সংবিধান সংস্কার কমিশনের মেয়াদ আগামী ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত বাড়িয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার।
বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
এতে বলা হয়, গত ৬ অক্টোবর জারি করা প্রজ্ঞাপনের দ্বারা গঠিত সংবিধান সংস্কার কমিশনের মেয়াদ আগামী ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত বাড়িয়েছে সরকার। অবিলম্বে এই আদেশ কার্যকর হবে বলেও প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়েছে।
এদিকে নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের মেয়াদও বাড়ানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব ড. শেখ আব্দুর রশীদ স্বাক্ষরিত এ-সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের মেয়াদ ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। এর আগে গত ৩ অক্টোবর নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশন গঠন করা হয়।
এদিকে গঠন করা ৬টি সংস্কার কমিশনের প্রস্তাব ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে জমা দেয়ার কথা থাকলেও কেউই দেয়নি। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে জানা গেছে, ছয় সংস্কার কমিশনই সময় বাড়িয়ে নিয়েছে।
গত ১১ সেপ্টেম্বর জাতির উদ্দেশে দেয়া ভাষণে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ছয়টি সংস্কার কমিশন গঠনের ঘোষণা দেন। এগুলো হচ্ছে: নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশন, পুলিশ প্রশাসন সংস্কার কমিশন, বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশন, দুর্নীতি দমন সংস্কার কমিশন, জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন এবং সংবিধান সংস্কার কমিশন।
এরমধ্যে গত ৩ অক্টোবর পাঁচটি কমিশন এবং পরে ৭ অক্টোবর সংবিধান সংস্কার কমিশন গঠনের প্রজ্ঞাপন জারি হয়। যেখানে পরবর্তী ৯০ দিনের মধ্যে কমিশনগুলোকে সরকারের কাছে তাদের সংস্কার প্রস্তাব জমা দেয়ার নির্দেশনা দেয়া হয়। এরপর ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যেই সংস্কার প্রস্তাব জমা দেয়ার কথা জানিয়েছিলেন কমিশনগুলোর প্রধানরা।
তবে এ বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ জানায়, মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) কোনো কমিশন থেকেই সংস্কার প্রস্তাব জমা দেয়নি। ছয় সংস্কার কমিশনই প্রস্তাব জমা দেয়ার সময় বাড়িয়ে নিয়েছে।
নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশন প্রধান বদিউল আলম মজুমদার জানিয়েছেন, ৩ জানুয়ারি তাদের প্রতিবেদন জমা দেয়া হবে। দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) সংস্কার কমিশন প্রধান ইফতেখারুজ্জামান বলেন, দেরিতে কাজ শুরু করার কারণে ৭ জানুয়ারির মধ্যে তারা প্রতিবেদন জমা দেবেন। একইদিন সংবিধান সংস্কার কমিশনও তাদের প্রস্তাব জমা দেবে বলে জানানো হয়।
আর পুলিশ প্রশাসন সংস্কার কমিশন প্রস্তাব জমা দেবে ১৫ জানুয়ারি। বাকি বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশন ও জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রস্তাব জমা দিতে আরও কয়েকদিন সময় লাগবে বলে জানা গেছে।