পাঁচ বছরেও কার্যক্রম শুরু হয়নি ময়মনসিংহ অর্থনৈতিক অঞ্চলের



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম, ময়মনসিংহ
ময়মনসিংহ অর্থনৈতিক অঞ্চলের জন্য নির্ধারিত স্থান/ছবি: বার্তা২৪.কম

ময়মনসিংহ অর্থনৈতিক অঞ্চলের জন্য নির্ধারিত স্থান/ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ভিত্তি স্থাপনের পাঁচ বছর পেরিয়ে গেলেও ময়মনসিংহ অর্থনৈতিক অঞ্চল বাস্তবায়নের দৃশ্যমান কোনো অগ্রগতি হয়নি। জেলার ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার রাজীবপুর ও উচাখিলা ইউনিয়নে ব্রহ্মপুত্র নদের তীরে বিশাল চরাঞ্চলে এই অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলার প্রস্তাবনা ছিল।

জানা যায়, ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার চরাঞ্চলে অর্থনৈতিক অঞ্চলটির অবস্থান হলেও ব্রহ্মপুত্র নদটি ত্রিশাল উপজেলা সীমানায় থাকায় এর কিছু অংশ ত্রিশাল সীমানায় রয়েছে। আর ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে ত্রিশাল উপজেলা হয়ে ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার এই অর্থনৈতিক অঞ্চলে যেতে সহজ যাতায়ত এবং ঢাকার সাথে অন্তত ৩০কিলোমিটার দূরত্ব কমে আসবে। এর ফলে দুই উপজেলার মানুষ অর্থনৈতিক অঞ্চলটিকে ঘিরে নতুন স্বপ্ন দেখছিলেন। কিন্তু তা বাস্তবায়নে অগ্রগতি না থাকায় স্থানীয় বাসিন্দারা হতাশ হচ্ছেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বিনিয়োগ আকর্ষণ, কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি ও রপ্তানি আয় বৃদ্ধির লক্ষ্য নিয়ে ২০১৬ সালের এপ্রিলে সরকারি সংস্থা বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা) নতুন করে ৯টি অর্থনৈতিক অঞ্চলের স্থান চূড়ান্ত করে। এর মধ্যে সরকারিভাবে পাঁচটি ও বেসরকারি উদ্যোগে বাকি চারটি বাস্তবায়ন হওয়ার কথা। এই ৯টির একটি ময়মনসিংহ অর্থনৈতিক অঞ্চল, যেটি সরকারি উদ্যোগে নেওয়া হয়েছিল। ২০১৮ সালের ২ নভেম্বর ময়মনসিংহের সার্কিট হাউস ময়দানে আয়োজিত এক জনসভায় যোগ দেওয়ার আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১০৩টি উন্নয়ন প্রকল্প উদ্বোধন করেন। এর মধ্যে ময়মনিসংহ অর্থনৈতিক অঞ্চলের নামফলক উদ্ধোধন করেছিলেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ময়মনসিংহ অর্থনৈতিক অঞ্চলের জন্য ২০১৬ সালের ১৬ মে ৪৮৭ দশমিক ৭৭ একর জমি নেওয়ার প্রস্তাব করা হয়। এর মধ্যে ৪৫৪ দশমিক ৮৪ একর বন্দোবস্ত ও ৩২ দশমিক ৯৩ একর অধিগ্রহণ করার কথা। ২০১৭ সালের ৯ আগস্ট ভূমি মন্ত্রণালয় বেজার অনুকূলে সেই জমি বন্দোবস্ত করে দিতে ও প্রয়োজনী কিছু তথ্য চেয়ে জেলা প্রশাসককে চিঠি দেয়। একই মাসে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের (বেজা) ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ প্রকল্পটির স্থান পরিদর্শন করে।

তারা কিছু জমি ব্রহ্মপুত্র নদে বিলীন হয়ে যাওয়ায় নতুন করে প্রস্তাব পাঠানোর নির্দেশ দেয়। পরে ওই বছরের ২৪ অক্টোবর ৪৯২ দশমিক ৩৬ একর জমি নিয়ে নতুন করে প্রস্তাব পাঠানো হয়। কিন্তু ভূমি মন্ত্রণালয়ের অধিশাখা-২ থেকে ২০২০ সালের ১ মার্চ পাঠানো এক চিঠিতে জানানো হয়, ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার চররামমোহন মৌজায় ১ নম্বর খাস খতিয়ানভুক্ত বিভিন্ন দাগের ৪২৩ দশমিক ৬১ একর খাস জমি ময়মনসিংহ অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপনের জন্য দীর্ঘ মেয়াদে বন্দোবস্ত দেওয়ার জন্য প্রস্তাব পাঠানো হলেও প্রস্তাবিত জমি নিয়ে মামলা চলছে। তাই বন্দোবস্ত দেওয়ার আইনগত সুযোগ নেই।

