নিপীড়ক দুই শিক্ষকের ‘পক্ষ’ নেওয়ায় অধ্যক্ষেরও শাস্তি চান অভিভাবকেরা



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম ব্যুরো
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ছাত্রীদের যৌন নিপীড়নে অভিযোগ ওঠা চট্টগ্রামের সেন্ট স্কলাসটিকা স্কুল অ্যান্ড কলেজের দুই শিক্ষকের স্থায়ী বহিষ্কারের দাবিতে মাঠে নেমেছেন অভিভাবকেরা। এই দুই শিক্ষকের ‘পক্ষ’ নেওয়ায় অধ্যক্ষের শাস্তিও চান তাঁরা।

শুক্রবার (৫ জুলাই) বিকেলে এই দাবিতে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সামনে মানবন্ধন করেন শতাধিক অভিভাবক। সেন্ট স্কলাস্টিকাস্ গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজের সচেতন অভিভাবকদের ব্যানারে এ মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়।

সম্প্রতি এই প্রতিষ্ঠানের পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ুয়া একজন ছাত্রীর অভিভাবক দুই শিক্ষক সুরজিৎ পাল ও রাকিব উদ্দিনের নামে মামলা করেন। সেই মামলার পর পুলিশ রাকিব উদ্দিনকে গ্রেফতারও করে। এই ঘটনা নিয়ে শিক্ষকদের মধ্যে পক্ষে বিপক্ষ তৈরি হয়। কলেজের অধ্যক্ষসহ কয়েকজন শিক্ষক অভিযুক্ত দুজন শিক্ষকের পক্ষ নিয়েছেন বলে অভিযোগ তোলেছেন অভিভাবকেরা। সর্বশেষ গত ৩০ জুন প্রধান শিক্ষিকা শিল্পী সেলিন কস্তা তাকে হত্যার হুমকি দেওয়া হচ্ছে জানিয়ে নগরীর কোতোয়ালি থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন। অভিযোগে তিনি কয়েকজন শিক্ষক তার কক্ষে ঢুকে তাকে হত্যার হুমকি দেন বলে উল্লেখ করেছেন। তবে ওই শিক্ষকদের ফাঁসানো হচ্ছে বলে দাবি করছেন অভিভাবকরা।

মানববন্ধনে অভিভাবকেরা বিভিন্ন দাবি সংবলিত প্লেকার্ড তুলে ধরেন। অভিভাবকদের মধ্যে বেশ কয়েকজন সেখানে বক্তব্য দেন।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ‘আমাদের ঐতিহ্যবাহী ও স্বনামধন্য বিদ্যালয়ের দুইজন শিক্ষক কর্তৃক এক ছাত্রীর সঙ্গে ঘটা নিপীড়নের ব্যাপারে আমরা উদ্বিগ্ন। অভিযুক্ত দুইজন শিক্ষক দীর্ঘদিন ধরে বিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে ও মুঠোফোনের মাধ্যমে ছাত্রীটিকে উত্যক্ত করতেন। তাদের অনৈতিক কর্মকাণ্ডে সায় না দিলে হুমকি পর্যন্ত দেওয়া হয়। এরপর ওই ছাত্রীর মা বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের নিকট মৌখিকভাবে জানান। কিন্তু বিচার পাননি। পরে বাধ্য হয়ে তিনি মহামান্য আদালতে মামলা করেন।’

কিছু নরপিশাচ শিক্ষকের কারণে সন্তানেরা স্কুলেও নিরাপদ নন বলে অভিযোগ করেন সানজিদা মুনতাহা নামে এক অভিভাবক। তিনি বলেন, ‘নরপিশাচদের আমরা দৃষ্টান্ত শাস্তি চাই। আমরা অভিভাবকরা যদি এগিয়ে না আসি তাহলে এরকম ঘটনা বারবার দেখতে পাব। বারবার এসব ঘটনা ধামাচাপা দেওয়া হচ্ছে। ফলে যারা অন্যায় করছে তারাও পার পেয়ে যাচ্ছে। মেয়েদের সুরক্ষার জন্য এ কর্মসূচি। ওই দুজন নরপিশাচকে স্কুলের ভেতর থেকে সমর্থন দেওয়া হচ্ছে।'

