গাজীপুরে বকেয়া বেতনসহ ১৩ দফা দাবি জানিয়ে আজও চারটি তৈরি পোশাক কারখানায় কর্মবিরতি ঘোষণা করে বিক্ষোভ করেছেন শ্রমিকরা।
মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে গাজীপুরের পূবাইল ও টঙ্গী শিল্পনগরী এলাকায় চার পোশাক কারখানায় এ বিক্ষোভ শুরু হয়। এতে ওইসব এলাকায় কিছুটা উতপ্ত পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।
টঙ্গী শিল্পনগরীর এক্সপোর্ট ভিলেইজ লিমিটেড ও ব্রাভো অ্যাপারেলস কারখানার তিন হাজার শ্রমিক সকাল থেকেই কর্মবিরতি পালন করছেন। এর আগে সকাল ৯টার দিকে তারা আন্দোলন করে।
পূবাইলের এপিএস পোশাক কারখানার এক শ্রমিক জানান, প্রতিষ্ঠানটির প্রায় দুই হাজার শ্রমিক কাজ করছেন। তাদের মাসের ৭ তারিখের মধ্যে বেতন দেয়ার কথা থাকলেও এখনো তা পরিশোধ হয়নি। তাছাড়া হাজিরা বোনাস এক হাজার টাকা করার কথা থাকলেও তা হয়নি।
আন্দোলনকারী শ্রমিকরা আরও বলেন, প্রতি মাসের ৩ তারিখ পেস্লিপ ও ৭ তারিখের মধ্যে বেতন দিতে হবে। হাজিরা বোনাস এক হাজার টাকা দিতে হবে। বেতন ১৫ শতাংশ বাড়াতে হবে। বছরে ১৮ দিনের ছুটির টাকা এক সঙ্গে দিতে হবে ও সার্ভিস বিল দিতে হবে। এছাড়াও সন্ধ্যা ৭টার পর টিফিন বিল ৫০ টাকা ও নাইট বিল ২০০ টাকা দিতে হবে। অন্তঃসত্ত্বা নারীদের চার মাসের ছুটি ও ছুটির টাকা আগে দিতে হবে। ছুটি শেষে আবার কাজে ফিরতে দিতে হবে। আন্দোলনকারী কাউকে চাকরিচ্যুত করা যাবে না। কোনো শ্রমিকের সঙ্গে খারাপ আচরণ করা যাবে না। উপরোক্ত দাবিসহ মোট ১৩ দফা দাবি বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাবার হুশিয়ারি দিয়েছেন শ্রমিকরা।
গাজীপুর শিল্প পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার গোলাম মোর্শেদ খান বলেন, বর্তমানে গাজীপুরে শ্রমিক আন্দোলন অনেকটাই কেটে গেছে। তবে গাজীপুরের পূবাইল ও টঙ্গীতে একাধিক কারখানায় তুচ্ছ কিছু আন্দোলন ও কর্মবিরতির খবর পাওয়া গেছে। এসব এলাকায় আইনশৃঙ্খলা বজায়ে পর্যপ্ত ব্যবস্থা করা হয়েছে। আশাকরি মালিকপক্ষ ও শ্রমিকদের মধ্যে দ্রুত রফাদফা হবে।