বান্দরবানের থানচিতে ব্যাংক ডাকাতির ঘটনায় জড়িত থাকার সন্দেহে রাম জা থাং পাতেং (৪০) নামে এক কেএনএফ সদস্যকে আটক করেছে বিজিবি।
মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) রাতে থানচির শাহজাহান পাড়া টিওবির এলাকায় বিজিবির একটি দল অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করে।
থানচির বলিপাড়া ব্যাটালিয়নের (৩৮ বিজিবি) অধিনায়ক লে. কর্নেল তৈমুর হাসান খাঁন এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছেন।
আটক রাম জা থাং পাতেং (৪০) থানছি উপজেলার ৩ নম্বর ওয়ার্ড শাহজাহানপাড়া টিওবি এলাকার সাপখোব এর ছেলে।
জানা গেছে, মঙ্গলবার দুপুরে বিজিবির কাছে তথ্য আসে যে, সোনালী ও কৃষি ব্যাংকে ডাকাতির ঘটনায় জড়িত কেএনএফের এক তালিকাভুক্ত সদস্য থানচিতে বিজিবির শাহজাহান পাড়া এলাকায় অবস্থান করছে। পরে ব্যাটালিয়ন কমান্ডারের নির্দেশনায় থানচি বিওপির কমান্ডার নায়েব সুবেদার শাহ মো. ওয়াহিদুজ্জামানের নেতৃত্বে বিজিবির একটি ‘বি টাইপ’ টহল দল ওই এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে। এ সময় বসতঘরের খাটের নিচে লুকানো অবস্থায় রাম জা থাং পাতেংকে আটক করা হয়।
৩৮ বিজিবি বলিপাড়া ব্যাটালিয়ানের অধিনায়ক লে. কর্নেল তৈমুর হাসান খাঁন বলেন, আটককৃত কেএনএফ সদস্যকে বলিপাড়া ব্যাটালিয়ন সদরে নিয়ে আসা হয়েছে। তাকে অধিকতর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বুধবার ( ১১ সেপ্টেম্বর) আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে।
এ পর্যন্ত মোট ১১৯ কেএনএফ সদস্য ও একজন চাঁদের গাড়ির চালকসহ মোট ১২০ জনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। তাদের মধ্যে ২৫ জন নারী রয়েছেন। যৌথ বাহিনীর টহলের ওপর হামলা করতে গিয়ে কেএনএফের মোট ১৭ জন নিহত হয়েছেন।
বান্দরবানের রুমা ও থানচিতে প্রকাশ্যে ব্যাংক লুটের পর বিশেষ ক্ষমতা আইন ১৯৭৪ ও সন্ত্রাস বিরোধী আইন ২০০৯ এর বিভিন্ন ধারায় এ পর্যন্ত রুমা থানায় ১৩ টি ও থানচি থানায় ৪টি, বান্দরবান সদর থানায় ১টি এবং রোয়াংছড়ি থানায় ৩টিসহ সর্বমোট ২১টি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, বান্দরবানে গত ২ ও ৩ এপ্রিল রুমা ও থানচিতে ব্যাংক ডাকাতি, মসজিদে হামলা, টাকা-অস্ত্র লুটের ঘটনায় মামলায় অভিযুক্ত ‘কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ)’র সংশ্লিষ্টতা থাকার অভিযোগে সমগ্র বান্দরবান জুড়ে যৌথ বাহিনীর চিরুনি অভিযান চলমান রয়েছে।