হাসিনা-রেহানা-কাদেরসহ ৪৯ জনের নামে হত্যা মামলা
রংপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে পুলিশ ও ছাত্রজনতার সংঘর্ষে গত ১৯ জুলাই পুলিশের গুলিতে নিহত হয় ফল বিক্রেতা সাজ্জাদ হোসেন (২৮)। তার মৃত্যুর ঘটনায় তার মা ময়না বেগম বাদী হয়ে আরও একটি হত্যা মামলা করেছেন।
রবিবার (৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বিজ্ঞ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আমলি আদালতে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, শেখ রেহানা ও কাদেরসহ ৪৯ জনকে আসামি করে এই মামলা করেন নিহত সাজ্জাদ হোসেনের মা ময়না বেগম।
এই মামলায় অন্যান্য আসামিরা হলেন, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাবেক মন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, রাশেদ খান মেনন, সাবেক প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ এ আরাফাত, সাংবাদিক সুভাষ সিংহ রায়, সাংবাদিক নাইমুল ইসলাম খান, সাবেক সংসদ সদস্য অপু উকিল, জাকির হোসেন, আসাদুজ্জামান বাবলু, আহসানুল হক চৌধুরী ডিউক, সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন, সাবেক রংপুর জেলা পুলিশ সুপার মো. শাহজাহানসহ ৪৯ জন।
মামলাটির এজাহার সূত্রে জানা গেছে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে গত ১৯ জুলাই রংপুর মহানগরীর সিটি বাজার সংলগ্ন রামমোহন মার্কেট ও কৈলাশ রঞ্জন স্কুল সড়ক এলাকায় ছাত্র-জনতার সংঘর্ষে রণক্ষেত্র পরিস্থিতিতে পুলিশ-বিজিবিসহ আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা নির্বিচারে গুলি চালিয়েছিল। সেসময় ছাত্রদের মধ্যে খাবার রুটি-কলা সরবরাহের করতে ফল বিক্রেতা সাজ্জাদ হোসেন গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। পরে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের বাধার মুখে পরে ময়নাতদন্ত ছাড়াই তড়িঘড়ি করে সাজ্জাদের মরদেহ দাফন করে পরিবার।
তবে, গত ২ সেপ্টেম্বর আদালতের নির্দেশে নিহত সাজ্জাদ হোসেনের মরদেহ তদন্তের স্বার্থে কবর থেকে তোলা হয়।
এর আগে গত ২০ আগস্ট নিহত সাজ্জাদ হোসেনের স্ত্রী জিতু বেগম বাদী হয়ে একটি মামলা করেন। ওই মামলায় শেখ হাসিনা এবং তার বোন শেখ রেহানা, ওবায়দুল কাদেরসহ, আসাদুজ্জামান খান কামাল, হাছানুল হক ইনু, রাশেদ খান মেনন, সাংবাদিক সুভাষ সিংহ রায়, নাইমুল ইসলাম খান, মোহাম্মদ এ আরাফাত ও আওয়ামী লীগ নেত্রী অপু উকিলকে হুকুমের আসামি করা হয়েছে।
উল্লেখিত মামলায় অন্যান্য আসামিরা হলেন সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন এবং রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার (বাধ্যতামূলক অবসর) মো. মনিরুজ্জামানসহ পুলিশ কর্মকর্তা, আইনজীবী, সাবেক জনপ্রতিনিধি, আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা রয়েছেন।
নিহত সাজ্জাদ হোসেন হত্যা মামলাটি আদালত গ্রহণ করেছে বলে নিশ্চিত করেছেন বৈষম্যবিরোধী আইনজীবী আন্দোলনের সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট পলাশ কান্তি নাগ।