বেপরোয়া বাস চাপায় ফটোগ্রাফার নিহত, আহত ১০



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, গাইবান্ধা
ছবি: নিহত ফটোগ্রাফার নাফিজ শাহরিয়ার আকাশ

ছবি: নিহত ফটোগ্রাফার নাফিজ শাহরিয়ার আকাশ

  • Font increase
  • Font Decrease

গাইবান্ধায় বেপরোয়া গতির একটি বাস চাপায় নাফিজ শাহরিয়ার আকাশ (২৩) নামের মোটরসাইকেল আরোহী এক ফটোগ্রাফার নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন উভয় যানবাহনের অন্তত ১০ জন।

মঙ্গলবার (০২ জুলাই) রাতে গাইবান্ধা-পলাশবাড়ী আঞ্চলিক মহসড়কের তুলসীঘাট এলাকার হেলিপ্যাড নামক স্থানে এই দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত নাফিজ শাহরিয়ার আকাশ গাইবান্ধা শহরের ব্রিজ রোডের কালীবাড়ি এলাকার শামসুল ইসলামের ছেলে। নাফিস পেশাগতভাবে একজন ফটোগ্রাফার ছিলেন।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, সুন্দরগঞ্জ থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী সোনার বাংলা পরিবহনের একটি বেপরোয়া গতির বাস গাইবান্ধা-পলাশবাড়ী আঞ্চলিক সড়কের হেলিপ্যাড সংলগ্ন এলাকায় এসে নিয়ন্ত্রণ হারায়। এসময় বিপরীত দিক থেকে আসা একটি মোটরসাইকেলকে মুখোমুখিভাবে চাপা দিয়ে বাসটি রাস্তার পাশে উল্টে যায়।

এতে নাফিস শাহরিয়ার আকাশ নামে এক মোটরসাইকেল আরোহী ঘটনাস্থলেই মারা যায়। একই সময় মোটরসাইকেল চালক রাহি নামের অপর এক যুবককে গুরত্বর আহত অবস্থায় ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয়দের সহায়তায় উদ্ধার করে রংপুর মেডিকেল কলেজ (রমেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়। এছাড়াও বাসে থাকা অন্তত ১০ জন যাত্রীও আহত হয়। আহতরা গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন।

বাসে থাকা একাধিক যাত্রীর অভিযোগ, চালক বাসটি ছাড়ার পর থেকেই বেপরোয়া গতিতে চালাচ্ছিলেন। গতি কমাতে এবং বেপরোয়াভাবে চালাতে চালককে বার বার যাত্রীরা নিষেধ করলেও তিনি শোনেননি । আর ওখানে গিয়েই ( হিলিপ্যাডে) নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাসটি মোটরসাইকেলকে চাপা দিয়ে উল্টে যায়।

দুর্ঘটনার বিষয়টি মোবাইল ফোনে বার্তা২৪.কমকে নিশ্চিত করেছেন গাইবান্ধা সদর থানার উপ পুলিশ পরিদর্শক (এস আই) সামিউল ইসলাম। তিনি বলেন, গুড়ি গুড়ি বৃষ্টির মধ্যে এ দুর্ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষের মতো করেই বাসটি মোটরসাইকেলটিকে চাপা দেয়। এতে মোটর সাইকেলের আরোহী এক যুবক ঘটনাস্থলেই নিহত হয়েছেন। একই মোটরসাইকেলে থাকা আহত অপর এক যুবককে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য রংপুর মেডিকেলে পাঠানো হয়েছে। বাসটি আটক করা হয়েছে। বাসের চালক ও হেলপার পালিয়ে যাওয়ায় তাদেরকে আটক করা যায়নি।

পদ্মা সেতুর সমাপনী অনুষ্ঠানের মঞ্চে প্রধানমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

  • Font increase
  • Font Decrease

পদ্মা সেতু প্রকল্পের সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

শুক্রবার (৫ জুলাই) দুপুর ৩টা ৫৩ মিনিটে অনুষ্ঠানস্থলের মঞ্চে উঠেন তিনি। পদ্মা সেতুর উত্তর থানা সংলগ্ন মাঠে এই সমাপনী অনুষ্ঠান ও সুধী সমাবেশের আয়োজন করা হয়েছে। এই একই মাঠে পদ্মা সেতুর উদ্বোধন ও রেল সংযোগ প্রকল্পের অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছিল।

