চাঁদপুরে লোডশেডিংয়ে নাকাল জনজীবন
লোডশেডিংয়ে নাকাল হয়ে পড়েছে চাঁদপুরের জনজীবন। এ জেলায় ৮ লাখ গ্রাহকের জন্য বিদ্যুতের চাহিদা ১শ ৮০ মেগাওয়াট। দিনে কিছুটা বিদ্যুৎ মিললেও রাতে ঘাটতি থাকে চাহিদার অর্ধেক। এতে জনজীবন, ব্যবসা-বাণিজ্য ও পড়াশোনাসহ শিক্ষার্থীদের চরম ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে গ্রাহকদের।
হাজীগঞ্জের রান্ধুনীমুড়ার বাসিন্দা ইকরা ভ্যারাইটিজ স্টোরের স্বত্বাধিকার এসএম মিরাজ মুন্সী বলেন, বিদ্যুতের যাওয়া আসায় দোকানের ফ্রিজের খাদ্যপণ্য নষ্ট হচ্ছে। ক্রেতাদের চাহিদা মেটানো যাচ্ছে না।
চাঁদপুর শহরের জিটি রোডের টেইলার্স আলাউদ্দিন বলেন, লোডশেডিংয়ে ঠিকঠাক মতো সেলাইয়ের কাজ করা যায় না। কয়েকদিন ধরে আয় কমেছে। এভাবে চলতে থাকলে পরিবার নিয়ে সংসার ও দোকান চালানো কষ্টকর হয়ে পড়বে।
চাঁদপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ ও ২ থেকে গ্রাহকদের এই চাহিদা মেটাতে না পেরে কয়েকদিন ধরে বিবৃতি প্রকাশ করেছে।
এতে বলা হয়েছে, জাতীয় পর্যায়ে গ্যাস স্বল্পতার কারণে বিদ্যুৎ উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে, ফলে সারাদেশে চাহিদার তুলনায় বিদ্যুৎ উৎপাদন কম থাকায় লোডশেডিং হচ্ছে। চাঁদপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির বিতরণ ব্যবস্থার শতভাগ সক্ষমতা থাকা সত্ত্বেও চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কম থাকায় লোড শেডিং দিতে হচ্ছে। এ পরিস্থিতিতে সাময়িক অসুবিধার জন্য তারা আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করছেন।
চাঁদপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ এর জেনারেল ম্যানেজার রাশেদুজ্জামান জানান, তার অধীনে রয়েছে ৪ লাখ ৭২ হাজার গ্রাহক। দিনে ৭০ মেগাওয়াট আর সন্ধ্যার পর ১০০ মেগাওয়াট চাহিদা। কিন্তু ২০ থেকে ৩৭ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ ঘাটতিতে পরিস্থিতি সামাল দিতে হচ্ছে।
চাঁদপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর জেনারেল ম্যানেজার আতিকুজ্জামান চৌধুরী বলেন, ৩ লাখ ৬০ হাজার গ্রাহকের জন্য দিনে ৪০ আর সন্ধ্যার পর ৮০ মেগাওয়াট বিদ্যুতের প্রয়োজন। কিন্তু বিদ্যুৎ মিলছে মাত্র ৫০-৫৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ। এতে গ্রাহকের চাহিদা মেটাতে হিমশিত খেতে হচ্ছে তাদের।