চিরকুট আতঙ্কে ঘুম নেই নান্দাইলবাসীর

  • ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ময়মনসিংহ
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

চিরকুট

চিরকুট

চিরকুট আতঙ্কে ঘুম নেই ময়মনসিংহের নান্দাইল পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের নাথপাড়া মহল্লার বাসিন্দাদের। এলাকাটি নরসুন্দা নদীর কারণে উপজেলার অন্যান্য এলাকা থেকে প্রায় বিচ্ছিন্ন।

জানা যায়, গত ১ অক্টোবর নাথপাড়া মহল্লার সুনীল চন্দ্র বর্মণের বাসার ফটকে ৫০ হাজার টাকা চেয়ে কে বা কারা চিরকুট ফেলে রেখে যায়। টাকা না দেওয়ায় এক দিন পর এক লাখ টাকা দাবি করে আরেকটি চিরকুট রেখে যায়। এতেও কোনো সাড়া না পেয়ে তৃতীয় চিরকুটে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয়।

বিজ্ঞাপন

এই গ্রামেরই বন কর্মকর্তা মো. আল-আমিনের বাসাতেও চিরকুট পাঠিয়ে ৫০ হাজার টাকা দাবি করা হয়েছে। দুই দিনের মধ্যে টাকা না দিলে শিক্ষিকা স্ত্রী ও একমাত্র সন্তানের ক্ষতি করার হুমকি দেওয়া হয়। বিষয়টি নিয়ে ওই দিন রাতে থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন তিনি।

স্থানীয়রা জানান, নরসুন্দা নদীর কারণে উপজেলার অন্য এলাকা থেকে এই জায়গাটি বিচ্ছিন্ন। এভাবে একের পর এক চিরকুট পাঠানোর ঘটনায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন এরাকাবাসী। অনেকে নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছেন।

বিজ্ঞাপন

যদিও পুলিশ বলছে, অপরাধীদের দ্রুত শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনা হবে।

নাথপাড়া মহল্লার বাসিন্দা শিক্ষিকা সালমা বেগম গত রোববার সন্ধ্যার দিকে বাড়ির ফটকে পলিথিন মোড়ানো একটি কাগজ ঝুলতে দেখতে পান। কৌতূহলবশত পলিথিন খুলে ভেতরের হুমকির চিরকুট পাওয়া যায়। কাগজটিতে লেখা ছিল, ‘চাহিদামতো টাকা না পেলে বাড়িতে আগুন জ্বলবে এবং স্ত্রী-সন্তানের ক্ষতি হবে। টাকাগুলো বাড়ির কাছে বাঁধা নৌকায় রেখে দিতে বলা হয়।

চিরকুটের মাধ্যমে টাকা চাওয়ায় এলাকায় আতঙ্ক তৈরি হয়েছে জানিয়ে স্থানীয় বাসিন্দা সাইদুল ইসলাম বলেন, অনেকে ভয়ে রাতে ঘর থেকে বের হচ্ছেন না।

আমিনুল ইসলাম নামে আরেকজন বলেন, কয়েক দিনের মধ্যেই একাধিক চিঠি পেয়েছি। এটি নিঃসন্দেহে আতঙ্কের। ঘটনার রহস্য উদঘাটনসহ এই কাজটি যারা করছে, দ্রুত তাদের আইনের আওতায় আনা প্রয়োজন।

নান্দাইল মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফরিদ আহমেদ বলেন, অজ্ঞাত চিঠির বিষয়ে গোয়েন্দা সংস্থাকে জানানো হয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে অপরাধীদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনার কাজ চলছে।