আবু সাঈদ হত্যা: অভিযুক্ত দুই পুলিশ রিমান্ড শেষ না হতেই কারাগারে

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম,রংপুর
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

রংপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী পুলিশের গুলিতে নিহত আবু সাঈদ হত্যা মামলার আসামি দুই পুলিশ সদস্যের ৪ দিনের রিমান্ড শেষ না হতেই কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) আবু সাঈদ হত্যা মামলার দুই আসামি রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের তাজহাট থানার এএসআই মো. আমির হোসেন ও কনস্টেবল সুজন চন্দ্রকে কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে আদালতে আনার পর পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-২ এর বিচারক মো. আসাদুজ্জামানের কাছে রিমান্ডের প্রতিবেদন উপস্থাপন করে। নতুন করে পিবিআই রিমান্ড আবেদন না করায় আদালত তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

বিজ্ঞাপন

এদিকে রিমান্ডের মেয়াদপূর্তির আগেই আসামিদের আদালতে উপস্থাপন, পুলিশ কর্মকর্তারা আসামি হলেও স্বপদে বহাল থাকা, নতুন করে কোনো আসামি গ্রেফতার না হওয়া, নতুন করে রিমান্ড না নেওয়ায় পিবিআইয়ের তদন্ত নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছে বাদী পক্ষের আইনজীবীরা। সেই সঙ্গে সঠিক বিচার না পাওয়ারও শংঙ্কা প্রকাশ করেছেন তারা।

এ বিষয়ে কোর্ট ইন্সপেক্টর পৃথিশ কুমার সরকার বলেন, আবু সাঈদ হত্যা মামলার দুই আসামিকে রিমান্ড শেষে আজ আদালতে তোলা হয়েছিল। আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করা হয়েছে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার পক্ষে। তবে আদালত সেই প্রতিবেদন দেখে আসামিদের জেল হাজতে পাঠিয়েছেন। নতুন করে পিবিআই রিমান্ড আবেদন করেনি।

বিজ্ঞাপন

বাদীপক্ষের আইনজীবী রায়হানুজ্জামান রায়হান বলেন, আদালতে আসামিদের উপস্থাপনের দিনে এএসআই আমির আলী ও কনস্টেবল সুজন চন্দ্র আদালতে স্বীকারোক্তি দিতে চেয়েছিল। পিবিআই সেই সময় আদালতের কাছে তাদের পাঁচ দিন রিমান্ড আবেদন করলে আদালত চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। তদন্তকারী সংস্থা রিমান্ডের তৃতীয় দিনেই আসামিকে আদালতে উপস্থাপন করেছে এবং বলেছে আসামিরা অসুস্থ। আদালতে আসামিরা কোনো স্বীকারোক্তি দেননি। আমাদের সন্দেহ হচ্ছে তদন্তকারী কর্মকর্তা তদন্তে অবহেলা ও খামখেয়ালি করছেন। সেই সঙ্গে সঠিক বিচার নিয়ে সন্দেহ হচ্ছে। মামলার সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত পুলিশের সকল কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নিতে হবে। কিন্তু এখনও স্বপদে বহাল থাকায় তারা মামলাকে প্রভাবিত করতে পারে। রোববারের মধ্যে তদন্তকারী সংস্থা পুনরায় রিমান্ড না চাইলে আমরা মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার পরিবর্তন চাইবো।

বিষয়টি নিয়ে বাদীপক্ষের আরেক আইনজীবী শামীম আল মামুন বলেন, দুই আসামি যাদের নির্দেশে গুলি চালিয়েছে, তাদের পেছনে পুলিশের কোন কোন কর্মকর্তা ছিল তাদেরকে দ্রুত আইনের আওতায় আনতে হবে। তদন্তকারী কর্মকর্তা আদালতকে বলেছে তারা রিমান্ডে আসামিদের দেওয়া তথ্য মিলিয়ে দেখছেন। প্রয়োজন হলে পরবর্তীতে রিমান্ড চাইবেন।

উল্লেখ্য, গত ১০ সেপ্টেম্বর পিবিআই দুই পুলিশ সদস্যের ৫ দিনের রিমান্ড আবেদন করলে আদালত ৪ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে।