পাথরঘাটায় বজ্রপাতে জেলের মৃত্যু
বরগুনার পাথরঘাটায় মাঠে গরু আনতে গিয়ে বজ্রপাতে আসাদুল (৩৫) নামে এক জেলের মৃত্যু হয়েছে।
শনিবার (১৮) বিকেল ৪টার দিকে উপজেলার কাঠাতলী ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় তার ছেলে আব্দুল্লাহ (৮) আহত হয়েছে। এবং দুটি গরু মারা গেছে। নিহত আসাদুল কাঠাতলী ইউনিয়নের আলমগীর হোসেনের ছেলে।
পরিবার সূত্রে জানা যায়, আসাদুল দুপুরের ভাত খেয়ে বিশ্রাম করছিল। আকাশে মেঘ হওয়ায় বাড়ির সামনের মাঠে গরু আনতে যায় আসাদুল ও তার ছেলে। এসময় বজ্রপাত হলে ঘটনাস্থলে আসাদুলের মৃত্যু হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন স্থানীয় ইউপি সদস্য শামীম।
তিনি বলেন, আসাদুল অত্যন্ত গরিব মানুষ। নদীতে মাছ শিকারের পাশাপাশি গরু পালন করতো। মাঠ থেকে সেই গরু আনতে গিয়ে বজ্রপাতের শিকার হয়ে মৃত্যু হয়।
বেশি দামে মসলা বিক্রি, খাতুনগঞ্জের ৬ প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা
দেশের ভোগ্যপণ্যের অন্যতম পাইকারি বাজার চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জের ৬টি প্রতিষ্ঠানকে ২৯ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। বেশি দামে বিক্রি, ক্রয়-বিক্রয়ের রশিদ সংরক্ষণ না করা ও মূল্য তালিকা হালনাগাদ না থাকাসহ বিভিন্ন অপরাধে প্রতিষ্ঠানগুলোকে জরিমানা করা হয়।
শনিবার (১৮ মে) দুপুরে জেলা প্রশাসনের সদর সার্কেলের সহকারী কমিশনার (ভূমি) ইমরান মাহমুদ ডালিমের নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় চট্টগ্রামের সহকারী কৃষি বিপণন কর্মকর্তা আবু বকর ও পরিদর্শক বেলাল হোসেন মোল্লা উপস্থিত ছিলেন। আইনশৃঙ্খলা কার্যক্রমে সার্বিক সহযোগিতা করেন কোতোয়ালি থানা পুলিশ।
অভিযানে আল্লার দান স্টোরকে ১০ হাজার টাকা, মেসার্স নুর ট্রেডার্সকে ২ হাজার, মেসার্স খান ব্রাদার্সকে ৫ হাজার, মেসার্স নবীন ট্রেডার্সকে ৫ হাজার, শাহজাহান ট্রেডার্সকে ২ হাজার এবং দি চিটাগাং ফ্রেন্ডস ট্রেডার্সকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
সহকারী কমিশনার (ভূমি) ইমরান মাহমুদ ডালিম বলেন, অভিযানে গিয়ে আমরা দেখি প্রতিষ্ঠানগুলো ক্রয়-বিক্রয়ের রশিদ দেখাতে পারছে না, নির্ধারিত দামের তুলনায় অধিক দামে মসলা ও পণ্য বিক্রি করছে, মূল্য তালিকাবিহীন মালামাল বিক্রি ও মূল্য তালিকা হালনাগাদ নেই, পণ্যের মোড়কে উৎপাদন ও মেয়াদোত্তীর্ণের তারিখ নেই। পরে এসব অভিযোগে কৃষি বিপণন আইন, ২০১৮ এর আওতায় ৬টি প্রতিষ্ঠানকে ২৯ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়।
জব্দ হওয়া মোবাইল নিতে ডিবিতে যান মামুনুল হক
গ্রেফতারের সময় জব্দকৃত নিজের মোবাইল ফোন নিতে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) কার্যালয়ে এসেছিলেন হেফাজতে ইসলামের সাবেক নেতা ও বাংলাদেশ খেলাফত মজলিশের মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক।
শনিবার (১৮ মে) সন্ধ্যা ৭টা ৪০ মিনিটের দিকে ডিবি কার্যালয় থেকে বের হওয়ার সময় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নে তিনি একথা জানান।
মাওলানা মামুনুল হক বলেন, আমাকে যখন গ্রেফতার করা হয়, তখন মামলার আলামত হিসেবে আমার মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়েছিল। সেই ফোন নিতেই ডিবিতে এসেছি। আমাকে ডাকা হয়নি। আমি নিজেই এসেছি।
