শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে রাজধানীতে তীব্র যানজট, ভোগান্তি চরমে



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
শিক্ষার্থীদের আন্দোলন

শিক্ষার্থীদের আন্দোলন

  • Font increase
  • Font Decrease

সরকারি চাকরিতে কোটাব্যবস্থা বাতিল করে ২০১৮ সালে সরকারের জারি করা পরিপত্র পুনর্বহালের দাবিতে পাঁচ ঘণ্টা ধরে রাজধানীর শাহবাগ মোড় অবরোধ করে রেখেছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। এতে রাজধানীর বেশিরভাগ সড়কে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। ফলে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন যাত্রীরা।

বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) দুপুর ১২টা থেকে শাহবাগ মোড় অবরোধ করেন শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীদের অবস্থানের কারণে সায়েন্স ল্যাব, মিরপুর সড়ক, মতিঝিলের দিকে যাওয়ার রাস্তা বন্ধ হয়ে যায়। যান চলাচল বন্ধ থাকায় যাত্রীদের অনেকেই হেঁটে গন্তব্যস্থলের দিকে রওনা হয়। প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত তারা মোড় অবরোধ করে রেখেছেন।

এর আগে, সকাল সাড়ে ১১টায় শিক্ষার্থীরা কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে জড়ো হন। পরে মিছিল নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস্টার দ্য সূর্যসেন হল, হাজী মুহম্মদ মুহসীন হল, উপাচার্যের বাসভবন, রাজু ভাস্কর্য ঘুরে শাহবাগ এসে অবরোধ করেন শিক্ষার্থীরা।

স্বাভাবিক সময়ে মোটরসাইকেলে রাজধানীর মোহাম্মদপুর থেকে ফার্মগেট যেতে পনের মিনিটের মতো সময় লাগে। কিন্তু আজ বিকেল ৩টার দিকে এই পথ যেতে দেড় ঘণ্টার মতো সময় লাগার কথা জানালেন এক ভুক্তভোগী। রাজধানীর অন্যান্য অংশের অবস্থাও একই রকম বলে কয়েকজন ভুক্তভোগী জানান। অবশ্য মোটরসাইকেল আরোহীদের চেয়ে বাসের যাত্রীদের ভোগান্তি বেশি হচ্ছে।

হলিক্রস কলেজের শিক্ষার্থী অনামিকা বলেন, পরীক্ষা শেষে হল থেকে বের হয়ে দেখি রাস্তায় তীব্র যানজট। ইচ্ছে ছিল দ্রুত বাসায় গিয়ে রেস্ট নেবো। যানজটের কারণে সেটা হচ্ছে না।

আরেক শিক্ষার্থীর অভিভাবক রাকিব হাসান বলেন, সকাল থেকে প্রচণ্ড যানজট শুরু হয়েছে। হয়তো শাহবাগের প্রভাবে যানজট সারা রাজধানীতে ছড়িয়ে পড়েছে। প্রতিদিন এত যানজট আমাদের স্বাভাবিক জীবনযাত্রায় ভোগান্তি বাড়াচ্ছে।

কাওরানবাজারে বিকল্প পরিবহনের বাসচালক বাবু বলেন, কয়েক দিন ধরে শাহবাগ আন্দোলনের কারণে রাস্তায় জ্যাম বাড়ছে। এতে যাত্রীদের ভোগান্তির পাশাপাশি আমাদের আয় কম হচ্ছে। ঘণ্টার পর ঘণ্টা জ্যামে থাকতে হয়। অনেক যাত্রী পায়ে হেঁটেই চলে যাচ্ছেন।

আন্দোলনে অংশ নেওয়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী সালমান বলেন, আমরা দাবি আদায়ের আগ পর্যন্ত রাজপথ ছাড়ব না। সারাদেশের ছাত্রসমাজ আজ জেগে উঠেছে। শাহবাগ, সাইন্সল্যাব রোড এবং মেট্রোরেল বন্ধ করতে পারলে এই আন্দোলন সফল হবে।

জানা যায়, পবিত্র ঈদুল আজহার আগে ৫ জুন সরকারি দফতর, স্বায়ত্তশাসিত ও আধা স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান এবং বিভিন্ন করপোরেশনের চাকরিতে সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে (৯ম থেকে ১৩তম গ্রেড) মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিলের পরিপত্র অবৈধ ঘোষণা করে রায় দেন উচ্চ আদালত। ওই দিন থেকেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বিপুলসংখ্যক শিক্ষার্থী আন্দোলনে নামেন। এ অবস্থায় আদালতের ওই রায় স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষ আপিল বিভাগে আবেদন করে। আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে আবেদনটির ওপর শুনানির জন্য ৪ জুলাই দিন নির্ধারণ করা হয়।

