রংপুরে কমেছে পেঁয়াজের ঝাঁঝ

  • বর্ণালী জামান, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, রংপুর
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

রংপুরের বাজারে কিছুটা কমেছে পেঁয়াজের ঝাঁঝ। দীর্ঘদিন ধরে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের তালিকায় পেঁয়াজের দাম ওঠা নামা করায় অস্বস্তি বিরাজ করছে ক্রেতাদের মাঝে৷ কেজিপ্রতি পেঁয়াজ কিনতে ১১০-১২০ টাকা টাকা গুনতে ক্ষোভ প্রকাশ করতেন ক্রেতারা। দাম বাড়ায় চাহিদার তুলনায় কম কিনতে দেখা যেত ক্রেতাদের। এমন পরিস্থিতিতে আয়ের সাথে ব্যায়ের সমন্বয় করতে হিমশিম খেতে হয় নিম্ন মধ্যবিত্ত আয়ের মানুষদের। তবে ঝাঁঝ কমে কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে পেঁয়াজের বাজারে।

রংপুর নগরীর সিটি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, কেজিপ্রতি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৯৫-১০৫ টাকা। এদিকে পেঁয়াজের দাম কমলেও বেড়েছে কাঁচা মরিচের দাম। কেজিপ্রতি কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ২৫০-৩০০ টাকা। ডিমের দাম অপরিবর্তিত থাকলেও হালিপ্রতি ৫২ টাকায় চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে।

বিজ্ঞাপন

বাজারে পেঁয়াজ কিনতে আসা ক্রেতা জাহানারা বেগম বলেন, জিনিসের দামের কাছে আমরা অসহায়। তিন বেলা খাইতে গেলে আমরা আর কত বাড়তি টাকা ব্যায় করবো জানা নাই৷ আগে ১ হাজার টাকা আনলে এক সপ্তাহের বাজার হইতো এখন ৩ দিনের খরচ হয়না। একা হাতের আয়ের টাকায় সংসার চালানো খুব কঠিন হয়া পড়ছে৷ মধ্যবিত্ত মানুষ আমি,না পারি বলতে পারি পরিমান মত জিনিস কিনতে। ১০-১৫ টাকা কমছে তাই হাফ কেজি বেশি কিনলাম আজকে। দাম আরও কমুক, সবার জন্য ভালো হবে।

বাজারে সবজি কিনতে আসা রিক্সাচালক সুবহান বলেন, ভর্তা আর সবজির তকাই কিনতেও ট্যাকা কম নাগে না। দামের জইনতে কাঁচামরিচ খাওয়াতো বাদে দিছি। গোশততো চোকে দ্যাকো না। দিন গেইলে কামাই করোং ৫০০ ট্যাহা। গাড়ি ভাড়া দেওয়া নাগে ২৫০। দিন আনি প্যাটোত দেই হামার দুঃখ দেকপে কায়?

সিটি বাজারের পেঁয়াজ ব্যবসায়ী জামিউল বলেন, বর্তমান বাজারে পেঁয়াজের সরবরাহ বাড়ছে। তাই দাম কমতে শুরু করছে। আমাদানি যত বাড়বে এবং বাজার মনিটরিংয়ে রাখলে দকম আরও কমবে। আমরা নিরুপায়, বেশি দামে কিনতে হয় তাই টাকা লাভ রেখে বিক্রি করি। আমরাও চাই দাম কমুক ক্রেতারা বেশি করে কিনুক।