জানা গেছে, এ সুধী সমাবেশে অংশ নেবেন কূটনীতিক, রাজনীতিবিদ ও আমলাসহ দেড় হাজারের বেশি মানুষ। এরই মধ্যে সমাবেশ ও প্রধানমন্ত্রীর আগমন ঘিরে পুরো এলাকা নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে রাখা হয়েছে।

বিকেল ৪টা ২০ মিনিটে সভাপতির বক্তব্য রাখবেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। বিকেল সাড়ে ৪টায় প্রধান অতিথির ভাষণ রাখবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

এর আগে, গত ৩ জুলাই পদ্মা বহুমুখী সেতুর সমাপনী অনুষ্ঠানের জন্য ইভেন্ট ম্যানেজমেন্টের মাধ্যমে হাতে নেওয়া কার্যক্রমগুলোর ব্যয় সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে করার অনুমোদন দেয় অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি। সেখান থেকে জানা যায়, এ অনুষ্ঠানের বাজেট পাঁচ কোটি টাকার ওপরে।

;

মশারি ছাড়াই চলছে মুগদা হাসপাতালে ডেঙ্গু চিকিৎসা



জাহিদ রাকিব, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ঢাকায় বাড়ছে ডেঙ্গু মশার উৎপাত

ঢাকায় বাড়ছে ডেঙ্গু মশার উৎপাত

  • Font increase
  • Font Decrease

বৃষ্টি বর্ষায় জমা পানিতে এডিস মশার লার্ভা সৃষ্টি হয়ে রাজধানী ঢাকায় বাড়ছে ডেঙ্গু মশার উৎপাত। সেই উৎপাতে মশার কামড়ে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ছুটছে ঢাকায় বসবাস করা মানুষ। ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হলেও সচেতনতার ঘাটতি সেখানেও। কোনোরকম মশারি ছাড়াই চলছে তাদের চিকিৎসা। এতে হাসপাতালে কর্তব্যরত চিকিৎসক থেকে শুরু করে ঝুঁকিতে পড়ছে অন্য রোগীরা।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য মতে, শুক্রবার (৫ জুলাই) পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে ৩২ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। তারমধ্য রাজধানীতে ১২ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছে। আর রাজধানীর বাইরে আক্রান্ত হয়েছে ২০ জন।

মুগদা মেডিকেল কলেজের ডেঙ্গু ওয়ার্ড ঘুরে দেখা যায়, এখন পর্যন্ত ডেঙ্গু রোগীর চাপ নেই। যে কয়জন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী এসেছেন তাদের সবাইকে মশারি ছাড়াই থাকতে দেখা গেছে। হাসপাতালের দায়িত্বরত চিকিৎসকরা বলছেন, রোগীদের বারবার বলা হলেও তারা মশারি ব্যবহার করছেননা। আর রোগীদের অভিযোগ, হাসপাতাল থেকে তাদের মশারি দেয় না বলে তারা ব্যবহার করছেননা। কিন্তু রোগীদের হাসপাতাল থেকে মশারি দেওয়ার বরাদ্ধ নেই।

মুগদা হাসপাতাল সূত্রে জানা যা, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে সাতজন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। চলতি বছর শুরু থেকে আজকে পর্যন্ত মোট ৩০০ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু বরণ করেছেন। তার মধ্যে এখন পর্যন্ত ৯ জন মারা গিয়েছেন। হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরেছেন ২৬৯ জন। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন ২২ জন।

খিলগাঁও মাদারটেক এলাকায় লেগুনা চালায় বশির হোসেন (২৮)। বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) বিকেলে জ্বর শরীর ব্যথা নিয়ে ভর্তি হয়েছে মুগদা হাসপাতালে। পরে  রক্তের পরীক্ষা করা শেষে জানতে পারেন ডেঙ্গু আক্রান্ত তিনি।

বার্তা২৪.কমকে বশির হোসেনের মা বলেন, বৃহস্পতিবার এখানে ডাক্তার দেখানোর পরেই ভর্তি দিয়ে দেয়। পরে পরীক্ষা শেষে জানতে পারি আমার ছেলে ডেঙ্গু আক্রান্ত। হাসপাতাল থেকে সব ধরনের ওষুধ দিলেও মশারি দেয় নাই আমাদের। তাই মশারি ছাড়াই আমরা চিকিৎসা নিচ্ছি।

ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে তিন ধরে চিকিৎসা নিচ্ছেন তারেক আজিজ। তিনি বার্তা২৪.কমকে বলেন, তিন দিন ধরে হাসপাতালে ভর্তি। জ্বর, মাথাব্যথা, ডায়রিয়ার মতো উপসর্গ ছিল তার। সাধারণ ভাইরাস জ্বর ভেবে শুরুতে বাসাতেই চিকিৎসা নিয়েছিলেন। পরে শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে ভোলা থেকে ঢাকায় এসে ডাক্তার দেখান। এখন এই হাসপাতালেই চিকিৎসা নিচ্ছেন তিনি।

মুগদা হাসপাতালের ডিউটি ডাক্তার আসমা আক্তার বার্তা২৪.কমকে বলেন, গতবারের চেয়ে চলতি বছর ডেঙ্গু রোগী কম আসছে। গতবার এসময় হাসপাতালে রোগীর চাপে আমাদের হিম শিম খেতে হয়েছে। ডেঙ্গু রোগীর চাপ বাড়লে চিকিৎসায় আমাদের প্রস্তুতি রয়েছে।

ডেঙ্গু ওয়ার্ডে রোগীদের মশারির বিষয়ে আসমা আক্তার বলেন, ভর্তি রোগী ও তাদের স্বজনদের বার বলা হচ্ছে আপনারা মশারি ব্যবহার করেন। কিন্তু তারা কিছুতেই শুনছেনা আমাদের কথা। তারা বলছে হাসপাতাল থেকে আমরা মশারি ব্যবস্থা করে দিতে। কিন্তু মশারি জন্য এখানে কোনো বরাদ্ধ নেই।

ডেঙ্গু চিকিৎসা ও আক্রান্ত নিয়ে জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডা. লেলিন চৌধুরী বার্তা২৪.কমকে বলেন, ঢাকায় বসবাসরত নাগরিকরাও মশার ব্যাপারে সচেতন নন। ঢাকার বাসা-বাড়িতে ছাদবাগান প্রথা চালু হয়েছে। বাড়ির ছাদে নানা ফুল-ফলের বাগান করা হচ্ছে। অথচ ওই সব বাগানের টবে পানি জমে এডিসের লার্ভার প্রজনন ক্ষেত্র গড়ে তোলা হয়েছে। এসব বিষয়ে নিজেদের মধ্যে সচেতনতা বাড়াতে হবে।

ডা. লেলিন চৌধুরী আরও বলেন, এডিস মশা বেড়ে যাওয়ার অন্যতম কারণ জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব। এবার জুন মাস থেকে থেমে থেমে বৃষ্টি হওয়ায় এডিস মশার বিস্তারের সম্ভাবনা রয়েছে। এবার সিটি কর্পোরেশন ও সাধারণ মানুষ যদি এডিস মশার বিরুদ্ধে সচেতন না হয় তাহলে গতবারের চেয়ে আক্রান্ত ও মৃত্যু বেশি হবে এবার।

ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর চিকিৎসা ও প্রস্তুতি নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ডেঙ্গু চিকিৎসায় এবার ব্যাপক প্রস্তুতি রয়েছে। ইতোমধ্যে রাজধানীসহ সারাদেশের হাসপাতালগুলোতে আলাদা করে ডেঙ্গু ওয়ার্ড খোলার কথা বলা হয়েছে। রাজধানীর হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসার বিষয়টি জোরালোভাবে তদারকি করা হচ্ছে।

উল্লেখ্য, গত বছর ২০২৩ সালে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে সর্বাধিক লোক আক্রান্ত ও মৃত্যুবরণ করেছে। সেসময় সারাদেশে ৩ লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন রোগী ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলো, আর মৃত্যুবরণ করেছে প্রায় এক হাজার ৭০৫ জন। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য মত গত বছর আক্রান্ত ও মৃত্যু দেশের ২৪ বছরের ডেঙ্গুর ইতিহাসের সব রেকর্ড ভেঙে গিয়েছিলো। 

;

চট্টগ্রামে শপিংমলে এসি বিস্ফোরণ, আহত ২



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
কেবিএইচ প্লাজা, ছবি: বার্তা২৪.কম

কেবিএইচ প্লাজা, ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রাম নগরীর প্রবর্তক এলাকায় কেবিএইচ প্লাজা নামে একটি শপিংমলে এসি বিস্ফোরণে দুইজন আহত হয়েছেন। এর মধ্যে একজনের পা বিছিন্ন হয়ে গেছে।