সাম্প্রতিক কোটা সংস্কার আন্দোলনের অন্যতম সংগঠক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী নাহিদ ইসলাম বলেন, তাদের দাবি মূলত তিনটি ২০১৮ সালের পরিপত্র বহাল সাপেক্ষে কমিশন গঠন করে সব গ্রেডে সর্বোচ্চ ১০ শতাংশ কোটা রেখে কোটা পুনর্বণ্টন বা সংস্কার; চাকরির পরীক্ষায় কোটাসুবিধা একাধিকবার ব্যবহারের সুযোগ বন্ধ করা ও কোটায় যোগ্য প্রার্থী না পাওয়া গেলে শূন্য পদগুলোতে মেধা অনুযায়ী নিয়োগ দেওয়া এবং দুর্নীতিমুক্ত, নিরপেক্ষ ও মেধাভিত্তিক আমলাতন্ত্র নিশ্চিত করতে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া।

২০১৮ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশে সরকারি চাকরিতে মোট ৫৬ শতাংশ কোটা প্রচলিত ছিল। ওই বছর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কোটা সংস্কারের দাবিতে বিক্ষোভ শুরু হয়। সে সময় বিক্ষোভরত শিক্ষার্থীরা তাদের আন্দোলনে ছাত্রলীগসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হামলার অভিযোগ করেন।

ওই বছরের ৪ অক্টোবর কোটা বাতিলবিষয়ক পরিপত্র জারি করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। পরে ২০২১ সালে সেই পরিপত্রের মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিলের অংশটিকে চ্যালেঞ্জ করে কয়েকজন বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান রিট করেন।

তিস্তায় পানি বৃদ্ধিতে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত



মনিরুজ্জামান মুন ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, লালমনিরহাট
পানিতে তলিয়ে গেছে ঘরবাড়ি ও রাস্তাঘাট

পানিতে তলিয়ে গেছে ঘরবাড়ি ও রাস্তাঘাট

  • Font increase
  • Font Decrease

ভারী বৃষ্টিপাত ও উজানের ঢলে তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে নদীর পানি বিপৎসীমা ১৩ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে তিস্তা ও ধরলা নদীর তীরবর্তী এলাকা ঘরবাড়ি ও রাস্তাঘাট পানিতে তলিয়ে গেছে। হুমকির মুখে রয়েছে তিস্তার বাঁধ। এতে জেলার ৫ উপজেলায় পানি বন্দি হয়ে পড়েছে প্রায় ৫ হাজার পরিবার। নতুন নতুন এলাকায় পানি প্রবেশ করছে।

রোববার  (৭ জুলাই ) সকাল ৯ টায় তিস্তা ব্যারাজের পয়েন্টে তিস্তার পানিপ্রবাহ রেকর্ড করা হয়েছে ৫২দশমিক ০২ সেন্টিমিটার, যা বিপৎসীমা ১৩ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। (স্বাভাবিক ৫২ দশমিক ১৫ সেন্টিমিটার)। এর আগে  সকাল ৬ টায় তিস্তার পানি ১২ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়। 

অপরদিকে ধরলা নদীর শিমুলবাড়ি পয়েন্টে বিপৎসীমা ১৬ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

বসতবাড়ি ও রাস্তাঘাট পানি নিচে

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, তিস্তা ও ধরলার নদীর পানি বৃদ্ধিতে লালমনিরহাটের পাঁচ উপজেলার নদী তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল ও চরের বসতবাড়ি ও রাস্তাঘাট পানি নিচে তলিয়ে গিয়ে ভোগান্তিতে পড়েছে নদী পাড়ের মানুষ। পাশাপাশি গবাদি পশু হাঁস মুরগি নিয়ে বিপদে পড়ছেন।  এতে ৫ হাজার পরিবার পানি বন্দী হয়ে পড়ছে। পরিবারগুলো কলার ভেলা ও নৌকায় করে চলাচল করছে। অনেকে রান্না করতে না পেরে শুকনা খাবার খেয়ে দিন পার করছেন। 

হাতীবান্ধা উপজেলার প্রকল্প ও বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মাইদুল ইসলাম বলেন,উপজেলার গড্ডিমারী ইউনিয়নের তিস্তা কলোনী বাঁধ ও বড়খাতা ও হাতীবান্ধা বাইপাস সড়কের যে ধস শুরু হয়েছে। তা দ্রুত মেরামতের জন্য কাজ চলছে। 

