মেহেরপুর-চুয়াডাঙ্গা আঞ্চলিক মহাসড়কে বাস চলাচল বন্ধ করে চতুর্থ দিনে গড়িয়েছে আজ মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর)। চুয়াডাঙ্গা বাস মালিক সমিতি ও ইজিবাইক চালকদের দ্বন্দ্বের জের ধরে শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) বিকেলে মেহেরপুর-চুয়াডাঙ্গা আঞ্চলিক মহাসড়কের সব ধরনের লোকাল বাস চলাচল বন্ধ করে দেয় বাস মালিক ও মোটর শ্রমিক ইউনিয়ন। তবে চলাচল করছে দূরপাল্লার যানবাহন।
চারদিন ধরে বাস চলাচল বন্ধ থাকায় সড়কে নিয়মিত বাসের যাত্রীরা পড়েছেন চরম দূভোর্গে। ছোট ছোট যানবাহন চলাচল করলেও সরাসরি চলাচল করছে না। খণ্ড খণ্ড স্থান থেকে যাত্রী পরিবহন করায় দুর্ভোগের সাথে যাত্রীদের খরচ বেড়েছে কয়েকগুণ। বিশেষ করে কর্মজীবী ও শ্রমজীবী মানুষ পড়েছেন বেশ বিপাকে।
বিজ্ঞাপন
মেহেরপুর জেলা মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মতিয়ার রহমান জানান, সড়কে প্রচুর পরিমাণে অবৈধ যানবাহন চলাচল করায় বাস চলাচলে মারাত্মক বাধা সৃষ্টি হচ্ছে। বাসের আয় কমার পাশাপশি প্রায়ই দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন বাস চালকরা। এসব অবৈধ যানবাহনের দৌরাত্ম কমানো না গেলে বাস চলাচল বন্ধ হয়ে যাবে।
তিনি আর ও জানান, শনিবার যে দ্বন্দের জেরে বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে, তা নিরসনে চুয়াডাঙ্গা বাস মালিক সমিতি ও মোটর শ্রমিক ইউনিয়ন নেতৃবৃন্দের সাথে জেলা প্রশাসনের আলোচনা চলছে। সমস্যা সমাধান হলেই বাস চলাচল শুরু হবে।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সে যুক্ত হয়েছে ৬টি ব্র্যান্ড নিউ বেল্ট লোডার। হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের থার্ড টার্মিনালের গ্রাউন্ড সার্ভিস ইক্যুইপমেন্ট (জিএসই) সেবা উন্নত করতে এসব বেল্ট লোডার সমূহ যুক্ত হয়েছে। ছোট ও মাঝারি মাপের উড়োজাহাজ যেমন: বোয়িং ৭৩৭, বোয়িং এ-৩২০ এবং ড্যাশ-৮ উড়োজাহাজে কার্গো ও ব্যাগেজ উত্তোলন ও অবতরণ কাজে ব্যবহৃত হবে। বেল্ট লোডারগুলোতে নিউ জেনারেশনের আধুনিক সেন্সর যুক্ত থাকায় এয়ারক্রাফটের নিরাপত্তা বৃদ্ধিতে যথার্থ ভূমিকা পালন করবে।
শাহজালালের থার্ড টার্মিনালের সক্ষমতার অংশ হিসেবে এসব অত্যাধুনিক ইক্যুইপমেন্ট কেনা হয়েছে। গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং সক্ষমতার অংশ হিসেবে প্রায় ১০০০ কোটি টাকার ইক্যুইপমেন্ট কেনার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এরই অংশ হিসেবে এসব ইক্যুইপমেন্ট বিমান যুক্ত হয়েছে।
এর আগে ২০টি বেল্ট লোডার ছিল, এর সাথে নতুন ৬টি যুক্ত হওয়ায় সক্ষমতা বহুগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। এর ফলে বিভিন্ন এয়ারলাইন্স এর বাড়তি চাহিদাসমূহ সহজে পূরণ করা যাবে। বিমান এর জিএসই বহরে বর্তমানে ২০০০ এর মত মটরাইজড ও নন-মটরাইজড ইক্যুইপমেন্ট রয়েছে। হাইলোডার, কন্টেইনার প্যালেট ট্রান্সপোর্টার, এয়ার কন্ডিশনিং ভ্যান, প্যাসেন্জার স্টেপ, ওয়াটার কার্ট, ফ্লাশ কার্ট, এম্বুলিফটসহ আরও অন্যান্য ইক্যুইপমেন্ট ক্রয়ের কাজ চলমান রয়েছে। কয়েক মাসের মধ্যেই এসকল বহু ইক্যুইপমেন্ট জিএসই বহরে যুক্ত হবে। জিএসই বিভাগ দৈনিক ৩২টি থেকে ৪০টি এয়ারলাইন্স এর ১৬০-১৭০টি