বিভিন্ন দাবি আদায়ে কয়েকদিন ধরেই উত্তপ্ত শিল্পনগরী গাজীপুর। বিভিন্ন স্থানে সড়ক অবরোধ, আন্দোলনসহ কর্মবিরতি পালন করছে শ্রমিকরা। এরই মধ্যে অনেকটাই স্বাভাবিক পরিবেশ সৃষ্টি হলেও গত মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে গাজীপুরের টঙ্গী, জয়দেবপুর ও শ্রীপুর পূবাইলসহ বিভিন্ন এলাকায় একাধিক দাবিতে বিক্ষোভ করেছে বিভিন্ন কারখানার শ্রমিকরা। ওইদিন কারখানায় ভাঙচুর ও মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন তারা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে ওইদিন জেলার বিভিন্ন এলাকার মোট ২৫টি কারখানা একদিনের জন্য ছুটি ঘোষণা দেন কর্তৃপক্ষ।
বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) সকালে এসব কারখানায় একদিনের বন্ধে নোটিশ টাঙানো দেখা গেছে।
এর আগে, মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯টা থেকে গাজীপুরের টঙ্গী বিসিক শিল্পনগরী এলাকার এমট্রানেট গ্রুপ নামে কারখানায় ১৩ দফা দাবি জানিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন শ্রমিকরা । একই সাথে যোগ দেয় পিনাকি গ্রুপ, ড্রেস ম্যান ও নোমান গ্রুপের শ্রমিকরাও।
একই দিনে গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার গড়গড়িয়া মাস্টারবাড়ী এলাকার হাই ফ্যাশন নামে তৈরি পোশাক কারখানার শ্রমিকরা ১৪ দাবিতে কর্মবিরতি ঘোষণা করেন। এসময় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করেন শ্রমিকরা। পরে পাশ্ববর্তী হাউ আর ইউ টেক্সটাইল লিমিটেডের শ্রমিকদের বের করে আনতে গেলে হামলার শিকার হন হাই ফ্যাশনের শ্রমিকরা। এসময় উত্তেজিত শ্রমিকরা হাউ আর ইউ টেক্সটাইলে ঢুকে ভাঙচুর চালায়।
এছাড়াও জয়দেবপুর নতুন বাজার এলাকার এসএম নীটওয়্যার লিমিটেড, অ্যাসরোটেক্স লিমিটেড কারখানার শ্রমিকরা দুপুর ১২টার দিকে ১৪ দফা দাবি আদায়ে উত্তেজিত হয়ে কারখানার প্রধান গেটে ইট ছুঁড়ে। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে এসব এলাকায় কারখানাগুলো ছুটি ঘোষণা করা হয়।
গাজীপুর শিল্প পুলিশের পুলিশ সুপার সারোয়ার আলম বলেন, বর্তমানে যে কারখানাগুলোতে সমস্যা হচ্ছে তা থেকে অন্যান্য কারখানায় যাতে শ্রমিক বিক্ষোভ ছড়িয়ে না পড়ে সে জন্য ২৫টি কারখানা একদিনের ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। তাছাড়া পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে মাঠে যৌথ বাহিনী মোতায়েন রয়েছে।