পরে ২০২০ সালের ৩০ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে নতুন একটি চিঠি দেওয়া হয়। তাতে মামলার কারণে জমি বন্দোবস্ত দেওয়ার সুযোগ না থাকায় ২০০ একর জমি নিয়ে বিকল্প প্রস্তাব জমা দিতে বলা হয়। সে অনুযায়ী ২০২২ সালের ৫ জুন তৎকালীন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) বিকল্প হিসেবে ২০০ একর জমির প্রস্তাব জেলা প্রশাসনের কাছে জমা দেন। তারপর অর্থনৈতিক অঞ্চলের জন্য নির্বাচিত স্থানে ব্র‏হ্মপুত্র নদ খনন করে বালু ফেলে উঁচু করা হয়েছে। এর বাইরে দৃশ্যমান আর কোনো অগ্রগতি নেই। বর্তমানে এখানে কোনো কার্যক্রম নেই।

উচাখিলা গ্রামের বাসিন্দা আমিনুল ইসলাম বলেন, এখানে ইপিজেড হলে ব্রহ্মপুত্র নদের দুই পারের মানুষের জীবন পাল্টে যেত। মানুষের কর্মসংস্থান হলে বেকারত্ব কমতো এবং জীবনমান আরো উন্নত হতো। আমরা প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণার দ্রুত বাস্তবায়ন চাচ্ছি।

ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. ইকবাইল হোসাইন বলেন, অর্থনৈতিক অঞ্চলের জন্য ২শ একর জমির বন্দোবস্তের যে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। সে অনুযায়ী অধিগ্রহণ করতে এখনো কোনো নির্দেশনা আসেনি। মন্ত্রণালয় থেকে নিদের্শনা আসলে আমরা সে অনুযায়ী পদক্ষেপ নেব।

ময়মনসিংহ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সহ-সভাপতি শংকর সাহা বলেন, ‘অর্থনৈতিক অঞ্চলটি ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের মধ্যেই সীমাবদ্ধ রয়ে গেছে। আমরা বার বার এই অর্থনৈতিক অঞ্চল বাস্তবায়নের জন্য চেম্বারের পক্ষ থেকে চেষ্টা করেছি। কিন্তু অগ্রগতি হয়নি। এটি বাস্তবায়ন হলে শিল্পায়নের পাশাপাশি বহু মানুষের কর্মসংস্থান হতো। অর্থনৈতিকভাবে ময়মনসিংহ জেলার গুরুত্ব আরো বাড়তো। আমরা চাই দ্রুত এটি বাস্তবায়ন হোক।

ত্রিশাল উপজেলা নির্বাহী অফিসার জুয়েল আহমেদ জানান, ময়মনসিংহ অর্থনৈতিক অঞ্চল নিয়ে নতুন কোনো তথ্য নেই। এখানে অর্থনৈতিক অঞ্চল হলে ত্রিশাল থেকে ঈশ্বরগঞ্জ যোগাযোগ সহজ হবে। এখানকার মানুষের জীবন মান উন্নত হবে।

ময়মনসিংহের জেলা প্রশাসক দিদারে আলম মোহাম্মদ মাকসুদ চৌধুরী বলেন, ময়মনসিংহ অর্থনৈতিক অঞ্চল নিয়ে নতুন কোনো অগ্রগতি নেই। জায়গাটি মাটি ভরাট করে রাখা আছে। নতুন কোনো নির্দেশনা পেলে সে অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

ভাঙনরোধে নিজেদের অর্থেই বস্তা ফেলছে স্থানীয়রা



সোহেল মিয়া, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রাজবাড়ী
নদী ভাঙন থেকে রক্ষা পেতে নারী, পুরুষ, শিশু একসাথে নদীতে বস্তা ফেলার কাজ করছে। ছবি: বার্তা ২৪

নদী ভাঙন থেকে রক্ষা পেতে নারী, পুরুষ, শিশু একসাথে নদীতে বস্তা ফেলার কাজ করছে। ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

নদী ভাঙন থেকে রক্ষা পেতে কোন উপায়ন্তর না পেয়ে নিজেদের অর্থ দিয়ে নিজেরাই বালু ভর্তি প্লাস্টিকের বস্তা ফেলছেন নদী ভাঙনের শিকার রাজবাড়ীর গোয়ালন্দের দৌলতদিয়া ৬নং ফেরি ঘাট সংলগ্ন সাত্তার মেম্বার পাড়ার বাসিন্দারা।

৬ নম্বর ঘাটে ভাঙন কবলিত ভুক্তভোগী নারী, পুরুষ ও শিশুরা বালু মাথায় করে নিয়ে নদীর পাশে প্লাষ্টিকের পাতলা বস্তায় ভরে তারা ভাঙনরোধে কাজ করছেন। এসময় তারা বিভিন্ন ক্ষোভ প্রকাশ করেন।

সাত্তার মেম্বার পাড়ায় ভাঙন স্থানে দাঁড়িয়ে ষাটোর্ধ্ব মো. ছিদ্দিক পাল ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, 'সরকারি লোকজন তো কোনো ব্যবস্থাই নিলোই না, এহন আমরা নিজেরাই বালু ও প্লাষ্টিকের বস্তা কিনে তাতে বালু ভরে ভাঙন স্থানে ফেলতেছি। মনের শান্তি মেটাতেই এ কাজ করছি। তাছাড়া তো আমাগেরে আর কোন উপায় নাই।'

তিনি আরও বলেন, 'ভাঙন ঠেকাতে আমরা বস্তা ফেলেতেছি না, খালি নদীর ঢেউ যেন একটু কম লাগে সেজন্য আমরা ভাঙন কবলিত স্থানে এলাকাবাসীরা মিলে আপাতত আড়াই'শ বস্থা ফেলছি। আমরা সরকারের সুদৃষ্টি কামনা করছি।'

এসময় ৬ নম্বর ঘাটের মুদি দোকানদার বারেক মৃধা বলেন, 'গত এক সপ্তাহে প্রায় ৫০ মিটারের উপরে বসতভিটা নদীগর্ভে গেছে। সরকারি কর্মকর্তারা যদি আগেই কিছু জিও ব্যাগ ফেলতো তাহলে আজ আমার দোকানডা ভাঙনের কবলে পড়তো না। সব আমাদের কপাল, কি আর বলবো। এজন্য নিজেরাই টাকা দিয়ে পাতলা বস্তায় বালু ভরে ফেলতেছি।'

ভুক্তভোগী সরোয়ার হোসেন মোল্লা বলেন, 'চেয়ারম্যান, মেম্বারা শুধু ভোটের সময় এসে প্রতিশ্রুতি দেয়, আর কোন খবর থাহেনা। এবার ভাঙন দেহার জন সবাই আসতেছে কিন্তু কোন পদক্ষেপ নাই।'

ভুক্তভোগী আমেনা বেগম কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, 'পরিবারের পাঁচ সদস্য নিয়ে সুখেই ছিলাম। কিন্তু নদী আমার স্বপ্ন নিয়ে গেছে। সরকার শুকনো সময় কুনু বস্তা ফেলেনা, বন্যা আসলি সব ভেঙে গাঙ্গে নিয়ে যায়। আমার ঘর পর্যন্ত ভাঙ্গা চলি আইছে। এহন কই যাই, কি করমু চিন্তায় পড়ছি।'

বিআইডব্লিউটিএর নির্বাহী প্রকৌশলী নেপাল চন্দ্র দেবনাথ বলেন, 'দৌলতদিয়ায় যে ৭টি ঘাট রয়েছে তার আশেপাশে ভাঙন দেখা দিলে সেটা আমরা জিওব্যাগ দিয়ে রক্ষা করতে চেষ্টা করি। তাছাড়া প্রতিবছরে তীব্র ভাঙনে রক্ষা করতে পানি উন্নয়ন বোর্ড কাজ করে থাকে। ঘাট রক্ষায় যে কাজগুলো লাগবে সেটাই বিআইডব্লিউটিএ করে থাকে। আমরা ঘাট এলাকা পরিদর্শন করে এসেছি। ভাঙন কবলিত স্থান, ঘাট রক্ষার জন্য কিছু করতে হলে আমরা তা করবো।'

