বরিশালের হাসপাতালগুলোতে ৬ মাসে ৫৩ হাজার ডায়রিয়া রোগী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বরিশাল
মে থেকে ধীরে ধীরে ডেঙ্গু পরিস্থিতি জটিল হচ্ছে

মে থেকে ধীরে ধীরে ডেঙ্গু পরিস্থিতি জটিল হচ্ছে

  • Font increase
  • Font Decrease

বছরের প্রথম ৬ মাসেই ডায়রিয়াসহ নানা ধরনের পেটের পীড়া নিয়ে বরিশালের সরকারি হাসপাতালগুলোতে প্রায় ৫৩ হাজার রোগী চিকিৎসা নিয়েছেন। ইতোমধ্যে মৃত্যু হয়েছে ১ জনের।

অপরদিকে বর্ষার আসার সাথে ডেঙ্গুও হানা দিতে শুরু করেছে বরিশাল অঞ্চলে। গত একমাসে বরিশালের সরকারি হাসপাতালেই ১০৬ ডেঙ্গু রোগী ভর্তির খবর দিয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ। এনিয়ে সরকারি হাসপাতালেই প্রায় ৩৯ হাজার ডেঙ্গু রোগীর চিকিৎসার কথা জানিয়ে ২১৮ জনের মৃত্যু নিশ্চিত করেছে বিভাগীয় স্বাস্থ্য দপ্তর। মে মাসেও প্রায় দেড়শ ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হয়েছিল হাসপাতালগুলোতে।

অপরদিকে গত এপ্রিলে ১২ হাজার এবং মে মাসে সাড়ে ৮ হাজারের পরে জুন মাসেও সরকারি হাসপাতালগুলোতে প্রায় ৮ হাজার ডায়রিয়া রোগী চিকিৎসা গ্রহণ করে।

তবে একাধিক বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকসহ সাধারণ চিকিৎসকদের মতে, বরিশালে যে সংখ্যক ডায়রিয়া ও ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয় বা চিকিৎসা গ্রহণ করে, তার কয়েকগুন চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানে বাড়ীতে চিকিৎসা গ্রহণ করছে। ফলে এ অঞ্চলে ডায়রিয়া ও ডেঙ্গু রোগীর প্রকৃত সংখ্যা নির্ণয় করা সম্ভব না। তবে সব চিকিৎসকরাই পরিস্থিতি সন্তোষজনক নয় বলে জানিয়ে অবিলম্বে ডেঙ্গুর বিষয়ে বিশেষ নজরদারি সহ সুষ্ঠু কর্মপরিকল্পনা নিয়ে সিটি করপোরেশনসহ স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলোকে জরুরী পদক্ষেপ গ্রহণের তাগিদ দিয়েছেন। তা না হলে পরিস্থিতি গতবছরের চেয়েও ভয়াবহ হতে পারে বলেও শঙ্কা প্রকাশ করেছেন চিকিৎসকরা।

গত বছরও বরিশালের সরকারি হাসপাতালগুলোতে প্রায় ৭২ হাজার ডায়রিয়া রোগী চিকিৎসা নিয়েছেন, যা আগের বছর ছিল ৭৭ হাজারেরও বেশি। আর ২০২১ সালে করোনা মহামারীর সর্বোচ্চ সংক্রমনের মধ্যেও বরিশালে প্রায় ৮০ হাজার ডায়রিয়া রোগী সরকারি হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসার জন্য আসেন। চলতি বছরের প্রথম ৬ মাসেই প্রায় ৫৩ হাজার ডায়রিয়া রোগী সরকারি হাসপাতালে আসায় বছর শেষে সংখ্যাটা সাম্প্রতিক বছরগুলোর সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছাতে পারে।

এদিকে ফেব্রয়ারীর শেষ থেকে পরিস্থিতির উন্নতি হলেও মে থেকে ধীরে ধীরে ডেঙ্গু পরিস্থিতি জটিল হচ্ছে বলে মনে করছেন চিকিৎসকরা। তারা এ ব্যাপারে নজরদারিসহ জরুরি পদক্ষেপ গ্রহণেরও তাগিদ দিয়েছেন।

