চট্টগ্রামের ছাত্র আন্দোলনে দুইটি হত্যা মামলায় চট্টগ্রাম-১১ (বন্দর-পতেঙ্গা) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য এম এ লতিফকে নগরের চান্দঁগাও থানায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত দুটি হত্যা মামলায় গ্রেফতার (শ্যোন অ্যারেস্ট) দেখানো হয়েছে।
রোববার (১৫ সেপ্টেম্বর) চট্টগ্রামের অতিরিক্ত চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সরকার হাসান শাহরিয়ারের আদালত পুলিশের আবেদনের প্রেক্ষিতে তাঁদের গ্রেফতার দেখানোর নির্দেশ দেন। এসময় এম এ লতিফ আদালতের কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন। আদালতের বেঞ্চ সহকারী আবু হানিফ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, গত ৪ আগস্ট বহদ্দারহাট মোড়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে ফজলে রাব্বি(২১) নামে এক তরুণ নিহত হয়। ওই ঘটনায় গত ২১ আগস্ট নিহতের বাবা মো. সেলিম বাদী হয়ে হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলার এজাহারনামীয় ৮ নম্বর আসামি হলেন এম এ লতিফ। এই মামলায় আসামি হিসেবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও রয়েছেন। গত ১১ আগস্ট আদালতে মামলাটির আসামি চট্টগ্রাম কারাগারে বন্দি এম এ লতিফকে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করেন। গত ৩০ আগস্ট একই থানায় দায়ের হওয়া পৃথক আরেকটি হত্যা মামলার এজাহারনামীয় ৩ নম্বর আসামি হলেন এম এ লতিফ।
গত ১৮ জুলাই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে নগরে বহদ্দারহাট মোড়ে সংঘর্ষের মধ্যে পড়ে গুলিতে দোকান কর্মচারী সায়মন (১৬) নিহত হন। ওই ঘটনায় ৩০ আগস্ট তাঁর বন্ধু পরিচয়ে মোহাম্মদ শরীফ নামে এক যুবক নগরের চান্দগাঁও থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
গত শনিবার(১৪ সেপ্টেম্বর ) আদালতে মামলাটির এজাহারনামীয় আসামি এম এ লতিফকে শ্যোন অ্যারেস্ট দেখানোর আবেদন করে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা। রোববার ওই দুটি মামলায় শুনানির জন্য আসামি এমএ লতিফকে চট্টগ্রাম কারাগার থেকে আদালতে আনা হয়। এর আগে গত ১৭ আগস্ট ডবলমুরিং থানায় দায়ের হওয়া একটি মামলায় এম এ লতিফকে নগরের বায়েজিদ এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারের পর থেকে তিনি চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে আছেন।