বন্যা পরিস্থিতির আরো অবনতির আশঙ্কা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত, আগামী ২৪ ঘণ্টায় দেশের বন্যা পরিস্থিতির আরো অবনতি হওয়ার আশঙ্কা

ছবি: সংগৃহীত, আগামী ২৪ ঘণ্টায় দেশের বন্যা পরিস্থিতির আরো অবনতি হওয়ার আশঙ্কা

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশের বন্যার পরিস্থিতি আরো অবনতি হবে বলে জানা গেছে। আগামী ২৪ ঘণ্টায় কুড়িগ্রাম, জামালপুর, গাইবান্ধা, বগুড়া ও সিরাজগঞ্জ জেলার ব্রহ্মপুত্র-যমুনা নদনদী সংলগ্ন নিম্নাঞ্চলের বন্যার পরিস্থিতি আরো অবনতি হতে পারে এবং টাঙ্গাইল জেলার কিছু পয়েন্টে পানি সমতল বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমা অতিক্রম করতে পারে।

এ ছাড়া ব্রহ্মপুত্র-যমুনা ও গঙ্গা-পদ্মা নদী-নদীগুলির পানি সমতল বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং তা আগামী ৭২ ঘণ্টা পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে।

বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়।

পূর্বাভাসে বলা হয়, কুশিয়ারা ব্যতীত দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের অন্যান্য প্রধান প্রধান নদীগুলির পানি সমতল সার্বিকভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং তা আগামী ২৪ ঘণ্টা পর্যন্ত তা অব্যাহত থাকতে পারে।

আবহাওয়া সংস্থাগুলির তথ্য অনুযায়ী বলা হয়, দেশের উত্তরাঞ্চল ও তৎসংলগ্ন উজানে ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস রয়েছে। আগামী ২৪ ঘণ্টায় উত্তর-পূর্বাঞ্চলের বিভিন্ন নিম্নাঞ্চলের সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি স্থিতিশীল থাকতে পারে।

আগামী ২৪ ঘণ্টায় দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের তিস্তা, ধরলা, দুধকুমার ও ঘাঘট নদীগুলির পানি সমতল সময় বিশেষে দ্রুত বৃদ্ধি পেতে পারে। এর ফলে তিস্তা ও দুধকুমার নদীগুলির পানি সমতল কিছু পয়েন্টে স্বল্পমেয়াদে বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হতে পারে এবং সেইসঙ্গে ধরলা ও ঘাঘট নদীসংলগ্ন কুড়িগ্রাম এবং গাইবান্ধা জেলার কিছু নিম্নাঞ্চলের বন্যা পরিস্থিতি কিছুটা অবনতি হতে পারে।

আগামী ৪৮ ঘণ্টায় দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চল ও উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের যমুনাশ্বরী, করতোয়া, বাঙ্গালী, আপার করতোয়া, পুনর্ভবা, টাঙ্গন, ইছামতি-যমুনা, আত্রাই, মহানন্দা এবং ছোট যমুনার নদীগুলির পানি সমতল সময় বিশেষে দ্রুত বৃদ্ধি পেতে পারে।

রংপুরে সাড়া ফেলেছে ২ টাকা ভাড়ায় স্কুটি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রংপুর
রংপুরে সাড়া ফেলেছে ২ টাকা ভাড়ায় স্কুটি

রংপুরে সাড়া ফেলেছে ২ টাকা ভাড়ায় স্কুটি

  • Font increase
  • Font Decrease

রংপুরে এই প্রথম নতুন চমকে ব্যতিক্রম উদ্যোগে ২ টাকা মিনিটে মিলছে স্কুটি ভাড়া। ব্যাটারিচালিত যাতায়াতের ব্যতিক্রম মাধ্যম এটি। রংপুর নগরীতে রিকশা ও ব্যাটারিচালিত অটোরিকশাই মানুষের দৈনন্দিন জীবনযাত্রার একমাত্র আস্থা। তবে এবার যান্ত্রিক শহরে যোগাযোগ ব্যবস্থাকে আরও সহজ করতে চালু হয়েছে বাইক শেয়ারিং সার্ভিস স্কুটি।

নগরীর বীকন মোড়ে ছোট্ট একটি দোকানে ৮টি স্কুটি নিয়ে যাত্রা শুরু হয়েছে স্কুটি লিমিটেডের। এতে নিরাপদে জরুরি কাজে যেতে বেশি উপকৃত হচ্ছেন শিক্ষার্থীরা।

