রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিশ্চিতে ইইউ’র সহায়তা চান রাষ্ট্রপতি

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন নিরাপত্তা ও মর্যাদার সাথে মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন নিশ্চিত করতে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)-সহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) বাংলাদেশে নবনিযুক্ত ইইউ রাষ্ট্রদূত মাইকেল উইলিয়াম মিলার বঙ্গভবনে তাঁর কাছে পরিচয়পত্র পেশ করতে গেলে তিনি এ আহ্বান জানান।

বিজ্ঞাপন

রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘রোহিঙ্গাদের প্রতি মানবিক সহায়তা এবং সংকটের টেকসই সমাধানের প্রতি ইইউর প্রতিশ্রুতির জন্য আমরা ইইউর প্রশংসা করি। আমি আশা করি জাতিসংঘ, ইইউ ও অন্য অংশীদাররা নিরাপত্তা ও মর্যাদার সঙ্গে রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে প্রত্যাবাসনে কার্যকর পদক্ষেপ নেবে।’

বৈঠক শেষে রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদীন বৈঠকের ফলাফল সম্পর্কে গণমাধ্যমকে অবহিত করেন।

রাষ্ট্রপতি গত পাঁচ দশকে অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধি, টেকসই উন্নয়ন ও দারিদ্র্য নিরসনের পথে বাংলাদেশের প্রতি ইইউ’র জোরালো সমর্থনের ভূয়সী প্রশংসা করেন।

তিনি বলেন, ২৭টি সদস্য রাষ্ট্রের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক ইউনিয়ন ইইউ এখন বাংলাদেশের রফতানি সবচেয়ে বড় গন্তব্য এবং উল্লেখযোগ্য উন্নয়ন সহযোগী।

রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন ২০২৯ সালে বাংলাদেশের এলডিসি স্ট্যাটাস থেকে উত্তরণের পর ইউরোপীয় ইউনিয়নে শুল্কমুক্ত কোটা সুবিধা অব্যাহত রাখার আহ্বান জানান।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ ইইউ’র সাথে সম্পর্কের বিস্তৃতি ও গভীরতা দেখতে আগ্রহী, বিশেষ করে জলবায়ু পরিবর্তন এবং সবুজ রূপান্তর, শিক্ষা ও দক্ষতা উন্নয়ন, যোগাযোগ ও বিনিয়োগ প্রসারের ক্ষেত্রে।

ইইউ রাষ্ট্রদূতের সাথে সাক্ষাৎকালে রাষ্ট্রপতি বলেন, বাংলাদেশ মানবপাচার ও অবৈধ অভিবাসীর বিরুদ্ধে ইইউ’র সাথে বৃহত্তর সম্পৃক্ততাকে স্বাগত জানায়।

রাষ্ট্রপতি বাংলাদেশ থেকে ইইউতে দক্ষ কর্মী ও পেশাজীবীদের নিরাপদ, সুশৃঙ্খল ও নিয়মিত অভিবাসনের জন্য ইউরোপীয় ইউনিয়নের সহযোগিতা কামনা করেন।

বাংলাদেশ ও ইইউ’র মধ্যে বিদ্যমান দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক আগামী দিনে আরো গভীর ও মাত্রায় বৃদ্ধি পাবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

ইইউ রাষ্ট্রদূত রাষ্ট্রপতির সহযোগিতা কামনা করায় রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ইইউ রাষ্ট্রদূতকে বাংলাদেশে তার দায়িত্ব পালনে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে পূর্ণ সহায়তা প্রদানের আশ্বাস দেন।

বঙ্গভবনে পৌঁছলে রাষ্ট্রপতির গার্ড রেজিমেন্টের (পিজিআর) অশ্বারোহী একটি চৌকস দল তাকে গার্ড অব অনার প্রদান করে।

এ সময় রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনি, সামরিক সচিব মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আদিল চৌধুরী ও পররাষ্ট্র সচিব মো. জসিম উদ্দিন উপস্থিত ছিলেন।