রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় গত একদিনে ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করে ৯৭৯টি মামলা করেছে ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগ। এসব মামলায় আইন লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করে ৩৪টি গাড়ি ডাম্পিং ও ১১টি গাড়ি রেকার করা হয়েছে।
শনিবার (২১ ডিসেম্বর) ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেসন্স বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।
মুহাম্মদ তালেবুর রহমান বলেন, সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে রাত-দিন কাজ করছে ট্রাফিক পুলিশ সদস্যরা। গতকাল শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) এক দিনে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করে ৯৭৯টি মামলা করেছে ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগ। এ সংক্রান্ত মামলায় ৩৪টি গাড়ি ডাম্পিং ও ১১টি গাড়ি রেকার করা হয়েছে।
সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানান ডিএমপির এই কর্মকর্তা।
জয়পুরহাটে বাস-মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে মারুফ হোসেন (২২) নামে এক যুবক নিহত হয়েছেন। এসময় মোটরসাইকেলের পিছনে থাকা আপেল হোসেন (২১) নামে একজন আহত হয়েছেন। তাঁকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে জয়পুরহাট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তারা সম্পর্কে দুই বন্ধু বলে জানা গেছে।
শনিবার (২১ ডিসেম্বর) দুপুরে সদর উপজেলার ভাদসা ইউপির জয়পুরহাট-বদলগাছি সড়কের পন্ডিতপুর এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত মারুফ হোসেন জয়পুরহাট সদর উপজেলার কোচনাপুর গ্রামের মিন্টু হোসেনের পালিত ছেলে। আর আহত আপেল হোসেন একই ইউপির ভগবানপুর গ্রামের মিজানুর রহমানের ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানিয়েছেন, জেলার ভাদসা বাজার থেকে মোটরসাইকেলে করে পাহাড়পুরের দিকে যাচ্ছিলেন মারুফ হোসেন ও আপেল হোসেন নামে দুই বন্ধু। পথে বিপরীত দিক থেকে আসা যাত্রীবাহী বাসের সঙ্গে মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই মারুফ হোসেন মারা যান। গুরুতর হোন অপর বন্ধু আপেল হোসেন। তাকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে জয়পুরহাট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন। ঢাকাগামী ন্যাশনাল ট্রাভেলস বাসটি রেখে চালক ও তার সহকারী পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে বাসটি জব্দ করেছে পুলিশ।
বিষয়টি নিশ্চিত করে জয়পুরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহেদ আল মামুন জানান, ন্যাশনাল ট্রাভেলস নামক বাসের সঙ্গে একটি মোটরসাইকেলের সংঘর্ষ হয়। এসময় মারুফ হোসেন নামে একজন ঘটনাস্থলে নিহত হন। আর অপরজনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে জয়পুরহাট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে দুর্ঘটনা কবলিত বাস ও মোটরসাইকেলটি থানায় নিয়ে আসে। তবে বাসটির চালক ও তার সহকারী পালিয়ে গেছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
খাদ্য উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার বলেছেন, চলমান আমন সংগ্রহ মৌসুমে সরকার নির্ধারিত মূল্যে ধান-চাল সরবরাহ করলে কৃষক ও মিলারদের লোকসানের সুযোগ নেই। কারণ উৎপাদন খরচের সাথে কিছু লাভ যুক্ত করেই সরকারি উচ্চ পর্যায়ের কমিটি এই মূল্য নির্ধারন করেছে। আগামী মৌসুমে এই দাম আবারও সমন্বয় করা হবে।
শনিবার (২১ ডিসেম্বর) দুপুরে সিরাজগঞ্জে রাজশাহী বিভাগের সকল জেলা প্রশাসক ও জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকদের সাথে এক মতবিনিময় সভা শেষে গণমাধ্যমকর্মীদের তিনি একথা বলেন।
চলতি মৌসুমে ধান-চাল সংগ্রহ লক্ষ্যমাত্রা পূরণের প্রত্যাশা করে আলী ইমাম মজুমদার বলেন, ধান-চাল সংগ্রহের মাধ্যমে খাদ্য নিরাপত্তা গড়ে তোলা হচ্ছে। যাতে দাম বাড়লে ওএমএস ও ভিজিডিসহ বিভিন্নভাবে এই ধান-চাল বাজারে সরবরাহ করে দাম স্থিতিশীল রাখা যায়।
তিনি বলেন, চলতি মৌসুমে রাজশাহী বিভাগের ৮ জেলায় চালের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে- ৯২ হাজার ৭২৯ মেট্রিক টন, ধান ৫৩ হাজার ৩৫৯ মেট্রিক টন ও আতব চাল ১৩ হাজার ৯৫০ মেট্রিক টন। এখন পর্যন্ত অর্জিত হয়েছে চাল ২৮ হাজার ৫৫ মেট্রিক টন ও ধান ২০৬ মেট্রিক টন। এখন পর্যন্ত ৮ জেলা থেকে লক্ষ্যমাত্রার ৩০ শতাংশ অর্জিত হয়েছে।
সিরাজগঞ্জ জেলা প্রশাসনের আয়োজনে সার্কিট হাউজে রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার খন্দকার আজিম আহম্মদের সভাপতিত্বে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- খাদ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক আব্দুল খালেক, রাজশাহী বিভাগীয় আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক মাইন উদ্দিন ও সিরাজগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম।
ঝালকাঠির কাঁঠালিয়ায় গত কয়েক দিনে তীব্র শীত, ঘন কুয়াশা ও গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টিতে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। এতে বাড়ছে ঠান্ডাজনিত রোগ। প্রচন্ড ঠান্ডায় শিশু ও বৃদ্ধরা বেশি আক্রান্ত হচ্ছে। তীব্র ঠান্ডায় চরম বিপাকে পড়েছে শ্রমজীবী মানুষরা।
শনিবার (২১ ডিসেম্বর) সকাল থেকে শীতের সাথে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছে। এতে জনজীবন অচল হয়ে পড়েছে। একদিকে শীত তার ওপর বৃষ্টিতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে এ অঞ্চলের মানুষ। খুব বেশি প্রয়োজন ছাড়া কেউ ঘর থেকে বের হচ্ছে না।
কাঁঠালিয়ার জমাদ্দার হাটের হোটেল ব্যবসায়ী মো. সেলিম ঘরামি জানান, কয়েকদিন ধরে প্রচুর শীত থাকায় এবং গতকাল রাত থেকে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হওয়ায় বাজারে তেমন মানুষ আসে না। তাই বেচা-বিক্রি খুবই কম।
শ্রমিক মো. স্বপন খান বলেন, আমি একজন দিনমজুর, বাজার টেনে সংসার চালাই, সকাল থেকে বৃষ্টি ও শীত থাকায় বাজারে কোন মানুষ আসে নাই। তাই বাজার টানতে পারি নাই, টাকাও পাই নাই, বাজারও করতে পারিনি।
রিকশাচালক মো. তোকাব হাওলাদার বলেন, সকাল থেকে বৃষ্টি থাকায় কোন আয়-রোজগার করতে পারি নাই। ঘরে অসুস্থ স্ত্রী তার জন্য প্রতিদিন ওষুধ নিতে হয়। আল্লাহ জানে আজকে ওষুধ নিতে পারব কিনা।
কাঁঠালিয়া সদর ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কেন্দ্রের চিকিৎসক সোহাগ মজুমদার জানান, তীব্র শীত ও বৃষ্টি থাকায় শিশু-বৃদ্ধরা ঠান্ডাজনিত রোগ বিশেষ করে কাশি ও সর্দি জ্বরে আক্রান্ত হচ্ছে।