দেশের ১২ জেলায় পুলিশ সুপার পদ মর্যাদার ১২ কর্মকর্তাকে বদলি করা হয়েছে।

রোববার (১৫ সেপ্টেম্বর) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের পুলিশ-১ শাখার এক প্রজ্ঞাপনে এই বদলি করা হয়। প্রজ্ঞাপনে স্বাক্ষর করেন সিনিয়র সহকারী সচিব হাবিবুল হাসান।

প্রজ্ঞাপনে মেহেরপুর, চাঁদপুর, রাঙ্গামাটি, নেত্রকোনা, বরিশাল, গোপালগঞ্জ, পঞ্চগড়, জামালপুর, শরীয়তপুর, বান্দরবান, লক্ষ্মীপুর ও নীলফামারীর জেলায় ১২ পুলিশ সুপার পদমর্যাদার কর্মকর্তাকে বদলি করা হয়েছে।

একই প্রজ্ঞাপনে নেত্রকোনা, বরিশাল, জামালপুর, পঞ্চগড়, গোপালগঞ্জ, শরীয়তপুর, বান্দরবান, রাঙ্গামাটি, লক্ষ্মীপুর ও নীলফামারী জেলার বর্তমান এসপিদের পুলিশের বিভিন্ন বিভাগে বদলি করা হয়েছে।

প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়, জনস্বার্থে জারিকৃত এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর করা হবে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শহরে নিজ বাড়িতে অসামাজিক কাজে লিপ্ত থাকার সময় নারীসহ আবদুল কাইয়ুম (৪৫) নামের এক স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতাকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছেন পরিবারের সদস্যরা।

শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাতে জেলা শহরের সরকারপাড়া এলাকা থেকে কাইয়ুমকে আটক করা হয়। তিনি ওই এলাকার মৃত আবদুন নূরের ছেলে।

এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে মাইশা (৩০) ও উজ্জল মিয়া (৩০) নামের আরও দুইজনকে আটক করা হয়েছে।

কাইয়ুম ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের শিক্ষা মানব সম্পদ বিষয়ক সম্পাদক। রোববার দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোজাফফর হোসেন।

তিনি বলেন, শনিবার রাতে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা কাইয়ুম তার নিজ বাড়িতে মাইশা ও উজ্জলকে নিয়ে অসামাজিক কাজে লিপ্ত হন। এ সময় কাইয়ুমের স্ত্রী ও পরিবারের অন্য সদস্যরা ওই বাড়িতে গিয়ে তাদের তিনজনকে হাতেনাতে আটক করে। পরে জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯- এ ফোন করে বিষয়টি জানায়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই তিনজনকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে।

তিনি আরেও বলেন, আটককৃতদের বিরুদ্ধে অসামাজিক কার্যক্রমের ২৯০ ধারায় মামলা নিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে। স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা আব্দুল কাইয়ুম এর আগেও জেলার আখাউড়া এলাকার একটি হোটেলে নারীসহ আটক হয়েছিল।

ময়মনসিংহে বন্ধ থাকা আউলিয়ানগর রেলওয়ে স্টেশনে স্টপেজের দাবিতে ট্রেন আটকে অবরোধ ও বিক্ষোভ করেছে শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসী। পরে আড়াই ঘণ্টা পর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার আশ্বাসে লাইন থেকে সরে আসে আন্দোলনকারীরা।

রোববার (১৫ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে আউলিয়া নগর স্টেশনে কমিউটার ট্রেন আটকে আন্দোলন করে শিক্ষার্থী-এলাকাবাসী। এতে ঢাকা-ময়মনসিংহ রেল যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। এমন খবর পেয়ে ত্রিশাল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জুয়েল আহমেদ ঘটনাস্থলে এসে ট্রেন স্টপেজের ব্যবস্থার আশ্বাস দিলে বেলা ১২টার দিকে আন্দোলনকারীরা সরে যায়।

ত্রিশাল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জুয়েল আহমেদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আউলিয়া নগর স্টেশনে ট্রেন আটকে বিক্ষোভ করায় গফরগাঁও স্টেশনে তিস্তা এক্সপ্রেস, মশাখালী স্টেশনে মহুয়া এক্সপ্রেস, ফাতেমা নগর স্টেশনে ব্রহ্মপুত্র এক্সপ্রেস, ময়মনসিংহ স্টেশনে হাওর এক্সপ্রেস আটকে ছিল। এতে ট্রেনের যাত্রীরা চরম ভোগান্তি পড়েন।

গফরগাঁও রেলওয়ে ফাঁড়ির সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) জাহাঙ্গীর আলম বলেন, আমি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ঘটনাস্থলে ছিলাম। পরে ত্রিশাল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করে আন্দোলনকারীদের আশ্বাস দিলে তারা লাইন ছেড়ে দেয়। পরে আটকে থাকা ট্রেনগুলো স্টেশন ছেড়ে তাদের গন্তব্যের উদ্দেশ্যে ছেড়ে গেছে।

ত্রিশাল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জুয়েল আহমেদ বলেন, আউলিয়া নগর স্টেশনে ট্রেন আটকে মানববন্ধন ও বিক্ষোভের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে ১০ দিনের সময় নিয়ে আন্দোলনকারীদের সরে আসতে বলা হয়। এমন আশ্বাসে আন্দোলনকারীরা লাইন থেকে সরে আসে। আপাতত ১০ দিন কেউ কোন আন্দোলন করবেন না। পরে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ নিজেদের মাঝে আলোচনা করে ঠিক করবে, কতদিন পর থেকে আওলিয়া নগর স্টেশনে ট্রেন দাঁড়াবে।