যেসব শিক্ষকদের বিরুদ্ধে প্রধান শিক্ষিকা জিডি করেছেন তারা সত্য উদঘাটন করেছিলেন বলে জানান আলী ইউসুফ। তিনি বলেন, ‘এখন ওই শিক্ষকদের শায়েস্তা করতেই তাদের বিরুদ্ধে এ জিডি করা হয়েছে। তারা নিরপরাধ। আমাদের কন্যারা আজ স্কুলে নিরাপদ নন। প্রধান শিক্ষক ও ওমর ফারুক ওই যৌন নিপীড়নকারী স্যারদের ইন্ধনদাতা। আমাদের বাচ্চারা যাতে নিরাপদে স্কুলে যেতে পারে সেজন্য তাদের আগে বহিষ্কার করতে হবে। তাহলেই স্কুলের সুষ্ঠু পরিবেশ ফিরে আসবে।'

স্কুলের সাবেক শিক্ষিকা ব্রিজেট ডায়েসও বক্তব্য দেন। তিনি বলেন, ‘সত্যের পক্ষে আমার দৃঢ় অবস্থান সবসময় ছিল এবং থাকবে। স্কুল কর্তৃপক্ষ যা করছে ভালো করছে না। যে ঘটনা স্কুলে ঘটছে এজন্য আমি পুরো দায়ী করবো প্রধান শিক্ষিকাকে। ২০২২ সালেও এরকম অভিযোগ সুরজিৎ এর বিরুদ্ধে উঠেছিল। কিছুদিন সাসপেন্ডও হয়েছিল সে। পরে তাকে আবার ফিরিয়ে আনেন প্রধান শিক্ষিকা। তিনি এখনও আপ্রাণ চেষ্টা করছেন তাকে বাঁচাতে।'

প্রাক্তন এই শিক্ষক প্রধান শিক্ষিকাসহ ওই শিক্ষকদের একেবারে সাসপেন্ড করার দাবি জানান। প্রধান শিক্ষিকা যদি আশ্রয়-প্রশ্রয় না দিতেন ওই শিক্ষকরা এতকিছু করতে পারতেন না। মো. মহিউদ্দিনের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে আরও বক্তব্য দেন জানে আলম, অঞ্জন শিকদার ও রতন দাশ।

উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাতে ১ রোহিঙ্গা খুন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কক্সবাজার
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

কক্সবাজারের উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে দুর্বৃত্তদের এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাতে একজন রোহিঙ্গা নিহত হয়েছেন। নিহত মোহাম্মদ ইসমাইল (৩৬) বাদশা মিয়ার ছেলে।

সোমবার (৮ জুলাই) বিকাল পাঁচটার দিকে ২ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের (ইস্ট) ডি-১ ব্লকে এ ঘটনা ঘটে।

সূত্রে জানা গেছে, আড্ডা দেওয়ার সময় ৮-১০ জন অজ্ঞাত সন্ত্রাসী আকস্মিক ইসমাইলের পেটে, পিঠে ও গলায় ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়।

চিৎকার শুনতে পেয়ে কয়েকজন রোহিঙ্গা এগিয়ে এসে রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে ক্যাম্প সংলগ্ন এমএসএফ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

উখিয়া থানার তদন্ত ওসি মো. শফিক বলেন, খবর পেয়ে মরদেহ উদ্ধারের জন্য ঘটনাস্থলে পুলিশের একটি টিম পাঠানো হয়েছে।

;

সড়ক থেকে সরে গেলেন শিক্ষার্থীরা, ভোগান্তিতে শহরবাসী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪, রাতে সড়ক থেকে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা সরে গেলে শুরু হয় গন্তব্যে ফেরা মানুষদের চরম ভোগান্তি

ছবি: বার্তা২৪, রাতে সড়ক থেকে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা সরে গেলে শুরু হয় গন্তব্যে ফেরা মানুষদের চরম ভোগান্তি