ফ্লাইট হ্যান্ডলিং করে থাকে। থার্ড টার্মিনালকে কেন্দ্র করে নতুন নতুন ইক্যুইপমেন্ট ক্রয়ের পাশাপাশি জিএসই অপারেটর, মেকানিক নিয়োগ এবং প্রশিক্ষণের মাধ্যমে জিএসই বিভাগের সক্ষমতা বহুগুণ বৃদ্ধি করা হয়েছে। সম্মানিত যাত্রীদের ব্যাগেজ প্রাপ্তির সময় কমিয়ে আনা হয়েছে। ১৮-৫১ মিনিটের মধ্যে ব্যাগেজ ডেলিভারির হার ৮৫% এর উপরে উন্নীত হয়েছে। এ হার শীঘ্রই শতভাগে উন্নীত করার প্রচেষ্টা চলমান রয়েছে। এছাড়াও এয়ারপোর্ট সার্ভিসে জনবল বৃদ্ধির জন্য ১০০ গ্রাউন্ড সার্ভিস এসিস্টেন্ট নিয়োগ করা হয়েছে এবং নতুন আরও জনবল নিয়োগের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।
ইতোমধ্যে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং সার্ভিসের উন্নতির স্বীকৃতি হিসেবে ইন্টারন্যাশনাল এয়ার ট্রান্সপোর্ট এসোসিয়েশন সেফটি অডিট ফর গ্রাউন্ড অপারেশন্স (আইএসএজিও) সনদ লাভ করেছে।
উল্লেখ্য, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স বিগত ৫২ বছর যাবৎ বাংলাদেশে গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং সেবা প্রদান করে আসছে। বর্তমানে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের অবকাঠামোগত সীমাবদ্ধতা রয়েছে। প্রবেশের গেইট, চেক ইন কাউন্টার, ব্যাগেজ বেল্ট, বোর্ডিং ব্রিজ, ইত্যাদি প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল। থার্ড টার্মিনাল চালু হলে এয়ারপোর্টের অবকাঠামোগত সমস্যার সমাধান হবে এবং সীমাবদ্ধতাগুলো দূর হবে। থার্ড টার্মিনালের আধুনিক প্রযুক্তি ও অবকাঠামোগত ব্যপকতার কারণে বিমান গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং সেবা অত্যন্ত সফলতার সাথে প্রদান করতে সক্ষম হবে। রাষ্ট্রীয় পতাকাবাহী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স থার্ড টার্মিনালে গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং সেবা প্রদানে সম্পূর্ণরূপে প্রস্তুত আছে।
সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজাকে কেন্দ্র করে টানা চার দিনের ছুটির কবলে পড়েছে দেশ। ছুটি উদযাপনে রাজধানী ছাড়ছে হাজার হাজার মানুষ। ফলে উপচে পড়া ভিড় লেগেছে রাজধানীর প্রবেশ ও বাহিরমুখ সাইদাবাদের বাস কাউন্টারে।
তবে অধিকাংশ বাসে দীর্ঘ শিডিউল বিপর্যয়ে এতে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন দূরপাল্লার যাত্রীরা।
তবে, অধিকাংশ গাড়িতে শেষ হয়েছে টিকিট। ফলে আজকের টিকিট না পেয়ে অনেককে আগামীকাল বৃহস্পতিবারের অগ্রিম টিকিট কাটতেও দেখা গেছে। একই সঙ্গে অনেককে গাবতলী টিকিট কাউন্টারের উদ্দেশ্যে রওনা দিতেও দেখা গেছে।
বেলা ২টা ২০ মিনিটের গাড়ি ৪টা ৩২ মিনিটেও আসতে দেখা গেছে। একই সঙ্গে ৩টার গাড়ি ৪টার পরেও আসতে দেখা গেছে।
সাইদাবাদ থেকে কুষ্টিয়া মেহেরপুর যাবেন আসমা। ২টা ৩০ মিনিটের গাড়ি সাড়ে ৪টার সময়ও কাউন্টারে না এলে শুরু করেন উচ্চবাচ্য।
আসমা বলেন, অন্যান্য গাড়িতে টিকিট কাটিনি। কারণ গোল্ডেন লাইনের গাড়িটির সময় ছিল অন্য গাড়ির আগে। সব গাড়ির শিডিউল ছিল ২টা ৩০ মিনিটের পরে। আমি মহিলা মানুষ এতো দূরের পথ আমি একা যাবো। গভীর রাত হয়ে গেলে গাড়ি থেকে নেমে বাড়িতে যাওয়া ঝুঁকির বিষয়। তাই এই গাড়িতে আগে যেতে পারবো বলে টিকিট কেটেছি। কিন্তু এখন সাড়ে ৪টা বাজে গাড়ি এখনও আসেনি।
