পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় আবুল কাশেম (৫২) নামের এক জেলের জালে ধরা পড়েছে ৩০ কেজি ওজনের একটি পাখি মাছ।
বুধবার (২ অক্টোবর) সকালে মাছটি পটুয়াখালীর আলীপুর বিএফডিসি মার্কেটে বিক্রির জন্য নিয়ে আসা হয়। এ সময় মাছটি একনজর দেখতে উৎসুক জনতা ভিড় জমায়।
জেলেদের ভাষ্যমতে, উপকূলে এসব মাছের চাহিদা না থাকায় তেমন একটা দাম ওঠে না। চালানের মাধ্যমে মুনাফা লাভের আাশায় নিলামে সোহেল নামের এক মাছ ব্যবসায়ী ৩ হাজার ৫০০ টাকায় মাছটি কিনে নেন।
মাছ ব্যবসায়ী সোহেল বলেন, পাখি মাছ সচরাচর তেমন একটা পাওয়া যায় না। এ মাছগুলো বিদেশেও রফতানি হয়। তবে দেশের নামিদামি রেস্টুরেন্টগুলোতে এ মাছের চাহিদা রয়েছে। তিনি মাছগুলো বেশি দামে বিক্রির জন্য ঢাকায় পাঠাবেন বলে জানান।
এর আগে, শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) আবুল কাশেম মাঝিসহ ২১ জেলে মায়ের দোয়া নামে একটি ট্রলার নিয়ে চট্টগ্রাম সংলগ্ন বঙ্গোপসাগরে গিয়ে জাল ফেললে এ মাছটি ধরা পড়ে।
আবুল কাশেম বলেন, এটাকে আমরা পাখি মাছ বলি। কারণ সাগরে এরা দ্রুতগতিতে দৌঁড়ায়। জালে অন্যান্য মাছের সঙ্গে এ মাছটি ধরা পড়ায় আমরা খুশি। তবে চাহিদা কম থাকায় দামও কম পেয়েছি।
আগের চেয়ে বঙ্গোপসাগরে পাখি মাছ কিছুটা কমে বলেও জানান তিনি।
কলাপাড়া উপজেলার সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা অপু সাহা বলেন, পাখি মাছ গভীর সমুদ্র থাকে। গভীর সাগরে চলাচলকারী দ্রুতগতির মাছটির বৈজ্ঞানিক নাম সেইল ফিস। মাছটি ঘণ্টায় ১১০ কিলোমিটার বেগে দৌঁড়ায়।