অপরদিকে বিশুদ্ধ পানি ও স্যনিটেশন ব্যবস্থার অনেক উন্নতির পরেও ডায়রিয়া প্রবন বরিশাল অঞ্চলে এ রোগ প্রতিরোধ সম্ভব হচ্ছে না। তবে এর পেছনে পানি ও স্যানিটেশন ব্যবস্থার চেয়ে এখন পথ খাবারের দোকানের নিম্নমানের মুখরোচক খাবারকে দায়ী করছেন চিকিৎসকরা। বরিশাল মহানগরীতে সিটি করপোরেশনের অনুমোদিত ও অননুমোদিত পথ খাবারের দোকানের সংখ্যাই এখন কয়েক হাজার। এসব দোকানের নিম্নমানের এবং বাসি ও মুখরোচক খাবার নগরবাসীর পেটের পীড়াকে ক্রমাগত বৃদ্ধি করে চললেও তা নিয়ে জনসচেতনতার অভাবের সাথে এসব খাবার বিক্রি বন্ধে নগর ভবনের কার্যকরী কোনো পদক্ষেপ নেই বলেও অভিযোগ রয়েছে।

এ সব ব্যাপারে বরিশাল বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. শ্যামল কৃষ্ণ মন্ডল বার্তা২৪.কমকে বলেন, ডায়রিয়া প্রতিরোধে জনসচেতনতা ও স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলোর নিবিড় কার্যক্রমের কোন বিকল্প নেই। এক্ষেত্রে পথ খাবারের দোকানের খাবার এড়িয়ে চলার পরামর্শ দেন এ কর্মকর্তা। পাশাপাশি ডেঙ্গুর একমাত্র বাহন এডিস মশা নিধনেও তিনি অবিলম্বে ‘জিরো টলারেন্স’ নিয়ে সবগুলো স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানকে মাঠে নামার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন। পাশাপাশি ডায়রিয়া ও ডেঙ্গুসহ যেকোন অস্বাভাবিক পরিস্থিতিতে চিকিৎসকদের পরামর্শ গ্রহণের তাগিদ দিয়েছেন তিনি।

ডায়রিয়া চিকিৎসায় বরিশালে ১ হাজার ও ৫শ এম এল-এর  প্রায় ৩০ হাজার ব্যাগ আইভি স্যালাইন ছাড়াও বিপুল সংখ্যক এ্যন্টিবায়োটিক ক্যাপসুল ও মেট্রোনিডাজল ট্যাবলেট সহ সব ধরনের চিকিৎসা সামগ্রীর মজুদের কথাও জানিয়েছেন বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক।

নীলফামারীতে দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাতে আহত ইমামের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীর সদরে ভোর বেলা আবুল হোসেন (৫০) নামে এক মক্তব শিক্ষককে গলা কেটে হত্যার চেষ্টা করেছে দুর্বৃত্তরা। এরপর রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার (৬ জুলাই) ভোর সাড়ে ৫টায় মারা যান তিনি।

গত সোমবার (১ জুলাই) ভোর সাড়ে ৫টার দিকে নীলফামারী সদর উপজেলার পলাশবাড়ীর নীলফামারী-ডোমার মহাসড়কের তরনীবাড়ী পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের সামনে এ ঘটনা ঘটে।

আবুল হোসেন সদরের অচিনতলা এলাকার মৃত সবীর উদ্দিনের ছেলে। তিনি ওই এলাকার একটি মক্তবের শিক্ষক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। পাশাপাশি তেঁতুলতলা জামে মসজিদের ইমাম ও খতিব ছিলেন।

স্বজন ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, সকালে তিনি ফজরের নামাজ শেষে সাইকেলযোগে মক্তবের দিকে যাচ্ছিলেন। নীলফামারী-ডোমার মহাসড়কের তরনীবাড়ী পল্লী বিদ্যুৎ এলাকায় পৌঁছালে অতর্কিতভাবে দুর্বৃত্তরা তার ওপর হামলা চালায়।

এ সময় পেছন থেকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে তার গলা কেটে হত্যার চেষ্টা করে দুর্বৃত্তরা। পরে তার গোঙানির শব্দে আশপাশের লোকজন ছুটে আসলে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়। এরপর তাকে উদ্ধার করে নীলফামারী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন স্থানীয়রা। সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান।

শনিবার (৬ জুলাই) সকালে কর্তব্যরত চিকিৎসক আবুল হোসেনকে মৃত ঘোষণা করেন।

ওসি আরও বলেন, এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন আছে। এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ দেখে হামলাকারীদের শনাক্তের চেষ্টা করা হচ্ছে। কি কারণে এই হামলা করা হয়েছে তা জানা যায়নি। আহত ব্যক্তি সুস্থ হওয়ার পর বা আসামিদের আটকের পর এটা বলা যাবে। মরদেহ রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রয়েছে। ময়নাতদন্তের পর মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

;

পিজিআরকে অর্পিত দায়িত্ব সুষ্ঠুভাবে পালনের নির্দেশ রাষ্ট্রপতির



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন, ছবি: সংগৃহীত

রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন, ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন প্রেসিডেন্ট গার্ড রেজিমেন্ট (পিজিআর) সদস্যদেরকে কর্তব্যপরায়ণতা, নিষ্ঠায় অটল এবং ‘চেইন অব কমান্ডে’র প্রতি আস্থাশীল থেকে তাদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব সুষ্ঠুভাবে পালনের নির্দেশ দিয়েছেন।

শনিবার (৬ জুলাই) বিশেষায়িত এই বাহিনীর ৪৯তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে ঢাকা সেনানিবাসের পিজিআর সদর দফতরের শহীদ ক্যাপ্টেন হাফিজ হলে পিজিআরের দরবারে প্রধান অতিথির ভাষণে রাষ্ট্রপতি এই নির্দেশ দেন।

তিনি বলেন, ‘মনে রাখবেন, দেশ ও জাতি যে মহান দায়িত্ব আপনাদের ওপর অর্পণ করেছে, সেই দায়িত্ব পালনে যে কোনো আত্মত্যাগ জাতির ইতিহাসে আপনাদেরকে চিরস্মরণীয় করে রাখবে।’

রাষ্ট্রপতি উল্লেখ করেন, সমসাময়িক বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে বিস্তৃত বহুমাত্রিক নিরাপত্তা, নতুন নতুন তথ্য প্রযুক্তির উদ্ভাবন ও সম্প্রসারণে প্রয়োজন অত্যাধুনিক সরঞ্জাম ও প্রশিক্ষণ।

মো. সাহাবুদ্দিন পিজিআর সদস্যদেরকে স্বাচ্ছন্দ্যের সাথে প্রশিক্ষণ গ্রহণ, শৃঙ্খলা বজায় রাখা, আত্মোন্নয়নে মনোযোগী হতে এবং সর্বোপরি সৈনিক হিসেবে নিজের শারীরিক যোগ্যতাকে সর্বদা অক্ষুন্ন রাখতেও উপদেশ দেন। পেশাগত মান ও দক্ষতাকে আরো বিকশিত ও বিশ্বমানে পৌঁছাতে বিদ্যমান প্রশিক্ষণ কর্মসূচিকে প্রয়োজনে আরো জোরদার করার পরামর্শ ও দেন রাষ্ট্রপ্রধান।

তিনি বলেন, একটি পেশাদার সেনাবাহিনীর অংশ হিসাবে সমসাময়িক বাস্তবতার পাশাপাশি অতীত ইতিহাস ও ঘটনাপ্রবাহ থেকেও পিপিআরকে আলোকিত ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে যেতে হবে।

রাষ্ট্রপতি উল্লেখ করেন, অর্থনৈতিক উন্নয়নের পাশাপাশি জাতীয় নিরাপত্তা ও রাষ্ট্রীয় অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বঙ্গবন্ধু ১৯৭৫ সালের ৫ জুলাই প্রেসিডেন্ট গার্ড রেজিমেন্ট প্রতিষ্ঠা করেন।

