তীব্র দাবদাহে মানুষের পাশাপাশি ভালো নেই প্রাণিকুল

  • ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কিশোরগঞ্জ
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

কিশোরগঞ্জে গত এক সপ্তাহ ধরে তীব্র দাবদাহ ও ভাপসা গরমে বিপর্যস্ত জনজীবন। এতে কর্মজীবী মানুষের দুর্ভোগ চরমে পৌঁছেছে। পাশাপাশি এই দাবদাহে ভালো নেই প্রাণিকুলও।

সরেজমিনে দেখা যায়, তীব্র দাবদাহ থেকে একটু শান্তি পেতে পথেঘাটে, ফুটপাতের নোংরা পানিতে বা নালা-নর্দমায় সময় কাটাতে দেখা গেছে ভাসমান অনেক প্রাণীকে। বিশেষ করে পথের বেওয়ারিশ কুকুরগুলোর অবস্থা বেগতিক। এ ছাড়া গৃহপালিত পশু, হাঁস-মুরগি ও বন্য পাখিরাও রয়েছে চরম অস্বস্তিতে।

বিজ্ঞাপন

পাকুন্দিয়া উপজেলার আজলদী গ্রামের বাসিন্দা শফিকুল ইসলাম মুকুল বলেন, তীব্র দাবদাহ ও ভাপসা গরম সহ্য করার মতো না। তার মধ্যে বিদ্যুতের লোডশেডিং তো আছেই। সবমিলিয়ে খুবই কষ্টে আছি।

কটিয়াদী উপজেলা সদরে আখের রস বিক্রেতা আবুল কালাম বলেন, গরমে বিক্রি বেড়েছে। আগে যে আখ সারাদিন বিক্রি করতে পারতাম না, তা এখন অর্ধেক দিনেই শেষ হয়ে যায়।

বিজ্ঞাপন

পাকুন্দিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. নূর-এ-আলম খান বলেন, গত আগস্ট মাসে এ উপজেলায় প্রায় ২৬ হাজার মানুষ বহির্বিভাগ থেকে চিকিৎসা নেন। যা জেলার মধ্যে সর্বাধিক।

তিনি বলেন, ৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে যেখানে ৩১ জন চিকিৎসক থাকার কথা, সেখানে রয়েছেন মাত্র ছয়জন। এতে বিশাল সংখ্যক রোগীকে স্বাস্থ্য সেবা দিতে গিয়ে ছয়জন চিকিৎসককে হিমশিম খেতে হচ্ছে। চিকিৎসক সংকটের বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে।

তীব্র তাপদাহের কারণে হাসপাতালে রোগীর সংখ্যা বেড়েছে। পর্যাপ্ত স্যালাইন মজুত রয়েছে। এই সময়ে সবাইকে ছায়াযুক্ত স্থানে এবং বিশ্রামে থাকার পরামর্শ দেন এই স্বাস্থ্য কর্মকর্তা।