সীতাকুণ্ডে বিস্ফোরণে দগ্ধ ৮ জনকে পাঠানো হয়েছে ঢাকায়

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে শিপইয়ার্ডে বিস্ফোরণে দগ্ধ ৮ জনকে ঢাকার শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে পাঠানো হয়েছে।

শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৫টার দিকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের বার্ন ইউনিট থেকে তাদের ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। বাকি চারজন বার্ন ইউনিটে ভর্তি রয়েছেন।

বিজ্ঞাপন

যাদের ঢাকায় নেওয়া হচ্ছে- বরকত উল্লাহ, আনোয়ার হোসেন, আল আমিন, জাহাঙ্গীর, হাবীব, কাসেম, খাইরুল, আহমেদ উল্লাহ। এদের মধ্যে জাহাঙ্গীরের ৭০ শতাংশ, আহমেদ উল্লাহর ৯০ শতাংশ, আল আমিনের ৮০ শতাংশ, বরকত উল্লাহ ৬০ শতাংশ পুড়ে গেছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগের সহকারী রেজিস্ট্রার ডা. মো. রায়হানুল কাদের বার্তা২৪.কমকে বলেন, সীতাকুণ্ডে দুর্ঘটনায় দগ্ধ ১২ জনের মধ্যে ৮ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। আমরা শিপইয়ার্ডে কর্তৃপক্ষকে দগ্ধদের ঢাকায় বার্ন হাসপাতলে নিতে পরামর্শ দিই। তারাও আহতদের চিকিৎসার প্রতি আন্তরিক। তাদের মাধ্যমে আহতদের শেখ হাসিনা বার্ন ইউনিটে পাঠানো হয়েছে। বাকি চারজন চিকিৎসাধীন রয়েছেন। সেই চারজনের শরীরের বাইরে তেমন গুরুতর বার্ন না থাকলেও বিস্ফোরণের ফলে বিকট শব্দে কান ও শরীরে আঘাত হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

এর আগে, বেলা সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার সোনাইছড়ি ইউনিয়নের তেঁতুলতলা এলাকার সমুদ্র উপকূলে অবস্থিত এসএন করপোরেশন নামে একটি শিপ ইয়ার্ডে জাহাজ কাটার সময় ভয়াবহ এ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করে কুমিরা ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট। এতে ১২ জন দগ্ধ হন। তাদেরকে বেলা ১টার দিকে চমেক হাসপাতালে আনা হলে বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়।

বিস্ফোরণে আহতরা হলেন- জাহাঙ্গীর (৪৮), আহমাদুল্লাহ (৩৮), কাসেম (৩৯), সাগর (২০), আলামিন (২৩), কারিমুল (২১), হাবিব (৩৬), বরকত (২৩), আনোয়ার (৫০), রফিকুল (৩০), রফিক (৩০), সাইফুল (৩০)।

আগ্রাবাদ ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স নিয়ন্ত্রণ কক্ষে দায়িত্বরত এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, শনিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে সীতাকুণ্ড কুমিরা এলাকার এসএম করপোরেশন ইয়ার্ডে জাহাজ কাটার সময় বিকট শব্দে বিস্ফোরণের পর তাতে আগুন ধরে যায়। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে ছুটে যায়।

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ তসলিম উদ্দিন বলেন, সীতাকুণ্ডে শিপইয়ার্ডে জাহাজ কাটার সময় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত গুরুতর আহত অবস্থায় ১২ জনকে হাসপাতালে আনা হয়েছে। তারা ৩৬ নম্বর বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটে ভর্তি আছেন। হাসপাতালে নিয়ে আসা অনেকে ৮০ থেকে ৯০ শতাংশ দগ্ধ। এদের মধ্যে ৯ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

এস এন করপোরেশনের ম্যানেজার (এডমিন) ওমর ফারুক বলেন, একটি জাহাজ কাটার কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে ছিল। আজ জাহাজটির ইঞ্জিন রুমে হঠাৎ একটি পাম্পের বিস্ফোরণ ঘটলে ১২ জন শ্রমিক আহত হন। আমরা পরিবেশ অধিদফতরের নিয়ম মেনেই জাহাজ কাটার কাজ করি। কিন্তু এই ঘটনা সম্পূর্ণ অনাকাঙ্ক্ষিত। আহতদের সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে।