জনতার ধরিয়ে দেওয়া যুবলীগ নেতাকে ছেড়ে দিল পুলিশ, ওসি প্রত্যাহার

  • স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম ব্যুরো
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

লোহাগাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. রাশেদুল ইসলাম

লোহাগাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. রাশেদুল ইসলাম

আটকের পর সাইফুল ইসলাম সজীব নামের এক যুবলীগ নেতাকে ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগে চট্টগ্রামের লোহাগাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. রাশেদুল ইসলামসহ চারজনকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। এই থানায় নতুন ওসির দায়িত্ব পেয়েছেন পুলিশ পরিদর্শক (নিরস্ত্র) আরিফুর রহমান।

বিজ্ঞাপন

পুলিশ সূত্র জানায়, সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) ভোরে লোহাগাড়ার কলাউজান বাংলাবাজার হতে ধাওয়া দিয়ে যুবলীগ নেতা ও পুলিশের সোর্স সাইফুল ইসলাম সজীবকে আটক করে জনতা। পরে সকাল ৮টার দিকে তাকে লোহাগাড়া থানায় হস্তান্তর করা হয়। ওই আসামিকে সংশ্লিষ্ট মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে পাঠানোর আশ্বাস দেয় পুলিশ। কিন্তু জনতা থানা থেকে সরে যাওয়ার কিছুক্ষণ পরই ওই আসামিকে ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। এরপর স্থানীয়রা ফের থানা এলাকায় জড়ো হয়ে অভিযুক্ত পুলিশ কর্মকর্তাদের শাস্তি দাবি করেন। ওসিসহ জড়িতদের প্রত্যাহারের দাবিও জানান তারা। এরপর ওসি, ডিউটি অফিসার ও সেন্ট্রি ডিউটিতে নিয়োজিত কনস্টেবলকে প্রত্যাহার করা হয়।

স্থানীয়রা জানান, সাইফুল ইসলাম সজীবকে আটক করার পর ক্ষুব্ধ জনতা তাকে মারধর করেন। এতে সজিব পায়ে আঘাত পেয়েছেন। এর ফলে তার পালিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়। পুলিশ হয়তো থানার পেছন দিকে তাকে ছেড়ে দিয়েছে, না হয় নিজেদের গাড়িতে পালানোর সুযোগ দিয়েছে। কেননা সজিব এতদিন পুলিশের সোর্স হিসেবে কাজ করতেন।

প্রত্যাহার হওয়া বাকি তিনজন হলেন উপপরিদর্শক (এসআই-নিরস্ত্র) নাছিমা আক্তার, আমির হোসেন এবং কনস্টেবল এম এনামুল হক। প্রত্যাহার হওয়া চার পুলিশ কর্মকর্তাকেই পুলিশ লাইন্স, চট্টগ্রামে সংযুক্ত করা হয়েছে।

চট্টগ্রামের পুলিশ সুপার রায়হান উদ্দিন খানের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, পলাতক আসামিকে গ্রেফতারের জন্য অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম) ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, সাতকানিয়া সার্কেলের নেতৃত্বে একটি টিম অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে। এছাড়াও জেলা গোয়েন্দা শাখার দুটি টিম অভিযান অব্যাহত রেখেছে।

যুবলীগ নেতা সাইফুলের বিরুদ্ধে থানায় গরু চুরি, চাঁদাবাজিসহ একাধিক মামলা রয়েছে। এলাকায় চাঁদাবাজি, অত্যাচার নিপীড়নসহ নানা অভিযোগ থাকা সজিবকে স্থানীয়রা অনেকদিন ধরে খোঁজাখুঁজি করছিলেন। একপর্যায়ে সোমবার সকালে তাকে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দেন স্থানীয়রা।