হাতীবান্ধা উপজেলায় পাটিকাপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মজিবুল আলম সাদাত  বার্তা২৪.কমকে বলেন, অত্র ইউনিয়নের পাঁচ শতাধিক মানুষ পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়ছে। পাশাপাশি দেখা দিয়েছে নদী ভাঙ্গন। 

পাউবো লালমনিরহাটের  নির্বাহী প্রকৌশলী সুনীল কুমার বলেন,  আগামী ২৪ ঘণ্টা এই অঞ্চলের নদ নদীর পানি বাড়তে পারে। ফলে নিচু এলাকা প্লাবিত হবে। ধস এলাকায় জরুরি জিও ব্যাগ ফেলা হচ্ছে। আমরা সার্বক্ষণিক খোঁজখবর রাখছি।

লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ উল্যাহ বার্তা২৪.কমকে বলেন,পানিবন্দি মানুষের তালিকা চেয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসারদের নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে।                                                                                                                                                                                                                                                                                               

;

রাজধানীতে মাদকবিরোধী অভিযানে গ্রেফতার ১৯



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম
ছবি: ডিএমপি

ছবি: ডিএমপি

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় মাদকবিরোধী অভিযান চালিয়ে ১৯ জনকে আটক করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) অপরাধ ও গোয়েন্দা বিভাগ। মাদক বিক্রি ও সেবনের অভিযোগে তাদের আটক করা হয়েছে বলে জানানো হয়েছে।

শনিবার (০৬ জুলাই) সকাল ছয়টা থেকে রোববার (৭ জুলাই) সকাল ছয়টা পর্যন্ত রাজধানীর বিভিন্ন থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে মাদকদ্রব্য উদ্ধারসহ তাদেরকে আটক করা হয়।

এ সময় তাদের কাছ থেকে থেকে ২৮১ পিস ইয়াবা, ৩০ গ্রাম হেরোইন ও ২ কেজি ৫০০ গ্রাম ১৫০ পুরিয়া গাঁজা উদ্ধার করা হয়েছে বলে জা‌নিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) অপরাধ ও গোয়েন্দা বিভাগ।

ডিএমপির নিয়মিত মাদকবিরোধী অভিযানের অংশ হিসেবে এ অ‌ভিযান প‌রিচালনা করা হয়েছে বলে জানানো হয়। সেই সঙ্গে আটককৃতদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে,  ১৪ টি মামলা রুজু হয়েছে বলেও জানানো হয়।

;

সাতক্ষীরায় বিরিয়ানি খেয়ে হাসপাতালে ১২০ জন



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম, সাতক্ষীরা
ঢাকা নবাব বিরিয়ানি হাউসের বিরিয়ানি খান সবাই

ঢাকা নবাব বিরিয়ানি হাউসের বিরিয়ানি খান সবাই

  • Font increase
  • Font Decrease

সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার জালালাবাদ ইউনিয়নের চাষী সম্মেলনের বিরিয়ানি খেয়ে অসুস্থ হয়েছেন শতাধিক মানুষ। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়েছেন ৮০ জন, ভর্তি ৩০ জন। এ বিরিয়ানি ঢাকা নবাব বিরিয়ানি হাউস থেকে আনানো হয়েছিল।

জানা গেছে, অনুষ্ঠান শেষে চাষীদের বিরিয়ানি দেয়া হয়। খাবার নষ্ট থাকায় যারা খেয়েছেন সবারই বমি, পেটে ব্যথা, পাতলা পায়খানা শুরু হয়।

জালালাবাদের ইউপি সদস্য আফতাবুজ্জামান জানান, কলারোয়া উপজেলার চৌরাস্তা মোড়ের ঢাকা নবাব বিরিয়ানি হাউস থেকে ১২০ প্যাকেট খাওয়ার অর্ডার করা হয়। বিরিয়ানি নিয়ে অনুষ্ঠানের শেষে সকলের মধ্যে বিতরণ করা হয়। সন্ধ্যার পর থেকে একের পর এক ফোন আসতে থাকে বমি পেটে ব্যথা এবং পাতলা পায়খানা হচ্ছে।

কলারোয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক শফিকুল ইসলাম জানান, চিকিৎসা সেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছেন তারা। তাদের ফুড পয়জনিং হয়েছে বলেও ধারণা করেন এই ডাক্তার।

;

