা। এটা মেনে নেওয়া যায় না।

তারা বলেন, কোটা বাতিল চাইনি, যৌক্তিক সংস্কার চেয়েছি। যেনো কোটা পদ্ধতির নামে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ নষ্ট না হয়। বঙ্গবন্ধুর বাংলায় কোনো শিক্ষার্থী বৈষম্যের শিকার না হতে হয়। কোটা ব্যবস্থা সংস্কার না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।

বিক্ষোভ শেষে আগামীকালও (৭ জুলাই) বিক্ষোভ মিছিলসহ একই ধরণের কর্মসূচি পালন করবেন বলে জানান শিক্ষার্থীরা।

প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালের ৪ অক্টোবর সরকারি চাকরিতে (৫৬ শতাংশ) কোটা বাতিল করে পরিপত্র জারি করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। এর পর থেকে টানা সাড়ে পাঁচ বছর কোটা ছাড়াই ৯ম থেকে ১৩তম গ্রেডে নিয়োগ হয়। ২০২১ সালে ওই পরিপত্রের ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিল হওয়ার অংশটিকে চ্যালেঞ্জ করে কয়েকজন বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান হাইকোর্টে রিট করেন। গত ৫ জুন এই রিটের রায়ে পরিপত্রের ওই অংশ অবৈধ ঘোষণা করেন হাইকোর্ট। ফলে সরকারি চাকরিতে ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটা বহাল থাকবে। এরপর থেকে শুরু হতে থাকে নানা আলোচনা-সমালোচনা এবং বিক্ষোভ ও আন্দোলন। গত বৃহস্পতিবার আপিল বিভাগের শুনানিতে হাইকোর্টের রায় স্থগিত হয়নি। আবেদনের শুনানি মুলতবি রাখা হয়েছে।

;

যমুনার পানিতে ভেঙে গেল গোবিন্দাসী-ভালকুটিয়া রাস্তা



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, টাঙ্গাইল
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

যমুনা নদীর পানির প্রবল চাপে টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে গোবিন্দাসী-ভালকুটিয়া-চিতুলিয়াপাড়ার সংযোগ রাস্তা ভেঙে গেছে। এতে করে তিন থেকে চার গ্রামের প্রায় ১৫ হাজার মানুষ যাতায়াতে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন।

শনিবার (৬ জুলাই) সকালে পানির তীব্র স্রোতে রাস্তাটি ভেঙে যায়। পরে মুহুর্তেই আশপাশের এলাকায় পানি প্রবেশ করে এবং রাস্তাটির ভাঙন দেখতে উৎসুক জনতা ভিড় জমায়।

এদিকে, ভালকুটিয়ার রাস্তাটি ভেঙে যাওয়ার ফলে কষ্টাপাড়া, গোবিন্দাসী, স্থলকাশি, রুহুলী, কয়েড়াসহ আরও বেশ কয়েকটি এলাকায় পানি প্রবেশ করছে। যার কারণে এসব এলাকার নিম্নাঞ্চলের রাস্তাগুলো পানিতে তলিয়ে গেছে। এরমধ্যে কয়েড়া এলাকার পুঁইশাক, ঢেঁড়শ, কাঁচা মরিচ, ধুন্দুল, কলমি শাকসহ বিভিন্ন ধরণের সবজির ক্ষেত পানিতে তলিয়ে গেছে।

জানা যায়, বন্যায় পানির চাপের কারণে সড়কের ভালকুটিয়া এলাকায় ৩০ মিটারের মতো ভেঙে যায়। এতে করে বন্ধ হয়ে গেছে মানুষের চলাচল। পাশেই রয়েছে কোনাবাড়ি উচ্চ বিদ্যালয়। চলমান এইচএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে শিক্ষার্থীদেরও ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে। বিকল্প পন্থা হিসেবে লোকজন পানি দিয়ে চলাচল করছে।

এছাড়াও ভেঙে যাওয়া অংশের পাশেই রয়েছে বিদ্যুতের ৩টি ট্রান্সফরমার। যে কোন মুহূর্তে সেগুলো ভেঙে পানিতে পড়ে যাওয়া আশঙ্কা রয়েছে। ফলে বন্ধ হয়ে যেতে পারে বিদ্যুৎ সংযোগ। অপরদিকে, রাস্তাটি ভেঙে নিচু এলাকাগুলোতে পানি প্রবেশ করায় প্লাবিত হচ্ছে নতুন নতুন এলাকা। পানিবন্দি হয়ে পড়ছে স্থানীয় লোকজন।

ভালকুটিয়া গ্রামের মুহাইমিনুল ইসলাম হৃদয় জানান, ‘অতিরিক্ত পানির চাপে রাস্তাটি ভেঙে গেছে। তাদের একমাত্র চলাচলের রাস্তাটি ভেঙে যাওয়ায় চরম বিপাকে পড়েছেন তারা। ছেলে-মেয়েদের স্কুলে যেতে অনেক কষ্ট হচ্ছে। রাস্তাটি ভেঙে একদিকে চলাচলে কষ্ট, অন্যদিকে বাড়িতে পানি সব-মিলিয়ে দুর্ভোগের যেন শেষ নেই। দ্রুত চলাচলের উপযোগী করার দাবি তার জানান তিনি’।

