দুর্গাপূজায় ছাত্র নয়, সেনা মোতায়েন চায় হিন্দু মহাজোট

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি- বার্তা২৪.কম

ছবি- বার্তা২৪.কম

আসন্ন দুর্গাপূজায় ৩ দিনের সরকারি ছুটি ঘোষণাসহ চারদফা দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোট। এর মধ্যে রয়েছে প্রত্যেকটি স্থায়ী ও অস্থায়ী পূজা মন্দিরে সেনাবাহিনীর মোতায়েন করার দাবি।

শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি জানানো হয়।

বিজ্ঞাপন

দাবিগুলো হলো-  দুর্গাপূজায় সরকারি ছুটি ৩ দিন (অষ্টমী, নবমী ও দশমী) ঘোষণা করতে হবে; প্রত্যেকটি স্থায়ী ও অস্থায়ী পূজা মন্দিরে সরকারি খরচে সিসি ক্যামেরার ব্যবস্থাসহ প্রতিটি মন্দিরে পূজার ১০ দিন আগে থেকে পূজা প্রত্যেকালীন সময় পর্যন্ত কোনো প্রতিষ্ঠানের ছাত্র নয় সরকারি নিরাপত্তা বাহিনী দিয়ে সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা; সংখ্যালঘু সুরক্ষা আইন ও সংখ্যালঘু কমিশন গঠন করা; প্রত্যেকটি স্থায়ী ও অস্থায়ী পূজা মন্দিরে দুর্গাপূজায় সেনা বাহিনীর মোতায়েন করা।

সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা বলেন, হিন্দু সম্প্রদায়ের সর্ববৃহৎ ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজা আগামী ৯ অক্টোবর শুরু হতে যাচ্ছে। হিন্দু সম্প্রদায়ের এ ধর্মীয় সমগ্র বাঙ্গালী জাতীর ঐক্যের ও মিলনের মহোৎসব। হিন্দু সম্প্রদায়কে ৫ দিনব্যাপি ধর্মীয় কর্মযজ্ঞে ব্যস্ত থেকে ও ধর্মীয় রীতি নীতি মেনেই দুর্গা পূজা সম্প্রাদন করতে হয়। দুর্গা পূজার মূল ৩ টি দিনই হল সপ্তমী, অষ্টমী ও নবমী। এই উপলক্ষে দিন রাত পুজার কাজে ব্যস্ত থেকে ধর্মীয় অনুশাসন মেনে সার্থক ভাবে দুর্গা পূজা সম্প্রাদন করতে হয়।

বিজ্ঞাপন

বক্তারা বলেন, দুর্গা পূজায় হিন্দু সম্প্রদায় বিভিন্নভাবে বৈষম্যের শিকার। কারণ ৫ দিনের দুর্গা পূজায় মাত্র ১ দিন সরকারি ছুটি। যার কারণে হিন্দু সম্প্রদায়ের অনেকেই দুর্গা পূজার শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত উপস্থিত থেকে পুজার আনন্দ ও ধর্মীয় যজ্ঞ শেষ করতে পারে না। এমনকি পরিবার পরিজনের সাথে পুজার আনন্দ ভাগ করে নিতে পারে না। প্রধান উপদেষ্টার প্রতি আমাদের অনুরোধ থাকবে, এবার থেকেই দুর্গা পূজায় সরকারি ছুটি ৩ দিন (অষ্টমী, নবমী ও দশমী) ঘোষণা করা হোক। আমরা বিগত ১২ আগষ্ট সাবেক স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (আব:) এম সাখাওয়াত হোসেনের সাথে ৭ দফা দাবি নিয়ে আলোচনা করেছিলাম।

বক্তারা আরও বলেন, দুর্গা পূজা নিয়ে হিন্দু সম্প্রদায়ের অতীত অভিজ্ঞতা মোটেই সুখকর নয়। কারণ পূজার আগে ও পরে বিভিন্ন জেলায় প্রতিমা বানানোর সময় প্রতিমা ভাঙচুর করা হয়েছে। তাই এবার পুজা মন্ডপ এবং হিন্দু সম্প্রদায়ের স্থাপনা সাম্প্রদায়িক শক্তির লক্ষবস্তুতে পরিণত হতে পারে। এই পরিস্থিতিতে উৎসবের নিরাপত্তা নিয়ে হিন্দু সম্প্রদায় এখনই ভাবতে শুরু করেছে। আমরা প্রত্যেকটি স্থায়ী ও অস্থায়ী পূজা মন্দিরে ও মন্ডপে সরকারী খরচে সিসি ক্যামেরার ব্যবস্থা সহ প্রতিটি মন্দিরে পুজার ১০ দিন আগে থেকে পুজা চলা কালীন সময় পর্যন্ত নিরাপত্তা জোরদার করার আহ্বান জানাচ্ছি।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন মহাজোটের সভাপতি প্রভাস চন্দ্র রায়, নির্বাহী মহাসচিব পলাশ কান্তি দে, প্রধান সমন্বয়কারী ড সোনালী দাস, নির্বাহী সভাপতি সুধাংশু চন্দ্র বিশ্বাস প্রমুখ।