টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে নারী শিক্ষার্থীদের ইভটিজিংয়ের প্রতিবাদ করায় সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা ও লাঞ্ছিতের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী আহত হয়েছে। আহত শিক্ষার্থীদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়েছে।
সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে উপজেলা পৌর শহরের ভূঞাপুর বাসস্ট্যান্ডে এ ঘটনা ঘটে। ইভটিজিংকারীদের বিচারের দাবিতে ভূঞাপুর-তারাকান্দি আঞ্চলিক মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ সমাবেশ কর্মসূচি পালন করে শিক্ষার্থীরা।
জানা যায়, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মামুনুর রশীদের বদলির প্রত্যাহারের দাবিতে ভূঞাপুর উপজেলা পরিষদ গেটের সামনে ছাত্র-জনতা বিক্ষোভ, মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে। পরে সেখান থেকে কর্মসূচি শেষে শিক্ষার্থীরা বাড়ি চলে যাওয়ার সময় পরিবহন শ্রমিকরা নারী শিক্ষার্থীদের ইভটিজিং করে।
এনিয়ে শিক্ষার্থীরা প্রতিবাদ করতে গেলে পৌর শহরের ফসলান্দি এলাকার পরিবহন শ্রমিক জিয়া, শফিকুল, আলীম, খলিল ও ইউসুফের নেতৃত্বে শিক্ষার্থীদের লাঞ্ছিত ও মারধর করে। এতে বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী আহত হন। পরে বাসস্ট্যান্ড চত্বরে জিয়াসহ জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতার ও বিচারের দাবিতে সড়কে বসে ঘণ্টাব্যাপী বিক্ষোভ করে শিক্ষার্থীরা।
ইভটিজিংয়ের শিকার শিক্ষার্থীরা জানায়, আমাদের উপজেলার ইউএনও’র প্রত্যাহারের দাবিতে কর্মসূচি ছিল। সেই কর্মসূচি শেষ করে চলে যাওয়ার সময় ট্রাক শ্রমিক নেতা জিয়া ও তার সহযোগীরা অশালীন মন্তব্য করে। পরে আমার সহকর্মীরা তাদের মধ্যে একজন আটক করলে পরিবহন শ্রমিকরা এসে হামলা চালায় এবং কয়েকজন আহত হন। তারা জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতার ও বিচার দাবি করেন।
এদিকে, সড়ক অবরোধের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মামুনুর রশীদ ও ভূঞাপুর থানা পুলিশ ও সেনাবাহিনীর টহল সদস্যরা আসে। এ সময় বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতাদের ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনার আশ্বাস প্রদান করলে শিক্ষার্থীরা অবরোধ থেকে সরে যায়।
এই ঘটনার ইবরাহীম খাঁ সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ ও শিক্ষক/শিক্ষিকারা আহত শিক্ষার্থীকে দেখতে হাসপাতালে যান এবং বিষয়টি ইউএনওকে অবহিত করেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মামুনুর রশীদ জানান, শিক্ষার্থীদের উপর হামলাকারী দোষীদের গ্রেফতারপূর্বক আইনের আওতায় আনার আশ্বাস দেয়া হলে তারা অবরোধ কর্মসূচী প্রত্যাহার করে সড়ক ছেড়ে দেয়। শিক্ষার্থীদের ওপর হামলায় জড়িতদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।