স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. আব্দুল কাদের বলেন, ‘বন্যার পানির স্রোতে সড়কটি ভেঙে যাওয়ায় স্থলকাশি চিতুলিয়া পাড়া ও ভালকুটিয়া এলাকার লোকজনের ব্যাপক কষ্ট পোহাতে হচ্ছে। রাস্তাটি দিয়ে লোকজন যেন চলাচল করতে সেজন্য বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে’।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার মামুনুর রশীদ জানান, ‘গোবিন্দাসী ভালকুটিয়া গ্রামের রাস্তাটি পানির স্রোতে ভেঙে যাওয়ার বিষয়টি জানতে পেরেছি এবং ভাঙনের কারণে কয়েক এলাকার মানুষের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। রাস্তাটি সরেজমিনে পরিদর্শন করে অতি দ্রুত বাঁশের সাঁকোর মাধ্যমে যাতায়াতের জন্য উপযোগী করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে’।

;

বগুড়ায় একই পরিবারের নারী- শিশুসহ নিখোঁজ ৭



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বগুড়া
একই পরিবারের নারী- শিশুসহ নিখোঁজ ৭

একই পরিবারের নারী- শিশুসহ নিখোঁজ ৭

  • Font increase
  • Font Decrease

বগুড়ায় একই পরিবারের নারী ও শিশুসহ সাতজন রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হয়েছে। গত চার দিন ধরে তাদের কোন সন্ধান মিলছে না।

শনিবার (৬ জুলাই) দুপুরে এ ঘটনায় থানায় জিডি করেছেন ওই পরিবারের প্রধান জীবন মিয়া।

জানা যায়, গত ৩ জুলাই দুপুরে বগুড়া শহরের নারুলী এলাকার ভাড়াবাসা থেকে এক সঙ্গে নিখোঁজ হন সাতজন।

নিখোঁজ নারী ও শিশুরা হচ্ছেন, জীবন মিয়ার স্ত্রী রুমি বেগম (৩০), তার তিন সন্তান সপ্তম শ্রেণিতে পড়ুয়া মেয়ে বৃষ্টি খাতুন (১৩), জমজ দুই ছেলে হাসান (৬) ও হোসেন (৬), শ্বাশুড়ি ফাতেমা বেবি (৫০), শ্যালক বিক্রম আলী (১৩) এবং শ্যালিকা রুনা খাতুন (১৭)।

জীবন মিয়া জানান, তিনি নীলফামারী জেলার সৈয়দপুরের বাসিন্দা। তার শ্বশুরবাড়ি লালমনিরহাট জেলা সদরে। গত ১০ বছর ধরে বগুড়া শহরের নারুলী এলাকায় ভাড়া বাসায় বসবাস করেন তিনি। একই বাসায় স্ত্রী সন্তান ছাড়াও শ্বাশুড়ি, শ্যালক-শ্যালিকা বসবাস করে। তার শ্বাশুড়ি নারুলী পুলিশ ফাঁড়িতে রান্নার কাজ করেন। আর তিনি পুরাতন ফ্রিজ কেনা বেচার দোকান পরিচালনা করেন।

তিনি বলেন, গত ৩ জুলাই দুপুরে বাড়িতে ভাত খেতে এসে দেখতে পারেন বাসায় কেউ নেই। স্ত্রীর ফোন বন্ধ। শ্বাশুড়ির ফোন বাসাতে রেখে গেছেন। পরিধেয় কাপড়চোপড় ছাড়া অন্য কিছু তারা নিয়ে যাননি। পরে লালমনিরহাটে তার শ্বশুরবাড়িতে খোঁজ করে সেখানেও সন্ধান পাওয়া যায়নি।

তিনি আরও বলেন, লালমনিরহাটে যোগাযোগ করলে তার নানি শাশুড়ির কাছে জানতে পারেন এক মাস আগে এক ব‍্যক্তি তার শাশুড়ি ও স্ত্রীকে ভালো চাকরি দেওয়ার প্রস্তাব দেয়। জীবন মিয়ার ধারনা অপরিচিত ওই ব্যক্তির প্রলোভনে পড়ে চাকির আশায় তারা মানব পাচারকারীর কবলে পড়তে পারে।

নারুলী পুলিশ ফাড়ির ইনর্চাজ পুলিশ পরিদর্শক তারিকুল ইসলাম জানান, ফাতেমা বেবি লালমনিরহাট যাওয়ার কথা বলে গত ২ জুলাই ছুটি নেন। ৬ জুলাই তার ফিরে আসার কথা। ফাঁড়িতে রান্নার কাজে না আসায় তাকে ফোন করা হলে মেয়ের জামাই ফোন রিসিভ করে নিখোঁজের বিষয়টি জানান। এরপর তাকে পুলিশ ফাঁড়িতে ডেকে বিস্তারিত শুনে থানায় পাঠিয়ে জিডি করার ব্যবস্থা করা হয়।

তারিকুল ইসলাম বলেন, একসাথে সাতজন নিখোঁজ হওয়ার বিষয়টি রহস্যজনক মনে হচ্ছে। স্থানীয়ভাবে অনুসন্ধান করে জানাগেছে, জীবন মিয়ার স্ত্রী ও শ্বাশুড়ি বিভিন্ন এনজিও থেকে ঋণ নিয়েছেন। এছাড়া স্থানীয়ভাবেও কিছু দেনা থাকার তথ্য পাওয়া যাচ্ছে। তারপরেও তথ্য প্রযুক্তির সহযোগিতা নিয়ে তাদের অবস্থান সনাক্ত করার চেষ্টা করা হচ্ছে।

;