বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে সিলেটে পুলিশের গুলিতে নিহত সাংবাদিক এটিএম তুরাবের হত্যাকারীদের কঠিন বিচারের আওতায় এনে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে ওয়াদা করেছেন কেন্দ্রীয় সমন্বয়করা।
মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সিলেট নগরীর সোবহানীঘাট এলাকায় নিহত সাংবাদিক তুরাবের মা মমতাজ বেগম ও স্বজনদের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে এ ওয়াদা করেন।
সাক্ষাৎকালে কেন্দ্রীয় সমন্বয়করা সাংবাদিক এটিএম তুরাবের মা মমতাজ বেগমকে বলেন, যারা আপনার বুক খালি করেছে তাদের সবাইকে আমরা কঠিন বিচারের সম্মুখিন করব। কাউকে ছাড় দেবো না আমরা। ইতোমধ্যে আমরা কেইস করেছি। স্বররাষ্ট্রমন্ত্রীসহ যারা হুকুম দাতা ছিলেন সবাইকে আমরা বিচারের আওতায় নিয়ে আসবো ইন্নশাল্লাহ। এটা আপনাকে আমাদের ওয়াদা।
তারা আরও বলেন, আমাদের জন্য দোয়া করবেন। আমরা আপনার সন্তান, আমরা সব সময় আসবো। এ সময় তুরাবের পরিবারের যে কোনো ধরনের প্রয়োজনে সমন্বয়করা পাশে থাকার আশ্বাস দেন।
জানা যায়, গত ১৯ জুলাই সিলেটে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে পুলিশের সরাসরি গুলিতে নিহত হন সাংবাদিক তুরাব। তিনি নয়াদিগন্ত ও জালালাবাদ পত্রিকায় কর্মরত ছিলেন।
সমন্বয়কদের কাছে আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনালে ভাই হত্যার বিচার স্থানান্তরে উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানান সাংবাদিক তুরাবের বড় ভাই আবুল আহসান মো.আজরফ।
এসময় তিনি বলেন, মৃত্যুর আগের দিনও তুরাবকে গুলি করে আহত করা হয়েছে। পরদিন তাকে টার্গেট করেই হত্যা করা হয়েছে। যারা তাকে গুলি করে হত্যা করেছে তাদের এখনো চাকরিতে বহাল রাখা হয়েছে।
সাক্ষাৎ শেষে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক হাসিব আল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, গণঅভ্যুত্থানে যারা বুলেটের সামনে বুক পেতে দিয়েছে, তাদের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য বাস্তবায়ন করার জন্য বিভিন্ন জেলায় সফর করা হচ্ছে। এই সফর ছাত্র-জনতার মধ্যে ঐক্য ধরে রাখতেও কাজ করবে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সহসমন্বয়ক রেদোয়ান আহমেদ, ফয়সাল হোসেন, সিলেট জেলার সমন্বয়ক ফয়সাল হোসেন, আবু সাঈদ, দেলোয়ার হোসেন ও গোলাম মর্তুজা প্রমুখ।
উল্লেখ্য, কেন্দ্রীয় সমন্বয়কদের ধারাবাহিক সফরের অংশ হিসেবে মঙ্গলবার ঢাকা থেকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ১১ জন কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক সিলেটে পৌঁছান।