প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর এই দিনটি প্রতিটি গার্ডস সদস্যের কাছে একটি বিশেষ দিন উল্লেখ করে তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর হাতে গড়া পিজিআরের সদস্য হিসাবে তারা দেশ ও জনগণের কল্যাণে কাজ করছেন। তিনি আরও বলেন, ‘নিঃসন্দেহে এটি খুবই আনন্দ ও গৌরবের একটি বিষয়’।

রাষ্ট্রপতি পিজিআর সদস্যদেরকে বলেন, তাদের (পিজিআর) ওপর অর্পিত দায়িত্ব একদিকে যেমন গুরুত্বপূর্ণ অন্যদিকে তেমন গৌরবময়। বিগত বছরগুলোতে বিভিন্ন রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠান ছাড়াও অনেক দেশের অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি (ভিআইপি) বর্গের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে তারা দেশের ভাবমূর্তিকে উজ্জ্বল করেছেন।

রাষ্ট্রপতি একটি সুশৃঙ্খল, পূর্ণাঙ্গ এবং স্বতন্ত্র প্রতিষ্ঠান হিসেবে প্রেসিডেন্ট গার্ড রেজিমেন্টকে বর্তমান অবস্থানে প্রতিষ্ঠিত করার কারিগর হিসেবে প্রাক্তন সদস্যদের অবদানকে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন। তিনি বলেন, পিজিআর-এর সার্বিক উন্নয়নকে সরকার অগ্রাধিকার দেয়। ভবিষ্যতেও এই রেজিমেন্টকে আরও সুসংহত ও আধুনিক করার চেষ্টা অব্যাহত থাকবে।

সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান এবং পিজিআর কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল খালেদ কামাল ঢাকা সেনানিবাসের পিজিআর সদর দফতরের শহীদ ক্যাপ্টেন হাফিজ হলে পিজিআরের দরবারে রাষ্ট্রপতিকে অভ্যর্থনা জানান।

রাষ্ট্রপতির সংশ্লিষ্ট সচিবগণ, ঊর্ধ্বতন সামরিক-বেসামরিক কর্মকর্তাবৃন্দ ও প্রেসিডেন্ট গার্ড রেজিমেন্টের কমান্ডার অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

;

শান্তিচুক্তি সম্পন্ন হতে সময় লাগবে: ওবায়দুল কাদের



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪, মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, শান্তিচুক্তি সম্পন্ন হতে সময় লাগবে

ছবি: বার্তা২৪, মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, শান্তিচুক্তি সম্পন্ন হতে সময় লাগবে

  • Font increase
  • Font Decrease

‘ভূমির জটিল সমস্যার কারণে শান্তিচুক্তি সম্পন্ন হতে সময় লাগবে’ বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

শনিবার (৬ জুলাই) দুপুরে রাজধানীর বেইলী রোডে পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে সাত দিনব্যাপী পাহাড়ি ফল মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ সব কথা বলেন।

বাংলাদেশ বদলে গেছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, আপনারা স্বীকার করবেন কি করবেন না, আমি জানি না, কয়েকদিন আগে জনসংহতি সমিতির প্রধান নেতা সন্তু লার্মার সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে আমি এক বৈঠকে মিলিত হয়েছিলাম। তখন তাকেও আমি বলেছিলাম, দেখুন, শান্তিচুক্তি সম্পন্ন হতে সময় লাগবে। কারণ, সেখামে মূল সমস্যা হচ্ছে- ভূমি। এর সমাধান এত সহজ নয়।

এসময় উপস্থিত নেতৃবৃন্দের উদ্দেশে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, আপনারা বলুন, পার্বত্য চট্রগ্রাম বদলে গেছে। কী অপরূপ দৃশ্যায়ন উন্নয়নের! যে দিকেই যাই শুধু উন্নয়ন!

পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরাকে সম্বোধন করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ভুলে গেছেন কি না জানি না, যোগাযোগ ব্যবস্থার প্রশ্ন এলে বাংলাদেশের অন্যান্য এলাকায় যোগাযোগের ক্ষেত্রে যে উন্নয়ন হয়েছে, পার্বত্য চট্রগ্রামেও তা হয়েছে! হয়নি! এক সঙ্গে ৪২টি সেতু উদ্বোধন করেছেন শেখ হাসিনা। এটা আর কোন জেলার ভাগ্যে জুটেছে!

বান্দরবান, রাঙ্গামাটি বদলে গেছে উল্লেখ করে সেতুমন্ত্রী বলেন, আজকে আমাদের পাহাড়ি এলাকায় সীমান্ত সড়ক হচ্ছে। সেনাবাহিনী এই কাজটা করছে। শেখ হাসিনা থাকলে আপনাদের সব সমস্যার সমাধান হবে, এটা আমি বিশ্বাস করি!

ওবায়দুল কাদের বলেন, সিঙ্গাপুরের মার্কেটে যে ফল দেখি, তার চেয়েও উন্নতমানের ফল আমাদের পার্বত্য চট্টগ্রামে হয়। এরকম আম আমি সিঙ্গাপুরেও দেখিনি। আগে একমাত্র আনারসই সেখানে উৎপাদন হতো। বাইরে আসার অপেক্ষায় অনেক ফল পচে যেতো। কারণ, যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো ছিল না। যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নের ফলে এমন সুমিষ্ট ফল ঢাকায় চলে আসে। চট্টগ্রামে চলে আসে প্রতিদিন। এটা এক বিরাট সাফল্য এবং উন্নয়নের এক অভূতপূর্ব দৃশ্য, এটা স্বীকার করতে হবে।

;

হবিগঞ্জে দুই শিশুর মরদেহ নদীতে ভাসিয়ে দেয়ার ঘটনায় মামলা



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, হবিগঞ্জ
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

হবিগঞ্জের আজমিরীগঞ্জ উপজেলায় গ্রাম পঞ্চায়েত নেতাদের চাপে সমাহিত করা মৃতদেহ শ্মশান থেকে তুলে বস্তায় ভরে নদীতে ভাসিতে দেয়ার ঘটনায় ৭ জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করেছেন শিশু প্রলয়ের বাবা গোবিন্দ চন্দ্র দাস।

শুক্রবার (৫ জুলাই) বিকেলে আজমিরীগঞ্জ থানায় তিনি এ অভিযোগ দায়ের করেন। এই মামলায় অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে আরও ১০-১২ জনকে।

এর আগে গত বুধবার আজমিরীগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রে আদালত ঘটনার তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য থানার অফিসার ইনচার্জকে আদেশ দেন।

গত ২৯ জুন দুপুরে উপজেলার পাহাড়পুর গ্রামে পানিতে ডুবে মারা যায় ৭ বছরের শিশু প্রলয় ও ৬ বছরের সূর্য। স্থানীয় রীতি অনুযায়ী ওই দিন বিকেলে পাহাড়পুর শ্মশানে সন্তানের মৃতদেহ মাটি চাপা দিয়ে সমাহিত করা হয়। পরে পঞ্চায়েত নেতাদের চাপে বাধ্য হয়ে শ্মশান থেকে তাদের মৃতদেহ তুলে কোমরে দড়ি বেধে পাথর দিয়ে বস্তাবন্দী করে ভাসাতে হয় কালনী-কুশিয়ারা নদীতে।

এনিয়ে গত ১ জুলাই বার্তা২৪.কম সহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হলে জেলা জুড়ে সমালোচনার সৃষ্টি হয়। পরে আদালত স্বপ্রণোদিত হয়ে থানার ওসিকে তদন্তের নির্দেশ দেয়।

শিশু প্রলয়ের বাবা জানান, বারবার আকুতি-মিনতি করেও সন্তানের জন্য সামান্য মাটি মিলেনি। তিনি এ ঘটনায় জড়িতদের শাস্তি দাবি করেন।

পুলিশ জানায়, বাদীর অভিযোগ ও আদালতের আদেশ পর্যালোচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

;