রাজধানীর কড়াইল বস্তির আগুন নিয়ন্ত্রণে



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪, রাজধানীর কড়াইল বস্তিতে মঙ্গলবার দুপুরে আগুন লাগে

ছবি: বার্তা২৪, রাজধানীর কড়াইল বস্তিতে মঙ্গলবার দুপুরে আগুন লাগে

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানীর কড়াইল বস্তির আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে বলে জানা গেছে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ৬টি ইউনিট ঘটনাস্থলে ছুটে যায়।

মঙ্গলবার (২ জুলাই) দুপুরে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। তবে ফায়ার সার্ভিস থেকে জানানো হয়েছে, ইতোমধ্যে কড়াইল বস্তির আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে।

ফায়ার সার্ভিসের মিডিয়া সেল কর্মকর্তা শাজাহান সিকদার এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

শাজাহান সিকদার বলেন, মঙ্গলবার দুপুরে কড়াইল বস্তিতে আগুনের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ৬ ইউনিট ঘটনাস্থলে ছুটে যায়। অগ্নিকাণ্ডের কারণ ও সূত্রপাত সম্পর্কে বিস্তারিত এখনো কিছু জানা যায়নি।

জামালপুরে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত, পানিবন্দি হাজারো পরিবার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, জামালপুর
বিপৎসীমার ৭০ সেন্টিমিটার ওপরে যমুনার পানি

বিপৎসীমার ৭০ সেন্টিমিটার ওপরে যমুনার পানি

  • Font increase
  • Font Decrease

উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও ভারী বর্ষণে জামালপুরে বিভিন্ন নদ-নদীর পানি হু হু করে বাড়ছে। প্লাবিত হচ্ছে জেলার নিম্নাঞ্চল। ইতোমধ্যে চারটি উপজেলার বিভিন্ন স্থানে সড়ক ও বসত বাড়িতে পানি উঠতে শুরু করেছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে কয়েকটি ইউনিয়নের হাজারো পরিবার।

পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় দেওয়ানগঞ্জের বাহাদুরাবাদ ঘাট পয়েন্টে যমুনা নদীর পানি ৬৮ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপৎসীমার ৭০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

অন্যদিকে পানির স্রোতে দেওয়ানগঞ্জ থেকে খোলাবাড়ি যাওয়ার প্রধান সড়কের ব্রিজের পাশের মাটি সরে গেছে। ফলে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। এছাড়া কাঠারবিল এলাকায় আঞ্চলিক সড়ক ভেঙে গেছে।

প্লাবিত হচ্ছে জেলার নিম্নাঞ্চল

জামালপুরের পানি উন্নয়ন বোর্ডের পানি পরিমাপক (গেজ রিডার) আব্দুল মান্নান বার্তা২৪.কম-কে বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় ৬৮ সেন্টিমিটার পানি বেড়ে বাহাদুরাবাদ পয়েন্টে বিপৎসীমার ৭০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। আগামী আরও দুই থেকে তিনদিন পানি বাড়তে পারে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, জেলার ইসলামপুর উপজেলার চিনাডুলী, নোয়ারপাড়া, কুলকান্দি, পাথর্শী, সাপধরী, বেলগাছা ও দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার চিকাজানী, চুকাইবাড়ী, বাহাদুরাবাদ এবং মেলান্দহ উপজেলার ঘোষেরপাড়া, আদ্রা, মাহমুদপুর, নাংলা ও কুলিয়া ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হচ্ছে।

বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় সব প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে বলে জানান, জামালপুর জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মো. আলমগীর হোসেন।

;

মালয়েশিয়ায় যেতে না পারা কর্মীরা টাকা ফেরত পাবেন: প্রতিমন্ত্রী 



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
শফিকুর রহমান চৌধুরী, ছবি: বার্তা২৪.কম

শফিকুর রহমান চৌধুরী, ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

মালয়েশিয়ায় যেতে না পারা কর্মীরা টাকা ফেরত পাবেন, ১৫ দিনের মধ্যে টাকা না দিলে বায়রাসহ সবার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়েছেন প্রবাসী কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরী।

বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) তিনি এ কথা বলেন। 

তিনি বলেন, স্মার্ট পরিকল্পনায় দেশ এগিয়ে যাচ্ছে  আমরা সবাই মিলে একসঙ্গে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাব।

মালয়েশিয়া ইস্যু নিয়ে আমরা সবাই উদ্বিগ্ন। মানুষ জানতে চায় কী হয়েছে? মালয়েশিয়ার সঙ্গে আমাদের অনেক দিন আগে থেকে কাজ চলে। মাঝখানে বন্ধ হয়েছিল। আবারও শুরু হয়েছে।