  • Font increase
  • Font Decrease

অফিস শেষে এমনিতেই যানজটে ডুবে থাকে রাজধানী ঢাকার মূল মূল সড়কগুলো। তার সঙ্গে সরকারি চাকরিতে কোটা প্রত্যাহারের দাবিতে ‘বাংলা ব্লকেড’ কর্মসূচিতে নগরীর সড়কে ভোগান্তি বেড়েছে কয়েকগুণ।

নতুন কর্মসূচি ঘোষণার মাধ্যমে শাহবাগসহ সড়কগুলো থেকে সরে যান আন্দোলত শিক্ষার্থীরা। তারপরেই নগরবাসীর ভোগান্তি চরমে ওঠে।

সোমবার (৮ জুলাই) বিকেল সাড়ে তিনটা থেকে রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত শাহবাগসহ বিভিন্ন সড়ক অবরোধ শেষে সরে যান কোটাবিরোধী আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। তবে ভোগান্তি বেড়ে যায় ঢাকা নগরবাসীর। যানজটে আটকা থেকে চরম ভোগান্তিতে পড়েন তারা। শিক্ষার্থীরা সড়ক থেকে সরে গেলে সে ভোগান্তি যেন আরো কয়েক গুণ বেড়ে যায় বিভিন্ন সড়কে আটকা পড়ে থাকা যানগুলো চলাচল শুরু করলে।

এর আগে সোমবার বিকেল থেকেই শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে স্থবির হয়ে যায় পুরো রাজধানী। এসময় অফিস শেষে ভোগান্তিতে পড়ে নগরবাসী। অনেকে অফিস শেষ করে পায়ে হেঁটে গন্তব্যের উদ্দেশে রওয়ানা হন।

প্রসঙ্গত, সরকারি চাকরিতে কোটাব্যবস্থা বাতিল করে ২০১৮ সালে সরকারের জারি করা পরিপত্র পুনর্বহালের দাবিতে চলমান আন্দোলনের অংশ হিসেবে ‘বাংলা ব্লকেড’ কর্মসূচি ঘোষণা করেন শিক্ষার্থীরা।

পূর্বঘোষিত ঘোষণা অনুযায়ী, সোমবার (৮ জুলাই) বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) হাজারও শিক্ষার্থী মিছিল নিয়ে শাহবাগে এসে অবস্থান নেন।

তাদের অবস্থানের কারণে রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ সড়ক সায়েন্সল্যাব, মিরপুর সড়ক, মিন্টুরোড, ফার্মগেট, বাংলামোটর, কারওয়ান বাজার, মতিঝিলের দিকে যাওয়ার রাস্তা বন্ধ হয়ে যায়। এতে করে অফিস শেষ করে নগরবাসী যখন গন্তব্যে ফিরবেন তখনই ব্যাপক জনদুর্ভোগ দেখা দেয়।

;

আন্দোলনের অজুহাতে বাড়তি ভাড়া বাসে



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

কোটা আন্দোলনে জ্যামে থাকার অজুহাতে যাত্রীদের থেকে বাড়তি ভাড়া নিচ্ছে রাজধানীর বাসগুলো। বাসের টিকেট বিক্রেতারা বলছেন, কয়েক ঘণ্টা জ্যামে বসেছিলাম, যাত্রী সব নেমে গেছে তাই আজকের জন্য একটু বাড়িয়ে নিচ্ছি।

সোমবার (৮ জুলাই) সন্ধ্যায় কোটা বিরোধী আন্দোলন স্থগিত করে শিক্ষার্থীরা রাস্তা ছেড়ে চলে যাবার পর বাস চলাচল শুরু হলে এমন পরিস্থিতি দেখা যায়।

সরেজমিনে দেখা যায়, এদিন বাংলামোটর মোড় থেকে মিরপুরের উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসা বিহঙ্গ পরিবহনের একটা বাস বোঝায় করে যাত্রী নিলেও নিচ্ছে বাড়তি ভাড়া। এ নিয়ে যত্রীদের সঙ্গে বাসের হেলপারের তর্কাতর্কি করতে দেখা যায়।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পরিবহনটির বাস সহকারী বার্তা২৪.কম কে বলেন, বিকেল থেকে বসে আছি। যাত্রী সব নেমে গেছে। এখন কিছুটা বাড়তি ভাড়া না নিলে কিভাবে হবে! তাহলে মহাজনকে জমা দিবো কি বা আমরাই পাবো কি?