লায়ন্স স্কুল এন্ড কলেজের সামিউল আলম সামি নামের এক শিক্ষার্থী বলেন, 'প্রতিদিন রিকশাভাড়ায় অনেক টাকা খরচ হয়ে যায়। ২ টাকা মিনিটে স্কুটি চালিয়ে এখন খুব সুবিধা, টাকা সাশ্রয় হচ্ছে। তবে স্কুটি কম থাকায় ঘুরে যেতে হয় মাঝে মাঝে। আরও স্কুটি থাকলে আমাদের জন্য খুব উপকার হতো।'

শহরের বুকে মিনিট হিসেব করে মনের আনন্দে ঘুড়ে বেড়াচ্ছেন যাত্রীরা। হেলমেট মাথায় দিয়ে যেন কালো ও হলুদ রংয়ে নজর কাড়ছে স্কুটিগুলো। শুধু একা নয়, ছোট্ট এই স্কুটিটে সঙ্গী নেয়ারও সিট রয়েছে। স্কুটি ভাড়া নিতে মানতে হচ্ছে নানাবিধ শর্তাবলী। তবেই সর্বনিম্ন ১ ঘণ্টা থেকে সর্বোচ্চ ২ ঘণ্টায় মিলছে স্কুটি। ভাড়ায় সাশ্রয় হচ্ছে যাত্রীদের।


বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ইসমাইল হোসেন বলেন, 'মিনিট প্রতি ২টাকায় স্কুটি সেবা চালু করে খুব ভালো হয়েছে। বিশেষ করে আমাদের জন্য। তবে সুবিধার পাশাপাশি অসুবিধা হচ্ছে। কারণ রংপুর এখন যানজটের শহর। তাই মিনিটের পর মিনিট যানজটে থেকে টাকা নষ্ট হচ্ছে। তাই মিনিট প্রতি ২ টাকা না করে যদি কিলো সিস্টেম করা হতো খুব উপকার হতো।'

প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত ভাড়ায় স্কুটি নিতে পাচ্ছেন আগ্রহীরা। প্রাথমিকভাবে এ স্কুটি চালানোর ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে মিনিটে ২ টাকা। আর ইতিমধ্যেই এই স্কুটি সারা ফেলেছে সব বয়সীদের মাঝে।

ঘণ্টা চুক্তিতে স্কুটি ভাড়া নেওয়ার জন্য যাত্রীদের প্রথমেই নির্ধারিত ফরমে প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে রেজিস্ট্রেশন করতে হচ্ছে ২০ টাকা মূল্যে। নতুন অবস্থায় বেশ সাড়া মিলছে। দৈনিক ২৫ জনের বেশি যাত্রী আসে। নতুন অবস্থায় অনেকেই ঘুরে যায়। আরও সাড়া পেলে স্কুটি বাড়িয়ে বেশ কয়েকটি পয়েন্ট চালুর করার প্রত্যাশা জানান কর্তৃপক্ষ।

শর্তাবলীর অন্যতম নিষেধাজ্ঞায় রয়েছে নগরীর বাহিরে যাওয়ার চেষ্টা করলে জরিমানা গুনতে হবে ১ হাজার টাকা ৷ বিশেষ করে অ্যাপসের মাধ্যমে এই স্কুটির অবস্থান জানা ও কন্ট্রোল করা যায় ।

আধুনিকতার ছোঁয়ায় এটি তৈরি করা হয়েছে অত্যাধুনিকভাবে। যা গতিতে প্রতি ঘণ্টায় ছুটতে পারে সর্বোচ্চ ৩৫-৪০ কিলোমিটার। একবার চার্জ দিলেই চলবে ৭০ কিলোমিটার। মিনিট প্রতি ২ টাকায় বেশ প্রসংশা কুড়াচ্ছে এই স্কুটি উদ্যোগটি।

;

ভাঙন রোধে নিজেদের অর্থেই বস্তা ফেলছেন স্থানীয়রা



সোহেল মিয়া, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রাজবাড়ী
নদী ভাঙন থেকে রক্ষা পেতে নারী, পুরুষ, শিশু একসাথে নদীতে বস্তা ফেলার কাজ করছে। ছবি: বার্তা ২৪

নদী ভাঙন থেকে রক্ষা পেতে নারী, পুরুষ, শিশু একসাথে নদীতে বস্তা ফেলার কাজ করছে। ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