মাগুরাগামী যাত্রী রাফি বার্তা২৪.কমকে বলেন, দুই ঘণ্টা আগে গাড়ি ছেড়ে যাওয়ার সময় ছিল। কিন্তু এখনও গাড়ি কাউন্টারেই এসে পৌঁছাতে পারেনি। কখন আসবে তাও জানি না। কাউন্টারে কথা বললাম তারা বলে গাড়ি জ্যামে আছে।
কুষ্টিয়া শেখপাড়ার এক যাত্রী বলেন, ৩টা ৪০ মিনিটে গাড়ির সময় দেয়া ছিলো। কিন্তু এখন বাজে ৪টা ৫০। এখনও গাড়ি আসেনি। কখন আসবে বলতেও পারি না। তারপর গাড়ি আসলেও রাস্তার কি পরিস্থিতি সেটা বা কে জানে। রাস্তায় যদি আবার জ্যাম থাকে তাহলে কয়টায় পৌঁছাবো কে জানে।
এদিকে শিডিউল বিপর্যয়ের কারণ জানতে চাইলে কাউন্টারে দ্বায়িত্বরতরা জানান, ঢাকার মধ্যে অনেক জ্যাম। গাড়ি জ্যামে থাকার কারণে প্রতিটা গাড়িতেই লেট হচ্ছে।
টিকিট বিক্রির বিষয়ে জানতে চাইলে গোল্ডেন লাইন বাস কাউন্টারের টিকেট বিক্রেতা জানান, কোনো গাড়িতে টিকিট নেই। সব টিকিট বিক্রি হয়ে গেছে। অনেকে এসে ফিরে যাচ্ছেন। অনেকে আবার কালকের জন্য অগ্রিম টিকিট কেটে নিয়ে যাচ্ছে। হঠাৎ করে বৃহস্পতিবার বন্ধ ঘোষণায় টিকিট বিক্রির চাপ বেড়ে গেছে।
দুর্গাপূজা উপলক্ষে আগামী বৃহস্পতিবার একদিনের বর্ধিত ছুটি পাচ্ছেন সরকারি ও বেসরকারি চাকরিজীবীরা। এতে টানা চার দিনের ছুটির কবলে পড়ছে সরকারি ও বেসরকারি সকল অফিস।
শারদীয় দুর্গাপূজা ও সাপ্তাহিক ছুটি মিলিয়ে চলতি মাসে টানা তিন দিনের ছুটি পাওয়ার কথা ছিলো সরকারি চাকরিজীবীদের। বিজয়া দশমীর সরকারি ছুটি থাকবে আগামী ১৩ অক্টোবর (রোববার)। তার আগে শুক্র ও শনিবার সাপ্তাহিক ছুটি। দেশের সব সরকারি ও আধা-সরকারি অফিস এবং স্বায়ত্তশাসিত ও আধা-স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে এ ছুটি থাকবে বলে জানানো হয়েছিল।
পারস্পরিক সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতির মাধ্যমে নতুন বাংলাদেশ গড়ে উঠবে বলে মন্তব্য করেছেন ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন।
বুধবার (৯ অক্টোবর) দুপুরে রাজধানীর সিদ্ধেশ্বরী কালী মন্দিরে শারদীয় উৎসব শ্রী শ্রী দুর্গাপূজা উপলক্ষ্যে সিদ্ধেশ্বরী সার্বজনীন পূজা উদযাপন পরিষদের আয়োজনে বস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি একথা বলেন।
ড. খালিদ বলেন, বংশানুক্রমিকভাবেই আমাদের অন্তর সংকীর্ণ। হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান, জৈন ও বিভিন্ন উপজাতির মানুষ যারা এদেশে বসবাস করে তাদের সবার ক্ষেত্রেই এটা প্রযোজ্য। আমরা অন্যদেরকে অন্তরে স্থান দিতে পারি না। আমরা প্রচন্ডরূপে আত্মকেন্দ্রিক। এই অচলায়তন ভেঙে আমাদের দৃষ্টিভঙ্গিকে প্রসারিত করতে হবে। পারস্পরিক সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতি বাড়াতে হবে।
ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, পূর্বের সরকারগুলো দুর্গাপূজাতে পূজামণ্ডপগুলোতে সহযোগিতা করার জন্য সাধারণত দুই কোটি টাকা বরাদ্দ দিতো। কিন্তু বর্তমান সরকার এ বছর চার কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছেন।
