সাংবাদিক তুরাব হত্যা মামলার তদন্ত শুরু করল পিবিআই

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সিলেট
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সিলেটে পুলিশের গুলিতে নিহত সাংবাদিক এ টি এম তুরাব হত্যাকাণ্ডের ঘটনাস্থল পরিদর্শনের মাধ্যমে মামলার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।

বুধবার (৯ অক্টোবর) বিকেল ৩টার দিকে সিলেট নগরীর বন্দরবাজারের কোর্ট পয়েন্ট এলাকায় ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) একটি দল।

বিজ্ঞাপন

সাংবাদিক তুরাব হত্যা মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পিবিআই’র পুলিশ পরিদর্শক মোহাম্মদ মুরসালিন নেতৃত্বে একটি দল মামলার প্রত্যেক্ষদর্শীদের সঙ্গে বিভিন্ন বিষয়ে কথা বলেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন মামলার বাদী সাংবাদিক তুরাবের বড় ভাই আবুল আহসান মো.আজরফ (জাবুর) ও সিনিয়র সাংবাদিকসহ সহকর্মীরা।

ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পিবিআই’র পুলিশ পরিদর্শক মোহাম্মদ মুরসালিন।

তিনি বলেন, আমরা দায়িত্ব পাওয়ার পরপরই কাজ শুরু করেছি। সেদিনের ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীদের জবানবন্দী এবং মুঠোফোনে ধারণকৃত ভিডিও ও সিসিটিভি ফুটেজ যাচাইসহ বিভিন্নভাবে আমরা তদন্তকাজ চালাবো। যেহেতু ঘটনাস্থলটি ব্যস্ততম সড়ক। তাই আমরা ওইদিনের মতো শুক্রবার একই সময়ে এই স্থানে আসবো এবং ওইদিনের সিকুয়েন্সের সাথে মেলাবো। এই ঘটনার সাথে জড়িত সরকারি বেসরকারি কর্মকর্তা যারাই হোক প্রত্যেককে আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে। খুব দ্রুত এই মামলার তদন্ত শেষ করতে পারবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।

এসময় পিবিআইর কাছে ঘটনার দিনে সাংবাদিক তুরাবারে পরিহিত সেফটি জ্যাকেট, হেলমেট ও ব্যবহৃত মোবাইল ফোন আলামত হিসেবে হস্তান্তর করেন তার বড়ভাই আবুল আহসান মো. আজরফ (জাবুর)।

এর আগে, পুলিশের গুলিতে নিহত সাংবাদিক এ টি এম তুরাব হত্যা মামলা মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) স্থানান্তর করা হয়। ওইদিন দুপুরে মামলার নথিপত্র কোতোয়ালি থানা থেকে পিআইবিতে বুঝিয়ে দেওয়া হয়। হত্যাকাণ্ডের পৌনে তিন মাস পর এই মামলা পিবিআইতে স্থানান্তর হয়।

উল্লেখ্য, গত ১৯ জুলাই সিলেট নগরীর প্রাণকেন্দ্র কোর্ট পয়েন্টে পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে পুলিশের গুলিতে আহত হন সাংবাদিক তুরাব। পরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওইদিন সন্ধ্যায় মারা যান দৈনিক নয়া দিগন্তের সিলেট প্রতিনিধি ও দৈনিক জালালাবাদের স্টাফ রিপোর্টার এ টি এম তুরাব। এই ঘটনার পরপরই মামলা দিতে গেলে কোতোয়ালি পুলিশ মামলা না নিয়ে জিডি হিসেবে রুজু করে। ছাত্র গণবিপ্লবের পর গত ১৯ আগস্ট আদালতে তুরাব হত্যা মামলা করা হলে পুলিশকে মামলা এফআইআর করে দ্রুত তদন্তের নির্দেশ দেয় আদালত। কিন্তু দীর্ঘদিনেও কাউকে গ্রেফতার করা যায়নি।

তুরাব হত্যা মামলায় সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান কামালকে প্রধান আসামি করা হয়। মামলায় এসএমপির তৎকালীন ডিসি আজবাহার আলী শেখ, এডিসি গোলাম দস্তগীর, কোতোয়ালি থানার তৎকালীন ওসি মঈন উদ্দিনসহ ১৮ জন এজহারভুক্ত আসামি রয়েছেন। এছাড়াও অজ্ঞাত আসামি করা হয় ২০০ থেকে ২৫০ জনকে।