এবার আমাদের ৫ লক্ষ ২২ হাজার অনুমোদন ছিল। এর মধ্যে যেতে পেরেছে ৪ লক্ষ ৭৬ হাজার। ডেটলাইন যা ছিল তা আমরা অবহিত করেছিলাম। মে মাসের দুই তারিখ ১০টি পেপারে এবং বিভিন্ন অনলাইনে আমরা বিজ্ঞাপন দিয়েছি। ১৫ তারিখ আমরা সবার সঙ্গে মিটিং করেছিলাম। সব মিলে ২২ ফ্লাইটসহ ৪৪টি চার্টার ফ্লাইট গেছে। বিভিন্ন এয়ারলাইনস গেছে। তবে আমাদের হিসেব মতে ১৭৭৭৭ জন যেতে পারে নি। 

কারণ অনেকে জায়গা জমি বিক্রি করে, ঋণ নিয়ে, কষ্টার্জিত টাকা দিয়েছে বিদেশ যাওয়ার জন্য। কিন্তু যেতে পারে নাই।

তদন্ত কমিটি তথ্য মতে, ১০০ টি এজেন্ট কারো ১০,৫০,৫০০ জন করে যেতে পারেনি। আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি যারা যেতে পারেনি সবার টাকা আমরা ফেরত দিব। বায়রার সঙ্গে মিটিং হয়েছে। কোনো মাধ্যমে টাকা দিয়েছে তার প্রমাণ দিলেই সম্পূর্ণ টাকা ফেরত দেওয়া হবে।

গরীবের টাকা রিটার্ন দেওয়া আমাদের প্রথম কাজ। এবং এই মাসের শেষে মালয়েশিয়াতে আমরা আবারও যোগাযোগ করছি৷  যাওয়ার পারমিট পেলে যারা যেতে পারেনি, তাদের অগ্রাধিকার আগে দেওয়া হবে।

;

রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে মিয়ানমারের প্রতি আহ্বান রাষ্ট্রপতির



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও মিয়ানমারের আবাসিক রাষ্ট্রদূত কাও সো মো

রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও মিয়ানমারের আবাসিক রাষ্ট্রদূত কাও সো মো

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া জোরপূর্বক বাস্তচ্যুত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে নিরাপদে ও সম্মানজনকভাবে তাদের নিজ মাতৃভূমি মিয়ানমার ফিরিয়ে নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।

বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) বঙ্গভবনে বাংলাদেশে নবনিযুক্ত মিয়ানমারের আবাসিক রাষ্ট্রদূত কাও সো মো রাষ্ট্রপতির কাছে তার পরিচয়পত্র পেশকালে তার মাধ্যমে মিয়ানমার সরকারকে তিনি এ আহ্বান জানান।

রাষ্ট্রপ্রধান বলেন, বিদ্যমান রোহিঙ্গা সমস্যা বাংলাদেশের জন্য একটি বড় সমস্যা। আশা করি, জোরপূর্বক বাস্তচ্যুত এসব জনগণ যাতে নিরাপদে ও সম্মানজনকভাবে তাদের নিজ মাতৃভূমিতে ফিরে যেতে পারে মিয়ানমার সেই পরিবেশ সৃষ্টি করবে।

রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব জয়নাল আবেদীন পরে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন। তিনি বলেন, বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সাথে সম্পর্ক উন্নয়নকে অগ্রাধিকার দেয় বাংলাদেশ।

নতুন রাষ্ট্রদূতকে স্বাগত জানিয়ে রাষ্ট্রপতি বলেন, নিকটতম প্রতিবেশী দেশ হিসেবে বাংলাদেশ সবসময় মিয়ানমারের সঙ্গে ভালো দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক বজায় রাখাকে অগ্রাধিকার দেয়।

রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন আশা প্রকাশ করেন, তার দায়িত্ব পালনকালে দেশটির সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও সম্প্রসারিত হবে। উভয় দেশেরই অন্বেষণের অনেক সম্ভাবনা রয়েছে উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, মিয়ানমারের সঙ্গে বাংলাদেশের দীর্ঘদিনের বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্পর্ক রয়েছে এবং উভয় দেশেরই এই সুযোগগুলো কাজে লাগাতে হবে।

বাংলাদেশ আগামী সেপ্টেম্বরে বিমসটেকের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করবে উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, বিমসটেক-কে শক্তিশালী করতে মিয়ানমারের সাথে বাংলাদেশ ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করবে।

রাষ্ট্রপতি বলেন, বাংলাদেশ আসিয়ানের ডায়লগ পার্টনার হতে চায়। এই ব্যাপারে তিনি মিয়ানমারের সমর্থন ও সহযোগিতা কামনা করেন। রাষ্ট্রদূত ঢাকায় তার দায়িত্ব পালনে রাষ্ট্রপতির সহযোগিতা কামনা করেন।

তিনি বলেন, মিয়ানমার থেকে বাস্তচ্যুতদের কারণে সৃষ্ট সমস্যা সমাধানে তার দেশ কাজ করছে।

মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত বলেন, এই ব্যাপারে বাংলাদেশের উদ্বেগের কথা তিনি তার সরকারকে জানাবেন এবং সমস্যার সমাধানে উদ্যোগ গ্রহণ করবেন।

