চট্টগ্রাম চেম্বার সভাপতির পদত্যাগ, বসছে প্রশাসক!

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ওমর হাজ্জাজ

ওমর হাজ্জাজ

চিটাগং চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতি ওমর হাজ্জাজ পদত্যাগ করেছেন। আইন অনুযায়ী চেম্বারে চিকিৎসক নিয়োগ করবে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।

সোমবার (২ আগস্ট) দুপুরে তার পদত্যাগপত্র বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে একজন প্রশাসক নিয়োগেরও আবেদন জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

এর আগে, প্রতিষ্ঠানটির সিনিয়র সহ-সভাপতি, সহ-সভাপতি ও ২১ জন পরিচালক পদত্যাগ করেন। ফলে চেম্বারের ২৪ সদস্যের পুরো পর্ষদই ভেঙে গেল।

বিষয়টি নিশ্চিত করে চিটাগং চেম্বার সচিব মো. ফারুক জানান, চেম্বারের সম্পূর্ণ পর্ষদ সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) পদত্যাগ করেছেন। সবার পদত্যাগপত্র গ্রহণের পর সভাপতি তার পদত্যাগপত্রসহ বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের বাণিজ্য সংগঠন অনুবিভাগে পাঠিয়েছেন। একটা শূন্যতা সৃষ্টি হয়েছে। এরকম আগে কখনও হয়নি। পুরো পর্ষদ পদত্যাগের ঘটনা এটাই প্রথম। চেম্বারের গুরুত্বপূর্ণ ও জরুরি কাজগুলো করতে এখন একজন প্রশাসক প্রয়োজন। তাই আইন অনুযায়ী তারা (মন্ত্রণালয়) হয়ত প্রশাসক নিয়োগ করবেন। এটা নিয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়েরটিও বিভাগ পদত্যাগ পত্র রিসিভ করার পর তারা সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে।

বিজ্ঞাপন

গত ১৮ আগস্ট সকালে নগরীর আগ্রাবাদের ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারের চেম্বার কার্যালয়ের সামনে বৈষম্যের শিকার ব্যবসায়ীরা বিক্ষোভ সমাবেশ মানববন্ধন করেন। গত ৫ আগস্ট দেশে ক্ষমতার পট পরিবর্তনের পর চেম্বার ঘিরে ব্যবসায়ীদের ক্ষোভ প্রকাশ্যে আসে। ব্যবসায়ীদের বঞ্চিত করে পরিবারতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করার অভিযোগে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করে আসছিলেন তারা।

এ পরিস্থিতিতে গত ২৮ আগস্ট চেম্বারের জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি তরফদার রুহুল আমিন ও পরিচালক জহিরুল ইসলাম চৌধুরী পদত্যাগ করেন। ১১৮ বছরের ঐতিহ্যবাহী এ চেম্বার থেকে পুরো পরিচালনা পর্ষদ পদত্যাগের ঘটনা এটিই প্রথম।

চট্টগ্রাম চেম্বারে সর্বশেষ ভোট হয়েছিল ২০১৩ সালের ৩০ মার্চ। ওই নির্বাচনে চট্টগ্রাম-১১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য এমএ লতিফ-সমর্থিত মাহবুবুল আলম-নুরুন নেওয়াজ সেলিম পরিষদ ২৪ পদের মধ্যে ২০টিতে জয়লাভ করে। প্রতিদ্বন্দ্বী মোরশেদ-সালাম ঐক্য পরিষদ পায় ৪টি। মাহবুবুল আলম প্রথমবারের মতো সভাপতি হন। পরের চারবার তার প্রতিপক্ষ হিসেবে কোনো প্যানেল বা প্রার্থী ছিল না। তাই ভোটও হয়নি। ২০০৮-১০ মেয়াদে এমএ লতিফ প্রথম চেম্বারের সভাপতি হওয়ার পর থেকে তার প্যানেলই এ সংগঠনের নেতৃত্ব দিয়ে আসছে। চেম্বারের নেতৃত্বে কারা আসবেন, তা মূলত এমএ লতিফই ঠিক করে দেন, কারণ চেম্বারের ভোটারদের ওপর নিয়ন্ত্রণ ছিল।