তিনি জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সিলেট ব্যাটালিয়ন ৪৮ বিজিবির আওতাধীন গোয়াইনঘাট উপজেলার সীমান্তবর্তী সোনাটিলা ও প্রতাপপুরসহ অন্যান্য স্থানে অভিযান চালিয়ে ৮৬৩ বস্তা ভারতীয় চিনি, ২ হাজার ৫৯২ পিস ভারতীয় মাইকেয়ার ক্রিম, ১ হাজার ৪৫৮ পিস সানগ্লাস, ৫৯টি শাড়ি, ৭৬৬ পিস গার্নিয়ার ফেস ওয়াশ, ৭৫ কেজি ইনস্ট্যান্ট চা, ১৪২ বোতল মদ, ৩ হাজার ৮০০ কেজি বাংলাদেশি রসুনসহ অন্যান্য মালামাল আটক করতে সক্ষম হয়। যার আনুমানিক বাজারমূল্য ১ কোটি ৩৭ লাখ ১১ হাজার ৮০০ টাকা।
লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. হাফিজুর রহমান বলেন, সীমান্তে নিরাপত্তা রক্ষা ও চোরাচালান প্রতিরোধকল্পে বিজিবির আভিযানিক কার্যক্রম ও গোয়েন্দা তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় সীমান্তবর্তী এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে অবৈধ মালামাল জব্দ করা হয়। এসব মালামাল স্থানীয় কাস্টমসে জমা করা হবে।
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের মুখ্য সচিব হিসেবে মো. সিরাজ উদ্দিন মিয়াকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে।
বুধবার (২ অক্টোবর) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহাকারী সচিব মো. উজ্জল হোসেন স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, সরকারি চাকরি আইন-২০১৮ এর ৪৯ ধারা অনুযায়ী মো. সিরাজ উদ্দিন মিয়াকে (পরিচিতি নম্বর ১৩৮০) অন্য যেকোনো পেশা, ব্যবসা কিংবা সরকারি, আধা-সরকারি, বেসরকারি প্রতিষ্ঠান/সংগঠন-এর সঙ্গে কর্ম-সম্পর্ক পরিত্যাগের শর্তে প্রধান উপদেষ্টার মুখ্য সচিব পদে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেয়া হলো।
যোগদানের তারিখ হতে পরবর্তী ২ বছর তিনি দায়িত্ব পালন করবেন বলে প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়। এছাড়া নিয়োগের অন্যান্য শর্ত অনুমোদিত চুক্তিপত্র দ্বারা নির্ধারিত হবে বলেও জানানো হয়।
সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সর্বোচ্চ ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাৎসবের শুভ সূচনা হলো মহালয়ার মাধ্যমে। অমাবস্যার আধার কাটিয়ে পিতৃপূজা সেরে শুরু হয়ে দেবীপক্ষের। এই পিতৃপক্ষের শেষ এবং দেবী পূজার পক্ষের আরম্ভ লগ্ন মহালয়া।
মহালয়ার প্রাক সন্ধ্যায় 'কাত্যায়নী মুনির কন্যা' রূপে মহিষাসুর বধের জন্য দেবী দুর্গার আবির্ভাব ঘটে। শরৎকালের আশ্বিন মাসে শুক্লপক্ষের ষষ্ঠী তিথির প্রাক্কালে অকালবোধনে হয়। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বিশ্বাস অনুযায়ী সপ্তমী তিথিতে দেবী দুর্গা মর্তে্য অর্থাৎ বাপের বাড়িতে আসেন আবার দশমী তিথিতে ফিরে যান। তবে মায়ের এই আগমন এবং গমন সারাবছর মর্ত্যবাসীর উপর প্রভাব ফেলে। দেবী কোন বাহনে করে মর্তে্য আগমন করছেন এবং মর্ত্য থেকে গমন করছেন তার ভিত্তিতে সারাবছর কেমন যাবে- তার ধারণা পাওয়া যায়।
এইবছর দেবীর আগমনী বাহন হলো দোলা, যার ফল মরক। অন্যদিকে দেবীর গমন ঘোটকে, অর্থাৎ এর ফলাফল হলো ছত্রভঙ্গ। এবছর দেবীর আগমন এবং গমন দুটো বাহনই নেতিবাচক ইঙ্গিত দিচ্ছে।