নদী ভাঙন থেকে রক্ষা পেতে কোন উপায়ন্তর না পেয়ে নিজেদের অর্থ দিয়ে নিজেরাই বালু ভর্তি প্লাস্টিকের বস্তা ফেলছেন নদী ভাঙনের শিকার রাজবাড়ীর গোয়ালন্দের দৌলতদিয়া ৬নং ফেরি ঘাট সংলগ্ন সাত্তার মেম্বার পাড়ার বাসিন্দারা।

৬ নম্বর ঘাটে ভাঙন কবলিত ভুক্তভোগী নারী, পুরুষ ও শিশুরা বালু মাথায় করে নিয়ে নদীর পাশে প্লাষ্টিকের পাতলা বস্তায় ভরে তারা ভাঙনরোধে কাজ করছেন। এসময় তারা বিভিন্ন ক্ষোভ প্রকাশ করেন।

সাত্তার মেম্বার পাড়ায় ভাঙন স্থানে দাঁড়িয়ে ষাটোর্ধ্ব মো. ছিদ্দিক পাল ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, 'সরকারি লোকজন তো কোনো ব্যবস্থাই নিলোই না, এহন আমরা নিজেরাই বালু ও প্লাষ্টিকের বস্তা কিনে তাতে বালু ভরে ভাঙন স্থানে ফেলতেছি। মনের শান্তি মেটাতেই এ কাজ করছি। তাছাড়া তো আমাগেরে আর কোন উপায় নাই।'

তিনি আরও বলেন, 'ভাঙন ঠেকাতে আমরা বস্তা ফেলেতেছি না, খালি নদীর ঢেউ যেন একটু কম লাগে সেজন্য আমরা ভাঙন কবলিত স্থানে এলাকাবাসীরা মিলে আপাতত আড়াই'শ বস্থা ফেলছি। আমরা সরকারের সুদৃষ্টি কামনা করছি।'

এসময় ৬ নম্বর ঘাটের মুদি দোকানদার বারেক মৃধা বলেন, 'গত এক সপ্তাহে প্রায় ৫০ মিটারের উপরে বসতভিটা নদীগর্ভে গেছে। সরকারি কর্মকর্তারা যদি আগেই কিছু জিও ব্যাগ ফেলতো তাহলে আজ আমার দোকানডা ভাঙনের কবলে পড়তো না। সব আমাদের কপাল, কি আর বলবো। এজন্য নিজেরাই টাকা দিয়ে পাতলা বস্তায় বালু ভরে ফেলতেছি।'

ভুক্তভোগী সরোয়ার হোসেন মোল্লা বলেন, 'চেয়ারম্যান, মেম্বারা শুধু ভোটের সময় এসে প্রতিশ্রুতি দেয়, আর কোন খবর থাহেনা। এবার ভাঙন দেহার জন সবাই আসতেছে কিন্তু কোন পদক্ষেপ নাই।'

ভুক্তভোগী আমেনা বেগম কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, 'পরিবারের পাঁচ সদস্য নিয়ে সুখেই ছিলাম। কিন্তু নদী আমার স্বপ্ন নিয়ে গেছে। সরকার শুকনো সময় কুনু বস্তা ফেলেনা, বন্যা আসলি সব ভেঙে গাঙ্গে নিয়ে যায়। আমার ঘর পর্যন্ত ভাঙ্গা চলি আইছে। এহন কই যাই, কি করমু চিন্তায় পড়ছি।'

বিআইডব্লিউটিএর নির্বাহী প্রকৌশলী নেপাল চন্দ্র দেবনাথ বলেন, 'দৌলতদিয়ায় যে ৭টি ঘাট রয়েছে তার আশেপাশে ভাঙন দেখা দিলে সেটা আমরা জিওব্যাগ দিয়ে রক্ষা করতে চেষ্টা করি। তাছাড়া প্রতিবছরে তীব্র ভাঙনে রক্ষা করতে পানি উন্নয়ন বোর্ড কাজ করে থাকে। ঘাট রক্ষায় যে কাজগুলো লাগবে সেটাই বিআইডব্লিউটিএ করে থাকে। আমরা ঘাট এলাকা পরিদর্শন করে এসেছি। ভাঙন কবলিত স্থান, ঘাট রক্ষার জন্য কিছু করতে হলে আমরা তা করব।'

গোয়ালন্দ উপজেলা নির্বাহী অফিসার জ্যোতি বিকাশ চন্দ্র বলেন, '৬ নম্বর ঘাটের সাত্তার মেম্বার পাড়া যে ভাঙন দেখা দিয়েছে সেটার ব্যাপারে আমি ইতিমধ্যে জেলা প্রশাসক মহোদয়কে জানিয়েছি। এ ব্যাপারে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ দ্রুত ব্যবস্থা নেবে।’

;

নোয়াখালীতে বৃদ্ধকে জবাই করে হত্যা



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নোয়াখালী
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

নোয়াখালীর সুবর্ণচরে এক বৃদ্ধকে জবাই করে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। তার বয়স আনুমানিক ৬৭ বছর। তবে পুলিশ ও নিহতের স্বজনেরা তাৎক্ষণিক হত্যাকাণ্ডের কোনো কারণ জানাতে পারেনি।

নিহত আব্দুল খালেক ওরফে খাজা মিয়া উপজেলার চরজব্বর ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের চর রশিদ গ্রামের খালেক মিয়ার বাড়ির মৃত আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে। তিনি ৫ সন্তানের জনক ছিলেন।

রোববার (৭ জুলাই) সকাল ১০টার দিকে উপজেলার চরজব্বর ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের চর রশিদ গ্রামের নিহতের নিজ বাড়ির সামনে থেকে পুলিশ এ মরদেহ উদ্ধার করে। এর আগে, শনিবার দিবাগত গভীর রাতে এই ঘটনা ঘটে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বৃদ্ধ খাজা মিয়া এক সময়ে স্থানীয় বাজারের চা দোকানদার ছিল। স্ত্রী কমলা বেগমসহ নিজ বাড়িতে একা বসবাস করেন। গতকাল শনিবার রাত ৯টার দিকে তিনি স্থানীয় কাঞ্চন বাজার থেকে প্রতিবেশী আরেক লোকের সাথে বাড়ি ফিরেন। কিন্তু বাজার থেকে তিনি আর ঘরে আসেননি। রোববার সকালে তার স্ত্রী ফজর নামাজ পড়তে উঠে স্বামীকে দেখতে না পেয়ে খোঁজাখুজি শুরু করেন। একপর্যায়ে সকাল ৬টার দিকে নিজ বাড়ির সামনে স্বামী খাজা মিয়ার গলা কাটা মরদেহ পড়ে থাকতে দেখেন।

নিহতের মেজো ছেলে মো.ছিদ্দিক উল্যাহ বলেন, বাবা খুবই সহজ সরল লোক ছিলেন। তার সাথে কারো বিরোধ ছিলনা। কে বা কারা তাকে নৃশংসভাবে হত্যা করেছে। এখন পর্যন্ত হত্যার কোনো কারণ তাদের জানা নেই।

চরজব্বর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কাওসার আলম ভূঁইয়া বলেন, বৃদ্ধকে জবাই করে হত্যা করা হয়েছে। তবে শরীর থেকে মাথা আলাদা হয়নি। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে রয়েছে। মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হবে। এখনো নিহতের স্বজনেরা কোনো অভিযোগ করেনি। তবে হত্যার কারণ সম্পর্কে কিছুই জানা যায়নি। পুলিশ ক্লু-লেস এ হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটনে চেষ্টা চালাচ্ছে।

;

শায়েস্তাগঞ্জে পিকআপ-অটোরিকশা সংঘর্ষে নারী নিহত



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, হবিগঞ্জ
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলায় পিকআপ-অটোরিকশা মুখোমুখি সংঘর্ষে মিতু আক্তার (২৫) এক নারী নিহত হয়েছেন। এঘটনায় আরও চারজন আহত হয়েছেন।

শনিবার (৬ জুলাই) রাত সাড়ে ১০টার দিকে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের উপজেলার নুরপুর ইউনিয়নের সুরাবই নামক স্থানে দুর্ঘটনাটি ঘটে।

নিহত মিতু আক্তার মাধবপুর উপজেলার বাঘাসুরা ইউনিয়নের বাখরপুর গ্রামের স্বপন মিয়ার স্ত্রী।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মাধবপুর উপজেলার বাখরনগর গ্রামের স্বপন মিয়ার অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী মিতুকে চিকিৎসার জন্য হবিগঞ্জ জেলা শহরে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যান। রাতে অটোরিকশা যোগে বাড়ি ফিরছিলেন। পথিমধ্যে উল্লেখিত স্থানে পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি পিকআপ ভ্যানের সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই ওই নারীর মৃত্যু হয়। গুরুতর আহত ৩ জনকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।

শায়েস্তাগঞ্জ হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তৈমুর ইসলাম ঘটনা সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, দুর্ঘটনায় এক নারী নিহত হয়েছেন।

;