শুক্রবার (৫ জুলাই) বেলা সাড়ে ১২টার দিকে পাঁচলাইশ থানার মিমি সুপার মার্কেটের পাশে অবস্থিত ওই শপিং মলে এ ঘটনা ঘটেছে।

পা বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়া ব্যক্তির নাম মো. রেজাউল। তিনি ম্যাক্স কনস্ট্রাকশনের আইটি ডিপার্টমেন্টের কর্মকর্তা। অন্যজনের নাম গফুর।

পাঁচলাইশ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. রেজাউল করিম বলেন, কেবিএইচ প্লাজায় একটি এসি বিস্ফোরিত হয়ে দুইজন আহত হয়েছেন। আমরা দুইজনকেই চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেছি। এরমধ্যে একজনের পা বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। উনাকে তার পরিবার এভারকেয়ার হাসপাতালে নিয়ে চলে গেছেন। গফুর ওই মার্কেটেই কাজ করতেন।

গুরুতর আহত রেজাউলের খালাতো ভাই শহীদুল আলম চৌধুরী বলেন, আমার খালাতো ভাই রেজাউল মিমি সুপার মার্কেট থেকে শপিং শেষে দাঁড়িয়েছিলেন। এরপর ওখানে কিভাবে বিস্ফোরণ হয়েছে আমরা জানি না। ওর একটা পা বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। আমরা তাকে এভারকেয়ার হাসপাতালে নিয়ে এসেছি। রেজাউল ম্যাক্স কনস্ট্রাকশনের আইটি ডিপার্টমেন্টে কাজ করতেন।

;

ফের পুলিশ মহাপরিদর্শক হলেন চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ফের পুলিশ মহাপরিদর্শক হলেন চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন

ফের পুলিশ মহাপরিদর্শক হলেন চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশ পুলিশের ইন্সপেক্টর জেনারেল হিসেবে পুনরায় চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পেয়েছেন চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন।

শুক্রবার (৫ জুলাই) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের চুক্তি ও বৈদেশিক শাখার উপ-সচিব ভাস্কর দেবনাথ বাপ্পি স্বক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে তার চুক্তির মেয়াদ আরও এক বছর বাড়ানো হয়।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮ এর ৪৯ ধারা অনুযায়ী চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনকে তার পূর্বের চুক্তির ধারাবাহিকতায় ও অনুরূপ শর্তে আগামী ১২ জুলাই ২০২৪ অথবা যোগদানের তারিখ থেকে পরবর্তী ১ বছর মেয়াদে বাংলাদেশ পুলিশ-এর পুলিশ মহাপরিদর্শক পদে পুনরায় চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ প্রদান করা হলো।

এর আগে গত বছরের ৯ জানুয়ারি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে প্রথম দফায় আইজিপি হিসেবে চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের মেয়াদ দেড় বছর বাড়িয়েছিল সরকার।

চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বিসিএস ৮ম ব্যাচের কর্মকর্তা। তিনি ১৯৬৪ সালের ১২ জানুয়ারি সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলার শ্রীহাইল গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সমাজবিজ্ঞান বিষয়ে স্নাতকসহ (সম্মান) স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন।

১৯৮২ সালে বিসিএস (পুলিশ) ক্যাডারের ১৯৮৬ ব্যাচের কর্মকর্তা হিসেবে এএসপি হিসেবে পুলিশ বাহিনীতে যোগ দেন। ২০২১ সালের বছরের মে মাসে তিনি অতিরিক্ত আইজিপি পদে পদোন্নতি পান। এর আগে তিনি ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি ছিলেন।

কর্মজীবনে আবদুল্লাহ আল-মামুন পুলিশ সদর দপ্তর, মেট্রোপলিটন পুলিশ, আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন এবং বিভিন্ন জেলার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ইউনিটের দায়িত্ব পালন করেছেন। এছাড়া জাতিসংঘ শান্তি মিশনে কাজ করার মাধ্যমে তিনি বিশ্ব শান্তিরক্ষার জন্য উজ্জ্বল অবদান রেখেছেন।

কর্মক্ষেত্রে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ তিনি রাষ্ট্রপতি পুলিশ পদক (পিপিএম) পেয়েছেন। তার ২০২৩ সালের ১১ জানুয়ারি অবসরে যাওয়ার কথা ছিল।

;