শিশু শ্রম জিরো করার লক্ষ্যে সরকার কাজ করছে বলে জানিয়েছেন শ্রম ও কর্মসংস্থান সচিব এ এইচ এম সফিকুজ্জামান।
বুধবার (২ অক্টোবর) বিশ্ব শিশুশ্রম প্রতিরোধ দিবস উপলক্ষে অনুষ্ঠিত বিতর্ক প্রতিযোগিতার চ্যাম্পিয়ন ও রানারআপ দলকে দেওয়া সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
এ এইচ এম সফিকুজ্জামান বলেন, শিশুশ্রম থাকলে শিশুদের বিকাশ হওয়ার সুযোগ থাকে না। আন্তর্জাতিক কনভেনশন অনুযায়ী আমাদের শিশুশ্রম নিষিদ্ধ হওয়ার কথা কিন্তু আমাদের দেশে এখনো তা পুরোপুরি বন্ধ হয়নি।
সরকারের একক প্রচেষ্টায় শিশুশ্রম নিরসন সম্ভব নয় বলে মন্তব্য করে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি’র চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ বলেন, সরকারের পাশাপাশি সব রাজনৈতিক দল, বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও নাগরিক সংগঠনসহ সংশ্লিষ্ট অংশিজনদের সম্মিলিত প্রয়াস প্রয়োজন। সরকার শিশুশ্রম নিরসনে গৃহীত কার্যক্রম বাস্তবায়নে সর্বোচ্চ স্বচ্ছতা নিশ্চিতকরণের ওপর গুরুত্বারোপ করলেও দৃশ্যমান কোন অগ্রগতি দেখা যাচ্ছে না।
তিনি বলেন, শিশুশ্রম নিরসনে রাজনৈতিক সদিচ্ছার ঘাটতি রয়েছে। ২০২৫ সালের মধ্যে শিশুশ্রমমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে সরকার কাজ করার কথা বললেও তেমন কোন পদক্ষেপ নিতে দেখা যায়নি। শিশুশ্রম নিরসনের নামে বিভিন্ন প্রকল্পে গত ১৫ বছরে দেশি বিদেশি অনেক অর্থ ব্যয় করা হয়েছে। এসব ব্যয়কৃত অর্থের বড় একটা অংশ লুটপাট হয়েছে। আমরা আশা করবো বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার শিশুশ্রমের নিরসনের নামে যে আর্থিক অনিয়ম হয়েছে, যে লুটপাট হয়েছে তা খতিয়ে দেখবে।
অনুষ্ঠানটি শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত সচিব মো. জাহাঙ্গীর হোসেন, যুগ্ম সচিব আব্দুস সামাদ আল আজাদ ও শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যপক ড. তাজুল ইসলাম চৌধুরী তুহিন।
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে চ্যাম্পিয়ন দল শহীদ পুলিশ স্মৃতি কলেজ ও রানারআপ দল কবি নজরুল সরকারি কলেজের বিতার্কিকদের ট্রফি সার্টিফিকেটসহ যথাক্রমে নগদ অর্থ পুরস্কার ৫০ হাজার ও ২৫ হাজার টাকা প্রদান করা হয়।
এছাড়া শ্রেষ্ঠ বক্তা কবি নজরুল সরকারি কলেজর বিতার্কিক বাদশা ফাহাদকে নগদ অর্থ পুরস্কার ১০ হাজার টাকা প্রদান করা হয়। অনুষ্ঠানে বিজয়ী দলের বিতার্কিকদের গোলাপ ফুলের মালা পরিয়ে অভিনন্দন জানানো হয়।