গত ৩ মে সকাল ১০টার দিকে মামুনুল হক কারাগার থেকে মুক্তি পান।
প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের ১৮ এপ্রিল রাজধানীর মোহাম্মদপুরের জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়া মাদরাসা থেকে মাওলানা মামুনুল হককে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে ৩০ এপ্রিল সোনারগাঁ থানায় তার বিরুদ্ধে বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণের মামলা করেন তার সঙ্গে রিসোর্টে অবরুদ্ধ হওয়া নারী। যদিও ওই নারীকে তার দ্বিতীয় স্ত্রী দাবি করে আসছেন মামুনুল হক। এরপর ওই মাসেই দেশের বিভিন্ন স্থানে তার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহসহ অর্ধশতাধিক মামলা হয়। পরে সেসব মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখিয়েছে পুলিশ। গ্রেফতারের পর থেকে এসব মামলায় কারাগারেই ছিলেন মামুনুল হক।
নাফনদী থেকে দুই কাঁকড়া শিকারিকে অপহরণ করেছে আরসা
কক্সবাজারের টেকনাফের নাফনদীতে কাঁকড়া ধরতে গিয়ে দুই বাংলাদেশি চাকমা যুবককে অপহরণ করেছে আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি (আরসার) সদস্যরা। এমন অভিযোগ করেছে ভুক্তভোগীদের পরিবার।
বৃহস্পতিবার ( ১৬ মে) দুপুর ২ টার দিকে টেকনাফের হোয়াইক্যং নাফনদী ৫ নম্বর স্লুইচ গেইট এলাকা থেকে তাদের অপহরণ করা হয়।
অপহৃতরা হলেন- টেকনাফের হোয়াইক্যং ৪ নম্বর ওয়ার্ড লম্বাঘোনা মৃত ওচামং চাকমার ছেলে ছৈলা মং চাকমা (২৯) ও মংথাইংছিং তঞ্চঙ্গ্যা চাকমার ছেলে ক্যমংখো এ তঞ্চঙ্গ্যা (২৫)।
শনিবার (১৮ মে) বিষয়টি জানিয়ে টেকনাফ থানা ও ২ বিজিবি বরাবরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন অপহৃত ক্যমংখো তঞ্চঙ্গ্যার মা ছুছিং ছা তঞ্চঙ্গ্যা।
অভিযোগে তিনি বলেন, আমার ছেলে ও নাতি নাফ নদীতে কাঁকড়া আহরণ করে জীবিকা নির্বাহ করে থাকে। প্রতিদিনের মতো বৃহস্পতিবার ১৬ মে সকাল ৯ টার দিকে কাঁকড়া ধরার জন্য নাফনদীতে যায়। সন্ধ্যায় বাড়িতে না আসলে বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করে জানতে পারি নাফ নদী থেকে আরসা সংগঠনের সদস্যরা ছেলে ও নাতিকে অপহরণ করে নিয়ে গেছে। এখনো তিনদিন ধরে তারা আরসার সদস্যদের কাছে জিম্মি রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, এ বিষয়ে টেকনাফ ২ বিজিবি ব্যাটালিয়ন ও টেকনাফ মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
অপহৃত ছৈলা মং চাকমার বড় ভাই সালাও মং চাকমা বলেন- কাঁকড়া আহরণ করতে গেলে হোয়াইক্যংয়ের ৫ নাম্বার স্লুইচগেইট পয়েন্ট থেকে তাদের তুলে নিয়ে যায় একদল সন্ত্রাসী। পরে জানতে পারি তারা আরসার সন্ত্রাসী। এখন পর্যন্ত কোনো মুক্তিপণ দাবি বা কেউ যোগাযোগ করেনি।
এ ব্যাপারে টেকনাফ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ ( ওসি) মুহাম্মদ ওসমান গনি বলেন, দুইজন চাকমা যুবক নিখোঁজের বিষয়ে একটি অভিযোগ পেয়েছি। তারা বিষয়টি খতিয়ে দেখছেন বলে জানান।
টেকনাফস্থ ২ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্ণেল মহিউদ্দিন আহমেদ মুঠোফোনে বলেন- বিষয়টি নিয়ে আমরা খোঁজ-খবর রাখছি। তাদের কারা তুলে নিয়ে গেছে সে বিষয়টি যাচাই করা হচ্ছে।