গোয়ালন্দ উপজেলা নির্বাহী অফিসার জ্যোতি বিকাশ চন্দ্র বলেন, '৬ নম্বর ঘাটের সাত্তার মেম্বার পাড়া যে ভাঙন দেখা দিয়েছি সেটার ব্যাপারে আমি ইতিমধ্যে জেলা প্রশাসক মহোদয়কে জানিয়েছি। এ ব্যাপারে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ দ্রুত ব্যবস্থা নেবে।

;

নোয়াখালীতে বৃদ্ধকে জবাই করে হত্যা



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নোয়াখালী
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

নোয়াখালীর সুবর্ণচরে এক বৃদ্ধকে জবাই করে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। তার বয়স আনুমানিক ৬৭ বছর। তবে পুলিশ ও নিহতের স্বজনেরা তাৎক্ষণিক হত্যাকাণ্ডের কোনো কারণ জানাতে পারেনি।

নিহত আব্দুল খালেক ওরফে খাজা মিয়া উপজেলার চরজব্বর ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের চর রশিদ গ্রামের খালেক মিয়ার বাড়ির মৃত আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে। তিনি ৫ সন্তানের জনক ছিলেন।

রোববার (৭ জুলাই) সকাল ১০টার দিকে উপজেলার চরজব্বর ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের চর রশিদ গ্রামের নিহতের নিজ বাড়ির সামনে থেকে পুলিশ এ মরদেহ উদ্ধার করে। এর আগে, শনিবার দিবাগত গভীর রাতে এই ঘটনা ঘটে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বৃদ্ধ খাজা মিয়া এক সময়ে স্থানীয় বাজারের চা দোকানদার ছিল। স্ত্রী কমলা বেগমসহ নিজ বাড়িতে একা বসবাস করেন। গতকাল শনিবার রাত ৯টার দিকে তিনি স্থানীয় কাঞ্চন বাজার থেকে প্রতিবেশী আরেক লোকের সাথে বাড়ি ফিরেন। কিন্তু বাজার থেকে তিনি আর ঘরে আসেননি। রোববার সকালে তার স্ত্রী ফজর নামাজ পড়তে উঠে স্বামীকে দেখতে না পেয়ে খোঁজাখুজি শুরু করেন। একপর্যায়ে সকাল ৬টার দিকে নিজ বাড়ির সামনে স্বামী খাজা মিয়ার গলা কাটা মরদেহ পড়ে থাকতে দেখেন।

নিহতের মেজো ছেলে মো.ছিদ্দিক উল্যাহ বলেন, বাবা খুবই সহজ সরল লোক ছিলেন। তার সাথে কারো বিরোধ ছিলনা। কে বা কারা তাকে নৃশংসভাবে হত্যা করেছে। এখন পর্যন্ত হত্যার কোনো কারণ তাদের জানা নেই।

চরজব্বর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কাওসার আলম ভূঁইয়া বলেন, বৃদ্ধকে জবাই করে হত্যা করা হয়েছে। তবে শরীর থেকে মাথা আলাদা হয়নি। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে রয়েছে। মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হবে। এখনো নিহতের স্বজনেরা কোনো অভিযোগ করেনি। তবে হত্যার কারণ সম্পর্কে কিছুই জানা যায়নি। পুলিশ ক্লু-লেস এ হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটনে চেষ্টা চালাচ্ছে।

;

শায়েস্তাগঞ্জে পিকআপ-অটোরিকশা সংঘর্ষে নারী নিহত



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, হবিগঞ্জ
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলায় পিকআপ-অটোরিকশা মুখোমুখি সংঘর্ষে মিতু আক্তার (২৫) এক নারী নিহত হয়েছেন। এঘটনায় আরও চারজন আহত হয়েছেন।

শনিবার (৬ জুলাই) রাত সাড়ে ১০টার দিকে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের উপজেলার নুরপুর ইউনিয়নের সুরাবই নামক স্থানে দুর্ঘটনাটি ঘটে।