সাক্ষাৎকালে রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সচিব মো. ওয়াহিদুল ইসলাম খান, সামরিক সচিব মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আদিল চৌধুরী এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

এরআগে, রাষ্ট্রদূত বঙ্গভবনে পৌঁছলে রাষ্ট্রপতির গার্ড রেজিমেন্টের (পিজিআর) একটি অশ্বারোহী দল অনুষ্ঠানের অংশ হিসেবে রাষ্ট্রদূতকে ‘গার্ড অব অনার’ প্রদান করে।

;

জলাবদ্ধতায় দুর্ভোগে ঈশ্বরগঞ্জের ২০০ পরিবার



উপজেলা করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, গৌরীপুর (ময়মনসিংহ)
জলাবদ্ধতায় দুর্ভোগে ঈশ্বরগঞ্জের ২০০ পরিবার

জলাবদ্ধতায় দুর্ভোগে ঈশ্বরগঞ্জের ২০০ পরিবার

  • Font increase
  • Font Decrease

ভারী বর্ষণ হলেও অল্প সময়ের মধ্যে স্থানীয় বিভিন্ন এলাকায় পানি সরে যায়। উল্টো চিত্র ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার আঠারবাড়ি ইউনিয়নের উত্তরবনগাঁও দাসপাড়া গ্রামে। এখানে বর্ষা মৌসুম শুরু হলে জলবদ্ধতায় ৩০ বছর ধরে প্রায় ২শ পরিবার বন্দী অবস্থায় বসবাস করে।

স্থানীয়রা জানান, দুইটি ইটভাটার কারণে পানি চলাচলের কালভার্ট বন্ধ করে দেওয়ায় পানি নিস্কাশন হতে পারে না। ফলে বর্ষার মধ্যে ব্যাপক দুর্ভোগ পোহাতে হয় তাদের। বাসা-বাড়ি থেকে বাজারে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে, চিকিৎসা কেন্দ্রে যেতে হলে পানি মাড়িয়ে যেতে হয়। এ কারণে বাসিন্দাদের অনেকের পায়ে ঘা হয়ে গেছে। জনপ্রতিনিধিসহ কারও সহানুভূতি না পেয়ে বাধ্য হয়ে এভাবেই বসবাস করছেন গ্রামবাসী।

খোঁজ নিয়ে দেখা যায়, বিদ্যালয় ছুটির পর শিশুরা হাঁটু সমান পানি মাড়িয়ে বাড়িতে প্রবেশ করছে। অনেকে হাটবাজার করে বাড়িতে ফিরছেন জুতো হাতে নিয়ে। বাজার থেকে গ্রামে প্রবেশের রাস্তাটি হাঁটু সমান পানিতে নিমজ্জিত রয়েছে।

দাসপাড়ার অনিল চন্দ্র সূত্র ধর (৫৫) বলেন, বৃষ্টির মৌসুম এলেই আমাদের এই দুরবস্থা শুরু হয়। গত ২০-২৫ বছর ধরে আমরা দুর্ভোগ পোহাচ্ছি। কিন্তু কেউ আমাদের খবর নেয় না।

আল-আমীন নামে এক বাসিন্দা বলেন, যে কালভার্ট দিয়ে দাসপাড়া গ্রামের পানি নিস্কাশন হতো সেটি গ্রামের দক্ষিণ দিকে অবস্থিত দুই ইটভাটার কারণে বন্ধ হয়ে গেছে। কালভার্টটি পরিষ্কার করা হলে পানি নেমে যেত। কিন্তু কেউ উদ্যোগ নিচ্ছেন না। ফলে ২০০ পরিবারের পাঁচ শতাধিক মানুষ দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। আর এ দুর্ভোগ কেমন হতে পারে তা কেবল ভুক্তভোগীরাই বলতে পারবেন।

স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. হাবিবুর রহমান বলেন, প্রতি বর্ষা মৌসুমে উত্তর বনগাঁও দাসপাড়া গ্রামে জলাবদ্ধতা দেখা দেয়। গ্রামবাসী তাকে জানালে তিনি ইটভাটার কালভার্ট খুলে দিয়ে পানি নিস্কাশনের ব্যবস্থা করে দেন। এবার তাকে এ বিষয়ে কেউ কিছু জানায়নি। তারপরও তিনি খোঁজ নিয়ে দেখবেন বলে জানান।

আঠারবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. জুবের আলম রূপক বলেন, গ্রামের পাশে অবস্থিত দুটি ইটভাটার কারণে পানি নিষ্কাশনের পথ (কালভার্ট) বন্ধ হয়ে আছে। এ অবস্থায় পানিতে নিমজ্জিত রাস্তা উঁচু করে তৈরি করা হলেও কোনো ফল পাওয়া যাবে না। ইটভাটার মালিকরা এ ব্যাপারে কোনো কর্ণপাত করেন না।

;