শিপইয়ার্ডে বিস্ফোরণে দগ্ধ একজনের মৃত্যু

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকায় নেওয়ার পথে একজনের মৃত্যু, ছবি: বার্তা২৪.কম

ঢাকায় নেওয়ার পথে একজনের মৃত্যু, ছবি: বার্তা২৪.কম

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে শিপইয়ার্ডে বিস্ফোরণের ঘটনায় দগ্ধ একজনের ঢাকায় নেওয়ার পথে মৃত্যু হয়েছে। বাকি সাতজনকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের অবস্থাও আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক।

রোববার (৮ সেপ্টেম্বর) সকালে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা. তরিকুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

বিজ্ঞাপন

বাকি সাতজন হলেন- মো. জাহাঙ্গীর আলম (৪৮), আবুল কাশেম (৩৯), বরকাতুল্লাহ (২৩), আনোয়ার হোসেন (৪৫), খাইরুল ইসলাম (২১), আল-আমিন (২৩) ও হাবিব (৩৫)।

শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা. তরিকুল ইসলাম বলেন, মধ্যরাতে দগ্ধ অবস্থায় চট্টগ্রাম থেকে আমাদের এখানে সাতজনকে নিয়ে আসা হয়েছে। ঢাকায় আনার পথে আহমেদ উল্লাহ নামে একজন মারা যায়।

বিজ্ঞাপন

তিনি আরও জানান, দগ্ধদের মধ্যে মো. জাহাঙ্গীর আলমের শরীরে ৭০ শতাংশ, আবুল কাশেমের শরীরের ৭০ শতাংশ, বরকাতুল্লাহর শরীরের ৬০ শতাংশ, আনোয়ার হোসেনের শরীরের ২৫ শতাংশ, খাইরুল ইসলামের শরীরের ৮০ শতাংশ, আল-আমিনের শরীরের ৮০ শতাংশ ও হাবিবের শরীরের ৪৫ শতাংশ পুড়ে গেছে। তাদের মধ্যে বেশ কয়েকজনকে আইসিইউতে পাঠানো হয়েছে। তাদের সবারই অবস্থা আশঙ্কাজনক।

এর আগে, শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) বেলা সাড়ে ১২টার দিকে উপজেলার সোনাইছড়ি ইউনিয়নের তেঁতুলতলা এলাকার সমুদ্র উপকূলে এসএন কর্পোরেশন নামের ওই শিপইয়ার্ডে জাহাজ কাটার সময় পাম্পহাউজে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে দগ্ধ হন মোট ১২ জন। এরপর তাদেরকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়। আহতদের মধ্যে ৮ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাদেরকে একইদিন বিকেলে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়।

চমেকে চিকিৎসাধীন বাকি চারজন হলেন- সাগর (২০), রফিকুল ইসলাম (৩০), মো. রফিক (৩০), সাইফুল (৩০)।

ঘটনার পরপরই এস এন কর্পোরেশনের ম্যানেজার (এডমিন) ওমর ফারুক জানিয়েছিলেন, ‘একটি জাহাজ কাটার কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে ছিল। আজ জাহাজটির ইঞ্জিন রুমে হঠাৎ একটি পাম্পের বিস্ফোরণ ঘটলে ১২ জন শ্রমিক আহত হন। আমরা পরিবেশ অধিদপ্তরের নিয়ম মেনেই জাহাজ কাটার কাজ করি। কিন্তু এই ঘটনা সম্পূর্ণ অনাকাঙ্ক্ষিত।’