নিহত মিতু আক্তার মাধবপুর উপজেলার বাঘাসুরা ইউনিয়নের বাখরপুর গ্রামের স্বপন মিয়ার স্ত্রী।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মাধবপুর উপজেলার বাখরনগর গ্রামের স্বপন মিয়ার অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী মিতুকে চিকিৎসার জন্য হবিগঞ্জ জেলা শহরে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যান। রাতে অটোরিকশা যোগে বাড়ি ফিরছিলেন। পথিমধ্যে উল্লেখিত স্থানে পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি পিকআপ ভ্যানের সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই ওই নারীর মৃত্যু হয়। গুরুতর আহত ৩ জনকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।

শায়েস্তাগঞ্জ হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তৈমুর ইসলাম ঘটনা সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, দুর্ঘটনায় এক নারী নিহত হয়েছেন।

;

তিস্তায় পানি বৃদ্ধিতে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত



মনিরুজ্জামান মুন ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, লালমনিরহাট
পানিতে তলিয়ে গেছে ঘরবাড়ি ও রাস্তাঘাট

পানিতে তলিয়ে গেছে ঘরবাড়ি ও রাস্তাঘাট

  • Font increase
  • Font Decrease

ভারী বৃষ্টিপাত ও উজানের ঢলে তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে নদীর পানি বিপৎসীমা ১৩ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে তিস্তা ও ধরলা নদীর তীরবর্তী এলাকা ঘরবাড়ি ও রাস্তাঘাট পানিতে তলিয়ে গেছে। হুমকির মুখে রয়েছে তিস্তার বাঁধ। এতে জেলার ৫ উপজেলায় পানি বন্দি হয়ে পড়েছে প্রায় ৫ হাজার পরিবার। নতুন নতুন এলাকায় পানি প্রবেশ করছে।

রোববার  (৭ জুলাই ) সকাল ৯ টায় তিস্তা ব্যারাজের পয়েন্টে তিস্তার পানিপ্রবাহ রেকর্ড করা হয়েছে ৫২দশমিক ০২ সেন্টিমিটার, যা বিপৎসীমা ১৩ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। (স্বাভাবিক ৫২ দশমিক ১৫ সেন্টিমিটার)। এর আগে  সকাল ৬ টায় তিস্তার পানি ১২ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়। 

অপরদিকে ধরলা নদীর শিমুলবাড়ি পয়েন্টে বিপৎসীমা ১৬ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

বসতবাড়ি ও রাস্তাঘাট পানি নিচে

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, তিস্তা ও ধরলার নদীর পানি বৃদ্ধিতে লালমনিরহাটের পাঁচ উপজেলার নদী তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল ও চরের বসতবাড়ি ও রাস্তাঘাট পানি নিচে তলিয়ে গিয়ে ভোগান্তিতে পড়েছে নদী পাড়ের মানুষ। পাশাপাশি গবাদি পশু হাঁস মুরগি নিয়ে বিপদে পড়ছেন।  এতে ৫ হাজার পরিবার পানি বন্দী হয়ে পড়ছে। পরিবারগুলো কলার ভেলা ও নৌকায় করে চলাচল করছে। অনেকে রান্না করতে না পেরে শুকনা খাবার খেয়ে দিন পার করছেন। 

হাতীবান্ধা উপজেলার প্রকল্প ও বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মাইদুল ইসলাম বলেন,উপজেলার গড্ডিমারী ইউনিয়নের তিস্তা কলোনী বাঁধ ও বড়খাতা ও হাতীবান্ধা বাইপাস সড়কের যে ধস শুরু হয়েছে। তা দ্রুত মেরামতের জন্য কাজ চলছে। 

হাতীবান্ধা উপজেলায় পাটিকাপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মজিবুল আলম সাদাত  বার্তা২৪.কমকে বলেন, অত্র ইউনিয়নের পাঁচ শতাধিক মানুষ পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়ছে। পাশাপাশি দেখা দিয়েছে নদী ভাঙ্গন। 

পাউবো লালমনিরহাটের  নির্বাহী প্রকৌশলী সুনীল কুমার বলেন,  আগামী ২৪ ঘণ্টা এই অঞ্চলের নদ নদীর পানি বাড়তে পারে। ফলে নিচু এলাকা প্লাবিত হবে। ধস এলাকায় জরুরি জিও ব্যাগ ফেলা হচ্ছে। আমরা সার্বক্ষণিক খোঁজখবর রাখছি।

লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ উল্যাহ বার্তা২৪.কমকে বলেন,পানিবন্দি মানুষের তালিকা চেয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসারদের নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে।                                                                                                                                                                                                                                                                                               

;