তবে এনিয়ে যাত্রীরা ছিলেন বিরক্ত। মিঠুন নামের এক যাত্রী তার থেকে ১০ টাকা বাড়তি ভাড়া নেয়া হয়েছে জানিয়ে বার্তা২৪.কম-কে বলেন, আমরা দিচ্ছি বলেই নিতে পারছে। আমরা সবাই মিলে যদি না দিতাম, বা শক্ত হয়ে কথা বলতাম তাহলে আর তারা নিতে পারতো না। এখন আন্দোলন হয়েছে সে দায়ও কি আমাদের?

প্রসঙ্গত, গতকাল রোববার (৭ জুলাই) বাংলা ব্লকেড কর্মসূচির প্রথম দিনে বিকেল সোয়া ৫টায় শাহবাগের দিক থেকে খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে বাংলামোটর মোড় অবরোধ করেছিল শিক্ষার্থীরা। মিছিল শ্লোগানে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত সড়ক অবরোধ করে রাখেন তারা। ওই দিন বাংলামোটর এলাকায় বাড়তি পুলিশ মোতায়েন করা থাকলেও তারা কোনো রকম বাঁধা দেওয়ার চেষ্টা করেনি। এতে করে নির্বিঘ্নে তারা বাংলামোটর মোড়ে কর্মসূচি চালিয়ে যায়।

আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের মুখপাত্র নাহিদ ইসলাম গত ৬ জুলাই এই 'বাংলা ব্লকেড' কর্মসূচি ঘোষণা দেন। তিনি বলেছিলেন শুধু শাহবাগ মোড় নয় ঢাকা শহরের সায়েন্সল্যাব, চানখারপুল, নীলক্ষেত, মতিঝিল প্রতিটি পয়েন্টে কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা নেমে আসবেন। ঢাকার বাইরের শিক্ষার্থীরা জেলায়–জেলায়, বিশ্ববিদ্যালয়গুলো মহাসড়কগুলো অবরোধ করবেন।

;

গাড়িচালক আবেদ আলী অঢেল সম্পদের মালিক



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: পিএসসির চেয়ারম্যানের সাবেক গাড়িচালক সৈয়দ আবেদ আলী জীবন

ছবি: পিএসসির চেয়ারম্যানের সাবেক গাড়িচালক সৈয়দ আবেদ আলী জীবন

  • Font increase
  • Font Decrease

বিসিএস পরীক্ষাসহ পিএসসির পরীক্ষার প্রশ্নফাঁসের অভিযোগে পিএসসির চেয়ারম্যানের সাবেক গাড়িচালক সৈয়দ আবেদ আলী জীবন ও তার ছেলে সৈয়দ সোহানুর রহমান সিয়ামকে গ্রেফতার করেছে সিআইডি।

এছাড়াও বিসিএস পরীক্ষাসহ গত ১২ বছরে বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসের (বিসিএস) ৩০টি নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নফাঁসের অভিযোগে বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের (বিপিএসসি) তিন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ ১৭ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।

রোববার (৭ জুলাই) বেসরকারি একটি টেলিভিশন চ্যানেলে এ সংক্রান্ত অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশের পর সাঁড়াশি অভিযানে নেমে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।

তবে পিএসসির প্রশ্নফাঁসের খবর ছড়িয়ে পড়ার পর সবচেয়ে যে নামটি আলোচনায় এসেছে তিনি হচ্ছেন পিএসসির গাড়ি চালক আবেদ আলী। পিএসসির এই গাড়ি চালকের নাম আসার পরপরই সমালোচনার ঝড় ওঠে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। সন্ধান মেলে আবেদ আলীর অঢেল সম্পদের।

ফেসবুকে ভাইরাল হওয়া ছবিতে আবেদ আলী ও তার ছেলে

সোমবার (৮ জুলাই) সকাল থেকে আবেদ আলী ও তার ছেলে সৈয়দ সোহানুর রহমান সিয়ামের নানান কর্মকাণ্ডের ছবি ফেসবুকে ভাইরাল হয়।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সৈয়দ আবেদ আলীর ব্যক্তিগত প্রোফাইল ঘেটে দেখা যায়, রাজনৈতিক, সামাজিক কর্মকাণ্ড, দান খয়রাত ও পরহেজগারির নানা খবর।