কোটার বিরুদ্ধে দেশব্যাপি পালিত হবে ‘বাংলা ব্লকেড’ কর্মসূচি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম
কোটা পদ্ধতি বাতিলে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা

কোটা পদ্ধতি বাতিলে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা

  • Font increase
  • Font Decrease

হাইকোর্ট কর্তৃক প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির সরকারি চাকরিতে ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটাসহ ৫৬ শতাংশ কোটা পুনর্বহালের আদেশের বিরুদ্ধে এবং ২০১৮ সালের পরিপত্র পুনর্বহালের দাবিতে রোববার (৭ জুলাই) সারাদেশে ‘বাংলা ব্লকেড’ কর্মসূচি পালন করবেন কোটা পদ্ধতি বাতিলে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। 

রোববার বিকেল ৩টায় সারাদেশের সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ‘ব্লকেড’ কর্মসূচি শুরু হবে বলে জানিয়েছে কোটা আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম। শনিবার (৬ জুলাই) বিকেলে শাহবাগ মোড়ে ‘বাংলা ব্লকড’ কর্মসূচির ঘোষণা দেন তিনি।

নাহিদ ইসলাম বলেন, সরকার ভেবেছে আমরা এক-দুইদিন আন্দোলন করব এবং একদিন ক্লান্ত হয়ে যাব। আমরা এখন পর্যন্ত শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করে যাচ্ছি। আমাদেরকে যদি বাধ্য করা হয় আমরা প্রয়োজনে সারাদেশে হরতালের মতো কর্মসূচি দিতে বাধ্য হব। আজকের ছাত্র সমাজকে আদালতের মুখোমুখি করা হচ্ছে, এ দায় নির্বাহী বিভাগ এড়াতে পারে না।

বিশ্ববিদ্যালয়ের হলে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে যেতে বাধাদানের কারণে ছাত্রলীগের প্রতি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে নাহিদ বলেন, আমরা কিন্তু হলের তালা ভাঙতে জানি। শিক্ষার্থীদের যদি বাধা দেওয়া হয় এর জবাব আপনাদের দিতে হবে। যদি আমরা চাকরি না পাই তাহলে আপনাদেরও চাকরি থাকবে না।

তিনি আরও বলেন, আমরা শুধু শাহবাগে বসে থাকব না। আগামীকাল বিকেল ৩টা থেকে ‘বাংলা ব্লকেড’ কর্মসূচি ঘোষণা করা হলো। আগামীকাল ঢাকা শহরের শাহবাগ, নীলক্ষেত, মতিঝিল, চানখারপুল, সায়েন্সল্যাবসহ প্রতিটি পয়েন্টে শিক্ষার্থীরা নেমে আসবেন এবং বাংলা ব্লকেড কর্মসূচি সফল করবেন। ঢাকার বাইরে শিক্ষার্থীরা সব মহাসড়কগুলো অবরোধ করবেন। 

নাহিদ ইসলাম আরও বলেন, আমরা নির্বাহী বিভাগের কাছে জানতে চাই ২০১৮ সালের পরিপত্র কেন বাতিল করা হলো? শিক্ষকদের আন্দোলন কিন্তু বন্ধ হয়ে যাবে, আমাদের আন্দোলন বন্ধ হবে না। এরইমধ্যে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা ক্লাস পরীক্ষা বর্জন করে আমাদের সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করেছে। আমাদের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমরা ক্লাসে ফিরে যাব না। 

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে কেন্দ্রীয় লাইব্রেরি ও সায়েন্স লাইব্রেরি খুলে দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, আপনারা যদি না খোলেন তাহলে আমরা নিজ দায়িত্বে খুলে নিতে বাধ্য হব।

প্রসঙ্গত, সরকারি চাকরিতে কোটা পুনর্বহালের বিরুদ্ধে ও চার দফা দাবিতে দেশব্যাপি আন্দোলন তীব্র হচ্ছে। টানা চতুর্থদিনের মতো রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ সড়ক শাহবাগ মোড় অবরোধ করেছে শিক্ষার্থীরা। একই দাবিতে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সড়ক, মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে আন্দোলনকারীরা। 

এর আগে বিচার বিভাগ ও শিক্ষার্থীদের মুখোমুখি দাঁড় করানোর হটকারী সিদ্ধান্ত থেকে সরকারকে সরে আসার আহ্বান জানান আন্দোলনকারীরা। বলেন, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে। অন্যথায় হরতালের মতো কর্মসূচি দেয়ারও হুঁশিয়ারি দেয়া হয়েছে।

;