সাধারণত ৪ ধরনের বাহনে করে দেবীর আগমন এবং গমন ঘটে। বাহনগুলো হলো: দোলা, ঘোটক, নৌকা এবং গজ।
দোলা– দোলা অর্থ হলো পালকি। পালকিতে আগমন বা গমনের ফল- ‘দোলায়াং মকরং ভবেৎ’,
অর্থাৎ মহামারি বা মড়কতুল্য বিষয়ে ভোগার আশঙ্কা থাকে।
ঘোটক- ঘোটক অর্থাৎ ঘোড়া। এতে আগমন বা গমনের ফল- ‘ছত্রভংস্তুরঙ্গমে অর্থাৎ ছত্রভঙ্গ’,
ধ্বংস বা ছন্নছাড়া বা ধ্বংসাত্মক কোনও ঘটনা ঘটার আশঙ্কা সৃষ্টি হওয়া বোঝায়।
নৌকা– নৌকার অর্থ হল বন্যা। আবার, নৌকায় আগমন বা গমনের ফল হিসাবে শস্যপূর্ণ বসুন্ধরাও বোঝানো হয়। কারণ, বন্যা বা ধরা জলমগ্ন হলে জলের অভাব না থাকার ফলে প্লাবনের পরবর্তী কালে পলিপূর্ণ ভূমিতে ফলনের বৃদ্ধি হয়।
গজ- গজ অর্থাৎ হস্তী বা হাতি। গজে গমন বা আগমনের ফল- ‘গজে চ জলদা দেবী শস্যপূর্ণা বসুন্ধরা’। এর দ্বারা সমৃদ্ধি নির্দেশ করা হয়।
সপ্তমী এবং দশমী কোন বারে পড়েছে তার ভিত্তিতে দেবীর আগমন-গমনের বাহন নির্ধারিত হয়।
শনিবার: শনিবারে সপ্তমী তিথি হলে ঘোটকে অর্থাৎ ঘোড়ায় আগমন এবং দশমী তিথি হলে গমন নির্দেশ করে।
রবিবার: এইদিনে সপ্তমী তিথি পড়লে তা গজে আগমন এবং দশমী হলে গমন বোঝায়।
সোমবার: সোমবার সপ্তমী তিথি হলে গজ বা হস্তি অর্থাৎ হাতিতে আগমন এবং দশমী তিথি হলে গমন নির্দেশ করে।
মঙ্গলবার: মঙ্গলবার সপ্তমী তিথি হলে ঘোটকে অর্থাৎ ঘোড়ায় আগমন এবং দশমী তিথি হলে গমন নির্দেশ করে।
বুধবার: এই বারে সপ্তমী তিথি পড়লে তা নৌকায় আগমন এবং দশমী হলে গমন বোঝায়।
বৃহস্পতিবার: বৃহস্পতিবারে সপ্তমী তিথি হলে দোলা অর্থাৎ পালকিতে আগমন এবং দশমী তিথি হলে গমন নির্দেশ করে।
শুক্রবার: এইদিনে সপ্তমী তিথি পড়লে তা দোলায় আগমন এবং দশমী হলে গমন বোঝায়।
শাস্ত্রমতে একই বাহনে আগমন এবং গমন হলে সারাবছর অত্যন্ত অশুভ বিবেচনা করা হয়। গতবছর ২০২৩ সালের শারদীয় দুর্গাপূজায় দেবীর আগমন এবং গমন দু’টোই ঘোটক অর্থাৎ ঘোড়ায় হয়েছিল।
বাংলাদেশ ও চীনের সম্পর্ক উত্তরোত্তর বৃদ্ধিতে সন্তোষ প্রকাশ করে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, বাংলাদেশী পণ্য চীনের বাজারে শুল্কমুক্তভাবে রফতানিতে দুই দেশ একসঙ্গে কাজ করতে পারে।
বুধবার (২ অক্টোবর) চীনা রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ে উপদেষ্টার সঙ্গে তাঁর অফিস কক্ষে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে উপদেষ্টা এ কথা বলেছেন।
সামুদ্রিক মাছের সংরক্ষণ, প্রক্রিয়াকরণ ও রফতানিতে আগ্রহ প্রকাশ করে চীনা রাষ্ট্রদূত বলেছেন, বাংলাদেশে বেসরকারি পর্যায়ে চীনের বিনিয়োগকারীরা সামুদ্রিক মাছ প্রক্রিয়াকরণ কারখানা তৈরি করে চায়নাতে মাছ রফতানি করতে চায়।
আলোচনাকালে রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশ থেকে সামুদ্রিক মাছ, চিংড়ি, কাঁকড়া, কুচিয়া, পাট ও পাটজাত পণ্য, আম রফতানির জন্য আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।
তিনি বলেছেন, এ সমস্ত পণ্য চীনের বাজারে যথেষ্ট চাহিদা থাকায় বাংলাদেশ রফতানির সুযোগ গ্রহণ করতে পারে। এ সময় দুই দেশ পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে একসঙ্গে কাজ করতে ঐকমত্যে পৌঁছায়।