আরও পড়ুন পিএসসির আবেদ আলীসহ আটক ১৭

সৈয়দ আবেদ আলীর গ্রামের বাড়ি মাদারীপুর জেলার ডাসার উপজেলায়। সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে তার বিপুল বিত্তবৈভবের খবর। ঢাকায় ও গ্রামে একাধিক বাড়ি, গরুর খামার ও সম্পদের তথ্য মিলেছে তারই ব্যক্তিগত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। যদিও ব্যবসা-বাণিজ্যের মাধ্যমে বিত্তবৈভব বানিয়েছেন বলে দাবি করেছেন তিনি।

সবশেষ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচনের জন্য প্রচারণা চালিয়েছিলেন আবেদ আলী। আবেদ আলী সমাজের বিত্তবান ও প্রভাবশালীদের সঙ্গে নিয়মিত চলাফেরা করতেন। প্রশাসনের কর্তা ব্যক্তিদের সঙ্গেও উঠবস করতেন তিনি সেসব ছবিও ভাইরাল হয়েছে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে।

ফেসবুকে ভাইরাল হওয়া ছবিতে আবেদ আলী

প্রশ্নফাঁসের সঙ্গে জড়িত থাকার তথ্য সামনে আসার পরই সোশ্যাল মিডিয়ায় তার বিপুল সম্পদের তথ্য তুলে ধরছেন নেটিজেনরা। ছেলে ছাত্রলীগ নেতা, পড়েছেন বিদেশে, এরপর দেশের একটি ব্যয়বহুল বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে। ঢাকার ভেতর তার দুটি বহুতল ভবন, মাদারীপুরে আলিশান বাড়ি রয়েছে এমন তথ্যও সামনে আসছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মাত্র আট বছর বয়সে জীবিকার তাগিদে রাজধানীতে পাড়ি জমিয়েছিলেন সৈয়দ আবেদ আলী জীবন। প্রথমে সেখানেই কুলির কাজ করতেন। এক সময় ফুটপাতে ঘুমিয়ে কষ্ট করেছেন তিনি। এরপর গাড়ি চালানো শিখে চাকরি নেন পিএসসিতে। তারপরই আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি তাকে। অর্জন করেছেন বিপুল সম্পদ। সঙ্গে ক্ষমতাও।

সিআইডির এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, সাঁড়াশি অভিযান চলছে। যাদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্টতার তথ্য পাওয়া যাবে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। আমরা এখন পর্যন্ত ১৭ জনকে গ্রেফতার করেছি।

সিআইডির অভিযানে গ্রেফতার হওয়া ১৭ জন

তিনি জানান, গ্রেফতারদের মধ্যে রয়েছেন পিএসসির উপ-পরিচালক মো. আবু জাফর ও মো. জাহাঙ্গীর আলম, সহকারী পরিচালক মো. আলমগীর কবির, অফিস সহায়ক খলিলুর রহমান ও অফিস সহায়ক (ডিসপাস) সাজেদুল ইসলাম।

এ ছাড়াও রয়েছেন সাবেক সেনাসদস্য নোমান সিদ্দিকী, ঢাবির সাবেক শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগের রাজনীতি করা এবং বর্তমানে মিরপুরের ব্যবসায়ী আবু সোলায়মান মো. সোহেল, অডিটর প্রিয়নাথ রায়, ব্যবসায়ী মো. জাহিদুল ইসলাম, নারায়ণগঞ্জ পাসপোর্ট অফিসের নিরাপত্তা প্রহরী শাহাদাত হোসেন, ঢাকার ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অফিসে কর্মরত মো. মামুনুর রশীদ, শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের মেডিক্যাল টেকনিশিয়ান মো. নিয়ামুন হাসান, ব্যবসায়ী সহোদর সাখাওয়াত হোসেন ও সায়েম হোসেন ও বেকার যুবক লিটন সরকার।

;