এছাড়া, এবারই প্রথম প্রথাগত নিয়ম ভেঙে দুর্গাপূজার ছুটি একদিন বাড়ানো হয়েছে। আবহমানকাল থেকেই সনাতন ধর্মাবলম্বীরা ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য ও উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্যে দিয়ে শারদীয় দুর্গোৎসব উদযাপন করে থাকে। এটি বাংলাদেশের ঐতিহ্য। এবছরও তারা আনন্দমুখর পরিবেশে দুর্গোৎসব উদযাপন করতে পারবে। এলক্ষ্যে সব ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে এবং আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
ড. খালিদ বলেন, আমি দায়িত্ব নেওয়ার পর ইতোমধ্যেই বেশকিছু মন্দির, গির্জা ও প্যাগোডা পরিদর্শন করেছি। কয়েকটি মন্দিরে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করছি। পরবর্তীতেও আমি বিভিন্ন উপাসনালয় পরিদর্শনে যাব। আমরা সবসময় সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষা করে আসছি, আগামী দিনেও আমরা এটা রক্ষা করব।
উপদেষ্টা বলেন, পারস্পরিক হিংসা-বিদ্বেষ আমাদেরকে ছোট করে দেয়। বাংলাদেশ আমাদের সবার। সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে আমরা স্বাধীনতা অর্জন করেছি। আমাদের সবার অধিকার সমান। ধর্মচর্চা, ধর্ম পালন ও ধর্ম অনুশীলন আমাদের সাংবিধানিক অধিকার। যেসব দুর্বৃত্ত আমাদের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিকে বিনষ্ট করতে চাই তাদেরকে সরকার কঠোর হাতে দমন করবে।
সিদ্ধেশ্বরী সার্বজনীন পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি নিবাস চন্দ্র মাঝি'র সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য প্রদান করেন ধর্মসচিব মু. আ. হামিদ জমাদ্দার ও সিদ্ধেশ্বরী কালী মন্দিরের স্টিয়ারিং কমিটির চেয়ারম্যান তপন মজুমদার প্রমুখ। এসময় অন্যানের মাঝে মন্দির কমিটির সাধারণ সম্পাদক নারায়ণ চন্দ্র দত্ত, স্টিয়ারিং কমিটির সদস্য সচিব সমীর গুপ্ত, সদস্য প্রণীতা সরকার।
পরে উপদেষ্টা সনাতন ধর্মাবলম্বী দুস্থ-অসহায় মানুষের মাঝে বস্ত্র বিতরণ করেন।
কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে মাঠে কাজ করার সময় বৃষ্টি এবং বজ্রপাতে চারজনের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় আরও বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে।
বুধবার (৯ অক্টোবর) বিকেলে উপজেলার হোসেনাবাদ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- দৌলতপুর উপজেলার হোসেনাবাদ গড়েরপাড়া এলাকার মৃত ময়েন উদ্দিনের ছেলে নিজাম উদ্দিন (৪৮), মোজাম আলীর ছেলে তরিকুল ইসলাম (২৫), মৃত হাউস আলীর ছেলে আওলাদ (৬০) হোসেন এবং ফারাকপুর বটতলা এলাকার জামান আলীর স্ত্রী জহুরা খাতুন (৪০)।
দৌলতপুর উপজেলা কৃষি অফিসার নুরুল ইসলাম নান্নু বলেন, বজ্রপাতে চারজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। হোসেনাবাদ এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে। তারা বিকেলে মাঠে কাজ করতে ছিলো। এসময় দমকা হাওয়া ও প্রচন্ড বৃষ্টিপাতের সাথে বজ্রপাত ঘটে। এতে ঘটনাস্থলেই তিনজনের মৃত্যু হয়।
আরেকটি মাঠে আরেকজন কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। এসব ঘটনায় আরও চারজন আহত হয়েছে। তাদের উদ্ধার করে দৌলতপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
দৌলতপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহবুবুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। বিস্তারিত তথ্য পরে জানাবেন বলে জানান।